আকিকা দেওয়ার নিয়ম - আকিকা কিভাবে দিতে হয়

প্রিয় পাঠক আপনারা যারা এই পোস্টটি পড়ছেন তারা নিশ্চয়ই আকিকা দেওয়ার নিয়ম আকিকা দেওয়া কিভাবে দিতে হয় জানতে চান গুগলে সার্চ করে আমাদের এই পোস্টটি ওপেন করেছেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আজকে এই পোস্টটিতে আমরা আগে দেওয়ার নিয়ম আকিকা কিভাবে দিতে হয় এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।

তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা আকিকা দেওয়ার নিয়ম আকিকা কিভাবে দিতে হয় এই বিষয়গুলো কিছু তথ্য জেনে নিই।

পেজ সুচি: আকিকা দেওয়ার নিয়ম - আকিকা কিভাবে দিতে হয়

আকিকা সম্পর্কে হাদিস 

আপনারা যারা এই পোস্টটি পড়ছেন তারা নিশ্চয়ই আকিকা দেওয়ার নিয়ম - আকিকা কিভাবে দিতে হয় জানার জন্য গুগলের সার্চ করে আমাদের এই পোস্টে ওপেন করেছেন। আজকের এই পোস্টে আমরা আকিকা নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। তাহলে চলুন আকিকা সম্পর্কে হাদিস জেনে আসি। আমরা এখন আকিকা সম্পর্কে কিছু হাদিস জানব। আসুন দেখি আকিকা সম্পর্কে হাদিসে কি বলে ।

আমরা সমাজের বিভিন্ন ধর্মের মানুষ বসবাস করি বিভিন্ন ধর্মের ভিন্ন ভিন্ন কিছু রীতি রয়েছে। আমাদের ইসলাম ধর্মে আকিকা হলো একটি সুন্নত পন্থা যা আমরা প্রায় মুসলমানেরা পালন করে থাকি। ইসলামী শরীয়তে আমাদের নবী রাসূলুল্লাহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  বলেছেন প্রত্যেক শিশুরী আকিকা দেওয় জরুরী। {আবু দাউদ ২৮৪০, মুসনাদ আহমদ ২০০৯৫,}

আরো পড়ুনঃ খালি পেটে আনারস খেলে কি হয়

সহীহ বুখারী পরিচ্ছেদ:২১৬৪ যে সন্তানের আকিকা রাখা হবে না জন্মের সময় তার নাম রাখা এবং তার মুখে তাহ তহনীক করা (মিষ্টি জিনিস চিবিয়ে দেওয়া)।

আকিকা দেওয়ার প্রধান উদ্দেশ্য হলো সন্তানের মঙ্গল কামনা করা। আমরা ছেলে সন্তান হলে দুটি জান আর মেয়ে সন্তান হলে একটি জান আকিকা দিতে বলা হয়েছে ছাগল  বা ভেড়া যে যা সামর্থ্য অনুযায়ী আকিকা দিতে পারে। এবং গরিব সেই মাংস গরীব দুঃখীদের বন্টন করা একটি সুন্নতি কাজ হিসেবে বিবেচিত।

সপ্তম দিনে বাচ্চার আকিকা দিয়ে বাঁচার একটি সুন্দর নাম রাখা এবং মাথা কামিয়ে দেওয়া যদি কেউ সপ্তম দিতেন সপ্তম দিনে আকিকা দিতে না পারে তবে সে ১৪ তম দিনে তম দিনে আকিকা দিতে পারবে না। ২১ তম দিনে যদি কোন ব্যক্তি এই দিনগুলোতে কোরবানি দিতে সক্ষম না হয় তবে সে তার সন্তানের যৌবনেরআগে পর্যন্ত আকিকা দিতে পারে আকিকা একটি সুন্নত ও মুস্তাহাব এটি ওয়াজিব নয় তাই কোন ব্যাক্তি যদি আকিকা দিতে না পারে এতে কোন পাপ নেই।

আকিকার দোয়া

আমরা সকলেই শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর সাত দিনের দিন মাথা মুন্ডন করি এবং একটি যান কুরবানী করে থাকি। এ কোরবানির পশু জবাই করার সময় যে দোয়া পড়তে হয় সেটি জবাই কারীপড়বেন । যদি মনে করেন সন্তানের পিতা জবাই করবে তখন তিনি জবায়ের আগে দোয়াটি পড়ে নিবেন।

আরো পড়ুনঃ ক্যান্সারের লক্ষণ ও প্রতিকার

আরবি: اَللّٰهُمَّ هٰذِهٖ عَقِیۡقَتُ ابۡنِیۡ فُلَانٍ دَمُهَا بِدَمِهٖ وَلَحۡمُهَا بِلَحۡمِهٖ وَعَظۡمُهَا بِعَظۡمِهٖ وَجِلۡدُهَا بِجِلۡدِهٖ وَشَعۡرُهَا بِشَعۡرِهٖ ٜ اَللّٰهُمَّ اجۡعَلۡهَا فِدَاءً لِابۡنِیۡ مِنَ النَّارِ ٜبِسۡمِ للّٰهِ اَللّٰهُ اَكۡبَرۡ٭ 

অর্থ:- হে আল্লাহ! এটা আমার অমুক ছেলের আকিকা তার (পশুর) রক্ত, তার (ছেলের) রক্তের, তার মাংস ছেলের মাংসের, তার হাড় ছেলের হাড়ের, তার চামড়া ছেলের চামড়ার, তার চুল ছেলের চুলের বিনিময়ে কবুল করাে। হে আল্লাহ্! এ পশুকে আমার ছেলের জন্য জাহান্নামের আগুন থেকে ফিদিয়া বানিয়ে দাও। আল্লাহর নামে আরম্ভ, আল্লাহ মহান। 

(দোয়া শেষ করার সাথে সাথে দ্রুত জবেহ করে দিন) । 

আকিকার গোশত বন্টনের নিয়ম 

আমাদের সমাজে অনেক ব্যক্তি আছে যারা আকিকার গোশত কিভাবে বন্টন করতে হয় সে সম্পর্কে জানেনা। তাই আজকে তাদের জন্য এই পোস্টটি এই পোস্টে আমরা আকিকা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করছি। এখন আমরা আকিকার গোস্ত বন্টনের নিয়ম সম্পর্কে জানব। আমরা আকিকার গোস্ত কোরবানির মতই তিন ভাগে বন্টন করতে পারি। 

  • এক ভাগ পরিবার 
  • এক ভাগ সাদকা 
  • এক ভাগ হাদিয়া বা প্রতিবেশীকে বন্টন করা

এই তিন ভাগে আমরা কোরবানির গোশতের মতো আকিকার গোশত ভাগ করতে পারি। এছাড়াও বিভিন্নভাবে আমরা গোস্তকে কাজে লাগাতে পারি আমরা আকিকার পশুটি জবাই করে সে গোস্ত রান্না করে পরিবার প্রতিবেশী এবং অসহায় গরীব-দুঃখীকে নিয়ে একসাথে বাড়িতে আয়োজন করে খেতে পারি। আকিকার গোস্ত সকলেই খেতে পারি বাবা-মা ভাই বোন আত্মীয়-স্বজন সকলেই এর কোন বিধি নিষেধ নেই। 

আকিকার পশুর বয়স কত হতে হবে 

আজকে আমরা জানবো আখিকা পশুর বয়স কত হতে হবে তাহলে চলুন আমরা জেনে নিই আকিকা পশুর বয়স। আকিকা দেওয়া সুন্নাতে মুকাদ্দা। এটি কুরবানীর মত।

আকিকা দেওয়ার জন্য ছাগলের বয়স কত হতে হবে আকিকা  দেওয়ার জন্য ছাগলের বয়স কমপক্ষে এক বছর হতে হবে। তবে কোন ছাগল যদি  এক বছরের কম বয়স হয় এবং দেখতে নাদুস নুদুস এবং স্বাস্থ্য ভালো হয় তাহলে আকিকার জন্য গণ্য হতে পারি। এমন ছাগল যদি হয় ৬ মাসের  দেখতে এক বছরের মত।

আকিকার ক্ষেত্রে আমরা ছাগল গরু ভেড়া উট দিতে পারি কিন্তু ছাগল দিয়ে আকিকা দেওয়াটাই সব থেকে উত্তম। ছেলেদের ক্ষেত্রে দুইটি ছাগল এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে একটি ছাগল আমরা আকিকা দিতে পারি কিন্তু যাদের সাধ্যের বাইরে তারা ছেলে হলেও একটি ছাগল আকিকা দিতে পারেন সেটিও আল্লাহর কাছে কবুল হয়ে যাবে। আকিকার খাসি কিংবা ছাগল দুধের দাঁত ভেঙে নতুন দাঁত হতে হবে। আকিকার ক্ষেত্রে পশুর বয়স ও ধরন কোরবানির পশুর মত হতে হবে

শেষ কথা: আকিকা দেওয়ার নিয়ম - আকিকা কিভাবে দিতে হয়

প্রিয় পাঠক এই পোস্টে আমরা আকিকা  দেওয়ার নিয়ম আকিকা কিভাবে দিতে হয় তা জানলাম। আমরা কোরআনের হাদিসের আইন এবং ইসলামী সুন্নাহ মোতাবেক আকিকা দিয়ে থাকি। প্রত্যেকটা শিশুরই আকিকা দেওয়া সুন্নতে মুকাদ্দা। আমরা ইসলামের শরিয়া মোতাবেক আকিকা দিব কোরবানি এবং আকিকার নিয়ম একই আমরা আকিকা ও কুরবানীর গোস্ত তিন ভাগে ভাগ করে আত্মীয়-স্বজন পরিবার এবং গরীব লোকদের মাঝে বন্টন করব এবং আমরা আকিকার হক আদায় করব।

আকিকা হক আদায় করলে সন্তানের মঙ্গল হয়। আমরা সাতদিনের আকিকা দিয়ে মাথা মুন্ডুন  করে সন্তানের একটি ইসলামিক শরিয়ায় সুন্দর নাম রাখবো। এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম পোস্ট আরও পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Skbd IT এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url