জান্নাতের সুসংবাদ পাওয়া ১০ জন সাহাবা - পৃথিবীতে জান্নাতের সুখবর পাওয়া সাহাবীগ
প্রিয় পাঠক আপনারা যারা এই পোস্টটি পড়ছেন তারা নিশ্চয়ই জান্নাতের সুসংবাদ পাওয়া ১০ জন সাহাবা পৃথিবীতে জান্নাতের সুখবর পাওয়া সাহাবীগ সম্পর্কে জানতে চান গুগলে সার্চ করে আমাদের এই পোস্টটি ওপেন করেছেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন।আজকের এই পোস্টে আমরা জান্নাতের সুসংবাদ পাওয়া১০ জন সাহাবা -পৃথিবীতে জান্নাতের সুখবর পাওয়া সাহাবীগ সম্পর্কে আলোচনা করব।
তাহলে চলুন আর দেরি না করে জান্নাতের সুসংবাদ পাওয়া দশজন সাহাবা পৃথিবীতে জান্নাতের সুখবর পাওয়া সাহাবীগ সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে আসি।
পেজ সূচিপত্র: জান্নাতের সুসংবাদ পাওয়া দশজন সাহাবা পৃথিবীতে জান্নাতের সুখবর পাওয়া সাহাবীগ
- জান্নাতের সুসংবাদ পাওয়া দশজন সাহাবাসুসংবাদ পাওয়া ১০ জন সাহাবা
- জান্নাতে সুসংবাদ পাওয়া সাহাবাদের প্রকৃত সংখ্যা
- জান্নাতের খবর পাওয়া মহিলা সাহাবীগ
- শেষ কথা: জান্নাতের সুসংবাদ পাওয়া দশজন সাহাবা -পৃথিবীতে জান্নাতের সুখবর পাওয়া সাহাবীগ
জান্নাতে সুসংবাদ পাওয়া ১০ জন সাহাবা
আপনারা যারা জান্নাতের সুসংবাদ পাওয়া দশজন সাহাবার নাম জানেন না তাদের জন্য জান্নাতে সুসংবাদ পাওয়া দশজন সাহাবার নাম নিচ বর্ণনা করা হলো।
"আল্লাহর নবীকে বলতে শুনেছি যে: দশ জন লোক জান্নাতে যাবে: আবু বকর জান্নাতি, উমর জান্নাতি, উসমান জান্নাতি, আলি জান্নাতি, তালহা জান্নাতি: জুবাইর ইবনুল আওয়াম জান্নাতি, আবদুর রহমান ইবনে আউফ জান্নাতি, সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস জান্নাতি,সাঈদ ইবনে যায়িদ জান্নাতি, এবং আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহ জান্নাতি।
জান্নাতে সুসংবাদ পাওয়া সাহাবাদের প্রকৃত সংখ্যা
আল্লাহতালা পৃথিবীতে কয়েকজন সাহাবাদের জান্নাতের সুখবর দান করেছিলেন। আসুন আমরা জান্নাতের সুসংবাদ পাওয়া সাহাবাদের প্রকৃত সংখ্যা জেনে নিই।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন আল্লাহ তাআলা তোমাদের দশজনকে জান্নাতের সুসংবাদ দুনিয়াতেই দিয়েছেন তারা হলেন:
- হযরত আবু বক্কর সিদ্দিকীর(রা:)
- হযরত উমর বিন খেতাব(রা:)
- হযরত উসমান বিন আফফান (রা:)
- হযরত আলী বিন আবু তালিব (রা:)
- হযরত আবু উবায়দা বিন জাররাহ (রা:)
- হযরত সাদ 'বিন আবি ওয়াক্কাস (রা:)
- হযরত আবদুর রহমান বিন আওফ(রা:)
- হযরত যুবাইর বিন আওম (রা:)
- হযরত তালহা বিন উবায়দুল্লাহ( রা:)
- হযরত সাঈদ বিন যায়দ (রা:)
ইসলামের বিধি বিধান ও প্রসার প্রতিষ্ঠানে নবীদের মত সাহাবীদেরও অনেক ভূমিকা রয়েছে এইসব সাহাবীদের নামে অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে ।তারা ইসলামে প্রচারে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। আল্লাহতালা কুরআনের পবিত্র আয়াতে এসব সাহাবীদের নামে শ্রেষ্ঠত ঘোষণা করেছেন।
জান্নাতে খবর পাওয়া মহিলা সাহাবীগ
আপনারা যারা দুনিয়াতে জান্নাতের খবর পাওয়া মহিলা সাহাবীগণ তথ্য জানতে চান তাহলে আমাদের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন আপনাদের জান্নাতে সুখবর পাওয়া মহিলা সাহাবীগ সঠিক তথ্য জানাবো তাহলে চলুন দুনিয়াতে যেসব মহিলা সাহাবীগ জান্নাতের খবর পেয়েছিল আমরা জেনে আসি।
আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন পুরুষ সাহাবীগণের পাশাপাশি কিছু সংখ্যক মহিলা সাহাবীগ ও জান্নাতে দুনিয়াতে জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছিলেন। তাহলে চলুন আমরা জেনে নেই কে সেই সৌভাগ্যবতী ১২জন নারী।
আরো পড়ুনঃ খালি পেটে আনারস খেলে কি হয়
১)আসিয়া আ. (ফেরআউনের স্ত্রী)
২) মরিয়ম বিনতে ইমরান আ. (আল্লাহর রাসূল ঈসা আলাইহিস সালাম এর মা)
৩) খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ রা. (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লম এর স্ত্রী)
৪) আয়েশা রা. (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর স্ত্রী এবং আবু বকর সিদ্দীক রা. এর কন্যা)
৫) ফাতিমা রা. (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কন্যা ও আলী রা. এর স্ত্রী)
৬) হাফসা রা. (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর স্ত্রী এবং উমর রা. এর কন্যা)
৭) উম্মে সুলাইম রা. (আবু তালহা রা. এর স্ত্রী)
৮) গুমায়সা বিনতে মিলহান রা.
৯) রবী বিনতে মুআওয়ায (মদীনার আনসারী মহিলা সাহাবী- যিনি হুদায়বিয়ার সন্ধির সময় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট যুদ্ধের বাইআত নিয়েছিলেন। বাইআত গ্রহণকারী সর্বমোট দু জন মহিলার মধ্যে তিনি একজন)
১০) সুমাইয়া রা. (ইসলামের ইতিহাসে প্রথম শহিদ)
১১) সুয়াইরা আল আসাদিয়া রা.
১২) উম্মে হারাম বিনতে মিলহান (আনাস রা. এর খালা
শেষ কথা: জান্নাতের সুসংবাদ পাওয়া দশ জন সাহাবা- পৃথিবীতে জান্নাতের সুখবর পাওয়া সাহাবীগ
প্রিয় পাঠক এই পোস্টে আমরা জান্নাতের সুসংবাদ পাওয়া দশজন সাহাবা পৃথিবীতে জান্নাতির সুখবর পাওয়া সাহাবীগ সম্পর্কে কিছুসঠিক তথ্য জানতে পারলাম।
দুনিয়াতে ইসলাম ইসলামের বিধি-বিধান প্রসার প্রতিষ্ঠানে আমাদের নবীদের পাশাপাশি সাহাবাগদের ভূমিকা অপরিসীম । সাহাবাগণদের পাশাপাশি ইসলামে নারী সাহাবীগদের ভূমিকা অপরিহার্য।তারা ইসলাম প্রচারে বিভিন্নভাবে নবীদের সাথে সহযোগিতা করে এসেছেন আল্লাহতালা খুশি হয়ে পবিত্র কুরআনে আয়াতে তাদের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করেছেন।
মুহাম্মদ (স.) নিজেও তার সাহাবীদের সম্পর্কে বলেছেন, ‘তোমরা আমার সাহাবিদের গালি দেবেনা। কসম সেই সত্তার, যার হাতে আমার প্রাণ, তোমাদের কেউ যদি উহুদ পাহাড় পরিমাণ সোনাও ব্যয় করো তবুও তাদের যেকোনো একজনের অর্ধেক পরিমাণ যবের সমতুল্য হবে না।’
0 Comments
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন