রেকটাল পলিপ কেন হয়

আপনি কি রেকটাল পলিপ কেন হয় সে সম্পর্কে জানতে আমাদের গুগলটি ওপেন করেছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। পলিফ কেন হয় এ বিষয়ে জানা অত্যন্ত জরুরি। বর্তমানে ফুসফুস ক্যান্সারের পরেই রেকটাল ক্যান্সারের অবস্থান। রেকটাল পলিপ কেন হয় সে বিষয়ে আপনাদের সামনে আমরা আলোচনা করতে চলেছি।

রেকটাল পলিপ কেন হয়

আপনারা যারা রেকটাল পলিপ কেন হয় সে বিষয়ে জানতে চান, তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে রেকটাল পলিপ কেন হয় সে বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন।

সূচিপত্রঃ রেকটাল পলিপ কেন হয়

রেকটাল পলিপ কাকে বলে

রেকটাল পলিপ কাকে বলে এ বিষয়ে আমরা পুরোপুরিভাবে অনেকেই অপরিচিত। আজকের এই আর্টিকেলে রেকটাল পলিপ কেন হয় এ বিষয়ে কিছু তথ্য নিয়ে আমরা হাজির হয়েছি। তার আগে রেকটাল পলিপ কাকে বলে তা জেনে নিন।

আমাদের যে পরিপাকতন্ত্র আছে তার শেষের যে অংশ, যেটাকে বাংলায় বলা হয় বৃহদন্ত্র, সেই অংশটিকে কোলোরেকটাল বলে।

উপরের অংশটিকে কোলোন এবং নিচের অংশ যেটা মলাশয়, স্টুল বা মল জমা থাকে সেটাকে বলা হয় রেকটাম। এ দুটি মিলে হলো কোলোরেকটাল। এখানে যে ক্যান্সার হয় সেটাই কোলোরেকটাল ক্যান্সার। 

রেকটাল পলিপ কেন হয়

রেকটাল পলিপ কেন হয় এ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন। যা আমাদের সকলের জরুরী। যা বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে বেশি এ রোগটি দেখা যায়। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা রেকটাল পলিপ কেন হয় এ বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছি। তাহলে চলুন আর দেরি না করে রেকটাল পলিপ কেন হয় সে বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।

আরো পড়ুনঃ ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধের উপায়

এ সমস্যা শিশুদের বেশি হয়। এটাও অনেকটা পাইলসের মতোই। মলের সঙ্গে তাজা লাল রক্তক্ষরণ হয়, আবার গোটার মতো পিণ্ড বেরিয়ে আসে। পলিপ সারাতে সার্জারির প্রয়োজন হয়।

শিশুদের ক্ষেত্রে বৃহদন্ত্রের সংক্রমণ, বিশেষ করে রোটা ভাইরাসজনিত সংক্রমণের কারণে পায়ুপথে রক্তপাত সবচেয়ে বেশি হয়। শিশুদের এই সমস্যার আরেকটি অন্যতম কারণ হলো মলাশয় বা বৃহদন্ত্রের পলিপ।

এ ছাড়া অন্ত্রের এক অংশ আরেক অংশে প্রবেশ করে সৃষ্ট প্রদাহ বা ইন্টাসাসেপশন, জন্মগ্রত ত্রুটির কারণে মেকেলস ডাইভারটিকুলাম বা অন্ত্রে ডাইভারটিকুলোসিস হয়ে শিশুদের এ ধরনের রক্তপাত হয়। শিশুদের আইবিডি হওয়াও অস্বাভাবিক নয়।

রেকটাম ক্যান্সারের লক্ষণ

উপরে ইতিমধ্যে আমরা রেকটাল পলিপ কেন হয় সে বিষয়ে জানতে পেরেছি। রেকটাম ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো জানতে হলে আমাদের আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা রেকটাল পলিপ কেন হয় সে বিষয়ে আলোচনা করছি। তো চলুন রেকটাল ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো কি তা জেনে নিই।

পায়খানায় রক্ত যাওয়া, মাঝে মাঝে ডায়রিয়া আবার কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া, খুব সকালে মলত্যাগের বেগ হয়, পেটে ব্যথা হয় এবং পেট ফাঁপা দিয়ে ফুলে উঠতে পারে। দীর্ঘদিন থাকলে মলদ্বারে ব্যথা এবং প্রস্রাবে অসুবিধা হতে পারে। মলের সঙ্গে আম বা মিউকাস যেতে পারে। অন্যান্য সংকেত ও লক্ষণও দেখা দিতে পারে যেমনঃ

১। ফুলে যাওয়া (Bloating)

২। অন্ত্রগুলি খালি করতে না পারার অনুভূতি

৩। ক্লান্তি

৪। ওজন কমা

৫। মল রক্ত

৬। ফুলে যাওয়া (Bloating)পেটে ব্যথা

৭। অন্ত্রগুলি খালি করতে না পারার অনুভূতি

এ এই ক্যান্সারটি শরীরের অন্য কোন অংশে ছড়িয়ে পড়লে বা আপনার ক্যান্সারটি শরীরের কোন অংশে রয়েছে তার ওপর নির্ভর করে কিছু কিছু লক্ষণগুলো দেখা দিতে পারে যেমনঃ

১। হাড়ের ব্যথা

২। জন্ডিস

৩। হাত-পা ফোলা

৪। দৃষ্টি বা বক্তৃতা পরিবর্তন

৫। ক্রমাগত কাশি

৬। নিঃশ্বাসের দুর্বলতা

৭। ক্ষুধামান্দ্য

৮। ক্লান্তি

রেকটাল ক্যান্সার বেঁচে থাকার হার

ক্যান্সার আমাদের বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক রোগগুলির মধ্যে একটি। যা মানুষকে প্রভাবিত করে এবং এখন পর্যন্ত এই রোগটিকে সম্পূর্ণরূপে মুছে ফেলার কোনও প্যানিসিয়া খুঁজে পায়নি। তেমনি রেকটাল ক্যান্সার বেঁচে থাকার হার অনেক কম।

আরো পড়ুনঃ ক্যান্সারের লক্ষণ ও প্রতিকার

আজকেরে আর্টিকেলে আমরা রেকটাল পলিপ কেন হয় সে বিষয়ে আপনাদের ইতিমধ্যে অনেক কিছু জানিয়েছি। রেকটাল ক্যান্সার বেঁচে থাকার হার সম্পর্কে অনেকে জানেন না। আজকের আর্টিকেলে আমরা রেকটাল ক্যান্সার বেঁচে থাকার হার কতটুকু সে বিষয়ে জেনে নেব।

ক্যান্সারজনিত মারাত্মক ভাইরাস শরীরের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে থাকা টিউমারগুলি নিয়ন্ত্রণ করা যায় না এবং অনেক সময় সংক্রামিত ব্যক্তির মৃত্যুর মাধ্যমে শেষ হয়। ক্যান্সার এখনও মানুষের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক এবং প্রাণঘাতী একটি রোগ।

কোলন ক্যান্সারও অন্যতম গুরুতর ক্যান্সার।একটি ক্যান্সার যা বৃহত অন্ত্রকে প্রভাবিত করে, তাকে “কোলন ক্যান্সার রেকটাম “ও বলা হয়। এই রোগের প্রধান কারণ অ্যালকোহল ও মদ্যপান। ধূমপান, চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া এবং জেনেটিক্স এই রোগের প্রবণতা বাড়ানোর সবচেয়ে সাধারণ কারণগুলির মধ্যে অন্যতম।

নতুন সংক্রমণ সংখ্যা বার্ষিক 1.4 মিলিয়ন হিসাবে অনুমান করা হয়। এবং মৃত্যুর সংখ্যা 694 হাজার বার্ষিক। এই ক্যান্সারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণগুলির একটি হ’ল মলের সাথে অন্ত্রের গতি পরিবর্তন এবং রক্ত ​​ক্ষরণের পরিবর্তন।

ভোজনপ্রণালী এবং কম স্থূলতার হারের কারণে অন্য দেশগুলির তুলনায় ভারতে কলোরেক্টাল ক্যান্সারের হার কম বলে মনে করা হয়, তবে বেঁচে থাকার হার পাঁচ বছরের কম হয়।

রেকটাল ক্যান্সার চিকিৎসা

মলাশয়ে প্রদানের জন্য ক্যান্সার is ক্যান্সার যা কোলনের শেষ কয়েক ইঞ্চিতে ঘটে। এই অঞ্চলটিকে মলদ্বার বলা হয়। রেকটাল ক্যান্সারের প্রধান চিকিৎসা হল অস্ত্রোপচার। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা রেকটাল পলিপ কেন হয় এ বিষয়ে আপনাদের সঙ্গে বিস্তারিত কিছু তথ্য তুলে ধরেছি। রেকটাল ক্যান্সার চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের আর্টিকেল ঠিক করতে থাকুন।

উন্নত রেকটাল ক্যান্সারের তীব্রতার ক্ষেত্রে, রোগীদের প্রথম লক্ষণ দেখা দিলে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। বিশেষ করে মলদ্বার রক্তপাত, মলের আকার বা বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন হওয়া। রেকটাল ক্যান্সারের জন্য চিকিত্সা সাধারণত থেরাপির সাথে জড়িত। সম্ভব হলে ক্যান্সার কোষগুলি অপসারণ বা বিচ্ছিন্ন করার জন্য সার্জারি ব্যবহার করা হয়।

মলদ্বার থেকে বেড়ে ওঠা এবং মলদ্বার প্রবেশ করে এমন ক্যান্সারের ক্ষেত্রে সার্জন আংশিকভাবে মলদ্বার ক্যান্সার অপসারণ করতে ক্যান্সারের কাছে মলদ্বার অপসারণ এবং ক্যান্সারের নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকর রেকটাল টিস্যুগুলির প্রান্তগুলি সরিয়ে এবং নিকটস্থ লিম্ফ নোডগুলি সরিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন।

অস্ত্রোপচারের পাশাপাশি, স্থানীয়ভাবে উন্নত রেকটাল ক্যান্সার সাধারণত রেডিয়েশন থেরাপি এবং কেমোথেরাপির মাধ্যমে চিকিত্সা করা হয়। ক্যান্সার যখন নিকটবর্তী লিম্ফ নোডে ছড়িয়ে পড়ে বা মলদ্বার প্রাচীরের মধ্য দিয়ে বেড়ে যায়। সে ক্ষেত্রে বেশির ভাগ  কেমোথেরাপি এবং রেডিয়েশন থেরাপি ব্যবহার করা হয়।

আরো পড়ুনঃ স্কিন ক্যান্সারের লক্ষণ - স্কিন ক্যান্সার কেন হয়

ক্যান্সার যদি শরীরের অন্যান্য অংশে না ছড়িয়ে থাকে তবে সাধারণত টিউমার সঙ্কুচিত করতে এবং সম্পূর্ণ টিউমার অপসারণের সম্ভাবনা বাড়ানোর জন্য কেমোথেরাপি এবং রেডিয়েশনগুলি সাধারণত শল্য চিকিত্সার আগে করা হয়। 

রেকটাল পলিপ কেন হয়ঃ শেষ কথা

প্রিয় বন্ধুরা রেকটাল পলিপ কেন হয়? রেকটাল ক্যান্সার চিকিৎসা, রেকটাল ক্যান্সার বেঁচে থাকার উপায়, রেকটাল পলিপ কাকে বলে? এ বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি উক্ত রোগে ভুগে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেল থেকে সমাধান পেয়ে যাবেন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম আর্টিকেল আরো পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Skbd IT এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url