ইশারাক নামাজ কাকে বলে - ইশারাক নামাজ পড়ার নিয়ম

আজকের এই পোস্টে আমরা ইশারাক নামাজ কাকে বলে? ইশারাক নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের জানাতে চলেছি। আপনারা যারা ইশারাক নামাজ কাকে বলে? ইসারাক নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে আমাদের পোস্টটি ওপেন করেছেন। তাদের জন্য আজকের এই পোস্টটি সুন্দর এবং বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। ইশারাকের নামাজ খুবই একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। ইশারকের নামাজের ফজিলত ও অনেক।

ইশারাক নামাজ কাকে বলে

তাই ইশারাকের নামাজ পড়তে অনেকে আগ্রহী থাকে। কিন্তু ইশারাক নামাজ কাকে বলে? ইশারাক নামাজ পড়া নিয়ম সম্পর্কে জানেনা। তাহলে চলুন যারা ইশারাক নামাজ কাকে বলে? ইশারাক নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান তারা আমাদের পোস্টটি  শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।

সূচিপত্রঃ ইশারাক নামাজ কাকে বলে - ইশারাক নামাজ পড়ার নিয়ম

ইশারাক নামাজ কাকে বলে

আমরা আল্লাহ তায়ালার রহমত ও অশেষ দয়া পাওয়ার জন্য আল্লাহ তায়ালার বিভিন্ন এবাদত করে থাকি। এর মধ্যে একটি হচ্ছে ইসারাকের নামাজ। আপনারা অনেকেই ইশারাক নামাজ কাকে বলে এ সম্পর্কে জানতে চেয়ে আমাদের পোস্টটি ওপেন করেছেন। তাদের জন্য আজকে আমরা ইসারাক নামাজ কাকে বলে সে সম্পর্কে জানাবো।

আরো পড়ুনঃ ইসলামে নারীর পোশাক - মেয়েদের পোশাক পরার বিধান

সূর্য উদিত হওয়ার পর থেকে এক বর্শা পরিমাণ উদিত ও মধ্য আকাশে আশা আগ পর্যন্ত এ সময়ে দুই রাকাত নামাজ পড়াকে ইশারাকের নামাজ বলে। আপনারা যারা ইশারাকের নামাজ কাকে বলে জানেন না। আশা করি উত্তরটি পেয়েছেন।

ইশারাক নামাজের সময়সূচী

মুসলমানদের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া যেমন ফরজ এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। তেমনি কিছু কিছু নফল ইবাদতের ও সময়সূচি রয়েছে। আজকের এই পোস্টে আমরা ইশারকের নামাজ কাকে বলে ইশারাকে নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের জানাতে চলেছি। এখন আমরা ইশারাক নামাজের সময়সূচী জেনে নেব।

ইশারাকের নামাজ পড়ার সময় হচ্ছে।সূর্য উদিত হওয়ার পর থেকে এক বর্শা পরিমাণ উদিত ও মধ্যআকাশে আশা আগ পর্যন্ত এ সময়ে ইশারাকে নামাজ আদায় হয়ে যাবে। তবে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম সূর্য উদয়িত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ নামাজটি পড়া নির্দেশ দিয়েছেন। নবীজি এক বর্ষা সূর্য ওঠার অপেক্ষা করতেন না।

একদল ইসলামী বিদরা বলেছেন, বর্ষা মানে দেড় মিটারের মত কিংবা এক মিটারের মত। যা সময়ের সাথে পরিমাপ করলে বোঝা যায় সূর্য উদিত হওয়ার  ১০থেকে১২ মিনিট পর এ নামাজটি আদায় করতে হবে।

নবীজি সাঃ বলেছেন যে ব্যক্তি জামাতের সাথে ফজরের নামাজ পড়লো। অতঃপর সূর্য ওঠার আগ পর্যন্ত বসে বসে আল্লাহর জিকির করলো। এরপর দাঁড়িয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করল। সে একটি হজ ও একটি ওমরা হজের সওয়াব নিয়ে ফিরে গেল।(তাবারানি, আত-তারগিব)

ইশারার নামাজ কি নফল

আপনারা যারা ইশারাকের নামাজ কাকে বলে। ইশারাক নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে আমাদের এই পোস্টটি পড়ছেন। তাদের জন্য আমরা ইশারাক নামাজ কাকে বলে ইশারাক নামাজ পড়া নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করছি। ইশারাক নামাজ কি নফল এ বিষয়ে অনেকেরই প্রশ্ন থাকে। আজকে চলুন আমরা ইসারাকের  নামাজ কি নফল তা জেনে নিন।

আরো পড়ুনঃ মহিলাদের কাজা রোজা করার নিয়ম - মহিলাদের কাজা রোজা আদায় করার নিয়ম

ইশারকের নামাজ হচ্ছে একটি নফল এবাদত। তাই ফজরের নামাজ শেষে আল্লাহর জিকির আজগার করে সূর্য ওঠার কয়েক মিনিট পরেই আপনি ইশারাকে নফল নামাজটি আদায় করতে পারেন।

ইশারাক নামাজ কোন সূরা দিয়ে পড়তে হয়

আজকের এই পোস্টে আমরা ইশারাক নামাজ কাকে বলে ইসারাক নামাজ পড়া নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিতভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে আমরা ইশারাকের নামাজ কাকে বলে ইশারাক নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনার জানিয়েছি। ইশারাতে নামাজ কোন সূরা দিয়ে পড়তে হয়। এটা অনেকেরই অজানা। তাহলে চলুন ইশারকের নামাজ কোন সুরা দিয়ে পড়তে হয় এ বিষয়ে জেনে নিন।

ইশারকের নামাজের জন্য কোন সূরা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি। আপনি যে কোন সুরা দিয়েই অন্যান্য নামাজের মত এ নামাজটি পড়তে পারেন। এ নামাজ টি পড়ার জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট কোন সূরা উল্লেখ করে দেওয়া হয়নি। তাই অন্যান্য নামাজের মত ইশারাকের নামাজ যে কোন সূরা দিয়ে পড়তে পারেন।

ইশারাক নামাজ পড়ার ফজিলত

ইশারাক নামাজের ফজিলত সম্পর্কে জানতে যাওয়ার আগে জেনে নেওয়া যাক ফজিলত মানে কি? ফজিলত অর্থ সফল বা বিজয়ী। আর নামাজের ফজিলত হলো নামাজের মাধ্যদিয় বান্দা কি লাভ করলো। তাহলে চলুন ইশারাত নামাজ পড়ার ফজিলত কি তা জেনে নিই।

ইশারকের নামাজ পড়ার ফজিলত সম্পর্কে আনাস ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু থেকে বর্ণিত হাদিসে উল্লেখ আছে। মহানবী সাঃ বলেছেন, যে ব্যাক্তি ফজরের নামাজ জামাতের সাথে আদায় করে ওখানে বসে বসে আল্লাহর জিকির তাসবিদ তাহালাল করলো। অতঃপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করল ।সে একটি পূর্ণাঙ্গ হজের সব ও ওমরা হজের সওয়াব তার আমলনামায় লিখে দেওয়া হল।(তিরমিজি – হাদিস নংঃ ৫৮৬)

এছাড়াও আরও একটি ফজিলত রয়েছে ফজরের নামাজ আদায় করে নবীজি আল্লাহর জিকির আজগর করে দুই রাকাত নামাজ আদায় করার পরও আরো সাথে দুই রাকাত নামাজ আদায় করতেন। মোট চার রাকাত নামাজ আদায় করতেন নবীজি (সা:)

ঈদের দিন ইশারাকের নামাজ পড়া যাবে কিনা

কিছু কিছু এবাদত রয়েছে যার একটি নিয়ম রয়েছে। এছাড়াও আমরা সব সময় আল্লাহর জিকির ও নফল ইবাদতে মগ্ন থাকি। আমরা ইতিমধ্যে এই পোষ্টের মাধ্যমে ইশারাকের নামাজ কাকে বলে ইসরাক নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছি।আজকের এই পোস্টে আমরা জানবো ঈদের দিন ইশারাকা নামাজ পড়া যাবে কিনা।

আরো পড়ুনঃ জুমার দিন মহিলাদের নামাজ

ঈদের দিন ঈদের নামাজের আগে ইশারকের নামাজ পড়া নিষিদ্ধ। ইসারাকের নামাজ হচ্ছে নফল নামাজ। তাই এই নামাজটি আপনি ঈদের  দিন ঈদের নামাজের আগে পড়তে পারবেন না।

শেষ কথাঃ ইশারাক নামাজ কাকে বলে - ইশারাক নামাজ পড়ার নিয়ম

আপনারা যারা এতক্ষণ আমাদের পোস্টের সাথে ছিলেন তারা নিশ্চয়ই ইশারাকের নামাজ কাকে বলে ইশারাক নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে এছাড়াও ইশারাক নামাজ সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে জানতে পেরেছেন। আপনারা যারা ইশারাক নামাজ কাকে বলে ইশারাক নামাজ পড়া নিয়ম সম্পর্কে জেনেছেন। তারা নিশ্চয়ই অনেক উপকৃত হয়েছেন। আমাদের পোস্টে ইশারকের নামাজ ছাড়াও আল্লাহর বিভিন্ন নফল ইবাদত গুলো এবং বিভিন্ন নামাজের বিষয়ে জানতে আমাদের পোস্টটি ফলো করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Skbd IT এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url