অতিরিক্ত ঘুমের বড়ি খেলে করণীয়

আপনি নিশ্চয় অতিরিক্ত ঘুমের বড়ি খেলে করণীয় সম্পর্কে জানতে আমাদের এই আর্টিকেলটি ওপেন করেছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনি অতিরিক্ত ঘুমের বড়ি খেলে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন।

অতিরিক্ত ঘুমের বড়ি খেলে করণীয়

অতিরিক্ত ঘুমের বড়ি খেলে করণীয় এবং এর পাশাপাশি অতিরিক্ত ঘুমের বড়ি সম্পর্কে খুঁটিনাটি বিষয়ে আজকের এই আর্টিকেলটি সাজিয়েছি। তাহলে চলুন অতিরিক্ত ঘুমের বরি খেলে করনীয় সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে নিন।

সূচিপত্রঃ অতিরিক্ত ঘুমের বড়ি খেলে করণীয়

অতিরিক্ত ঘুমের বড়ি খেলে করণীয়

আমরা অনেকে অনিদ্রায় ভুগে থাকি, এর জন্য ঘুমের বড়ির ওপর ভরসা করে থাকি। কারণ ঘুমের বড়ি আমাদের অনিদ্রা দূর করে থাকে এবং শান্তি ভাবে ঘুম পাড়ায় এবং দুশ্চিন্তা মুক্ত করে থাকে। ঘুমের ওষুধ বা ঘুমের বড়ি বলতে বারবিচুরেটরকে বলে।

আরো পড়ুনঃ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায় - পায়খানা হচ্ছে না কেন

তবে এই ঘুমের বরি নিয়মিত খাওয়া উচিত নয়। অতিরিক্ত ঘুমের বড়ি খেলে করণীয় সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদের কিছু তথ্য জানাতে চলেছি । যারা অতিরিক্ত ঘুমের বড়ি খেয়ে করণীয় সম্পর্কে জানতে চান তারা আমাদের এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।

অতিরিক্ত ঘুমের বড়ি খেলে আমাদের শরীরে কিছু অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটে থাকে যেমন শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা।মুখমণ্ডল নীল হয়ে আসে, পেশি থলথলে হয়ে থাকে, শরীরের ত্বক ঠান্ডা ও চটচটে হয়। রক্তচাপ হঠাৎ করে কমে যায় এবং রোগীর শরীর নেশার মতো ঘোর লেগে থাকে ও  অচেতন হয়ে পড়ে। শ্বাসক্রিয়া বন্ধ হয়ে রোগীর মৃত্যু হয়ে থাকে।

তাই অতিরিক্ত ঘুমের বড়ি খেলে করণীয় সম্পর্কে নিম্নেও লিখিত বিষয় সম্পর্কে জেনে নিন।

১। রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

২। রোগী অনেকক্ষণ আগে বারবিচুরেট খেয়ে থাকে, তাহলে মূত্রবর্ধক ওষুধ দিয়ে রোগীকে প্রস্রাব করাতে হবে।

৩। কুসুম গরম পানিতে পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট মিশিয়ে তা দিয়ে রোগীর পাকস্থলী ধুতে হবে।

৪। প্রয়োজনে রোগীকে অক্সিজেন ও কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস দিতে হবে।

৫। রোগী যদি অনেকক্ষণ ধরে অচেতন থাকে, তাহলে নাকে নল দিয়ে তাকে দুধ ও গ্লুকোজ খাওয়াতে হবে।

ঘুমের ওষুধ খাওয়ার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মৃত্যু

মানুষ শান্তির ঘুমের জন্য ঘুমের বড়ি খেয়ে থাকেন, কিন্তু অনেকে হয়তো জানেন না ঘুমের ওষুধ খাওয়ার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় মৃত্যু ঘটতে পারে। আজকেরে আর্টিকেলে আমরা অতিরিক্ত ঘুমের বড়ি খেলে করণীয় সম্পর্কে আপনাদের সামনে ইতি মধ্যে আলোচনা করেছি। চলুন ঘুমের ওষুধ খাওয়ার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় মৃত্যু ঘটে কিভাবে সে সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করি।

ঘুমের ওষুধ একটা নেশা দ্রব্যের মতো আমাদের শরীরে প্রভাব ফেলে। একদিন ঘুমের ওষুধ খাওয়ার ফলে তারপরের দিনও অনেক সময় ঘুমের ওষুধের একটি প্রভাব আমাদের শরীরে দেখা যায়। ঘুমের ওষুধ সেবনকারী হ্যালোসিলেশন সমস্যা দেখা দেয়। ঘুমের ওষুধ আমাদের শরীরের নিশাতদের মত কাজ করে এবং আমাদের শরীরে মারাত্মক ধরনের ক্ষতি করে থাকে।

অনেক সময় যারা নিয়মিত ঘুমের ওষুধ সেবন করেন তাদের আচার-আজানোর মধ্যে কিছুটা পার্থক্য দেখা যায়। তাদের মেজাজ সবসময় খিটখিটে ও উগ্র হয়ে থাকে। নিয়মিত ঘুমের ওষুধ খেতে খেতে সে ওই ওষুধে অভ্যস্ত হয়ে যায়। এবং পরে সে ওষুধ আর শরীরের কাজ করে না। তখন ওষুধের মাত্রা অনেকেই বাড়িয়ে থাকেন। এবং দীর্ঘ সময় এ প্রক্রিয়া চালু রাখলে একসময় শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হবে।

আপনি যদি দীর্ঘদিন ধরে ঘুমের ওষুধ নিয়মিত সেবন করতে থাকেন তাহলে সেটি আপনার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ওপর প্রভাব ফেলবে। শরীরের ক্ষতিকর অনেকগুলো আমাদের শরীর থেকে বিনা বাধায় বের হতে পারে না এবং আমাদের শরীরটি দিন দিন অসুস্থ হয়ে যায়।

নিয়মিত ঘুমের ওষুধ খেতে খেতে আমাদের শরীরে একটি আসক্তির সৃষ্টি হয়। এবং ওষুধ ছাড়া কখনোই আমাদের রাত্রে ঘুম আসে না তাই আপনার ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া কখনোই ঘুমের ওষুধ খাওয়া সঠিক বুদ্ধিমানের কাজ নয়।

অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেলে আপনার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে কারণ অতিরিক্ত ঘুমের ঘোরে আমাদের শরীরের হার্টের প্রবলেম ও ব্রেনের রক্তনালীর চলাচল বন্ধ করে দেয় এবং অতিরিক্ত ঘুমের বড়ি খেলে আমাদের প্যারালাইসিস হতে পারে। এবং কোমায় চলে যেতে পারে এবং সেই সাথে আপনার স্মৃতিশক্তির সমস্যা হতে পারে। অতিরিক্ত ঘুমের বড়ি আস্তে আস্তে নিয়ে নিতে পারে আপনার জীবন।

তাই আসুন অতিরিক্ত ঘুমের বড়ি কিংবা ঘুমের বড়ি খাওয়া থেকে আমরা বিরত থাকি এবং ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন নিয়েই আমরা ঘুমের বড়ি খাই।

পাওয়ারফুল ঘুমের ওষুধের নাম

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা অতিরিক্ত ঘুমের বড়ি খেলে করণীয় সম্পর্কে আপনাদের সামনে আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটি তুলে ধরেছি। আজকাল অনেকেই দুশ্চিন্তায় ভুগে থাকেন এবং ঘুম না আসার কারণে ঘুমের বড়ি খেয়ে থাকেন।

শুধু ঘুমের বড়ি সাধারণভাবে নয় এটি অতিরিক্ত সেবন করে থাকেন। যার ফলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে এবং মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। ঘুমের ওষুধের কিছু ওষুধ রয়েছে যেগুলো অত্যন্ত পাওয়ারফুল। তার মধ্যে একটি হল ডায়াজিপাম।

ডায়াজিপাম (Diazepam|Diazepam) একটি বিশেষ শ্রেণীর ঔষধ যা সচরাচর ঘুমের ঔষধ হিসাবে সুপরিচিত। এটি মূলত বেঞ্জোডায়াজেপিন গোত্রের ঔষধ। “ভ্যালিয়াম” - এই বাণিজ্যিক নামে এটি সর্বপ্রথম বাজারজাত করে ঔষধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হফম্যান লা রোশ।

এ ঔষধটি সাধারণত দুশ্চিন্তা, অযাচিত আতঙ্ক, অনিদ্রা, স্ট্যাটাস এপিলেপ্টাস, মাংসপেশীর সংকোচনজনিত অক্ষমতা (টিটেনাস সংক্রমণজনিত কারণ), রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম, অ্যালকোহল ত্যাগপরবর্তী জটিলতা, বেঞ্জোডায়াজেপিন ত্যাগপরবর্তী জটিলতা, অপিয়েট ত্যাগপরবর্তী জটিলতা এবং মেনিয়ার'স ডিজিজ ইত্যাদি ক্ষেত্রে চিকিত্‍সায় ব্যবহার করা হয়।

আরো পড়ুনঃ কিডনি রোগের লক্ষণ

বিভিন্ন সার্জিক্যাল প্রসিডিউরে এটি চেতনানাশক হিসেবে ব্যবহার করা হয় (অ্যানেসথেসিয়ার কাজ দ্রুত করার জন্যে যখন অল্প পরিমাণে ব্যবহার করা হয় অথবা অ্যানেথেসিয়ার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হয় যখন এটা থাকে না অথবা ব্যবহার করা নিষেধ থাকে।

ঘুমের ওষুধ ছাড়ার উপায়

ঘুম মানে একটি শান্তির ছোঁয়া যার সারারাত ঘুম আসে এবং শান্তির ঘুম হয়ে থাকে সে জানে এর অনুভূতি এবং যার ঘুম না আসে সে জানে জীবন কতটা অশান্তিময়। একদিন ঘুম না আসাটা স্বাভাবিক, কিন্তু দিনের পর দিন আপনি যদি অনিদ্রায় ভুলে থাকেন তাহলে এটি আপনার জন্য খুবই অশান্তিজনক এবং শরীরের প্রতি মারাত্মক।

তাই ঘুম আসার জন্য অনেকেই ঘুমের বড়ি সেবন করে থাকেন। কিন্তু অতিরিক্ত ঘুমের বড়ি খেলে করণীয় সম্পর্কে অনেকে হয়তো জানে না। অতিরিক্ত ঘুমের বড়ি আপনার শরীরে মহাবিপদ ডেকে আনতে পারে। যারা নিয়মিত ঘুমের ওষুধ সেবন করে থাকেন এবং ঘুমের ওষুধ ছাড়তে চাইছেন তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলে ঘুমের ওষুধ ছাড়ার উপায় সম্পর্কে কিছু তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছি।

১। সারাদিন ক্লান্ত টা শরীর নিয়ে এসে ঘরে এসেই গোসল করে নিবেন এতে করে আপনার ক্লান্ত টা দূর হয়ে যাবে।

২। ঘুমাতে যাওয়ার দু’ঘণ্টা আগে সারুন রাতের খাওয়া।

৩। রাতে কফি বা চা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। আমাদের শরীরের সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমকে উত্তেজিত করে। এছাড়া রাতে শরীরের পরিপাক পদ্ধতি ধীর গতিতে চলে। 

৪। ঘুমের একটা নির্দিষ্ট টাইম করে ফেলুন।ঘন ঘন সময় বদলালে আমাদের বায়োলজিক্যাল ক্লক সে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে না। ফলে ব্যাঘাত ঘটে ঘুমের। প্রতিদিন চেষ্টা করবেন সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমানোর।

৫। ফোন থেকে দূরে থাকুন। ঘুমের সবচেয়ে ব্যাঘাত ঘটায় বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম। তাই ঘুমতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত গ্রুপ চ্যাট, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক ঘাঁটা থেকে বিরত থাকুন। সময়ে ঘুম না আসার নানা কারণের মধ্যে এর প্রভাবই সবচাইতে ভয়ংকর।

৬। অনেকেরই অভ্যাস থাকে ঘুমনোর সময় বই পড়ার। কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে, এড়িয়ে চলা উচিত সেটাও। ঘুমের আগে দীর্ঘক্ষণ বইয়ে মুখ গুঁজে থাকলে চাপ পড়ে চোখে। মস্তিষ্কও সচল থাকে একটু বেশিই। কাজেই ঘুম আসতে দেরি হয়।

৭। ঘুমানোর সময় বিছানাটা অবশ্যই আরামদায়ক ও গুগসম্মত হতে হবে, কারন অনেক সময় বিছানার কারণেও আমাদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে থাকে।

৮। গবেষণায় দেখা গেছে, সপ্তাহে পাঁচ দিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট নিয়মিত শরীরচর্চা করা হলে ঘুমের মান উন্নত হয়।

কয়টি ঘুমের ওষুধ খেলে মারা যায়

ঘুম যেমন আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজন। তেমনি সঠিক নিয়মে চালাও আমাদের শরীরের জন্য জরুরী। তাই যারা ঘুমের ওষুধ খান তাদের অবশ্যই মনে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। কারণ এই ঘুমের বড়ি আপনার জীবনের কাল হতে পারে।

অতিরিক্ত ঘুমের বড়ি খেলে করণীয় সম্পর্কে আপনাদের এই আর্টিকেলে আজকে আমরা ঘুমের ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানিয়েছি। অনেকেই ঘুম না আসার কারণে একের অধিক ঘুমের বড়ি সেবন করে থাকেন। কিন্তু আপনি কি জানেন? কয়টি ঘুমের ওষুধ খেলে মারা যায়?

আরো পড়ুনঃ কিভাবে তাড়াতাড়ি লম্বা হওয়া যায়

আনুমানিক ১৫ থেকে ৬০ ঘুমের ওষুধ খেলে মানুষ মারা যেতে পারে। ঘুমের ওষুধ সাধারণত আমাদের শ্বাসতন্ত্রের সাথে মস্তিষ্কের সংযোগ নষ্ট করে। মস্তিষ্ক শ্বাস নেওয়ার সংকেত পাঠাতে পারেনা যার ফলে অক্সিজেন এর অভাবে মৃত্যু ঘটে। আপনার নার্ভাস সিস্টেম যত বেশি সংক্রিয় মেট্রো ঘটতে তত বেশি ওভারডোস এর প্রয়োজন হবে। তবে এটি সঠিক করে বলা সম্ভব নয়। আল্লাহর রহমতে হয়ত আপনি ১০০ টি বড়ি খেলেও হয়তো বেঁচে থাকতে পারবেন।

অতিরিক্ত ঘুমের বড়ি খেলে করণীয়ঃ শেষ কথা

প্রিয় পাঠক গণ আজকের এই আর্টিকেলে আমরা অতিরিক্ত ঘুমের বড়ি খেলে করণীয়, ঘুমের ওষুধ খাওয়ার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মৃত্যু, পাওয়ারফুল ঘুমের ওষুধের নাম, ঘুমের ওষুধ ছাড়ার উপায়, কয়টি ঘুমের ওষুধ খেলে মারা যায়? এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি ওষুধ খেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নিন।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল আরো পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। কারণ আমাদের ওয়েবসাইটের নিয়মিত এ ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Skbd IT এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url