ইসলামে নারীর পোশাক - মেয়েদের পোশাক পরার বিধান
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক আপনারা যারা আমাদের এই পোস্টটি পড়ছেন তারা নিশ্চয়ই ইসলামে নারীর পোশাক মেয়েদের পোশাক পরার বিধান সম্পর্কে জানতে চান গুগলে সার্চ করে আমাদের পোস্টটি ওপেন করেছেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন ইসলামে নারীর পোশাক মেয়েদের পোশাক পরার বিধান সম্পর্কে আমরা আলোচনা করব।
পেজসূচিপত্র: ইসলামে নারীর পোশাক - মেয়েদের পোশাক পরার বিধান
- মেয়েদের ইসলামী পোশাক
- মেয়েদের পোশাক পরার বিধান
- মেয়েদের সুন্নতি পোশাক
- মেয়েরা কি ছেলেদের মত পোশাক পড়তে পারবে
- আমাদের শেষ কথা: ইসলামে নারীর পোশাক - মেয়েদের পোশাক পরার বিধান
মেয়েদের ইসলামী পোশাক
ইসলামে নারীদের পোশাক কেমন হওয়া উচিত তা হয়তো অনেকেই জানেন আবার অনেকেই জানেন না আজকে আমরা মেয়েদের ইসলামী পোশাক সম্পর্কে কিছু আলোচনা করব।
মেয়েদের পোশাক নির্দেশনা-
নারীদের পোশাক পরিচ্ছন্ন কেমন হওয়া উচিত সে সম্পর্কে ইসলাম কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন আমরা সেই ধারণা এবং নির্দেশনার মাধ্যমে চলবো। এবং এ নির্দেশনাগূলো মেনে চলব। নারীদের পোশাক এমন হওয়া উচিত যেন সেই পোশাকে তার পুরো শরীর ঢেকে থাকে সূরা আহযাবে আল্লাহ পাক নবী মুহাম্মদ সাঃ আপনি যেন আপনার স্ত্রী কন্যা এবং মমিন নানির নারীদের লম্বা (জিবাব)পোশাক পরিধান করে রাস্তায় চলাফেরা করে। সুতরাং যাদের সামনে নারীদের পর্দা করা ফরজ সেসব পুরুষদের সামনে এবং বাইরে চলাফেরা করার সময় লম্বা পোশাক যেন পরিধান করে এবং যাদের সামনে পর্দা করা ফরজ নয় এবং বাড়িতে হাত-পা চেহারা খোলা রেখে চলাফেরা করতে পারে।
আরো পড়ুনঃ আকিকা দেওয়ার নিয়ম
নারীদের পোশাক ধরন-
নারীদের ক্ষেত্রে এমন কোন রঙিন পোশাক পরিধান করে বাইরে যাওয়া উচিত নয় যে পোশাকে দৃষ্টি আকৃষ্ট করে। নারীর পোশাক যেন এত তীক্ষ্ণ ও পাতলা এবং গায়ে লাগা না হয়। এরকম পোশাক নারীদের শরীর আবরণের জন্য যথেষ্ট নয়। ইসলামে মেয়েদের পোশাক হবে ঢিলাঢালা এবং শালিন এতেই ইসলামে মেয়েদের পোশাকের মধ্যে প্রাকৃত সৌন্দর্য ও সুরক্ষা নিহিত। তাই আসুন আমরা ইসলামের মেয়েদের পোশাক যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছে আমরা সেভাবে পোশাক পরিধান করি এবং সুরক্ষিত থাকি।
মেয়েদের পোশাক পরার বিধান
আপনারা হয়তো অনেকেই মেয়েদের পোশাক পরার বিধান জানেন না তাহলে চলুন মেয়েদের পোশাক পরার বিধান কি আমরা জেনে নেই।
ইসলামে মেয়েদের পোশাকের বিধান অনুযায়ী কিছু নির্দেশনা আছে সেগুলো পালন করা ফরজ।
- মেয়েরা এমন কোন পোশাক করতে পারবে না যা পড়লে মনে হয় সে কোন কাপড়ই পড়ে নেই
- টাইট ফিটিং জামা যা পড়লে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বোঝা যায়।
- মেয়েরা এমন কোন রঙিন পোশাক পড়তে পারবে না যা পুরুষদের দৃষ্টি আকৃষ্ট করে
- মেয়েদের পোশাক হবে ঢিলা ঢিলা
- যাদের সামনে পর্দা ফরজ নয় তাদের সামনে চেহারা ও হাত-পা খোলা রাখতে পারে
নারীদের পোশাকের মৌলিক বৈশিষ্ট্য : ইসলামের দৃষ্টিতে শরীর ও শরীরের অবয়ব প্রকাশ পায়—এমন পাতলা কাপড় পরিধান করা নারীদের জন্য নিন্দনীয়। হাদিসে এসেছে, ‘হাফসা বিনতে আবদুর রহমান (রা.) একটি পাতলা ওড়না পরে আয়েশা (রা.)-এর ঘরে প্রবেশ করলে তিনি তা সরিয়ে মোটা কাপড়ের ওড়না পরিয়ে দেন।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস : ৬৬)
মেয়েদের সুন্নতি পোশাক
নারীরা বিভিন্ন ধরনের পোশাক পড়ে থাকে কিছু কিছু পোশাক যেগুলো পড়ে সেগুলো হলো ইসলামে হারাম আবার কিছু কিছু পোশাক পড়ে ফরজ এখন আমরা মেয়েদের সুন্নতি পোশাক সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিব
আরো পড়ুনঃ নামাজ শেষে দোয়া করা যাবে কিনা
তাহলে চলুন ইসলামে মেয়েদের সুন্নতি পোশাক সম্পর্কে কি বলে তা জেনে আসি-
মহিলাদের খাছ সুন্নতি পোশাক হচ্ছে- সেলওয়ার, কামীছ, ওড়না। সেলওয়ার হচ্ছে- কলিদার, যা নীচের দিকে পাজামার মত ঢোলা নয় বরং বর্ডারযুক্ত চিপা, যা চোস্তও নয়। কামীছ হচ্ছে- পুরুষের কোর্তারই অনুরূপ। তবে পার্থক্য হচ্ছে- পুরুষের গুট্লী থাকবে সামনের দিকে আর মেয়েদের গুট্লী থাকবে কাঁধের উপরে এবং কামীছ পূর্ণ হাতা বিশিষ্ট নেছফেছাক হবে। ওড়না হচ্ছে- চাদর জাতীয়, যার মাপ হচ্ছে- দু’হাত ও সাড়ে চার হাত, আড়াই হাত ও সাড়ে চার হাত, আড়াই হাত ও চার হাত ইত্যাদি।
ইসলামে কোন পোশাকে সুন্নতি হিসেবে ধরা হয়নি তবে ইসলামে পোশাকের কতগুলো নীতিমালা রয়েছে সেগুলো মেনে চললে সুন্নত পালন হবে। নারীদের পোশাক এমন হওয়া উচিত যেন পুরা সতর আবৃত হয়। নারীদের পোশাক পরার উদ্দেশ্য হল শরীর আবৃত করা।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে বনী আদম! আমি তোমাদের জন্য অবতীর্ণ করেছি পোশাক, যা তোমাদের লজ্জাস্থান আবৃত করে এবং সৌন্দর্য দান করে।’ (সূরা আ’রাফ ২৬)
মেয়েরা কি ছেলেদের মত পোশাক পড়তে পারবে
আপনারা এই পোস্টটি করছেন তারা নিশ্চয়ই ইসলামে মেয়েদের পোশাক মেয়েদের পোশাক পরার বিধান এবং ইসলামে মেয়েদের সুন্নতি পোশাক সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এখন আমরা জানবো মেয়েরা কি ছেলেদের মত পোশাক পড়তে পারবে? জানতে হলে আমাদের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে চলুন মেয়েরা কি ছেলেদের মত পোশাক পড়তে পারবে ইসলাম কি বলে-
আরো পড়ুনঃ জান্নাতের সুসংবাদ পাওয়া ১০ জন সাহাবা
ইসলামে পুরুষের পোশাক নারীরা পোড়া আর নারীদের পোশাক পুরুষরা পড়া হারাম।
নারীরা যেমন পুরুষের পোশাক পড়তে পারবে না তেমন পুরুষরাও নারীদের পোশাক পড়তে পারবে না এটি হারাম। নবী (সাঃ) ইমাম তিরমিজি একটি হাদিসে বর্ণনা করেছেন যেসব নারীরা পুরুষদের পোশাক পরে আল্লাহ তায়ালার তার উপর লানত এবং অভিশপ্ত ।ওইসব নারী যারা পুরুষের পোশাক পরিধানকারী তাদের উপরে আল্লাহর লানত এবং তারা অভিশপ্ত কাবিরা গুনায় অন্তর্ভুক্ত।
আমাদের শেষ কথা: ইসলামে নারীর পোশাক মেয়েদের পোশাক পরার বিধান
প্রিয় পাঠক আপনারা যারা এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন তারা নিশ্চয়ই ইসলামে নারীর পোশাক ইসলামে মেয়েদের পোশাক পরার বিধান সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এখনকার প্রায় মেয়েরা ছেলেদের পোশাক পড়তে আগ্রহী যা ইসলামে একটি হারাম কাজে অন্তর্ভুক্ত। আমরা এই হারাম কাজ থেকে বিরত থাকব এবং ইসলামের নিয়ম অনুযায়ী ইসলামের যে পোশাক পড়া ফরজ এবং সুন্নত সে পোশাক আমরা পরিধান করব।
এই পোশাকের মাধ্যমে আমরা বড় কবিরা গুনাহ থেকে বাঁচবো। আল্লাহ তাআলা পুরুষ বেশধারী নারী এবং নারীদের ধারী পুরুষ ওপর লানত ও অভিশপ্ত। তাই আমরা ইসলামে যেসব কাপড়ে মেয়েদের পরিধানের বিধান রয়েছে সেসব কাপড় আমরা পরিধান করব এবং আল্লাহর কল্যাণ ওহিফাজত কামনা করব। প্রিয় পাঠক আপনারা যারা এই পোস্টটি পড়ে ইসলামী মেয়েদের পোশাক সম্পর্কে জানতে পেরেছেন এবং উপকৃত হয়েছেন। আসসালামু আলাইকুম।
0 Comments
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন