তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম - তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল সম্পর্কে জানাবো, সেটি হলো তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম। আপনারা অনেকেই আছেন যারা তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম এবং তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত সম্পর্কে সঠিকভাবে জানেন না।

তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম

তারা আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে তাহাজ্জুত নামাজ পড়ার নিয়ম এবং তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আজকের এই আর্টিকেলে আমরা তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম এবং তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত সম্পর্কে জেনে নেই।

সূচিপত্রঃ তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম - তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত

তাহাজ্জুদ নামাজ  কি?

প্রিয়া পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে আমরা তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম এবং তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত সম্পর্কে আপনাদের সামনে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। তার আগে অবশ্যই আমাদের তাহাজ্জুদ নামাজ কি সে সম্পর্কে জানা জরুরী।

আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের নফল ইবাদত রাতের নামাজের নাম তাহাজ্জুদ। ‘তাহাজ্জুদ’ শব্দের অর্থ কষ্ট-ক্লেশ, শ্রম-পরিশ্রম। কুরআনুল কারীমে তাহাজ্জুতের জন্য যে তাকদির করা হয়েছে, রাতের কিছু অংশ ঘুমিয়ে থেকে তারপর উঠে নামাজ আদায় করা। তাহাজ্জুদ নামাজের উত্তম সময় হচ্ছে এশার নামাজের পর মানুষ যখন ঘুমিয়ে পড়বে।

তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম

আল্লাহ তাআলার নৈকট্য লাভ এবং সন্তুষ্টি লাভের বৈশিষ্ট্যতম উপায় হল তাহাজ্জুতের নামাজ।পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পর সবচেয়ে ফযিলতপূর্ণ নামাজ হচ্ছে তাহাজ্জুদ নামাজ। কোরআন মাজিদে মহান আল্লাহ তায়ালা এই নামাজের কথা আলাদাভাবে উল্লেখ করেছেন।

আরো পড়ুনঃ রোজা অবস্থায় ফেসবুক চালানো যাবে কিনা

পাঁচ ওয়াক্ত আবশ্যক এবং ফরজ নামাজের বাহিরে যদি অন্য কোন মর্যাদাসম্পন্ন ও ফযিলতপূর্ণ নামাজ থাকে সেটি হচ্ছে তাহাজ্জুদ নামাজ। অনেকে আছেন হয়তো তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে জানেন না তাই আপনাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলে আমরা তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে জানাবো।

তাহাজ্জুদ নামাজ অন্য সব নামাজের মতোই পড়তে হয়। এ নামাজের বিশেষ কোন নিয়ম নেই। নবী করীম (সাঃ) তাহাজ্জুদের নামাজ দুই রাকাত দুই রাকাত করে আদায় করতেন। তিনি কখনো দুই রাকআত, কখনো চার রাকআত, কখনো আট রাকআত, কখনো বারো রাকআত পড়তেন।

কেউ যদি ২ রাকআত পড়তে পারে তবে তার তাহাজ্জুদ সালাত আদায় হবে। এই দুই রাকাত করে সালাত আদায় করার আলাদা কোন নিয়ম নেই। এই নামাজ আদায়ের জন্য কোন সুনির্দিষ্ট সূরা ও পড়তে হয় না।

নামাজের নিয়ম সূত্রঃ

তাকবিরে তাহরিমা আল্লাহু আকবর বলে নিয়ত করা। এরপর ছানা পড়া,সূরা ফাতিহা পড়া, যেকোনো সূরা মিলানো তথা কেরাত পড়া। অতঃপর অন্যান্য নামাজের মত রুকু সেজদাহ আদায় করা। এভাবে দ্বিতীয় রাকআত আদায় করে তাশাহুদ,দুরুদ ও দোয়া মাসুরা পড়ার পড়ে সালাম ফেরানোর মাধ্যমে নামাজ সম্পন্ন করা।

কোরআন মাজিদের যে সমস্ত সূরা গুলো আপনার মুখস্ত রয়েছে তথা বড় সূরা আপনি যদি ভালোভাবে পারে তাহলে সেগুলো দিও করতে পারবেন। আপনি চাইলে এক রাআকাতে কয়েকটি সূরা ও পড়তে পারেন, আবার একই সূরা বারবার পড়তে পারেন। এই নামাজ যত আস্তে ধীরে এবং সময় নিয়ে পড়তে পারেন ততো ভালো।

সেজদারত অবস্থায় বান্দা আল্লাহর সবচেয়ে নিকটবর্তী থাকে।আল্লাহ তায়ালা তার সব চাওয়া-পাওয়া শোনেন এবং পূরণ করেন। নামাজের সময় আমরা রুকু সেজদা দীর্ঘ সময় করার চেষ্টা করব। এবং নামাজ আস্তে আস্তে ধীর গতিতে পড়বো। সেজদার তাসবিহ পাঠ করার পর আপনার যতো চাওয়া পাওয়া আছে সব আল্লাহকে বলেন।আল্লাহ তালা নিশ্চয় আমাদের সেগুলো পূরণ করার চেষ্টা করবেন। (ইনশাআল্লাহ)

তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত না নফল

আপনারা যারা আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়েছেন তারা নিশ্চয়ই তাহাজ্জত নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত না নফল এর বিষয়ে অনেকেরই মতবিরোধী থাকে তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল আমরা তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত না নফল সে বিষয়ে জানাবো।

তাহাজ্জুদ নামাজ একটি নফল ইবাদত। বিশুদ্ধ হাদিসের বর্ণনায় জানা যায় রাসূল (সা.) কখনো তাহাজ্জুদ নামাজ চার রাকাত পড়তেন, কখনো ছয় রাকাত পড়তেন। কখনো আট রাকাত পড়তেন।

আয়াতে নবী করিম (সা.)-কে সম্বোধন করা হয়েছে। তাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করতে বলা হয়েছে। তাহাজ্জুদের নামাজ একটি অতিরিক্ত ফরজ, যা নবী (সা.)-এর জন্য নির্দিষ্ট ছিল। অবশ্য উম্মতের জন্য তাহাজ্জুদের নামাজ ফরজ নয়। তাহাজ্জুদের নামাজ সুন্নতে মুয়াক্কাদা। এই নামাজ নেককারদের বৈশিষ্ট্য।

তাহাজ্জুদ নামাজ কত রাকাত

তাহাজ্জুদ আরবি শব্দ। পবিত্র কোরআনে এ শব্দের ব্যবহার রয়েছে। শব্দটি নিদ্রা যাওয়া ও জাগ্রত হওয়া এই পরস্পরবিরোধী দুই অর্থে ব্যবহৃত হয়। তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব ফজিলত অত্যাধিক। যারা এ নামাজটি নিয়মিত আদায় করেন তারা আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি ও রহমত লাভ করেন।

তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম অনেকটা সাধারন নামাজের মতই। তাহাজ্জত নামাজ কত রাকাত এ বিষয়ে অনেকেই জানেন না তারা আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে তাহাজত নামাজ কত রাকাত সে বিষয়ে জানতে পারবেন।

তাহাজ্জুদ নামাজের রাকাত সংখ্যা নির্দিষ্ট নেই। তবে দুই দুই রাকাত করে চার রাকাত থেকে শুরু করে যত রাকাত ইচ্ছা আদায় করা যায়। ইসলামীবিদের মতে- ন্যুনতম চার রাকাত আদায় করা।

যেমন হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবু সালামা ইবনে আবদুর রহমান থেকে বর্ণিত, তিনি হজরত আয়েশা (রা.) কে জিজ্ঞাসা করেন, রমজানে নবীজীর নামাজ কেমন হতো? তিনি উত্তরে বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজানে এবং রমজানের বাইরে এগারো রাকাতের বেশি পড়তেন না।

আরো পড়ুনঃ যাকাত কখন দিতে হবে

প্রথমে চার রাকাত পড়তেন, যার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করো না! এরপর আরও চার রাকাত পড়তেন, যার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা তো বলাইবাহুল্য! এরপর তিন রাকাত (বিতর) পড়তেন। -সহিহ বোখারি: ১/১৫৪

আরেক হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আবি কাইস বলেন, আমি হজরত আয়েশা (রা.)-এর কাছে জিজ্ঞাসা করলাম, নবীজী বিতরে কত রাকাত পড়তেন? উত্তরে তিনি বলেন, চার এবং তিন, ছয় এবং তিন, আট এবং তিন, দশ এবং তিন। তিনি বিতরে সাত রাকাতের কম এবং তের রাকাতের অধিক পড়তেন না। -সুনানে আবু দাউদ: ১/১৯৩

উল্লেখিত বর্ণনা দ্বারা প্রমাণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) কখনও তাহাজ্জুদ নামাজ চার রাকাত পড়তেন, কখনও ছয় রাকাত পড়তেন। কখনও আট রাকাত পড়তেন। কখনও দশ রাকাত পড়তেন।

সুতরাং তাহাজ্জুদের নামাজ ১০ রাকাত পর্যন্ত পড়া হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) থেকে আমরা সহিহ হাদিসে পাই। এরচেয়ে বেশি পড়া যাবে না, এমন নয়। যেহেতু এটি নফল নামাজ, তাই যত বেশি পড়া যায় ততই সওয়াব।

তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত

তাহাজ্জুদ নামাজ আমাদের প্রত্যেক মুসলিমের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ফজিলতপূর্ণ নামাজ। আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের নফল ইবাদত রাতের নামাজ তাহাজ্জুদ। মর্যাদা ও ফজিলতের দিক থেকে ফরজ নামাজের পরই তাহাজ্জুদের অবস্থান। আপনারা অনেকে আছেন যারা  তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে জানতে পেরেছেন। কিন্তু তাহাজ্জত নামাজের নিয়ম শুধু জানলে নয়, তাহাজ্জত নামাজের ফজিলত কি তা আমাদের অবশ্যই জানা জরুরী।

তাহাজ্জত শব্দের অর্থ কষ্ট-ক্লেশ, শ্রম-পরিশ্রম। সন্ধ্যারাতে ঘুমিয়ে মধ্যরাতের পর শয্যা ত্যাগ করাকে তাহাজ্জত বলা হয়। তাই তাহাজ্জতের আগে ঘুমানো এবং ঘুম থেকে উঠে তাহাজ্জত পড়া উত্তম।

রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতি রাতেই তাহাজ্জত নামাজ আদায় করতেন। তাই এটি সুন্নাত, অতিরিক্ত হিসেবে নফল। নবীজি (সা.)-এর জন্য এটি অতিরিক্ত দায়িত্ব ছিল। পাঁচ ওয়াক্ত নির্ধারিত নফলের মধ্যে তাহাজ্জত সর্বোৎকৃষ্ট আমল।

মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন প্রিয় নবীজি (সা.)-এর উদ্দেশে কোরআন কারিমে বলেন, ‘এবং রাত্রির কিছু অংশ তাহাজ্জত কায়েম করো, ইহা তোমার এক অতিরিক্ত কর্তব্য। আশা করা যায় তোমার প্রতিপালক তোমাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন প্রশংসিত স্থানে—মাকামে মাহমুদে।’ (সুরা-১৭ ইসরা, আয়াত: ৭৯)।

তাহাজ্জত নামাজের অনেক ফজিলত রয়েছে।রহমতের শ্রেষ্ঠ সময় তাহাজ্জতের সময়। তাহাজ্জতের সময়ে প্রতিটি রাতেই আল্লাহ তাআলা প্রথম আসমানে এসে বান্দাদের আরজি ও আবেদন-নিবেদন শোনেন। এরপরও রয়েছে বছরের কিছু বিশেষ কিছু সময় সে সময় আল্লাহ তায়ালা বিশেষ রহমত সকালের উপর বর্ষণ করে থাকেন।

সেই সময় গুলো হল রমজানুল মোবারক এই সময়ে আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমত, মাগফেরাত, নাজাত আমাদের মাঝে এসে উপস্থিত হয়ে থাকে। এ সময়ে দিনরাত আল্লাহ তায়ালার কাছে এবাদতের জন্য অধিক গ্রহণযোগ্য ও মর্যাদাবান তাই এ রাত গুলোতে আমাদের বেশি বেশি তাহাজ্জুদ আদায় করা  এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি আদায় করা।

নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশে আল্লাহ তাআলা দুনিয়ার আকাশে নেমে আসেন এবং বলেন, ‘যে আমাকে ডাকবে আমি তার ডাকে সাড়া দেব। যে আমার তাঝে কিছু প্রার্থনা করবে আমি তাকে তা দান করব। যে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে আমি তাকে ক্ষমা করে দেব।’ (বুখারি, মুসলিম)

তাহাজ্জুদ রাতের গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ নামাজ, ফরজের পর আল্লাহ তাআলা রাতের নামাজের প্রতি যথাযথ গুরুত্বারোপ করেছেন। তাই মুমিন মুসল্লির কাছে রাতের নামাজ তাহাজ্জুদ-এর গুরুত্ব ও ফজিলত অনেক বেশি। আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক মুসলিম জাতিকে যথাযথভাবে শেষ রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার তাওফিক দান করুন। কোরআন-সুন্নাহর ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যেমন একটি বিশেষ আমল তেমনি  তাহাজ্জুতের নামাজ আমাদের সকলের কাছে একটি বিশেষ আমল। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম সম্পর্কে এবং তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত সম্পর্কে ইতিমধ্যে জানতে পেরেছি।

তাহাজ্জুদ নামাজের কতটা গুরুত্ব অনেক। মুসলিম উম্মাহর জন্য তাহাজ্জুদের নামাজ আল্লাহ সন্তুষ্টি আদায়ের একটি উত্তম মাধ্যম। আমাদের সঠিক নিয়ম মেনে রাতের শেষ অংশে আমাদের তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব কতখানি রয়েছে তা জানা জরুরী।

তাহাজ্জুদ নামাজ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর শ্রেষ্ঠ নামাজ। মহানবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) বলেছেন, ‘রমজানের পর সর্বশ্রেষ্ঠ রোজা হলো আল্লাহর মাস মুহাররমের রোজা। আর ফরজ নামাজের পর সর্বশ্রেষ্ঠ নামাজ হলো রাতের তাহাজ্জুদের নামাজ।’ (মুসলিম, হাদিস নম্বর : ১১৬৩)

রাতের শেষ অংশ প্রত্যেক মুসলমানের জন্য একটি বিশেষ সময় আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনার। এ সময় আল্লাহ তায়ালা সর্বশেষ যমিনের কাছাকাছি এসে আমাদের আরজ আরর্জিগুলো শুনে থাকেন।

হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি ইসলামের প্রাথমিক যুগে ৫ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হওয়ার আগে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ের নির্দেশ দেন। প্রিয় নবীর (সা.) প্রতি কিছু সময় নামাজ পড়ার নির্দেশ ছিল না বরং রাতের কিছু অংশ ছাড়া সারারাত জেগে তাহাজ্জুদ আদায়ের নির্দেশ ছিল।

শুধু নামাজ আদায় করা নয়, রাতের শেষ ভাগে আল্লাহর দরবারে খাস দিলে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া খাঁটি ঈমানদারের বৈশিষ্ট্য। এ সময় আপনি আল্লাহ তায়ালার কাছে কান্নাকাটি করে আপনার মনের সকল চাওয়া পাওয়া এবং পূর্বের গুনাহ খাতার জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে শরণাপন্ন হবেন।

আরো পড়ুনঃ ওযু ছাড়া কুরআন তেলাওয়াত করা যাবে কিনা

ঈমানদারদের গুণাবলি সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে- তারা ধৈর্যশীল, সত্যবাদী, অনুগত ব্যয়কারী ও রাতের শেষ প্রহরে ক্ষমাপ্রার্থী। (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৭)

তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম - তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলতঃ শেষ কথা

প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই আর্টিকেলে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম, তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত, তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব, তাহাজ্জুদ নামাজ কত রাকাত? তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত না নফল? তাহাজ্জুদ নামাজ কি? এ বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনারা উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল আরো পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে এরকম ইসলামিক আর্টিকেল নিয়মিত প্রকাশ করা হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Skbd IT এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url