ফুসফুস ক্যান্সার এর লক্ষণ

আজকের এই পোস্টে আলোচনা করব ফুসফুস ক্যান্সার এর লক্ষণ, ফুসফুস ক্যান্সার কেন হয়, ফুসফুস ক্যান্সার কি ভাল হয়, ফুসফুস ক্যান্সার রোগীর খাবার তালিকা, ফুসফুস ক্যান্সারের ঘরোয়া চিকিৎসা, ফুসফুস ক্যান্সারের হোমিও চিকিৎসা ইত্যাদি আরো অনেক বিষয় যেন আপনারা ফুসফুস ক্যান্সার নিয়ে বিস্তারিত জানতে পারেন এবং নিজেকে সচেতন রাখতে পারেন।

তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নেই  ফুসফুস ক্যান্সার এর লক্ষণ সহ ফুসফুস ক্যান্সার কেন হয়, ফুসফুস ক্যান্সার কি ভাল হয়, ফুসফুস ক্যান্সার রোগীর খাবার তালিকা, ফুসফুস ক্যান্সারের হোমিও চিকিৎসা সহ ইত্যাদি আরো অনেক বিষয়।

পোস্ট সূচিপত্রঃ  ফুসফুস ক্যান্সার এর লক্ষণ

ফুসফুস ক্যান্সার কি?

ফুসফুস ক্যান্সার এমন এক ধরনের রোগ যেখানে ফুসফুসের টিস্যুগুলিতে অনিয়ন্ত্রিত কোষবৃদ্ধি ঘটে। এই অস্বাভাবিক কোষবৃদ্ধি এর ফলে মেটাস্ট্যাসিস, প্রতিবেশী টিস্যু আক্রমণ এবং ফুসফুসের বাইরে সংক্রমণ ঘটতে পারে। প্রাথমিক ফুসুফুসের ক্যান্সারের অধিকাংশই ফুসফুসের কার্সিনোমা, যা ফুসফুসের এপিথেলিয়াল কোষগুলিতে ধরা পড়ে। ফুসফুস ক্যান্সার সাধারণত পুরুষদের হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

চিত্রঃ ফুসফুস ক্যান্সার

 ফুসফুস ক্যান্সার এর লক্ষণ

আমাদের শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ হল ফুসফুস। আমাদের শ্বাস প্রশ্বাস নেয়ার জন্য এটি ছাড়া বিকল্প কোন উপায় নেই। কিন্তু বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে মানুষের শরীরে ফুসফুস ক্যান্সার এর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ফুসফুস ক্যান্সার এর লক্ষণ গুলো কি কি তা জানেন না। তাদের সুবিধার্থে এখন আলোচনা করব ফুসফুস ক্যান্সার এর লক্ষণ গুলো।

দীর্ঘদিন ধরে কাশিঃ প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ রোগীর ক্ষেত্রে ফুসফুস ক্যান্সার এর লক্ষণ হিসেবে কাশি হতে দেখা গিয়েছে। কাশি শুকনো অথবা অতিমাত্রায় কফযুক্ত হতে পারে । অনেক সময় রাতের দিকে কাশি বেড়ে যায়।

কাশির সময় বুকে ব্যথাঃ অনেকদিন কাশি হওয়ার পরে কাশির শব্দে পরিবর্তন আসতে পারে এবং কাশির সময় বুকে ব্যথা হতে পারে। এমনটা হলে তা অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ এটিও হতে পারে ফুসফুস ক্যান্সার এর লক্ষণ গুলোর মধ্যে একটি।

কাশির সাথে রক্ত বের হওয়াঃ কাশির সাথে রক্ত বের হওয়া এটিও  ফুসফুস ক্যান্সার এর লক্ষণ গুলোর মধ্যে একটি। ধূমপানকারী পুরুষ রোগীদের ক্ষেত্রে লক্ষণটি বেশি দেখা যায়। এক্ষেত্রে কাশির ফলে কফের সাথে অথবা থুতুর বা লালার সাথে রক্ত যায় এবং দেখা যায় ফুসফুস এর কোন না কোন জায়গায় বারবার ইনফেকশন হয়।

আরো পড়ুনঃ মোটা হবার ১২ উপায় জেনে নিন।

বুক ব্যথা এবং শ্বাস-কষ্টঃ অনেকদিন ধরে কাশি হওয়ার ফলে রোগীর বুকে ব্যথা হয়। এবং ফুসফুস ক্যান্সার যেহেতু ফুসফুসের সংক্রমণ তাই শ্বাস নেওয়ার সময় শ্বাসকষ্ট হতে দেখা যায়।

জ্বরঃ ক্যান্সারের প্রদাহের কারণে ঘনঘন জ্বর হয়ে থাকে। কোন কোন ক্ষেত্রে  অ্যান্টিবায়োটিক ও কাজ করে না এবং বার বার জ্বর আসতে থাকে।

বুকের সংক্রমণঃ কিছু কিছু মানুষ আছে যাদের দেখা যায় কিছুদিন পরপরেই বুকে সংক্রমণ দেখা দেওয়া বা একবার বুকের সংক্রমণ হলে তা অনেক দিনেও ভালো না হওয়া ফুসফুসে ক্যান্সারের একটি লক্ষণ হতে পারে।

ক্ষুধা মন্দ ভাবঃ ফুসফুস ক্যান্সার সহ যে কোন ধরনের ক্যান্সার রোগীর খাবারের রুচি হারিয়ে যাই।

আঙুল ফুলে যাওয়াঃ অনেক সময়ই দেখা যায় রোগীর আঙুল ফুলে যায় এবং ব্যথা হয় বিশেষ করে আঙুলের গোঁড়ার দিক এবং নখের চারপাশ।

ফুসফুস ক্যান্সার কেন হয়

ফুসফুস ক্যান্সার কেন হয় তা নিচে আলোচনা করা হলোঃ

  • ফুসফুস ক্যান্সারের প্রধান কারন গুলোর মধ্যে একটি হলো তামাক গ্রহণ। অনেকেই আছে যারা প্রতিদিন কয়েক প্যাকেট ধূমপান করে থাকে এবং এরা 20 থেকে 30 বছর ধরে ধূমপান করছে। যারা দীর্ঘদিন ধরে ধূমপান করছে তাদের মধ্যে 90% ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
  • অনেকেই পেশাগত কারণে ইটের ভাটা, কয়লার খনি, বিল্ডিং নির্মাণ , পেট্রোলিয়াম কেমিক্যাল বা রাবার কারখানায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। এ সকল শ্রমিকদের ফুসফুস ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি।
  • বর্তমান সময়ে শহরে বায়ুদূষণ একটি অন্যতম সমস্যা। বিভিন্ন যানবাহনের ধোঁয়া সহ বিভিন্ন বজ্র থেকে বায়ু দূষিত হচ্ছে। বায়ুদূষণ ফুসফুস ক্যান্সার কেন হয় তার একটি কারণ।
  • ফুসফুস ক্যান্সার কেন হয় তার আরেকটি কারণ হলো রেডিয়েশন। অনেকেই মেডিকেলের এক্সরে বিভাগে কাজ করে এসব রেডিয়েশন আমাদের শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর। রেডিয়েশন থেকেও ফুসফুস ক্যান্সার হতে পারে।
  • অনেকের বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয় স্বজন ধূমপান করে। তাদের পরিবারের 25% লোকের ফুসফুস ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

ফুসফুস ক্যান্সার কি ভাল হয়

উপরে ফুসফুস ক্যান্সার এর কারণগুলো উল্লেখ করা হয়েছে। উপরের কারণগুলো থেকে বিরত থাকলে ফুসফুস ক্যান্সার থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। তবে ফুসফুস ক্যান্সার খুবই ধীরে ধীরে সংক্রমিত হয়। এর ফলে ফুসফুস ক্যান্সার যদি প্রথম স্টেজে থাকে তাহলে সাধারণত ধরা পড়ে না। তবে ফুসফুস ক্যান্সারের যেসব উপসর্গ বা লক্ষণ রয়েছে সেগুলো দেখা দিলে আমাদের অতিসত্বর ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো উচিত।

আরো পড়ুনঃ রমজান মাসে ওজন কমানোর ০৭ উপায় জেনে নিন।

ফুসফুস ক্যান্সার সাধারণত চারটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে।এর মধ্যে নন স্মল সেল টাইপ ও কার্সিনয়ড ক্যানসারের স্টেজ থ্রি- এ পর্যন্ত অস্ত্রোপচার দ্বারা নিরাময় সম্ভব হতে পারে।স্মল সেল টাইপ ক্যানসারে কিন্তু কেবল স্টেজ টু-এ পর্যন্তই অস্ত্রোপচার দ্বারা নিরাময়ের সম্ভাবনা থাকে।যেহেতু অপারেশন একটি ক্রিটিক্যাল বিষয় তাই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে অপারেশন করানো উচিত।

ক্যান্সার যদি প্রাথমিক স্টেজে থাকে তাহলে উপযুক্ত চিকিৎসা এর মাধ্যমে ফুসফুস ক্যান্সার ভালো হয়। তবে ফুসফুস ক্যান্সারের মৃত্যুঝুঁকি অন্যান্য ক্যান্সারের তুলনায় অনেকটা বেশি। উপরের আলোচনা থেকে আশা করি বুঝতে পেরেছেন ফুসফুস ক্যান্সার কি ভাল হয় না হয় না।

ফুসফুস ক্যান্সার রোগীর খাবার তালিকা

ফুসফুস ক্যান্সার রোগীর খাবার তালিকা তে তেমন কোনো বিশেষায়িত খাবারের তালিকা কথা বলা হয়নি। তবে কয়েকটি খাবার আছে যা ফুসফুস ক্যান্সার প্রতিরোধী। আমরা এখন সেগুলো নিয়ে আলোচনা করব।

  • আপেলঃ ফলের মধ্যে আপেল ফুসফুস ক্যানসার প্রতিরোধ করে। এতে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েডস ক্যানসার হওয়ার হাত থেকে ফুসফুসকে বাঁচায়।
  • রসুনঃ রসুনে থাকা সালফাইড ফুসফুস ক্যানসার প্রতিরোধে সক্ষম। রান্না না করে কাঁচা রসুন খেলে সব থেকে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
  • ব্রকোলিঃ সবুজ সব্জির মধ্যে সব থেকে ভালো হল ব্রকোলি। এতে সালফ্রোফেন থাকে। যা ফুসফুসকে মারণ রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। এই সবুজ রঙা সবজির থেকে যে এনজাইম বের হয় তা ক্যানসার রোগ প্রতিরোধে সক্ষম।   
  • লাল বেলপেপারঃ লাল বেলপেপার এবং লাল মরিচে ফাইটোকেমিক্যাল থাকে, যা ফুসফুসকে মারণ রোগের হাত থেকে রক্ষা করে।
  • পালং শাকঃ পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ফোলেট, ভিটামিন এবং লুটেইন থাকে। যা ফুসফুস ভালো রাখতে সাহায্য করে।
  • প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারঃ ক্যান্সার এর মত অসুখ হলে যে কারো শরীর দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তাই ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর পুষ্টির চাহিদা পূরণের জন্য প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার যেমনঃ ডিম, দুধ, মাছ , মাংস ইত্যাদি খাওয়ানো যেতে পারে।

ফুসফুস ক্যান্সার রোগীর খাবার তালিকা তে যেসব খাবার খাওয়ানো যাবে নাঃ ফুসফুস যেহেতু আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ তাই শ্বাসকষ্ট হয় এমন ধরনের খাবার ফুসফুস ক্যান্সার রোগীর খাবার তালিকা রাখা যাবে না।

ফুসফুস ক্যান্সারের ঘরোয়া চিকিৎসা

চলুন প্রথমে জেনে নেই ফুসফুস ক্যান্সারের চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে। সাধারণত ফুসফুস ক্যান্সারের এই তিন ধরনের চিকিৎসা রয়েছে। ক্যান্সারের হিস্টোপ্যাথোলজিক্যাল শ্রেণি ও পর্যায়ের ওপর চিকিৎসার ধরন নির্ভর করে।

  • সার্জারি এর মাধ্যমেঃ স্কোয়ামাস ও অন্যান্য নন-স্মল সেল ক্যান্সারে প্রাথমিক পর্যায়ে সার্জারির মাধ্যমে চিকিৎসায় ভালো ফল পাওয়া যায়।
  • রেডিওথেরাপি এর মাধ্যমেঃ স্কোয়ামাস ও অন্যান্য নন-স্মল সেল ক্যান্সার যদি সার্জারির অযোগ্য হয়, তখন রেডিওথেরাপি চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ছাড়া অতিরিক্ত রক্তকাশি, তীব্র হাড় ব্যথা, সুপিরিয়র ভেনা ক্যাভা শিরায় বাধা—এসবের উপশমে রেডিওথেরাপি বেশ কার্যকর।
  • কেমোথেরাপি এর মাধ্যমেঃ স্মল সেল ক্যান্সারের মূল চিকিৎসা কেমোথেরাপি। এর সঙ্গে রেডিওথেরাপি চিকিৎসাও যুক্ত হয়। এ ছাড়া নন-স্মল ক্যান্সারেও সার্জারির আগে কেমোথেরাপি দেওয়া হয়।

ফুসফুস ক্যান্সারের ঘরোয়া চিকিৎসা

ফুসফুস ক্যান্সারের তেমন কোন ঘরোয়া চিকিৎসা নেই। তবে কিছু নিয়ম মানলে ফুসফুস ক্যান্সার ঘরে বসে প্রতিরোধ করা সম্ভব।

  • ফুসফুসের ক্যান্সার প্রতিরোধ করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো ধূমপান না করা। ধূমপান না করলে যেমন নিজেকে সুস্থ রাখা যায় তেমনি আশেপাশের মানুষেরাও ধূমপানের ক্ষতি থেকে রক্ষা পায়। 
  • সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা। খাবারের মেন্যুতে তাজা ফলমূল ও শাকসবজি নিয়মিত রাখা।
  • ফরমালিন মুক্ত ফল ও শাকসবজি খাওয়া।
  • বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ যেমন—ক্রোমিয়াম, ক্যাডমিয়াম, অ্যাসবেস্টস ইত্যাদি এড়িয়ে চলা।
  • ফুসফুসের প্রদাহজনিত রোগ যেমন—যক্ষ্মা, নিউমোনিয়া ভালো হওয়ার পর ফুসফুসের আক্রান্ত স্থানে ক্যান্সার দেখা দিতে পারে। তাই যথাসম্ভব সতর্ক থাকা।

ফুসফুস ক্যান্সারের হোমিও চিকিৎসা

ফুসফুস ক্যান্সার (Lung Cancer) হল এক ধরনের ম্যালিগন্যান্ট টিউমার । ফুসফুস ক্যান্সার যদি টিউমার এর মাধ্যমে হয়ে থাকে তাহলে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মাধ্যমে এটি সারিয়ে তোলা সম্ভব। তবে খেয়াল রাখতে হবে ফুসফুস ক্যান্সার কোন স্টেজে রয়েছে। প্রাথমিক স্টেজে থাকলে বিশেষায়িত চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা নেয়া যেতে পারে। হোমিও চিকিৎসা একটু সময় সাপেক্ষ তবে টিউমার ভালো করতে এটি কার্যকর।

ফুসফুসের ক্যান্সার একটি হতান্তর ব্যাধি । শ্বাসতন্ত্রের যাবতীয় রোগের মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সার সবচেয়ে মারাত্মক রোগ । তাই হোমিও চিকিৎসার ক্ষেত্রে বিশেষায়িত চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা করার পরামর্শ থাকবে।

শেষ কথা | ফুসফুস ক্যান্সার এর লক্ষণ

প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টে ফুসফুস ক্যান্সার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আরো আলোচনা করেছি ফুসফুস ক্যান্সার কেন হয়,ফুসফুস ক্যান্সার এর লক্ষণ, ফুসফুস ক্যান্সার কি ভাল হয়, ফুসফুস ক্যান্সার রোগীর খাবার তালিকা, ফুসফুস ক্যান্সারের ঘরোয়া চিকিৎসা, ফুসফুস ক্যান্সারের হোমিও চিকিৎসা ইত্যাদি বিষয়গুলো। আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে ফুসফুস ক্যান্সার এর কারণগুলো যা উপরে আলোচনা করেছি সেগুলো জেনে নিজেরা সচেতন থাকবেন।

আরো পড়ুনঃ গর্ভবতী মায়ের কি কি ফল খাওয়া উচিত তা দেখে নিন।

পোস্ট টি ভাল লেগে থাকলে শেয়ার করুন আপনার প্রিয়জনের সাথে যেন তারাও ফুসফুস ক্যান্সার কেন হয়,ফুসফুস ক্যান্সার এর লক্ষণ ইত্যাদি বিষয়গুলো জানতে পারে খুব সহজেই।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Skbd IT এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url