হাত পা ব্যথা করার ৮টি কারণ কি - হাত পায়ের ব্যথা দূর করার উপায়

অনেকেরই হাত পা ব্যথা করে থাকে কিন্তু হাত পা ব্যথা করার কারণ কি এবং হাত পায়ের ব্যথা দূর করার উপায় কি এ বিষয়ে অনেকেই হয়তো সঠিকভাবে জানে না। হাত পা ব্যথা করার কারণ কি ও হাত পায়ের ব্যাথা দূর করার উপায় এই বিষয়ে জানতে যারা গুগলে সার্চ করে আমাদের এই আর্টিকেলটি ওপেন করেছেন, তারা সঠিক জায়গায় এসেছেন। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা হাত পা ব্যথা করার কারণ কি এবং হাত পায়ের ব্যথা দূর করার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব।

হাত পা ব্যথা করার কারণ কি

তাহলে চলুন আমরা হাত পা ব্যথা করার কারণ কি এবং হাত-পায়ের ব্যথা দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিই। হাত পা ব্যথা করার কারণ কি জানতে হলে আপনাকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

সূচিপত্রঃ হাত পা ব্যথা করার ৮টি কারণ কি - হাত পায়ের ব্যথা দূর করার উপায়

হাত পা ব্যথা করার ৮টি কারণ কি

আমাদের অনেক সময় বিভিন্ন কারণে হাত পা ব্যথা হয়ে থাকে এবং এই হাত-পা ব্যাথার জন্য আমাদের রাত্রে অনেক সময় ঘুম হারাম হয়ে যায়। অনেকেই হাত পা ব্যথা করার কারণ কি এ সম্পর্কে জানতে চেয়ে গুগলে সার্চ করে ওপেন করে থাকেন। তাই আপনাদের আমরা হাত পা ব্যথা করার কারণ কি এ বিষয়ে সঠিক তথ্য আলোচনা করব। বিভিন্ন কারণে আমাদের হাত পায়ের ব্যথা হয়ে থাকে। হাত পা ব্যথা করার কারণ কি সে বিষয়গুলো আজকে আপনাদের সামনে আমরা উপস্থাপন করব।

আরো পড়ুনঃ ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধের উপায়

পুষ্টির অভাবঃ হাত পা ব্যথার একটি প্রধান কারণ হলো পুষ্টির অভাব । আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম , পটাশিয়াম  এ ভিটামিন যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

পানিশূন্যতাঃ রাতে বেশিরভাগ সময় আমাদের হাত-পা ব্যথা হয়ে থাকে এর আরেকটি কারণ হতে পারে পানিশূন্যতা। পানির অভাবে আমাদের শরীরে রক্তে ‘ইলেকট্রোলাইট’য়ের ভারসাম্যে তারতম্য দেখা দেয়, যার কারনে হাত পায়ে প্রদাহের সৃষ্টি হয়ে থাকে। তাই রাতে পা ব্যথা হলে পানি পান করতে পারেন।

বার্ধক্যঃ পঞ্চাশোর্ধ বয়সে যাদের হাত পা ব্যথা জনিত কারণ হয়ে থাকে এবং এটি নিয়মিত পা ব্যথা হলে তা বার্ধক্যজনিত জটিলতার কারণেই হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বয়স পঞ্চাশের কাছাকাছি পৌঁছালে নড়াচড়ার সঙ্গে সম্পর্কিত স্নায়ুগুলো নষ্ট হতে থাকে। ফলে ব্যথা হওয়াটাই এই বয়সে স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়।

স্বাস্থ্যগত জটিলতাঃ অনেক সময় আমাদের স্বাস্থ্যগত জটিলতার কারণেও হাত পায়ের ব্যথা সৃষ্টি হয়ে থাকে। যেমন: বাত, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, এমনকি হতাশা জনিত কারণ থেকেও পা ব্যথা হতে পারে। গবেষণা বলে, এই জটিলতাগুলো স্নায়ুতে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে, ফলে পায়ে ব্যথা হয়।

গর্ভাবস্থাঃ গর্ভাবস্থায় অনেক সময় আমাদের হাত-পা ব্যাথার সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। আর এর কারণ হলো রক্ত সঞ্চালনের সমস্যা বা ওজন বৃদ্ধি যার কারণে পায়ের ব্যথার সৃষ্টি হয়ে থাকে। আমেরিকান প্রেগন্যান্সি অ্যাসোসিয়েশনের মতে, গর্ভে থাকা বাড়ন্ত শিশুর কারণে মায়ের স্নায়ুর ওপর যে চাপ পড়ে তা থেকেও পায়ে ব্যথা হতে পারে।

দাঁড়িয়ে থাকাঃ দাঁড়িয়ে থাকার কারণে আমাদের অনেক সময় হাত পায়ের ব্যথার কারণ হয়ে থাকে। কেউ যদি দিনের বেশির ভাগ সময় যদি দাঁড়িয়ে থাকে, তবে সেদিন রাতে পা ব্যথা হওয়াটা  একটি স্বাভাবিক বিষয়। এর একটি কারণ হতে পারে, দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকলে শরীরের নিচের অংশে তরল ও রক্ত জমতে থাকে, ফলে শরীরের তরলের ভারসাম্য নষ্ট হয় এবং ব্যথা হয়। তবে এ নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।

ব্যায়ামঃ অনেক সময় ব্যায়ামের কারণে আমাদের হাত-পায়ের ব্যথা বৃদ্ধি পেতে পারে। আপনি যদি নির্দিষ্ট কোনো পেশী ব্যবহার করে থাকেন ব্যায়াম বেশি করে থাকেন তাহলে আপনার হাত পায়ের ব্যথার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

ঋতু পরিবর্তনঃ ঋতু পরিবর্তনের কারণে আমাদের হাত পায়ের ব্যথা দেখা দিতে পারে।ইউনিভার্সিটি অব অ্যালবার্টার ‘ফ্যামিলি মেডিসিন’ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. স্টক গ্যারিসন জানান, গ্রীষ্ম কালে ও শীতকালে এমন স্বাভাবিক ব্যথার সৃষ্টি হয়ে থাকে। এর কারণ স্নায়ুজনিত সমস্যা, পেশির সমস্যা নয়। গ্রীষ্মকালে ভিটামিন ডি’র মাত্রা বেশি থাকে বলে স্নায়ুর বৃদ্ধি ও ক্ষয়পূরণ বেশি সক্রিয় হয়। ভিটামিন ডি সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছালে এই প্রক্রিয়া অত্যন্ত দ্রুত হয়, ফলে ব্যথা হতে পারে।

পায়ের মাংসপেশিতে ব্যথা কমানোর উপায়

আমাদের বিভিন্ন কারণে পায়ের মাংসপেশিতে ব্যথা হয়ে থাকে। হাত পা ব্যথা করার কারণ কি এবং মাংসপেশিতে ব্যথা কমানোর উপায় সম্পর্কে আজকে আমরা আলোচনা করব। অনেকেই এই সমস্যা গুলোর সম্মুখীন হয়ে থাকেন। যখন আমাদের মাংসপেশির শক্তি ক্ষমতা কমে যায় এবং অতিরিক্ত কাজ বা দাঁড়িয়ে থাকলে এবং পা জনিত কোন কর্ম করলে সহিষ্ণু ক্ষমতা কমে গিয়ে ব্যথার অনুভূতি প্রকাশ পায়। আবার অনেক সময় পায়ের মাংসপেশি থেতলে বা আঘাত জনিত 

১। কারণে মাংসপেশিতে খিঁচুনি হলে, থেঁতলে গেলে, আঘাতে মাংসপেশি সম্পূর্ণ বা আংশিক ছিঁড়ে গেলে, এ ব্যথার আবির্ভাব হয়।  বাতরোগ রয়েছে তাদেরও পায়ের মাংসপেশিতে ব্যথা হয়।

২। আঘাতের কারণে হাড়ের জোড় ছুটে গেলে অথবা হাড়ের জোড় আংশিক ছুটে গেলেও নির্দিষ্ট মাংসপেশিতে ব্যথা হয়।

৩। আপনার পায়ের যদি মাংসপেশি ব্যথা হয়ে থাকে তবে তা মেয়াদ অনুযায়ী এর চিকিৎসা ভিন্ন হয়ে থাকবে।

আপনার যদি হঠাৎ করে পায়ের মাংসপেশীতে ব্যথা দেখা দিয়ে থাকে। তাহলে আপনি ঘরে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারবেন। নিচে আমরা পায়ের মাংসপেশি ব্যথা কমানোর উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব।

১। আপনার যদি হঠাৎ করে পায়ের মাংসপেশিতে ব্যথা অনুভূতি হয় তাহলে আপনি ঠান্ডা এবং গরম পানিতে পা ডুবিয়ে রাখতে পারেন। আপনার যদি পায়ের মাংসপেশিতে ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে আপনি পানিতে পা ঢুকিয়ে রক্ত চলাচলে প্রক্রিয়া  অনুসরণ করলে পায়ের ব্যথা কমাতে পারবেন।

এর জন্য আপনাকে একটি নির্দিষ্ট পাত্রে ঠান্ডা পানিতে পা ডুবিয়ে রাখতে হবে এরপর আরেকটি পাত্রে হালকা গরম পানি নিয়ে ৫ মিনিট পানি দিতে পা ঢুকিয়ে রাখতে হবে। এতে করে ভালো সুফল পাবেন।

২। পায়ের মাংস পেশির ব্যথা কমানোর আরেকটি প্রাথমিক পদ্ধতি আপনাদের সামনে আমরা আলোচনা করব। পায়ের প্রাথমিক চিকিৎসার আর একটা হল রেস্ট নেওয়া বা বিশ্রাম গ্রহণ করা। আর এই সময় আপনার মাংসপেশির ব্যথা কমানোর জন্য আক্রান্ত স্থানে ঠান্ডা কিছু বা বরফের টুকরো দিয়ে পাঁচ মিনিট মেসেজ করা। ছাড়াও আক্রান্তি চাপ দিয়ে বেঁধে রাখলেও ব্যথা কমবে।

৩। অনেক সময় স্ট্রোক বা বিভিন্ন রকম নিউরোলজিক্যাল কারণে নার্ভের সঠিক কার্যক্রম না পেলে মাংসপেশির দুর্বলতা দেখা দেয়। তার জন্য আপনি মাংসপেশির শক্তি বাড়াতে স্ট্রেংথেনিং ব্যায়াম করতে পারেন এছাড়াও খিঁচুনি হলে বিভিন্ন রকম স্ট্রেচিং ব্যায়াম, মাংসপেশির টেনডন (হাড়ের সঙ্গে মাংসপেশিকে জুড়ে রাখে যে টিস্যু) যদি আংশিক ছিঁড়ে যায়, তবে ফিজিওথেরাপি দরকার হয়।

আরো পড়ুনঃ ক্যান্সারের লক্ষণ ও প্রতিকার

আপনি উপরোক্ত এই নিয়মগুলো পালন করলে অবশ্যই পায়ের মাংসপেশির ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে। আপনার পায়ের মাংসপেশী যদি ব্যথা হয়ে থাকে তবে ব্যথা নাশক ওষুধ খাওয়া থেকে দূরে থাকবেন কারণ ব্যথা না শোক ঔষধ সমসাময়িকের জন্য ব্যথা কমাতে পারে। কিন্তু যে কারণে মাংসপেশি ব্যথা হয়ে থাকে তার সমাধান করতে পারে না।

আমরা যে পদ্ধতি বা পায়ের মাংসপেশি ব্যথা কমাতে যে উপায় গুলো আপনাদের বলেছি তা ঘরোয়া প্রাথমিক চিকিৎসা। এগুলো ট্রাই করার পর ভালো সুফল না পেলে অবশ্যই ভালো ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরী। তাই পায়ের মাংসপেশি ব্যথা হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

কোন ভিটামিনের অভাবে হাত পা ব্যথা হয়

আমাদের দেহে অনেক সময় ভিটামিনের অভাবে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে যেমন হাত পায়ের ব্যথা অনুভূত হওয়া। হাত পা ব্যথা করার কারণ কি এ বিষয়ে যদি আপনি জানতে চান তাহলে বলবো এর একটি কারণ হতে পারে ভিটামিনের অভাব। এবং অনেক সময় ডায়াবেটিস বা কোলেস্টেরলের বৃদ্ধির কারণে এই সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে।

তবে, সাধারণত, এই সংবেদনের প্রধান কারণ হতে পারে শরীরে ভিটামিন বি এবং ভিটামিন ই এর অভাব। এছাড়াও ক্যালসিয়াম ভিটামিন ডি এর ঘাটতির কারণে শরীরে, বিশেষ করে হাত-পায়ে পিঁপড়ের কামড়ের মত মনে হয়।

এ অবস্থায় হাত ও পা ​​নড়াচড়া করলেইব্যথা হয় ও ঝিন ঝিন করে। তাই হাত পায়ের ব্যথা দূর করার জন্য আমাদের নিয়মিত ভিটামিন জাতীয় খাবার গ্রহণ করা উচিত যে খাবারগুলো আমাদের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের পাশাপাশি আমাদের হারকে মজবুত করে স্নায়ু ও নার্ভ কে শক্তিশালী  করে তুলবে।

হাত পা কামড়ানোর কারণ কি

প্রাপ্তবয়স্ক অনেকেই আমরা পা কামড়ানো সমস্যায় ভুগে থাকি কিন্তু যাদের বয়স ৫০ বছরের মধ্যে তাদের এই সমস্যাগুলো অনেক বেশি দেখা দিয়ে থাকে। পা কামড়ানো বা লেগ ক্র্যাম্প সমস্যাটি কারণ হলো পেশীর সংকোচন।

পেশির সংকোচনের কারণে আমাদের পায়ে কয়েক মিনিট সেকেন্ড বা ঘন্টা পর্যন্ত স্থায়ী থাকতে পারে। আর এই সমস্যাটি সাধারণত পায়ের পাতা থেকে হাঁটু পর্যন্ত  হয়ে থাকে। এটি হাঁটুর পেছনের পেশীতে টানও ধরাতে পারে। 

চলাচল না করাঃ অনেক গবেষণায় জানা গেছে পা কামড়ানো সমস্যাটি আমাদের স্বভাবজনিত কারণে বেশি হয়ে থাকে। আপনি যদি অনেকক্ষণ কম্পিউটারে বসে থাকার কাজ করেন এবং হাটার বদলে রিস্কা ব্যবহার করেন অনেক কাজ রয়েছে যেগুলো হাঁটাচলা না করে বসে থেকে করা হয় এবং সিঁড়ি বেয়ে না উঠে লিফট ব্যবহার করে থাকেন, এসব সমস্যার গুলোর কারণে আমাদের পা  কামড়ানো সমস্যাটি বৃদ্ধি পায়।

ঋতু পরিবর্তনের কারণেঃ অনেক গবেষণায় জানা গেছে ঋতু পরিবর্তনের কারণে পা কামড়ানো সময় দেখা দিয়ে থাকে। এটি ক্র্যাম্প নার্ভে সমস্যার কারণে হতে পারে, পেশিতে সমস্যার কারণে নয়। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে এবং শীতের শুরুতে এটি বেশি হতে পারে। তবে এই সমস্যায় অনেকেই কম পড়ে থাকেন।

ভুল ভঙ্গিতে ঘুমালেঃ পা কামড়ানোর জন্য দায়ী হতে পারে আপনার ভুল ভঙ্গিতে ঘুমানোর অভ্যাসও। ঘুমানোর ভঙ্গির কারণে পায়ের পাতা ও উপরের দিকে পেশিতে টান পড়তে পারে। পা দীর্ঘ সময়ের জন্য এভাবে থাকলে এই সমস্যা বাড়ে। এমনকি অল্প নড়াচড়াও ক্র্যাম্প সৃষ্টি করতে পারে। তাই পা স্বাভাবিক পজিশনে রেখে ঘুমান। একেবেঁকে ঘুমালে এ সমস্যা হতে পারে। 

হাইড্রেটেড থাকুনঃ পানি আমাদের শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।  তাই দিনে ২/৩ লিটার পানি পান করুন। বিশেষ করে আপনি যদি অতিরিক্ত ঘামেন বা নিয়মিত এক্সারসাইজ করেন তাহলে  আপনার শরীরে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি থাকতে হবে।

গলা শুকিয়ে আসা, মাথাব্যথা, ক্লান্তি ও শুষ্ক ত্বক হলো শরীরে পানিশূন্যতার অন্যতম লক্ষণ। এক্ষেত্রে প্রস্রাবের রং দেখেও ধারণা পেতে পারেন। প্রস্রাব হলুদ হলে বুঝতে হবে শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি হয়েছে।

ম্যাগনেসিয়াম যুক্ত খাবার খানঃ আপনার প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় পর্যাপ্ত ম্যাগনেসিয়াম যুক্ত করুন। অনেক মানুষই এই খনিজ উপাদান গ্রহণের বিষয়ে গুরুত্ব দেন না আপনি জানেন কি পায়ের জন্য এই ম্যাগনেসিয়াম কতখানি প্রয়োজনীয়। ম্যাগনেসিয়াম এর প্রধান উৎস গুলো হল, শিমের বিচি, বাদাম, ছোলা, সবুজ শাক ইত্যাদি। তবে কোনো কোনো গবেষণায় দেখা গেছে, এটি কারও কারও ক্ষেত্রে কাজ নাও করতে পারে। তাই সবচেয়ে ভালো হয় একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে খাবারের তালিকা ঠিক করতে পারলে।

হাত পায়ের ব্যথা দূর করার উপায়

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা হাত পা ব্যথা করার কারণ কি এবং হাত-পা ব্যথা দূর করার উপায় সম্পর্কে আপনাদের সামনে আলোচনা করেছি। আমাদের বিভিন্ন কারণে হাত পায়ের ব্যথার অনুভূতি হয়ে থাকে এবং এগুলো থেকে হঠাৎ করে হাত পায়ের ব্যথার সৃষ্টি হয় এবং কারো কারো সেটা দীর্ঘ মেয়াদী এবং কারো ক্ষেত্রে  স্বল্পমেয়াদি হয়ে থাকে।

আরো পড়ুনঃ মলের কালার কালো হয় কেন - মল কালো হওয়ার ১০ টি কারণ

আজকের এই আর্টিকেলটি আপনারা যদি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই হাত পায়ের ব্যথা দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন। কারণ হাত পা ব্যথা করার  কারণ কি এবং হাত পায়ের ব্যথা দূর করার উপায় সম্পর্কে উপরে ইতিমধ্যে আমরা আলোচনা করেছি।

হাত পা ব্যথা করার ৮টি কারণ কি - হাত পায়ের ব্যথা দূর করার উপায়ঃ শেষ কথা

প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই আর্টিকেলে হাত পা ব্যথা করার কারণ কি? পায়ের মাংসপেশিতে ব্যথা কমানোর উপায়, কোন ভিটামিনের অভাবে হাত পা ব্যথা হয়, হাত পা কামড়ানোর কারণ কি? হাত পায়ের ব্যথা দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যেহেতু এ সমস্যাটি আমরা অনেকে ভুলে থাকি তাই আমাদের সকলকেই এ বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল আরো পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। কারণ আমরা নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটে এই ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Skbd IT এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url