জিলহজ্জ মাসের রোজা কয়টি করতে হবে

জিলহজ্জ মাসের রোজা কয়টি করতে হবে এ বিষয়টি সম্পর্কে জানতে হলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। কারণ আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জিলহজ্জ মাসের রোজা কয়টি করতে হবে এ সম্পর্কে আপনাদের সঠিকভাবে জানাতে চলেছি।

জিলহজ্জ মাসের রোজা কয়টি করতে হবে

আপনারা যারা জিলহজ মাসের রোজা কয়টি হবে এ সম্পর্কে জানতে চান তারা আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। তাহলে চলুন জিলহজ্জ মাসের রোজা কয়টি করতে হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত হবে জেনে নেই।

সূচিপত্রঃ জিলহজ্জ মাসের রোজা কয়টি করতে হবে

জিলহজ মাসে রোজা কত তারিখ

যারা এই পবিত্র জিলহজ মাসে রোজা রাখতে চান তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আজকের আর্টিকেলে আমরা জিলহজ্জ মাসের রোজা কয়টি করতে হবে এবং জিলহজ মাসের রোজা কত তারিখ শুরু হবে সে সম্পর্কে আপনাদের জানাবো।

আরো পড়ুনঃ কাজা নামাজ কিভাবে পড়বো - কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম

জিলহজ মাসের ১৪ এবং ১৫ তারিখে এবং ১৩ তারিখের পরিবর্তে ১৬ তারিখ বা অন্য যেকোনো দিন রোজা রাখা যাবে। কেউ যদি জিলহজ মাসের রোজা রাখে তাহলেও সারা মাস রোজা থাকার সওয়াব পাবেন। ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তাআলা সবাইকে এ  জিলহজ মাসের রোজা রাখার তাওফিক দান করুন।

জিলহজ্জ মাসের রোজা কয়টি করতে হবে

জিলহজ মাস একটি আরবি মাসের পবিত্রতম মাস এ মাসের ইবাদত আল্লাহ তায়ালার কাছে অধিক প্রিয়। জিলহজ্ব মাসে কয়টি রোজা আছে? যা পালন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ। আজকেরে আর্টিকেলে আমরা জিলহজ্জ মাসের রোজা কয়টি করতে হবে? সে সম্পর্কে জেনে নিব।

জিলহজ্ব মাসের রোজা ৯ টি। এ রোজাটি জিলহজ্ব মাসের প্রথম থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম সিয়াম পালন করতেন। তাই আমাদের সকলের উচিত জিলহজ্জ মাসের নয়টি রোজা যথাযথভাবে পালন করা। বিশেষ করে ৯ই জিলহজ্জ আরাফাত দিন। আর এই দিন রোজা রাখা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য গুরুত্ব।

জিলহজ মাসের চাঁদ ওঠার পর থেকে অর্থাৎ জিলহজ্ব মাসের ১ তারিখ থেকে ৯ জিলহজ তারিখ পর্যন্ত দিনে রোজা রাখা এবং রাতে বেশি বেশি ইবাদত করার একজন মুসলমানের দায়িত্ব এবং কর্তব্য। প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেন, "এমন কোন দিন নেই যে দিনগুলোতে ইবাদত আল্লাহর কাছে জিলহজের প্রথম দশকের ইবাদতের থেকে অধিক প্রিয়। জিলহজ মাসের প্রথম দশকের প্রত্যেকদিনের রোজা এক বছরের রোজার সমতুল্য। আর প্রতিটি রাতের ইবাদত লাইলাতুল কদরের সমতুল্য।"{তিরমিজি}

জিলহজ মাসে রোজা রাখার ফজিলত

জিলহজ মাসের এ নবম দিন ও রাত আল্লাহ তায়লার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এ দিনটি আরাফাতের ময়দানে সমবেত হওয়ার দিন। আর রাতটি হলো মুজদালিফায় অবস্থানের রাত। জিলহজ মাসের এই দিনটিতে রোজা রাখার রয়েছে বিশেষ ফজিলত।

বিশেষ করে ৯ জিলহজ রোজা আদায়ের ব্যাপারে রাসুল (সা.) হাদিসে বর্ণিত - মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে আরাফার দিনে রোজা রাখল অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা তার এক বছর পূর্বের এবং এক বছর পরের তথা দুই বছরের পাপগুলো ক্ষমা করে দেবেন’ (মুসলিম)। তবে যারা হজ আদায়ে ওইদিন আরাফায় থাকবেন, তাদের জন্য এই বিধান নয়।

কেননা মহানবী (সা.) আরাফায় অবস্থানকালে এই রোজা রাখেননি। আরাফায় যারা অবস্থান করবেন, তারা যদি রোজা রাখেন, তাহলে হয়ত অন্যান্য ইবাদত রয়েছে, তা সঠিকভাবে পালন করতে তাদের কষ্ট হতে পারে। তাই আরাফার দিন রোজা না রাখাটাই উত্তম।

আরো পড়ুনঃ ইশারাক নামাজ কাকে বলে - ইসারাক নামাজ পড়ার নিয়ম

জিলহজ মাসের ৯ তারিখ রোজা করার ব্যাপারে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ সবচেয়ে বেশি আশাবাদী ছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, "যে আরাফার দিনে রোজা রাখল অবশ্যই আল্লাহ তা'আলা তার এক বছর পূর্বের এবং এক বছর পরের তথা দুই বছরের পাপগুলো ক্ষমা করে দেবেন।"{মুসলিম}

আমরা অনেকেই মনে করি শুধুমাত্র যারা হজ করতে আরাফার ময়দানে অবস্থান করে সাধারণত তাদের জন্য এই বিধান কিন্তু তা নয়। এই বিধান সকলের জন্য প্রযোজ্য। শুধুমাত্র যারা আরাফাতে অবস্থান করবে তাদের জন্য এই বিধান প্রযোজ্য হবে না। কারণ আমাদের প্রিয় নবী সাঃ আরাফায় অবস্থানকালে এ রোজা করতেন না।

জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের ফজিলত সম্পর্কে আমাদের প্রিয় নবী সাঃ বলেন, এমন কোন দিন নেই যে দিনগুলোতে ইবাদত আল্লাহর কাছে জিলহজের প্রথম দশকের ইবাদতের থেকে অধিক প্রিয়। জিলহজ মাসের প্রথম দশকের প্রত্যেকদিনের রোজা এক বছরের রোজার সমতুল্য। আর প্রতিটি রাতের ইবাদত লাইলাতুল কদরের সমতুল্য। {তিরমিজি}

জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের ফজিলত সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেন, এমন কোনো দিন নেই যে দিনগুলোতে ইবাদত আল্লাহর কাছে জিলহজের প্রথম দশকের ইবাদত থেকে অধিক প্রিয়। জিলহজের প্রথম দশকের প্রত্যেক দিনের রোজা এক বছরের রোজার সমতুল্য। আর প্রত্যেক রাতের ইবাদত লাইলাতুল কদরের ইবাদতের সমতুল্য (তিরমিজি)

আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে জিলহজ মাসের এই নয়টি রোজা রাখার তৌফিক দান করুক। (আমিন)

শেষ কথাঃ জিলহজ্জ মাসের রোজা কয়টি করতে হবে

প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জিলহজ্জ মাসের রোজা কয়টি করতে হবে? জিলহজ মাসে রোজা রাখার ফজিলত, জিলহজ মাসের রোজা কয়টি? এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা রক্ত বিষয় গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। যেহেতু আমরা মুসলিম আল্লাহতায়ালার ইবাদত করার জন্য অবশ্যই উক্ত বিষয়গুলো জানা উচিত।

আরো পড়ুনঃ তওবা নামাজের গুরুত্ব - তওবা নামাজের নিয়ম

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ। এই ধরনের তথ্যমূলক আর্টিকেল আরো পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে থাকুন। কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এ ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Skbd IT এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url