হিন্দু আইনে বাবার সম্পত্তি বন্টন করার নিয়ম

প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই পোস্টটিতে আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করতে চলেছি। যা হলো হিন্দু আইনে বাবার সম্পত্তি বন্টন করার নিয়ম। অনেক সময় হিন্দুদের সম্পত্তি বন্টন নিয়ে অনেক ঝামেলা দেখা যায়। তাই হিন্দু আইনে বাবার সম্পত্তি বন্টন করার নিয়ম সম্পর্কে আমাদের সকলের জানা উচিত।

হিন্দু আইনে বাবার সম্পত্তি বন্টন করার নিয়ম

আজকের এই পোস্টে আমরা হিন্দু আইনে বাবার সম্পত্তি বন্টন করার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব। তাহলে চলুন আর দেরি না করে হিন্দু আইনে বাবার সম্পত্তি বন্টন করার নিয়ম সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে নিন।

সূচিপত্রঃ হিন্দু আইনে বাবার সম্পত্তি বন্টন করার নিয়ম

হিন্দু আইনে বাবার সম্পত্তি বন্টন করার নিয়মঃ ভূমিকা

প্রিয় বন্ধুরা আপনারা যারা আমাদের এই আর্টিকেল পড়ছেন তারা নিশ্চয়ই হিন্দু আইনে বাবার সম্পত্তি বন্টন করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতে এসেছেন আজকের এই আর্টিকেলে আমরা হিন্দু আইনে বাবার সম্পত্তি বন্টন করার নিয়ম বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। আপনি যদি সম্পূর্ণ আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে হিন্দু আইনে বাবার সম্পত্তি বন্টন করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন।

হিন্দু আইনে বাবার সম্পত্তিতে মেয়েদের অধিকার

বাংলাদেশের হিন্দু পারিবারিক আইন সংস্কারের বিষয়টি ‘সম্পত্তিতে নারীর উত্তরাধিকার’ প্রসঙ্গে এসে সবচেয়ে বেশি বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। তাই আজকের এই পোস্টে আমরা হিন্দু আইনে বাবার সম্পত্তিতে মেয়েদের অধিকার সম্পর্কে সঠিকভাবে জানবো। তাহলে চলুন হিন্দু আইনে বাবার সম্পত্তি মেয়েদের অধিকার সম্পর্কে কিছু জেনে নিন।

আরো পড়ুনঃ কান পাকলে করণীয় ও চিকিৎসা

প্রচলিত হিন্দু দায়ভাগ আইন এবং সংস্কারের জন্য প্রস্তাবিত খসড়া আইনের পার্থক্য খুঁজতে গিয়ে দেখা  যায় আইন সংস্কারের বিরোধিতাকারীরা ‘স্ত্রীধনকে পর্যাপ্ত’ আখ্যা দিয়ে ‘শাস্ত্রের বাইরে’ যেতে নারাজ।অন্যদিকে সংস্কারের পক্ষে যারা অবস্থান নিয়েছেন তারা যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে হিন্দু নারীদের জন্য সবক্ষেত্রে ছেলে সন্তানের মতো সমান অধিকার চাইছেন। এটি কতটুকু ঠিক। চলুন তাহলে আইনে কি আছে তা সঠিকভাবে জেনে নিন।

হিন্দু মেয়েদের ক্ষেত্রে এই সম্পত্তির ভাগ করার দিক থেকে যে বৈষম্য মূলক আচরণ করা হয়। সেটা কিন্তু একবারে স্পষ্টভাবে লক্ষ্য করা যায়। যেমন একটি মেয়ের যখন বিয়ে হয়। তখন সেই মেয়ে টি তার বাবার সম্পত্তি থেকে একবারই বঞ্চিত হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে সেই মেয়েটি যখন তার স্বামীর সংসার করে। এবং কোন কারণে যদি তার স্বামী মারা যায়।

তাহলে কিন্তু সেই মেয়ে টি তার স্বামীর সম্পত্তির অংশীদার হওয়া নিয়েও বেশ ঝামেলার মধ্যে পড়তে হয়। কেননা যখন একটি মেয়ের বিয়ে হয়। তখন সে তার স্বামীর ঘরে যায় এবং তার সংসারে যদি কোন প্রকারের ছেলে না থাকে। তাহলে সেই বিয়ে হওয়ার নারীর মেয়ে সন্তান থাকার কারণে। সে তার স্বামীর সম্পত্তি ভাগ পাবে না

মূলত এই বিষয়গুলো স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে যখন কোন হিন্দু মেয়ের বিয়ে হয় তখন সে তার বাবা সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হয় এবং পরবর্তীতে তার স্বামী মারা গেলেও সে তার স্বামীর সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হয়।

দেখা যায় হিন্দু মেয়েটি দুই দিক থেকেই সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হয়। প্রথমত সে তার বাবার সম্পদ থেকে বঞ্চিত হলো এবং পরবর্তীতে সে তার স্বামীর সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হলো। যার কারণে হিন্দু মেয়েদের সম্পত্তি কারণে বেশ বিড়ম্বড়ায় পড়তে হয়।

বাংলাদেশের হিন্দু আইনে সম্পত্তিতে মেয়েদের অধিকার

আপনি নিশ্চয়ই বাংলাদেশ হিন্দু আইনে সম্পত্তিতে মেয়েদের অধিকার সম্পর্কে জানতে আমাদের এ পোষ্টটি ওপেন করেছেন? তাহলে আজকে আপনার জন্য আমরা বাংলাদেশের হিন্দু আইনে সম্পত্তিতে মেয়েদের অধিকার সম্পর্কে আলোচনা করব।

কারণ অনেক সময় হিন্দু নারীরা বাবার সম্পত্তি নিয়ে বেশ ঝামেলায় পড়ে থাকেন তাদের জন্য আজকের এই পোস্টে আমরা বাংলাদেশের হিন্দু আইনে সম্পদের মেয়েদের অধিকার সম্পর্কে আলোচনা করতে চলেছি।

হিন্দু আইনে রয়েছে

আইনে দেখা যায় হিন্দু ধর্মে পুত্র সন্তান যদি উপস্থিত থাকে তাহলে কন্যা সন্তান সেই সম্পদ থেকে বঞ্চিত হন।যদি পুত্র না থাকে তবে অবিবাহিতা কন্যা এবং পুত্রবর্তী কন্যারা জীবনস্বত্বে সম্পত্তির অধিকার পান। অন্যদিকে বন্ধ্যা, বিবাহিতা কন্যা, বিধবা কন্যা এবং কন্যা জন্মদানকারী কন্যারা সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত হন।অর্থাৎ কন্যার অধিকার নির্ভর করবে পুত্র থাকা বা না থাকার ওপর। তবে তারা ‘স্ত্রীধন’ পান।

৫১ পৃষ্ঠার এই রায়ে বলা হয়েছে এখন থেকে হিন্দু মেয়েরা পরিবারের অন্য সদস্যের চেয়ে বাবার সম্পত্তিতে অগ্রাধিকার পাবে।। এর পাশাপাশি আরো বলা হয়েছে ১৯৫৬ সালের আগে হলেও মেয়েরা তার অধিকার আদায় করতে পারবে। ১৯৫৬ সালে ভারতে সাকসেকশন সার্টিফিকেট প্রথা চালু হয় যে প্রথার এর মাধ্যমে ১৯৫৭ সালের আগের কোন মামলার এই আদেশ কার্যকর হবে।

এখানে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, বাবা যদি একান্নবর্তী পরিবারের সদস্য হন তাহলে তার উপার্জিত সম্পদের উপর যেমন কন্যা সন্তানের অধিকার থাকবে, তেমনি একান্নবর্তী পরিবারের সদস্য হিসেবে তার প্রাপ্য সম্পদের ওপর ও মেয়েদের অধিকার থাকবে।

বাবার সম্পত্তিতে হিন্দু নারীর অংশ কেন নয় এই প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশের হাইকোর্ট থেকে শুরু বের করা হয়। মুসলমানদের মধ্যে উত্তরেধিকার সম্পত্তি ভাগাভাগি হয় মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী। অন্যদিকে 1937 সালে হিন্দু আইন অনুযায়ী মেয়েরা কোন সম্পত্তির উত্তরাধিকারী নন।

তবে পরে সেটা যুগ উপযোগী করতে ২০১২ সালের ৭ই আগস্ট একটি নতুন আইন সুপারিশ করে আইন কমিশন সেখানে সম্পত্তির নারীর সমান অধিকার সন ৯ দফা সুপারিশ হয়। এরপরে পুনরায় ২০১৮ সালের হিন্দু উত্তরাধিকার আইন সংস্কারের প্রস্তাব তৈরির কাজ করে হিন্দু আইন প্রণয়নের নাগরিক উদ্যোক্তা জাতীয় কোয়ালিয়েশন কর্তৃপক্ষ।

এটি সমগ্র বাংলাদেশের হিন্দু নাগরিক ও যারা হিন্দু ধর্ম পালন করে তাদের উপর প্রযোজ্য হবে এবং সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ হতে আইনটি কার্যকর হবে। তবে দুঃখের বিষয় হলো সে আইন এখনো প্রজ্ঞাপিত হয়নি বা জারি করা হয়নি।

হিন্দু নারীদের পিতা সম্পদের ভাগ না পাওয়ায় এই রীতির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রিড করা হয়। আদালতের রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খায়রুল আলম চৌধুরী অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি ছিলেন ডেপুটি জেনারেল বিপুল বাগমার।

ইরানি বিশ্বাস এর একটি প্রতিবেদন যেটা প্রকাশিত হয় জাগো নিউজ 24 প্লাটফর্মে।  সেখানে তিনি বলেন১৯৩৭ সালের হিন্দু আইন অনুযায়ী মেয়েদের কোন সম্পত্তির উত্তরাধিকারী নয়। দীর্ঘ ৮৩ বছরেও এর কোন পরিবর্তন হয়নি। তবে গত আগস্ট মাসে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণা করা হয়েছে।সেরা অনুযায়ী হিন্দু বিধবার স্বামীর সম্পত্তি উত্তরাধিকারী হবে।

তবে অর্পিত সম্প্রতি কোন প্রকার বিক্রি হস্তান্তরযোগ্য নয়, শুধু ভোগ দখলকৃত বলে গণ্য হবে। এ প্রেক্ষিতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে হিন্দু মেয়েরা অবহেলিত তাদের কোনো পরিচয় নেই। জন্মের পর উত্তরাধিকার সূত্রে পিতা সম্পত্তির উত্তরাধিকারী নয়। তবে এই সকল ক্ষেত্রে পরিবর্তন এর প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। এবং যেটা খুব অল্প সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন হতে চলেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

হিন্দু আইনে বাবার সম্পত্তি বন্টন করার নিয়ম

আপনি নিশ্চয়ই হিন্দু আইনে বাবার সম্পত্তি বন্টন করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে আমাদের এই পোষ্টটি ওপেন করেছেন। হিন্দু আইনে বাবার সম্পত্তি বন্টনের দুই ধরনের নিয়ম রয়েছে আপনারা যারা স্বাবলম্বী হিন্দু রয়েছেন তাদের নিশ্চয়ই সম্পত্তি বন্টন নিয়ে সঠিক তথ্য জানা দরকার তাহলে চলুন হিন্দু আইনে বাবার সম্পত্তি বন্ধন করার নিয়ম সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে নিন।

হিন্দু আইনে দুই ধরনের সম্পত্তি বন্টনের নিয়ম

১)মিতক্ষরা পদ্ধতি

২)দায়ভাগ পদ্ধতি

বাংলাদেশের বসবাসরত হিন্দু জাতি দায়ভাগ পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকেন। দায়ভাগ মূলত জীমূতবাহন রচিত হিন্দু গ্রন্থ উত্তরাধিকার বিষয়ক আইন গ্রন্থ। এ আইন গ্রন্থ অনুযায়ী মৃত্যু ব্যক্তির আত্মার কল্যাণের জন্য পিন্ডদানের অধিকারী কেবলমাত্র তারাই মৃত ব্যক্তির সপিণ্ড এবং মৃত ব্যক্তির উপকারী উত্তরাধিকারী হিসেবে তাদের সম্পত্তি পেয়ে থাকেন।

আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায়

আর মিতক্ষরা পদ্ধতি হলো জন্ম মাত্রই যেমন একজন পুত্র সন্তান পূর্ব পরবর্তী সম্পত্তির সমান অংশীদার হন। যা দায়ভাগ আইনে দেখা যায় না।

 হিন্দু সম্পত্তির বন্টনের নিয়ম গুলো জেনে নিন।

১। কন্যাদের মধ্যে  কুমারী কন্যাদের দাবি অগ্রগণ্য। এরপর পুত্রবতী বা পুত্রসম্ভাবা নারীদের দাবি। কন্যা উত্তর আধিকারী রূপে সম্পত্তি পেলেও তার মৃত্যুতে তার সন্তান সম্পত্তির অধিকার পাবে না।

২। মৃত ব্যক্তির স্ত্রী না থাকলে একবার একাধিক পুত্র সন্তান সমুদয় থাকলে। তারা এর সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হবে। এই আইনের বিধান অনুসারে নিকটবর্তী পুরুষ ওয়ারিশ থাকলে  পরবর্তীরা এ সম্পত্তি পাবে‌না। যেমন পুত্র থাকলে পুত্রের পুত্র সম্পত্তি পাবে না।

৩। মৃত ব্যক্তির একই সাথে পুত্র বা স্ত্রী জীবিত থাকলে মৃত্যের বিধবা স্ত্রী এক পত্রের সমান অংশ পাবে। একাধিক স্ত্রী থাকলে তুলনামূক ভাবে সকল স্ত্রীকে সম্পত্তির অংশ বন্টন করা হবে। মৃতের স্ত্রী যে অংশ পাবেন, জীবিত থাকলে পুত্রের পুত্রের স্ত্রী ও সমান অংশ পাবে।

৪। দায়ভাগ আইনে মৃত ব্যক্তির জীবিত উত্তরাধিকারী গনের মধ্যে সম্পত্তি বন্টনের সময় যদি কোন মৃত ব্যক্তি উত্তরাধিকারী থাকেন, তবে মৃত ব্যক্তির জীবিত ওয়ারিশগণ সে সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হবেন।

৫। স্বামীর মৃত্যুর পর মৃত্যুর জীবিত স্ত্রী মৃত্যের সম্পত্তিতে জীবনভর ভোগ করেন। এবং তার মৃত্যুর পর তার সম্পত্তির ভোগ দখল তার সন্তানেরা করবেন।

৬। পুত্র না জীবিত থাকলে সম্পত্তি মূল মালিকের কাছে হস্তান্তর হবে।

৭। স্বামীর মৃত্যুর পর কোন স্ত্রী দ্বিতীয়বার বিবাহ করলে চিনি মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি পাবেন না। অর্থাৎ হিন্দু মহিলার স্বামী মারা গেলে এবং সে দ্বিতীয় বিয়ে করলে তার স্বামীর অংশ তাকে তার ওয়ারিশগণের নিকট ফিরিয়ে দিতে হবে।

৮। হিন্দু সমাজে সন্তান দপ্তর নেওয়ার প্রথা রয়েছে। পিন্ডদানকারী পুত্র, পুত্রের পুত্র, কিংবা পুত্রের পুত্রের পুত্র না থাকলে পিন্ডদানের জন্য কিংবা সামাজিক কারণে নিজ বংশ ধরে রাখতে নয় বছরের উর্ধ্বে নয় এমন শিশু দত্তক নেওয়া যায়। দত্ত গ্রহণকারী মৃত্যুর পর মৃত্যের দত্তপুত্র মৃতের ঔরসজাত পুত্রের ১/৩ তিন ভাগের এক ভাগ সম্পত্তি পাবেন।

৯। হিন্দু দায়ভাগ আইনে কোন সন্ন্যাসী ব্যাক্তি উত্তরাধিকারী হন না। এ আইনের সন্ন্যাসী ব্যক্তিকে মৃত ধরা হয়। এবং তিনি সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হন।

১০। হিন্দু ধর্মে কোন সন্তান প্রতিবন্ধী হলে সে তার অংশ থেকে বঞ্চিত হবেন। আইনের দৃষ্টিতে এমন সন্তানকে মৃত ধরা হয়ে থাকে। তাদের সন্তানগন মাতা পিতা সম্পদের উত্তরাধিকারী হিন হয়ে থাকেন।

১১। হিন্দু উত্তরাধিকারী সূত্রে অসতী নারী বিধবা স্ত্রী স্বামীর সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হন। তবে  মৃত্তের বিধবা স্ত্রী আইন সংগতভাবে অসতী প্রাপ্ত হলে প্রাপ্ত সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হবেন না। অসতীত্বের কারণে কন্যা তার মাতৃত্বের এবং পিতৃত্বের  সম্পত্তি হতে বঞ্চিত হবেন। তবে অসতীত্ব নারী তার মৃত স্বামীর সম্পত্তি থেকে কখনোই বঞ্চিত হবেন না।

১২। কোন ধর্ম অবলম্বি  অন্যা ধর্ম গ্রন্থ গ্রহণ করলে সে হিন্দু ধর্মের অংশ থেকে বঞ্চিত হবেন। এ আইন হতে তিনি সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হবেন।

১৩। মৃত্যুর হত্যাকারী এবং তার ওয়ারিশগণ মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হবেন।

হিন্দু আইনে বাবার সম্পত্তিতে ছেলেদের অধিকার

প্রিয় পাঠক আপনারা যারা এতক্ষন আমাদের পোস্টের সাথে ছিলেন তারা নিশ্চয়ই হিন্দু আইনে বাবার সম্পত্তি বন্টন করার নিয়ম সম্পর্কে ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছেন। এখন তাহলে চলুন হিন্দু আইনে বাবার সম্পত্তিতে ছেলেদের অধিকার সম্পর্কে কিছু জেনে নিন।

হিন্দু আইনে দুই। ধরনের পদ্ধতি রয়েছে।

১)মিতক্ষরা পদ্ধতি

২)দায়ভাগ পদ্ধতি

দায়ভাগ হল জীমূতবাহন রচিত হিন্দুদের একটি আইনগ্রন্থ যা মূলত উত্তরাধিকার পদ্ধতিতে কেন্দ্রীভূত।দায়ভাগ ছিল আধুনিক ব্রিটিশ ভারতীয় আদালতের ভারতীয় বঙ্গ অঞ্চলের সবচেয়ে শক্তিশালী কর্তৃপক্ষ, যদিও ১৯৫৬ সালের হিন্দু উত্তরাধিকার আইনের গমন এবং আইনে সংশোধন করার কারণে এটি পরিবর্তিত হয়েছে।

আরো পড়ুনঃ শীতে টনসিল ভালো করার উপায় - টনসিলের লক্ষণ

মিতাক্ষরা সম্পর্কে জীমূতবাহনের সমালোচনার ভিত্তিতে ধারণা করা হয় যে মিতাক্ষরা তাঁর কাজকে অবরুদ্ধ করেছিলেন| এটি অনেক পণ্ডিতকে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছে দিয়েছে যে মিতাক্ষরা হিন্দু আইনের গোঁড়া মতবাদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন যখন দায়ভাগ সংস্কারকৃত সংস্করণ উপস্থাপন করছিলেন।

পাঠ্যগুলির মধ্যে কেন্দ্রীয় পার্থক্যটি দেখা যায় যখন কেউ সম্পত্তির মালিক হয় তার উপর ভিত্তি করে। দায়ভাগ পিতার মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত পিতার পৈতৃক সম্পত্তিতে ছেলেকে কোনো অধিকার দেয়না। মিতাক্ষরা মতে, জন্মমাত্রই পুত্র পূর্বপুরুষের সম্পদে পিতার সমান অংশীদার হয়। সারসংক্ষেপটি একাধিক বার মন্তব্য করা হয়েছে।

পুত্রের উপস্থিতিতে হিন্দু কন্যা সম্পত্তির অধিকার থেকে ‘বঞ্চিত হন’। যদি পুত্র না থাকে তবে অবিবাহিতা কন্যা এবং পুত্রবর্তী কন্যারা জীবনস্বত্বে সম্পত্তির অধিকার পান।

হিন্দু আইনে বাবার সম্পত্তি বন্টন করার নিয়মঃ শেষ কথা

প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আজকের এই আর্টিকেল থেকে হিন্দু আইনে বাবার সম্পত্তিতে ছেলের অধিকার, বাংলাদেশের হিন্দু আইনে সম্পত্তিতে মেয়েদের অধিকার, হিন্দু আইনে বাবার সম্পত্তিতে মেয়েদের অধিকার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আজকের এই আর্টিকেল থেকে উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম আটিকের আরো পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Skbd IT এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url