সন্তানকে কখন ফোন দেওয়া উচিত

সন্তানকে কখন ফোন দেওয়া উচিত। জানতে হলে আমাদের এই পোস্টটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।আজকের আধুনিক যুগে ফোন একটি যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ছোট থেকে বড় সবাই ফোনের ব্যবহার করে থাকেন।আজকের এই পোস্টে আমরা সন্তানকে কখন ফোন দেওয়া উচিতৎ এ নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করতে চলেছি।

সন্তানকে কখন ফোন দেওয়া উচিত

আজকের এই পোস্টটিতে আমরা সন্তানকে কখন ফোন দেওয়া উচিত এই সম্পর্কে আপনাদের বিশেষভাবে জানাতে চলেছি। তাহলে চলুন আর দেরি না করে সন্তানকে কখন ফোন দেওয়া উচিত এ সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে নিন।

সূচিপত্রঃ সন্তানকে কখন ফোন দেওয়া উচিত

ভূমিকাঃ সন্তানকে কখন ফোন দেওয়া উচিত

বর্তমানে ফোন একটি গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারনেট যন্ত্র। প্রতিদিনের কাজে আমাদের সাথে কিছু থাকুক বা না থাকুক, কিন্তু ফোন আমাদের সবসময়ই পাশে থাকে। তাই ফোনের গুরুত্বটা আমাদের কাছে সবথেকে বেশি। ফোনে কথা বলা থেকে শুরু করে অফিসের বিভিন্ন কাজ আপনি খুব সহজেই  ঘরে বসে সেরে ফেলতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ হিন্দু আইনে বাবার সম্পত্তি বন্টনের নিয়ম

এছাড়া, মোবাইল ফোনে ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা, গান শোনা, গেমস খেলা, ছবি দেখা, ছবি তোলা ইত্যাদি বড় বড় যন্ত্রের কাজ এখন একটি মোবাইল ফোন দিয়েই করা যাচ্ছে।মোবাইল ফোনের উপকারিতা পাশাপাশি কিছু অপকারিতা ও রয়েছে। যা আমাদের জানা অত্যন্ত জরুরী।

আজকের এই পোস্টটিতে আমরা সন্তানকে কখন ফোন দেওয়া উচিত এই সম্পর্ক নিয়ে আজকের এই পোস্টটি সাজিয়েছি।তাহলে চলুন আজকের এই পোস্টটিতে আমরা সন্তানকে কখন ফোন দেওয়া উচিত এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন।

মোবাইল ফোনের সুবিধা

মোবাইল মানব জীবনে একটি অতিপ্রয়োজনীয় যন্ত্র। এটি একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস যা মানব জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মোবাইল ফোনের সুবিধা রয়েছে যেগুলো আমরা সচরাচর ভোগ করে থাকি। আজকের এই পোস্টে আমরা সন্তানকে কখন ফোন দেওয়া উচিত সে বিষয়ে আলোচনা করতে চলেছি।

১। মোবাইল ফোন যেহেতু আমরা সকলেই ব্যবহার করে থাকি, তাই মোবাইল ফোনের সুবিধা গুলো জানা আমাদের সকলের জরুরী।

২। সহজেই দেশ-বিদেশে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করা যায়

৩। সহজে ই-মেইল প্রেরণ ও গ্রহণ করা যায়।

৪। টাচ স্ক্রীন ও হাতের লেখা সনাক্ত করা যায়।

৫। Global Positioning System (GPS) এর ফলে কল ট্র্যাকিং বা ব্যবহারকারী ও তার অবস্থান সনাক্ত করা যায়।

৬। Bluetooth, Infrared প্রভৃতি ওয়্যারলেস সিস্টেমের ব্যবহার করা যায়।

৭। স্থির বা ভিডিও চিত্র ধারণ, অডিও-ভিডিও কিংবা রেডিও-টিভির ব্যবহার করা যায়।

৮। দ্রুত তথ্য আদান-প্রদান করা যায়।

৯। ইন্টারনেট ব্রাউজ করা যায়।

১০। মোবাইল কল আসলে কল ডাইভার্ট, হোল্ড রাখা অথবা বাতিল করা যায়।

১১। SMS ও MMS সার্ভিস আদান-প্রদান করা যায়।

১২। স্থান পরিবর্তন হলেও নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ থাকে।

১৩। একই ফোনে একাধিক সিম ব্যবহার করা যায়। ব্যবহারকারী যে সিম দিয়ে কথা বলে সুবিধা পায় সেই সিম ব্যবহার করতে পারে।

১৪। ওজনে কম হওয়ায় পকেটে বা ব্যাগে করে সব জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায়।

মোবাইল ফোনের অসুবিধা

মোবাইল ফোন একটি ছোট্ট ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস যন্ত্র হলোও এর কর্মক্ষমতা অনেক। মোবাইল ব্যবহারকারীর সুবিধার মধ্যে কিছু অসুবিধা রয়েছে। যার বিষয়ে আমাদের সচেতন হতে হবে। আজকের এই পোস্টে আমরা সন্তানকে কখন ফোন দেওয়া উচিত এ বিষয়ে আপনাদের সামনে আলোচনা করতে চলেছি। কারণ ফোন ব্যবহারকারী নির্দিষ্ট একটি বয়সসীমা থাকা দরকার। না হলে ফোন তার জন্য একটি অসুবিধার কারণ হতে পারে। তাহলে চলুন মোবাইল ফোনের অসুবিধা গুলো কি তা জেনে নিন।

আরো পড়ুনঃ নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও তার প্রতিকার

১। ছাত্রছাত্রীরা মোবাইলের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়ে পড়ছে ফলে তাদের লেখাপড়ার ক্ষতি হয়।

২। অপরাধ প্রবণতার সাথে সহজেই জড়াতে পারে।

৩। মোবাইল নেটওয়ার্ক মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

৪। বাচ্চা ছেলেমেয়েরা মোবাইল ব্যবহারে অধিক আকৃষ্ট হচ্ছে।

৫। এর মাধ্যমে সহজেই অন্যকে ঠকানো যায়।

৬। এর অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে।

৭। অতিরিক্ত ফোন চালানোর মাধ্যমে চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যাচ্ছে।

৮। অতিরিক্ত ফোন চলার মাধ্যমে আপনার শরীরে ক্লান্তি অনুভব হতে পারে এবং কাজে অনেক সৃষ্টি হতে পারে।

মোবাইল ফোন ব্যবহারে মাতা পিতার করণীয়

সন্তানদের ভাল কে না চায়? কথাই আছে পৃথিবীতে অনেক খারাপ নারী পুরুষ থাকলেও একটাও খারাপ পিতা মাতা নেই। আজকের আলোচনার বস্তু হল সন্তানকে কখন ফোন দেওয়া উচিত। এবং মোবাইল ফোন ব্যবহারে মাতা পিতার করণীয় সম্পর্কে আমাদের সচেতন হওয়া।

কারণ মোবাইলের মাধ্যমে অনেক কিশোর-কিশোরীরা বিপদগামী হচ্ছে এবং তাদের ভবিষ্যৎ জীবন অন্ধকার করে তুলছে। তাই আপনার সন্তানকে কখন ফোন দেওয়া উচিত এই বিষয়ে সঠিক ধারণা থাকা জরুরী। তাহলে চলুন মোবাইল ফোন ব্যবহারে পিতা-মাতার করণীয় কি তার সম্পর্কে জেনে নিন।

মোবাইল ফোন ব্যবহারে মাতা পিতার করণীয়ঃ

অনেক অভিভাবকই তাদের টিনেজার সন্তানদের কোন মতে কম্পিউটার,মোবাইল-ফোন ব্যবহার করতে দিলেও সোস্যাল সাইট (ফেবু, টুইটার, ইউটিউব) ব্যবহারের উপর ডাইরেক্ট রেসট্রিকশন দিয়ে থাকেন। অনেকে আছেন আবার কেউ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কম্পিউটার এবং মোবাইল ফোন থেকে বাচ্চাদের বিরত রাখেন।

এতকিছু বাধ্যবাধকতার মতো ভেবে থাকেন তাহলে আমার সন্তানটি কি নিয়ে তার সময়টি পার করবে? এত ভাবনা ছেড়ে সুস্থ মস্তিষ্কে ভাবুন। আপনার সন্তানকে কোন পথে দিলে আপনার সন্তানটি একটি আদর্শ সন্তান হিসেবে গড়ে উঠতে পারবে। কোন কিছু বিপদে পড়লে সেখান থেকে বেরোনোর রাস্তা অবশ্যই থাকে তেমনি একটি হলো নৈতিক শিক্ষা কারণ নৈতিক শিক্ষায় পারে আপনার সন্তানকে সুষ্ঠু ও আদর্শ হিসেবে গড়ে তুলতে।

গাছটি চাঁরা অবস্থায় যখন আছে তখন যদি তাকে বাঁকা করে বেঁধে দেন তাহলে সে বাঁকা হয়েই বড় হবে। তেমনি আপনার সন্তানটিকে যদি ছোট থেকেই নৈতিক শিক্ষা বা ধর্ম শিক্ষা দিয়ে থাকেন তাহলে সে সেভাবেই বড় হবে। বড় হবার পর যদি আপনি গাছটিকে আবার সোজা করতে চান তাহলে কি পারবেন? ঠিক আপনার সন্তানটিকে যদি ছোট থেকেই নৈতিক শিক্ষা না দিয়ে থাকেন তাহলে বড় হলে কতটুকু পারবেন তা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন।

বর্তমান যুগে আমাদের বিশ্ব সামনের দিকে এগিয়ে চলছে। তাই আপনার সন্তানকে আপনি যতই কম্পিউটার কিংবা ফোন, ইলেকট্রনিক যন্ত্র থেকে দূরে রাখতে চেষ্টা করুন, আপনি কখনোই  তা পারবেন না।আপনি যদি খোদাভীতির বিষয়টা তার মগজে গেঁথে দিতে পারেন তাহলেই সে কেবল আপনার অনুপস্থিতেও খোদার ভয়ে ভীত হয়ে অনৈতিক কর্মকান্ড করতে পারবে না।

সন্তানকে স্মার্ট ফোন কিভাবে চালানো শিখাবো

প্রিয় বন্ধুরা আজকের উন্নত সমাজে ইলেকট্রনিক যন্ত্র গুলো দিন দিন আমাদের বিশ্বকে উন্নত করে তুলছে। তার মধ্যে রয়েছে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ইত্যাদি বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস যন্ত্র। আজকের এই পোস্টে সন্তানকে কখন ফোন দেওয়া উচিত এ সম্পর্কে ইতিমধ্যে অনেক কিছু আলোচনা করেছি। সন্তানকে স্মার্টফোন কিভাবে চালানো শিখাবো এ নিয়ে অনেকেই চিঞ্চিত থাকেন তাই আজকে এই পোস্টে আপনাদের জন্য আমরা সন্তানকে স্মার্টফোন কিভাবে চালানো শিখাবো সে সম্পর্কে কিছু আলোচনা করব।

আধুনিক প্রযুক্তির অন্যতম আবিষ্কার হচ্ছে স্মার্টফোন। তবে বাবা-মায়ের ব্যবহার করা ফোন শিশুর হাতে দেয়ার অভ্যাস করা খুবই বিপজ্জনক। কারণ এভাবে শিশুদের মোবাইল আসক্তি তৈরি হচ্ছে। এই ফোন ব্যবহারের ফলে শিশুর স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যায় এবং পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায়

বর্তমান সময়ের শিশুরা এখন আর বাইরে গিয়ে খুব একটা খেলাধুলা করে না। যার জন্য দিন দিন আগের খেলাধুলা গুলো প্রাইবিলিন হয়ে যাচ্ছে। তারা খেলা বলতে বোঝে মোবাইলের স্ক্রিনে হরেকরকম খেলা। এ খেলা নেশায় পরিণত হয়। এই নেশা শিশুর জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। 

**তাহলে চলুন জেনে নেই বাচ্চাদের কিভাবে স্মার্ট ফোন চালানো শিখাবো।

১। আপনার সন্তানকে বেশি বেশি খেলাই মনোযোগী প্রতিদিন এজন্য বিকালের অবসর টাইমগুলোতে আপনার  সন্তানকে মাঠে পাঠান, এবং বন্ধুদের সাথে খেলার উৎসাহ যোগাতে দিন।

২। আপনার শিশুর অবসর টাইম গুলোতে হাতের লেখা প্র্যাকটিস ছবি আঁকা এবং চারুকলা ও শিল্পের প্রতি জোর দিন।

৩। শিশুর খাবারের প্রতি যত্ন নিতে হবে। খাবারে পুষ্টি ঠিক রাখতে সবুজ শাকসবজি খেতে দিন।

৪। জাঙ্কফুড খাওয়া  থেকে বিরত রাখুন। কোল্ড ড্রিঙ্কের বদলে দিন লাচ্ছি ও ফলের রস।

৫। রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর অভ্যাস করুন। আর ঘুমানোর আগে দুধ খাওয়ান। যাতে আপনার সন্তানের শারীরিক পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয়ে শরীরকে সুস্থ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। এবং শরীরে এনার্জি ফিরিয়ানে।

সন্তানকে কখন ফোন দেওয়া উচিতঃ শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেল থেকে সন্তানকে কখন ফোন দেওয়া উচিত? সন্তানকে স্মার্টফোন কিভাবে চালানো শিখাবো? মোবাইল ফোন ব্যবহারের পিতা মাতার করণীয়, মোবাইল ফোনের সুবিধা এবং মোবাইল ফোনের অসুবিধা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনি উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম পোস্ট আরও পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Skbd IT এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url