গর্ভবতী মায়ের ঘুমানোর সঠিক পজিশন

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা গর্ভবতী মায়ের ঘুমানোর সঠিক পজিশন সম্পর্কে আলোচনা করব। কারণ গর্ভবতী সময়ে শোয়ার অনেক পজিশন রয়েছে যেগুলো না জানলে গর্ভবতী মায়ের অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই গর্ভবতী মায়ের ঘুমানোর সঠিক পজিশন সম্পর্কে জানা জরুরী। গর্ভবতী মায়ের ঘুমানোর সঠিক পজিশন সম্পর্কে জানতে হলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের এই আর্টিকেলের সঙ্গেই থাকুন।

গর্ভবতী মায়ের ঘুমানোর সঠিক পজিশন

তাহলে চলুন আর দেরি না করে গর্ভবতী মায়ের ঘুমানোর সঠিক পজিশন সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন। গর্ভবতী মায়ের ঘুমানোর সঠিক পজিশন সম্পর্কে জানতে হলে বিষয়গুলো বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

সূচিপত্রঃ গর্ভবতী মায়ের ঘুমানোর সঠিক পজিশন

গর্ভাবস্থায় পেটের বাচ্চা কোন পাশে থাকে

একজন নারী যখন গর্ভধারণ করে তখন তার শরীর কখনোই আর আগের মত  আর স্বাভাবিক থাকে না। এবং এই সময় তারা অনেকটাই শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকেন এবং পেটের বাচ্চা ও পেট আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে। এ সময় গর্ভবতী মায়েদের বিশেষ যত্ন নেওয়া জরুরী। এবং স্বামীসহ পরিবারের সকলকে গর্ভবতী মায়ের প্রতি যত্নশীল হয়ে উঠতে হবে।

আরো পড়ুনঃ ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধের উপায়

এ সময় পেটের বাচ্চা বিভিন্নভাবে নড়াচড়া করে এবং বাড়তে থাকে। এ সময় খাওয়া ওঠাবসা সবদিকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। এবং গর্ভবতী মায়েদের ঘুমানোর সঠিক পজিশন সম্পর্ক খেয়াল রাখতে হবে। কারণ গর্ভবতী মায়েদের ঘুমানোর সঠিক পজিশন থাকা অনেক জরুরী। এ সময় সকলেরই জানতে ইচ্ছা করে যে গর্ভবতী মহিলাদের গর্ভাবস্থায় পেটের বাচ্চা কোন পাশে থাকে।

আপনার পেটের বাচ্চার গর্ভ অবস্থা অনুযায়ী আপনার পেটের বাচ্চা সুস্থ এবং সুরক্ষিত ভাবে বেড়ে উঠবে। তাই বাচ্চা পেটের যে পজিশনে থাকবে বা যে পাশে থাকবে সে পজিশন সম্পর্কে জানতে হবে। গর্ভাবস্থায় পেটের বাচ্চার কোন পাশে থাকে বা গর্ভবতী মেয়েদের ঘুমানো সঠিক পজিশন একজন মায়ের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

বর্তমান সময়ে আলট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে আগে থেকেই ছেলে হবে না মেয়ে হবে আগে এ বিষয়টি নিয়েই অনেক মা বাবাই বাড়াবাড়ি করেন। গর্ভবতী মায়ের ছেলে বা মেয়ে দুটি সন্তান সমান এটি নিয়ে বাড়াবাড়ি করার কোন প্রয়োজন নেই। গর্ভাবস্থায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেটি হলো সেটি হল বাচ্চার অবস্থান বা পজিশন কেমন আছে সেটি জানা।

গর্ভাবস্থায় বাচ্চার মায়ের পেটের কোন পাশে থাকে সেটা বলা সম্ভব নয়। আপনার গর্ভাবস্থায় বাচ্চা যখন বড় হতে থাকে তখন আপনার পেটের আকার ও বৃদ্ধি পেতে থাকে। এবং এভাবে আপনার বাচ্চার এবং পেটের আকার পরিবর্তন হয়। পেট যখন বড় হতে থাকে তখন বাচ্চার আকার ও বড় হতে থাকে।

গর্ভাবস্থায় যখন গর্ভবতী মায়ের পেট বড় হয়ে যায় এবং শেষ মাসের দিকে অনেকেই লক্ষ্য করেন যে বাচ্চা পেটের কোন পাশে থাকে এবং বাচ্চাটি সুস্থ আছে কিনা নড়াচড়া করছে কিনা। আর বাচ্চার পজিশন কেমন আছে তাই এ সময় জানা অধিক জরুরী। কেন অনেক সময় দেখা যায় প্রসবের সময় বাচ্চাদের পজিশন ঠিকমতো থাকে না এবং বাচ্চা অনেক সময় উল্টো হয়ে থাকে এ সময় নরমাল ডেলিভারি করতে অনেক ঝুঁকি হয়ে যাই।

তাই গর্ভাবস্থায় শেষের তিন মাসের দিকে অবশ্যই ভালো ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এ সময় গর্ভবতী মায়ের ভালোমতো দেখাশোনা করা। ডাক্তারি ভাষায় গর্ভবতী মায়ের যে পজিশনে বাচ্চা ঠিক থাকবে সে পজিশন সম্পর্কে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা। যে পজিশনে সব সময় থাকে তা হচ্ছে অ্যান্টেরিয়র পজিশন।

অ্যান্টেরিয়র পজিশন হচ্ছে বাচ্চার মুখ থাকে পিঠের দিকে ঘুরানো অর্থাৎ বাচ্চার পিট মায়ের পেটের দিকে।এবং মাথা থাকে নিচের দিকে। এই অবস্থানেই বাচ্চা গর্ভধারিনী মায়ের পেটে থাকে। তাই গর্ভাবস্থায় পেটের বাচ্চা কোন পাশে থাকে তা স্বাভাবিকভাবে বলা সম্ভব নয়। কিন্তু শেষের মাসগুলোতে অবশ্যই বাচ্চা অ্যান্টেরিয়র পজিশনে থাকতে হবে তাহলে খুব সহজে নরমাল ডেলিভারি করা সহজ হবে।

গর্ভবতী মায়ের বসার নিয়ম

একজন নারী যখন গর্ভধারণ করে তখন তার অনেক কিছুর প্রতি সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরী। যেমন গর্ভবতী মায়ের ঘুমানোর সঠিক পজিশন গর্ভবতী মায়ের বসার নিয়ম এবং খাওয়ার নিয়ম বিভিন্ন বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। গর্ভাবস্থায় অনেক মহিলাদের বসতে উঠতে সমস্যা হয়ে থাকে এবং অনেক সময় ঘাড় এবং পিঠে টানটান ভাব পা ব্যথার অনুভূতি হয়।

এ সকল বিষয়গুলো স্বাভাবিক অঙ্গভঙ্গির পরিবর্তন। কারণ গর্ভকালে এসব পরিবর্তনগুলো সবার মাঝেই লক্ষ্য করা যায়। মহিলাদের শরীরের অনেকটাই পরিবর্তন আসে গর্ভবতী সময়ে। বাচ্চা পেটে বড় হতে হতে পেটের আকারও বৃদ্ধি পায় আর এ সময় বসতে উঠতে অতি সহজ কাজগুলো আমাদের কাছে অতি কষ্টকর হয়ে ওঠে। কার এ সময় অনেকের শরীর ফুলে যায়।

বসার সময়, উঠে দাঁড়ানোর সময় বা শোয়ার সময় যদি আপনার শরীরটি সঠিক পজিশনে থাকে তাহলে সেটি হল সঠিক অঙ্গভঙ্গি। আর গর্ভকালীন অবস্থায় সঠিক পজিশনে বসা ওঠা নিয়ম অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ সময় আপনার শরীর অনেকটাই অস্বাভাবিকের মত হয়ে থাকে। আপনাকে বিশেষ করে বসা ওঠা বা সব সময় বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।

কারণ এই সময় একটি ভুল অঙ্গভঙ্গি আপনার জীবনের ও আপনার শিশুর জীবনের ক্ষতির কারণ হতে পারে। এ সময় একটু ভুল অঙ্গভঙ্গি আপনার ব্যথার কারণ হতে পারে।গর্ভাবস্থার অন্তিম দশায়, হরমোনগুলি জয়েন্টগুলির লিগামেন্ট এবং টেন্ডনগুলিকে নরম করতে শুরু করার সাথে সাথে এই ব্যথা আরও গভীর হতে পারে।এই সময়ে, কোনও গর্ভবতী মহিলার প্রতিদিনের কর্ম ক্ষেত্রে অনেক চাপ সৃষ্টি হয়ে থাকে সহজ কাজগুলো অতি কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়।

আরো পড়ুনঃ ক্যান্সারের লক্ষণ ও প্রতিকার

১। গর্ভাবস্থায় একটি ত্রুটিপূর্ণ বা খারাপ অঙ্গবিন্যাস বা ভঙ্গিমা নানা ধরণের জটিলতা এবং জয়েন্টগুলিতে অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠতে পারে এবং এমনকি প্রসবের পরেও।

২। গর্ভাবস্থায় অসস্তি কমাতে এবং পিঠে ও মেরুদন্ডে চাপ কমাতে বসার সঠিক নিয়ম জানা জরুরী।

৩। বসার সময়, আপনার পিঠটি সোজা হওয়া উচিত এবং আপনার কাঁধটি পিছনে টেনে নিচে নামাতে হবে।আর নিতম্বগুলি চেয়ারের পিছনে স্পর্শ হওয়া প্রয়োজন।

৪। গর্ভাবস্থায় বসার জন্য শক্ত, পিঠের দিকটা সোজাভাবে সমর্থনযোগ্য একটা চেয়ার বাছাই করতে হবে।অতিরিক্ত সহায়তার জন্য আপনার কোমরের পিছন দিকটায় রাখতে পারেন একটা নরম বালিশ অথবা ছোট আরামদায়ক কোনো কাপড় রাখতে পারেন।

৫। এ সময় যদি একটানা অনেকক্ষণ ধরে বসে থাকেন, সেক্ষেত্রে আপনি কয়েকটা সহজ সরল পায়ের পাতার ব্যায়াম করতে হবে। এতে করে আপনার পায়ে রক্ত সঞ্চালনা বৃদ্ধি পাবে এবং ক্র্যাম্প বা টান অনুভব হবে না।

৬। আপনার কাজের ক্ষেত্রে যদি আপনার দীর্ঘক্ষণ বসে থাকর প্রয়োজন হয়, তবে সেক্ষেত্রে নিয়মিত ব্যবধানে মাঝে মধ্যেই উঠে দাঁড়িয়ে কয়েক মিনিটের জন্য হেঁটে নিতে ভুলবেন না।

৭। মেঝের ওপর বসার সময়, আপনি মুচির মত উবু হয়ে বসতে পারেন।আপনার হাঁটুগুলিকে মুড়ে এবং গোড়ালিগুলিকে একসাথে সংযুক্ত করে সোজা হয়ে বসুন।

৮। এই সময় বসা অবস্থা থেকে যখনই সরাসরি উঠে দাঁড়াবেন না, চেয়ারের একদম প্রান্তের দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে আসুন এবং আপনার পাগুলিকে সোজা করে নিজের ভারসাম্য রক্ষা করে দাঁড়ান।এ সময় অবশ্যই যেকোনও গর্ভবতী মহিলাকে তার কোমরের সামনের দিকে নিচু হয়ে বা কোমর ভেঙ্গে উঠে দাঁড়ানো ঠিক নয়। 

৯। বসার সময় পায়ের পাতাগুলি একটু উঁচু করে রাখতে হবে সে জন্য একটা ফুটস্টুল বা পা তুলে রাখার ছোট একটা টুল রাখুন।এটি কোমর এবং পিঠের উপর পড়া অতিরিক্ত চাপ কমাতে সাহায্য করে।আর আপনার যদি এভাবে পা তুলে রাখার মত কোনও ছোট টুল না থাকে, বা আপনার পক্ষে যথেষ্ট নীচু আর যার উপর বসলে আপনার পায়ের পাতাগুলি সমানভাবে মেঝের ওপর স্পর্শ করবে এমন একটি চেয়ারে সাহায্য নিন।

গর্ভাবস্থায় বেশি ঘুমালে কি হয়

গর্ভাবস্থায় আমাদের শরীর সবসময় নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে তেমনি একটি সমস্যা হলো পাকস্থলীর সমস্যা গর্ভাবস্থায় বেশি ঘুমালে পাকস্থলের সমস্যা হয়ে থাকে। এ সময় পাকস্থলীর উপরে চাপ পড়ে যার কারণে বদ হজমের মত সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। এ সময় পেটের আকার অনেক বড় হয়ে থাকে এবং অনেক সময় আমাদের খাবারগুলো গলার উপরে চলে আসে।

এজন্য অনেকের ঘুমের ভিন্ন ঘটে থাকে। এজন্য রাত্রে অনেকেরই ভালো মতো ঘুম হয় না এবং সে ঘুমটি দিনের বেলায় পূরণ করার জন্য সারাদিন অতিরিক্ত ঘুমিয়ে থাকে। একটা প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দিনে কমপক্ষে আট ঘন্টা। এবং শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে অবশ্যই ঘুমের প্রয়োজন আছে।

একজন সাধারণ মানুষের অনেকটাই ভালো ঘুম নির্ভর করে সারাদিনের পরিশ্রমের উপর। কিন্তু একজন গর্ভবতী নারীর ক্ষেত্রে তা হয় না এজন্য তারা ভালোমতো ঘুমাতে পারে না। গর্ভাবস্থায় শরীরকে ভালো রাখতে এবং ভালো ঘুমের জন্য শারীরিক পরিশ্রমের প্রয়োজন রয়েছে এর জন্য আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আপনি কি ধরনের অ্যাক্টিভিটি করবেন তা জানতে হবে।

আবার ফিজিক্যাল অ্যাকিভিটি করলে গর্ভবতী মহিলাদের অনেক সময় ডায়াবিটিস এবং হাইপারটেনশন হয়ে যায়, তার প্রবণতাও কমে। অতিরিক্ত ঘুম আপনার গর্ভের সন্তানের জন্য ঝুঁকি বৃদ্ধি করবে।

গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ঘুম পরিহার করে ভালো ঘুমের জন্য একটা ঘুমের রুটিন বানিয়ে নিন। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমিয়ে পড়ুন। ভালো ঘুমের জন্য রাতে শোওয়ার আধঘণ্টা আগে সব সব গ্যাজেট বন্ধ করে দিন। টেনশন কমানোর চেষ্টা করুন। এর মাধ্যমে রাতে ভালো ঘুম হবে এবং দিনের বেলায় বারবার ঘুমিয়ে পড়ার ইচ্ছা ও কমবে। এর ফলে গর্ভাবস্থায় বেশি ঘুমের প্রবণতা কমবে।

গর্ভবতী মায়ের কি কি সমস্যা হতে পারে

গর্ভকালীন সময়ে স্বাভাবিক অবস্থা থেকে হরমোনের বেশ কিছু পরিবর্তন ঘটে, মায়ের কিছু কিছু শারীরিক সমস্যা নতুন করে দেখা দেয় বা বেড়ে যায়। দেখা যায় যে, ডেলিভারি হয়ে যাওয়ার পরপর সে সমস্যাগুলোও চলে যায়। এগুলোর বেশিরভাগই স্বাভাবিক ঘটনা।

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা গর্ভবতী মায়ের ঘুমানোর সঠিক পজিশন সম্পর্কে আপনাদের সামনে বিস্তারিত আলোচনা করছি এছাড়াও গর্ভবতী মায়েদের কি কি সমস্যা হতে পারে এ বিষয়ে আমাদের সকলের জানা জরুরী। এই সমস্যাগুলো হলে আতঙ্কের কোনো কারণ নেই কারণ এই সমস্যাগুলো ফিজিক্যালি গর্ভাবস্থায় সকল মায়েদেরই হয়ে থাকে।

বমিবমি ভাব এবং বমিঃ গর্ভবতী মহিলাদের প্রায় বমি বমি ভাব বা বমি এই সমস্যাটি প্রতি ১০০ জনের ভিতর ৯০ জনেরই হয়ে থাকে। এবং এই সমস্যাটি প্রায়ই সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর হয়ে থাকে। এ সমস্যা কাটাতে আপনি ঘুম থেকে উঠেই শুকনো খাবার রুচি অনুযায়ী খেতে পারেন যেমন টোস্ট বিস্কুট, মড়ি, চিড়া ইত্যাদি। অতিরিক্ত তেল-চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করতে হয়। একবারে বেশি খাবার না খেয়ে অল্প অল্প করে বারবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। প্রোটিন যুক্ত খাবার খান।

পায়ে খিল ধরাঃ পায়ে খিল ধরলে গরম সেঁক করতে হবে এবং ম্যাসাজ করতে হবে। এ সময় ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন বি জাতীয় ক্যাপসুল খেতে হবে এবং অবশ্যই তা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী।

সারা শরীরে বা হাত পায়ে পানি আশা বা পা ফোলাঃ এ সময় অনেকক্ষণ বসে থাকা বা শুয়ে থাকা যাবে না এবং শুয়ে থাকলে পা উপরের দিকে করে রাখুন এর জন্য পায়ের নিচে বালিশ দিয়ে রাখুন। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।

বুক জ্বালাপোড়া বা এসিডিটিঃ গর্ভাবস্থায় বুক জ্বালা পোড়া বা অ্যাসিডিটি হলে এসিডিটি জাতীয় ওষুধ সেবন করতে পারেন এবং এ সময় অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকুন কারণ অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে বদ হজম হতে পারে এবং খাওয়ার পরপরই বিছানায় শুয়ে যাবেন না খাওয়ার পরে 10-15 মিনিট হাটাহাটি করুন এবং অতিরিক্ত বুক জ্বালাপোড়া করলে উঁচু বালিশে শুয়ে বিশ্রাম নিতে পারেন।

সাদা স্রাব যাওয়াঃ গর্ভাবস্থায় সাদা স্রাব্য একটি স্বাভাবিক ঘটনা। এ সময় নরম সূতি আন্ডারগার্মেন্টস ব্যবহার করা ভালো। এ সময় যত সম্ভব পরিস্কার এবং পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন।

কোষ্ঠকাঠিন্যঃ প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে।আঁশজাতীয় খাবার যেমন শাক-সবজি এবং তাজা ফল-মূল বেশি করে খেতে হবে।ইসপগুলের ভূষি খাওয়া যেতে পারে। চাপ এলে টয়লেটে যেতে বিলম্ব করা যাবে না। টয়লেটে যাওয়ার আগে কিছুটা হাঁটাচলার অভ্যাস করা ভালো, দিনে ২০-৩০ মিনিট করে সপ্তাহে ৩ দিনহাটার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

কোমর ব্যথাঃ শক্ত বিছানায় শোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।কুঁজো হয়ে বসা বা কোনো জিনিস নিচ থেকে তোলা পরিহার করুন। দাঁড়ানোর সময় সোজা হয়ে দাঁড়াবেন।এবংপরিশ্রমের কাজ ভারি করা থেকে বিরত থাকবেন।কোমরে ম্যাসাজ করতে পারেন।গরম বা ঠাণ্ডা কিছু দিয়ে সেঁক দিতে পারেন।

গর্ভবতী মায়ের ঘুমানোর সঠিক পজিশনঃ শেষ কথা

প্রিয় পাঠকগণ আজকেরে আর্টিকেলে গর্ভবতী মায়ের ঘুমানোর সঠিক পজিশন, গর্ভাবস্থায় পেটের বাচ্চা কোন পাশে থাকে, গর্ভবতী মায়ের বসার নিয়ম, গর্ব অবস্থায় বেশি ঘুমালে কি হয়? গর্ভবতী মায়ের কি কি সমস্যা হতে পারে? এ বিষয়গুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যেহেতু এ বিষয়টি জানা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তাই প্রতিটি গর্ভবতী মাকে এ বিষয়গুলো জেনে রাখা উচিত।

আরো পড়ুনঃ গর্ভবতী অবস্থায় সাদাস্রাব হওয়ার কারণ কি

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল আরো পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। কারণ আমরা নিয়মিত এ ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Skbd IT এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url