বাত ব্যথার কারণ - বাত ব্যথার প্রতিকার

প্রিয় ভিউয়াস আশা করি সকলে ভাল আছেন, আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা বাত ব্যথা কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আপনাদের সামনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করব। আপনারা যারা বাত ব্যথা কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানতে গুগলে সার্চ করে আমাদের এই প্রতিবেদনটি ওপেন করেছেন তারা সঠিক জায়গায় এসেছেন।

বাত ব্যথার কারণ

যাদের বাত ব্যথা কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানা জরুরি তারা নিশ্চিন্তে আমাদের এই প্রতিবেদনটি গুরুত্ব সহকারে পড়ে নিন। তাহলে চলুন বাত ব্যথার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে নিই।

সূচিপত্রঃ বাত ব্যথার কারণ - বাত ব্যথার প্রতিকার

বাত রোগের কারণ

বাত রোগ সাধারণত সকল বয়স্ক নারী পুরুষদের ক্ষেত্রেই দেখা যায়। সাধারণত পুরুষদের ক্ষেত্রে ৪০ থেকে ৫০ বছরের দিকে বেশি হয়ে থাকে। আর মহিলাদের ক্ষেত্রে সাধারণত ৪৫ বছরের পরে এটি বেশি হয়ে থাকে। অর্থাৎ মহিলাদের যখন মাসিক বন্ধ হয়ে যায় তারপর থেকে বাত রোগে বেশি আক্রান্ত করে থাকে। বাত রোগ সাধারণত শিশু-কিশোরদের তেমন একটা আক্রান্ত হতে দেখা যায় না। আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা বাত ব্যথা রোগের কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আপনাদের সামনে গুরুত্বপূর্ণ কিছু আলোচনা করব।

আরো পড়ুনঃ কিভাবে তাড়াতাড়ি লম্বা হওয়া যায়

বাথ রোগের কারণ কি তা জানতে হলে আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

আর্থ্রাইটিস মূলত গিরার প্রদাহ। সহজ করে বললে প্রদাহজনিত ব্যথার কারণ সাধারণত বাতরোগ। এটি অস্থিসন্ধির একটি গুরুতর সমস্যা। শরীরের জয়েন্টে ইউরিক এসিড জমে আর্থ্রাইটিস বা বাত রোগ হয়ে থাকে। ২০ শতাংশেরও বেশি রোগীর ক্ষেত্রেই দেখা যায় আর্থ্রাইটিসের পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে। অর্থা বংশগত কারণে এরকম ছড়াতে পারে। পরিবারের কারো যদি পূর্বে বাথরক্তি হয়ে থাকে তার পরবর্তী প্রজন্মে কারো ওপর বিস্তার লাভ করতে পারে।

যেসব কারণে বাত রোগ বেশি হয়ে থাকে সেই কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ডায়াবেটিস, স্থূলতা, কিডনি রোগ, সিকেল সেল অ্যানিমিয়া (এক ধরনের অ্যানিমিয়া)। কেউ যদি ‌নিয়মিত অ্যালকোহল পান  করে থাকে তাহলে শরীরের ইউরিক অ্যাসিড নিঃসরণে বাধা দেয়।

এর ফলে আর্থ্রাইটিসের বা বাত রোগেরঝুঁকি বাড়ায় এবং কিছু ওষুধের ক্ষেত্রেও বাদ রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। যেমন অ্যাসপিরিন, বিভিন্ন মূত্রবর্ধক, লেভোডোপা, সাইক্লোস্পোরিন ইত্যাদি বেশি মাত্রায় সেবন করলে অনেক সময় তা বাত ব্যথার বা রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

বাত ব্যথা রোগের লক্ষণ

বাত রোগটি খুবই পরিচিত একটি রোগ এ রোগের সকল বয়সের নারী পুরুষ আক্রান্ত হয়ে থাকে বিশেষ করে বয়স্কদের ওপর এর প্রভাব বেশি পড়ে।এই রোগে দেহের ছোট ছোট জোড়া আঙ্গুল, পায়ের বুড়ো আঙুলের গিড়া বা গোড়ালি আক্রান্ত হয়। বাত ব্যথা কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই বাত ব্যথা রোগের লক্ষণ সম্পর্কে আমাদের জানা জরুরী চলুন তাহলে বাদ ব্যাথা রোগের লক্ষণ গুলো কি কি তা জেনে নিন।

১। অল্প অল্প জ্বর এই রোগের প্রধান লক্ষণ।

২। হঠাৎ করে পায়ের বৃদ্ধা আসলে বা পায়ের গিরার জোড়া আক্রান্ত হয় এবং অত্যাধিক ব্যথা হয়।

৩। হাঁটুর জোড়া, পায়ের গোড়ালি, নখের জোড়া, হাতের কব্জি, কুনুই প্রভৃতি স্থানে প্রবল ব্যথা অনুভব করা।

৪। ব্যথা কমে যাবার পর আক্রান্ত স্থান ফুলে যায়।

যারা বাত ব্যথার কারণ ও প্রতিকার জানতে চেয়ে আমাদের এ প্রতিবেদনটি ওপেন করেছেন তারা নিশ্চয়ই বাত ব্যথা লক্ষণ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

বাত রোগ কত প্রকার

আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা বাত রোগের কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আপনারা সামনে বিশেষ কিছু আলোচনা করতে চলেছি যারা বাথরুমে আক্রান্ত তাদের জন্য অবশ্যই বাথরুম কত প্রকার ও কি কি সে সম্পর্কে জানা জরুরী তাহলে চলুন  বাত ব্যথার কারণ ও প্রতিকার এবং মাত্র কত প্রকার সে বিষয়ে আজকের এই প্রতিবেদনটি সঠিক জ্ঞান অর্জন করি।

বাত রোগ সাধারণত বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। যেমনঃ ১। সন্ধি বাত বা গাট বাত ২। গেটেবাত ৩। কুটিবাত বা কোমর ব্যাথা ৪। মেরুদণ্ড ব্যথা বা স্পন্ডিলাইটিস ৫। সায়াটিকা বা স্নায়ুশূল ৬। আমবাত বা এলার্জি ৭। বাতজ্বর ৮। সংক্রামক বাত বা সেপটিক আর্থ্রিতিস ৯। অষ্টিওআর্থ্রাইটিস (Osteoarthritis)/অস্থিসংযোগ গ্রন্থি ব্যাথা। এছাড়াও রয়েছে পার্শ্ববাত, ঘাড়ের বাত, স্কন্ধবাত ইত্যাদি। এগুলো কিন্তু বাত রোগের মধ্যে পড়ে। - সূত্রঃ উইকিপিডিয়া

কি খেলে বাত ব্যথা বাড়ে

বাদ ব্যথা একটি সাধারন সমস্যা হলো পরবর্তীতে এটি জটিল আকার ধারণ করতে পারে কিছু কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে বাদ ব্যথা বাড়িয়ে দিতে পারে। বাত ব্যথার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানতে আজকের এই প্রতিপাদনে আমরা কি খেলে বাত ব্যথা বাড়ে সে সম্পর্ক আপনাদের জানাবো।

১। অতিরিক্ত মদ্যপান বাতের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। অ্যালকোহল অস্টিওআর্থারইটিসের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়।

২। গম, বার্লির মতো দানা শস্যতে থাকে গ্লুটেন নামক এক বিশেষ প্রোটিন। যা বাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে

৩। টমেটো, লেবু, আমড়াজাতীয় ফল, শিকড়জাতীয় খাবার খাবেন না। খাওয়া কামবেন ময়দা ও সাদা চিনি। কারণ এগুলো ব্যথা-বেদনা বাড়ায়।

আরো পড়ুনঃ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায় - পায়খানা হচ্ছে না কেন

৪। বাতের সমস্যা থাকলে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে কারণ সোডিয়াম বাড়িয়ে দিতে পারে বাতের ব্যথা। 

৫। অতিরিক্ত চিনি খাওয়া বাতের ব্যথায় বৃদ্ধি করতে পারে।

৬। প্রক্রিয়াজাত মাংস ও রেড মিট প্রদাহ বৃদ্ধি করতে পারে। ফলে বাড়তে পারে বাতের ব্যথা। এই ধরনের মাংসে ইন্টারলিউকিন, সি-রিয়্যাক্টিভ প্রোটিন ও হোমোসিস্টেইনের মতো উপাদান থাকে, যা প্রদাহ বৃদ্ধি করতে পারে।

যে খাবারে বাত ব্যথা কমবে

বাত ব্যথার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে অনেকেই ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন। বাদ ব্যথা একটি পরিচিত রোগ তবে এ রোগে রয়েছে বিশেষ কিছু নিয়ম যা খেলে এরূপ গুলো বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই যে খাবার গুলো বাত ব্যথা কমাবে সে সম্পর্ক আমাদের জানা জরুরী। ইতিমধ্যে আমরা যে খাবারগুলো বাত ব্যথা বাড়িয়ে দিতে পারে সে খাবার গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এখন চলুন যে খাবারে বাত ব্যথা কমবে সে খাবার গুলো সম্পর্কে জেনে নিন।

১। বিভিন্ন মসলা, আদা, দারুচিনি ও রসুনে প্রদাহনাশক গুণ রয়েছে। এই মসলাগুলো নিয়মিত খেলে আপনার বাত ব্যথার প্রদাহ কমবে।

২। ব্রোকলিও প্রদাহনাশক একটি কোন সম্পূর্ণ উপাদান। ব্রোকলিতে সালফোরাফেনের মতো একাধিক প্রদাহনাশক উপাদান রয়েছে, যা বাতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে। 

৩। আখরোট ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ। এই ওমেগা৩ অ্যাসিড আর্থারাইটিসের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। 

৪। দুধ, দুগ্ধজাত খাদ্য ও ছোট মাছ খাবেন। এতে ক্যালসিয়াম ঘাটতি পূরণ হবে। লাল চাল, লাল আটা বা ভুট্টায় আছে ভিটামিন বি ১২, যা বাতের রোগীদের জন্য উপকারী। 

৫। পালংশাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট থাকে। বিশেষত ক্যাম্পফেরল নামক অ্যান্টি অক্সিড্যান্টটি বাতের ব্যথা কমাতে খুবই উপযোগী। তাই বাত ব্যথায় আড়াতে নিয়মিত পালং শাক খান।

বাত ব্যথার রোগের চিকিৎসা

চিকিত্সার প্রধান লক্ষ্য জয়েন্টগুলোতে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ হ্রাস করা এবং এর ফলে রোগের লক্ষণ এবং পরবর্তী অবনতি রোধ করা। যদি সঠিক চিকিত্সা না করা হয়, আর্থ্রাইটিস জয়েন্টগুলির যথেষ্ট ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। এবং এটি দিন দিন আরো বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই আমাদের সকলের বাত ব্যথার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে এবং বাত ব্যথা রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে সকলের গুরুত্ব সহকারে জানা জরুরী।

যখন এর রোগটি দেখা দেয় তখন খুব সহজে মানুষ এ রোগের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা নিতে চায় না যার কারণে এই রোগটি বড় আকার ধারণ করে। বাত ব্যথা রোগের চিকিৎসার জন্য যে ওষুধের প্রয়োজন তা হলঃ NSAID জাতীয় ঔষধ যেমন naproxen এবং indomethacin। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এড়াতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন এবং সেই সঙ্গে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

এর সাথে আরও বেশ কয়েকটি ওষুধ যেমনঃ ওষুধ যেমন প্রিডনিসোলোনও মুখে নেওয়া যেতে পারে বা আক্রান্ত স্থানে ইনজেকশন ব্যবহার করা যেতে পারে। অ্যালোপিউরিনল, কোলচিসিন এবং প্রোবেনসিড আলাদাভাবে বা একসঙ্গে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই ওষুধগুলি তখনই কার্যকর হয় যখন লক্ষণগুলি শুরু হওয়ার ১২ ঘন্টার মধ্যে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া রোগীকে শারীরিক কঠোর পরিশ্রম থেকে বিরত থাকতে হবে এবং এবং বিশ্রাম নিতে হবে।

বাত ব্যথার কারণ - বাত ব্যথার প্রতিকারঃ শেষ কথা

প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই আর্টিকেলে বাত রোগের কারণ, বাত ব্যথা রোগের লক্ষণ, বাত রোগ কত প্রকার, কি খেলে বাত ব্যথা বাড়ে? যে খাবারে বাত ব্যথা কমবে, বাত ব্যথার রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনার যদি বাতের ব্যথা থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার রক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত।

আরো পড়ুনঃ কিডনি রোগের লক্ষণ

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম আর্টিকেল আরো পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। কারণ নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটে এ ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Skbd IT এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url