ঘন ঘন প্রস্রাব কেন হয় - ঘন ঘন প্রস্রাব দূর করার ঘরোয়া উপায়

ঘন ঘন প্রস্রাব কেন হয় এবং ঘন ঘন প্রস্রাব দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আজকের এ আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করব। অনেকেই হয়তো ঘন ঘন প্রস্রাব কেন হয় এ বিষয় নিয়ে চিন্তিত রয়েছেন। তাই আমরা আজকের এই আর্টিকেলে ঘন ঘন প্রস্রাব কেন হয় এবং ঘনঘন প্রস্রাব দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আপনাদের সামনে বিস্তারিত কিছু তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছি।

ঘন ঘন প্রস্রাব কেন হয়

তাহলে চলুন ঘন ঘন প্রস্রাব কেন হয় এবং ঘন ঘন প্রস্রাব দূর করার ঘরে উপায় সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে নিন।

সূচিপত্রঃ ঘন ঘন প্রস্রাব কেন হয় - ঘন ঘন প্রস্রাব দূর করার ঘরোয়া উপায়

ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ

ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া একটা জটিল সমস্যা আমাদের অনেকের মধ্যে রয়েছে। যেকোনো অবস্থায় একটু পর পর প্রস্রাব হওয়া খুবই বিরক্তিকর। যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কাজের বিঘ্ন ঘটায় এবং আমাদের ঘুমের সময়ও ঘন ঘন পেশাব একটি বিরক্তি কর সমস্যা।ঘনঘন প্রস্রাব কেন হয় এ বিষয়ে অনেকেই জানতে চান আসলে এটি বড় কোন সমস্যা নয় তবে বড় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

আরো পড়ুনঃ ক্যান্সারের লক্ষণ ও প্রতিকার

আমাদের শরীরে মূত্র তৈরি এবং দেহ থেকে সেই মুত্র নিঃসরণের জন্য যে অঙ্গসমূহ কাজ করে সেগুলোতে কোনো কারণে সমস্যা বা ইনফেকশন দেখা দিলে তাকে ইউনারি ট্রেক্ট ইনফেকশন বলে। যার ফলে ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা দেখা দেয়।

একজন সুস্থ সাভাবিক মানুষ দৈনিক ৬-৭ বার প্রস্রাব করে থাকে ৷যদি সে চাহিদার একটু বেশি পানি পান করে তাহলে হয়তো ৮ /৯ বার পর্যন্ত প্রস্রাব হতে পারে। এটিকে স্বাভাবিক বলা যায় তবে এর চেয়ে বেশি হলে এটাকে ঘন ঘন প্রসাবের সমস্যা বলে ধরা হয় ৷ কেউ যদি দৈনিক ২ লিটার পানি পান করে এবং ২৪ ঘন্টার ভিতর ৭/৮ বারের বেশি প্রস্রাব করে তাহলে তার শারিরীক কোন সমস্যা আছে বা ঘন ঘন প্রস্রাব সমস্যা আছে বলা যায়।

ঘন ঘন প্রস্রাব কেন হয় এর কারণ সম্পর্কে আমরা নিম্নে আলোচনা করব। কারণ ঘন ঘন প্রসাব হওয়ার বেশ কিছু কারণ রয়েছে যা আমাদের জানা জরুরী।

ঘন ঘন প্রস্রাবের কারণঃ

১। ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার একটি প্রধান কারণ হচ্ছে বেশি বেশি পানি পান করা ।

২। আপনি যদি ডায়াবেটিকসে আকারান্ত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার ঘনঘন প্রস্রাবর সমস্যাটি দেখা দিবে।

৩। ছেলেমেয়েদের অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা ও টেনশনের কারণে এই সমস্যাটি দেখা দিতে পারে।

৪। ছেলেমেয়েদের পর্ণ দেখা বা উত্তেজক কিছু ভাবলে ঘনঘন প্রস্রাব হয়ে থাকে।

৫। অনেক সময় দেখা যায় আমাদের শীতকালে বা শুষ্ক মৌসুমে ঘন ঘন প্রসাবের লক্ষণটি দেখা দেয়।শীতকাল বা ঠান্ডা-শুষ্ক পরিবেশে মানুষের শরীর ঘামতে দেখা যায় না ফলে শরীরের পানি ঘাম হয়ে না বের হওয়ার ফলে তা অতিরিক্ত প্রস্রাব তৈরি করে এবং কিডনী এভাবে আমাদের শরীরে পানি ও লবণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

৬। শরীরে হঠাৎ কিছু রোগের লক্ষণ দেখা দিলে তার জন্য অতিরিক্ত প্রস্রাব হয়, যেমন - প্রস্টেট গ্রন্থির টিউমার, প্রস্রাবে জীবাণু সংক্রমণ ইত্যাদি।

৭। মূত্র নালীর যদি হঠাৎ সংকোচন হলে ঘন ঘন প্রস্রাব বা প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

৮। আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যালকোহল,চা, কফি পান করেন তাহলে আপনার ঘনঘন প্রসাবের লক্ষণটি দেখা দিয়ে থাকে।

৯। ব্লাডার ক্যান্সার, ব্লাডার বা কিডনিতে পাথর হলে ঘন ঘন প্রস্রাব হয়।

১০। কিডনী দূর্বল বা অকেজো হবার লক্ষণ হল অতিরিক্ত বা ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া।

১১। প্রস্রাবের থলি বা মূত্র থলিতে ক্যান্সার হলেও প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া এবং ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে। 

১২। প্রস্রাবের রাস্তায় কোন সমস্যা বা বাধা থাকে তাহলেও ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। 

১৩। যক্ষা বা টিবি রোগ হলেও তলপেটে জ্বালাপোড়া, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া এবং ঘন ঘন প্রস্রাব হয়ে থাকে। 

ঘন ঘন প্রস্রাব এর লক্ষণ

ঘনঘন প্রসাবের বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে যা আমরা আপনাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করব ইতিমধ্যেই ঘনঘন প্রস্রাব কেন হয় এবং ঘনঘন প্রস্রাব দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আপনাদের সামনে বিশেষ কিছু আলোচনা করব। চলুন তাহলে যারা ঘন ঘন প্রস্রাব সমস্যায় ভুগছেন তারা ঘন ঘন প্রসাবে লক্ষণ সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে নিন।

ঘন ঘন প্রস্রাব এর লক্ষণঃ

১। ঘন ঘন বা অতিরিক্ত প্রস্রাব হওয়া।

২। প্রস্রাব ঘন ফেনার মত অথবা দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাব হওয়া।

৩। প্রস্রাবের প্রচণ্ড চাপ বা বেগ অনুভব হওয়া।

৪। প্রস্রাব করার সময় সময় প্রদাহ অসহ্য ব্যথা, জ্বালাপোড়া   অনুভূতি হওয়া।

৫। তল পেট ফেঁপে থাকে ও স্বাভাবিকভাবে অথবা চাপ দিলে ব্যাথা অনুভব হয়।

৬। প্রস্রাবের বেগ অনেক বেশি থাকে যার ফলে তলপেটে ব্যথার সৃষ্টি হয়। কিন্তু প্রস্রাবের পরিমাণ অল্প।

৭। ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার ফলে ধিরে ধিরে লিঙ্গ ছোট হয়ে যাচ্ছে এবং যৌন চাহিদা থাকা সত্ত্বে ও মিলনে অক্ষমতা দেখা দেয়।

৮। প্রস্রাব করার কয়েক মিনিট পরে আবার কয়েক ফোঁটা ফোটা প্রস্রাব বের হয়।

৯। কখনো কখনো প্রস্রাব আটকে রাখতে যায় না কাপড় নষ্ট হয়ে যায়।

১০। প্রস্রাবের থলেতে প্রস্রাব জমে থাকে প্রস্রাবের নালী চিকন হয়ে হয়ে যাওয়ার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্রাব হয় না। 

১১। দিনে রাত ২৪ ঘন্টা মিলে প্রায় ২০ থেকে ২৫ বার এর মত প্রস্রাব হয় ।

১২। যাদের প্রসবের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য এ লক্ষণ গুলো বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। আপনাদের যদি এই লক্ষণ গুলো মিলে যায় তাহলে অবশ্যই ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ঘন ঘন প্রস্রাব দূর করতে করণীয়

ঘন ঘন প্রস্রাব কেন হয় তা আমরা ইতিমধ্যে আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। ঘন ঘন প্রসাব একটি বিরক্তিকর সমস্যা যা আমাদের নিত্যদিনের কাজের বিঘ্ন ঘটাতে পারে। ঘন ঘন প্রস্রাব দূর করতে করণীয় সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের আর্টিকেল জুড়ে থাকুন।

আরো পড়ুনঃ স্কিন ক্যান্সারের লক্ষণ - স্কিন ক্যান্সার কেন হয়

ঘনঘন প্রস্রাব দূর করতে বেশ কিছু করণীয় রয়েছে যা আমাদের সকলেরই মেনে চলা উচিত। নিচে আমরা ঘন ঘন প্রসাব দূর করতে করণীয় সম্পর্কে আপনাদের সামনে আলোচনা করব।

১) ডায়বেটিকস রোগী বিশেষ করে এধরনের রোগীর ঘনঘন প্রস্রাব সমস্যায় ভুগে থাকেন। ঘনঘন প্রসাব দূর করতে অবশ্যই আপনাকে ডায়বেটিকস কন্ট্রোলে রাখতে হবে। এবং আপনার শরীরে যদি কোন ইনফেকশন থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

২) ইউরিনারী ব্লাডারকে (প্রস্রাবের থলি) অর্থাৎ আপনার প্রস্রাবের থলিকে পুনরায় ট্রেনিং করাতে হবে৷ অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট সময় বিরতি দিয়ে অর্থাৎ ২ ঘন্টা বা ৩ ঘন্টা পর পর প্রতিদিন একই সময় প্রস্রাব করতে হয়।এতে প্রস্রাবের থলি অনেকক্ষন প্রস্রাব ধরে রাখতে শিখে যাবে৷ ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা আস্তে আস্তে দূর হবে।

৩) ঘন ঘন প্রসাব দূর করতে সবচাইতে বিশেষ করণীয় হলো খাদ্যাভ্যাস। যেইসব খাবার খেলে প্রস্রাব ধরে রাখতে সমস্যা হয় যেমন চা, কফি, চকলেট ইত্যাদি পরিহার করতে হবে৷ 

৪) যাদের ঘনঘন প্রস্রাবের সমস্যাটি রয়েছে তারা বিশেষ করে রাতে ঘুমানোর আগে পানি পান করবেন না। কিন্তু একটি স্বাভাবিক মানুষের যেমন দিনে ২ লিটার পানি পান করা লাগে সেটি আপনি দিনের মধ্যেই খেয়ে শেষ করবেন।

৫) ঘনঘন প্রসাব দূরীভূতে বিশেষ একটি করণীয় হলো কিগল এক্সারসাইজ ।প্রস্রাবের নালির (ইউরিথ্রা) চারদিকে পেলভিক ফ্লোর মাসল থাকে। এই মাসল গুলোকে ব্যায়ামের মাধ্যমে শক্তিশালী করতে হবে ৷ তাহলে ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা দূর হবে ৷

ব্যায়ামটি যেভাবে করবেন  প্রস্রাব আসছে কিন্তু আপনি ধরে রাখার চেষ্টা করছেন যাতে প্রস্রাব না আসে এটাকে বলা হয় পেলভিক মাসল কন্ট্রাক বা সংকোচন। তারপর আবার প্রস্রাব করার সময় যেই অবস্থা হয় বা সাভাবিক অবস্থা ফিরে আসলেন সেটা হল রিলাক্স বা প্রসারন।

অর্থাৎ আপনি ৫ সেকেন্ড  ধরে পেলিভক মাসলকে শক্ত করে ধরে রাখবেন বা সংকোচন করবেন৷ আবার ৫ সেকেন্ড পর ছেড়ে দিবেন অর্থাৎ প্রসারিত করবেন বা সাভাবিক অবস্থায় আসবেন৷ এইভাবে ১০ বার করা হলে সেটাকে ১ সেট ধরা হয় ৷ দিনে ৩/৫ সেট করতে হবে। আপনি এই ব্যায়ামটি যে কোন সময়  শুয়ে বসে বা দাঁড়িয়ে করতে পারবেন ৷

এই ব্যায়ামটি করার সময় অবশ্যই আপনি খেয়াল রাখবেন প্রস্রাব করার সময় মাঝপথে হঠাৎ প্রস্রাব আটকিয়ে এই ব্যায়াম করবেন না। এতে করে প্রস্রাবের প্রবাহ উল্টোদিকে যেতে পারে এবং মারাত্মক সমস্যা হতে পারে।

ঘনঘন প্রস্রাব দূর করতে যে খাবার এড়িয়ে চলবেন

ঘনঘন প্রস্রাব কেন হয়? এর মধ্যে রয়েছে বিশেষ কিছু কারণ। অনেক খাবার রয়েছে যেগুলোর কারণে আমাদের ঘনঘন প্রসব সমস্যাটি দেখা দিয়ে থাকে। ঘনঘন প্রস্রাব দূর করতে আপনাকে বেশ কিছু পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে। ঘন ঘন প্রসাব দূর করতে বেশ কিছু করণীয় সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছি। ঘনঘন প্রসাব দূর করতে যেসব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে তাহলে আপনি এ থেকে মুক্তি পেতে পারবেন।

কফি

আমরা অনেকেই কফি পছন্দ করি। তাই সকালটা আমরা অনেকেই কফি দিয়েই শুরু করি কিন্তু আপনি জানেন আপনার এই পছন্দের কফি টি কতটি মারাত্মক যদি আপনার ঘন ঘন প্রসবের সমস্যা থাকে। কফি ব্লাডার বা মূত্র থলির ইনফেকশনের সমস্যা বাড়ি যেতে পারে। তাই যাদের ঘনঘন প্রসব সমস্যা রয়েছে তারা কফি থেকে এড়িয়ে চলুন।

কোমল পানীয়

মূত্র থলি ফুলে যাওয়া যাওয়ার সমস্যা, মূত্রনালির সংক্রমণ বা ওএবি থাকলে কোমল পানীয় হাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কেননা এতে সমস্যা আরো বেড়ে যায়। তাই যতটা সম্ভব শুধু পানি পান করুন।

কৃত্রিম মিষ্টিজাতীয় খাবার 

শরীরের ক্যালোরির পরিমাণ কমাতে অনেকেই খাবারে চিনির বদলে কৃত্রিম মিষ্টি খেয়ে থাকেন। মূত্রনালিতে সংক্রমণ থাকলে কৃত্রিম মিষ্টি থেকে অবশ্যই দূরে থাকতে হবে। কেননা এতে সংক্রমণ বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে।

ঝালজাতীয় খাবার

ঝালজাতীয় মুখরোচক খাবার খেতে আমরা সবাই পছন্দ করি। তবে আপনার যদি ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে ঝাল জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে কারণ ঝালজাতীয় যে কোন খাবার মূত্রনালিতে সংক্রমণের সমস্যা আরো বাড়িয়ে দেয়।

অ্যাসিডিক ফল

আপনি যদি ব্লাডারের বা ঘন ঘন প্রসাবের সমস্যায় ভোগে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে অ্যাসিডিক জাতীয় ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। আমরা সবাই জানি যে ফলমূল আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

কিন্তু কিছু কিছু ফলমূল রয়েছে যেগুলো আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার চাইতেও রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধি করে থাকে।কমলালেবু, আঙুর, লেবু, টমেটো, পিচ, আপেল, আনারস থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। কারণ এগুলো খাওয়ার ফলে আমাদের মূত্রথলি সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে।

ঘন ঘন প্রস্রাব দূর করতে যেসব খাবার খাওয়া উচিত

আজকেরে আর্টিকেলে আমরা ঘন ঘন প্রসাব কেন হয় এ বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করছি যাদের ঘনঘন পোশাক সংস্কৃতি রয়েছে তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি বিশেষ এবং প্রয়োজনীয় একটি তথ্য এ আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনার মূত্র সমস্যাটি সমাধান হতে পারে খুব সহজেই মূত্র সমস্যা বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ঘনঘন প্রসাব দূর করতে যেসব খাবার খাওয়া উচিত সে সম্পর্কেও কিছু আলোচনা করব।

ঘনঘন প্রসাব দূর করতে যেসব খাবার খাবেনঃ

পুঁইশাক - যাদের ঘন ঘন প্রসব সমস্যাটি রয়েছে তাদের জন্য এই শাক বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই সাগরে রয়েছে বিশেষ পুষ্টি যা আপনার বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ সাহায্য করতে পারে এবং ঘন ঘন প্রসব দূর করতে বিশেষভাবে কার্যকরী।

পাকা কলা - ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা দূর করতে পাকা কলা খেতে পারেন।যাদের ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা আছে বা প্রসাব করার সময় জ্বালাপোঁড়া করে তাঁরা দুপুরে খাওয়ার পর কয়েকদিন পাকা কলা খেতে পারেন।নিয়মিত খেলে ভালো উপকার পাবেন।

চেরি - চেরি খেলে ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা কমায় ও কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যাও দূর করে। এছাড়াও চরীতে রয়েছে ফাইবার ও পুষ্টিযুক্ত উপাদান।

মেথি বীজ - ঘন ঘন প্রস্রাব চাপ কমাতে মেথি বীজ খেতে পারেন যে কোনো ধরনের ইউরিনারি ডিজঅর্ডার সারাতে দারুন ভূমিকা রাখে এই মেথি বীজ।

কুমড়ার বীজ - ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা সমাধানে কুমড়ার বীজ একটি বিশেষ কাজ করে থাকে।কেননা কুমড়ার বীজে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। আর এই ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রস্টেট এবং ব্লাডারকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায়তা করে। তাই ব্লাডার বা মূত্রথলির সমস্যা দেখা দিলে এটি খেতে পারেন।

তিল বীজ - নিয়মিত তিল বীজ খেলে আপনার প্রসাদের সমস্যা দূর হবে। এতে রয়েছে প্রয়োজনীয় ফাইবার, মিনারেল, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন পুষ্টি যা ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা কমাতে সহায়তা করে।

ছোলা - ছোলা যেমন আমাদের শরীরের শক্তি জোগাতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধের সাহায্য সাহায্য করে তেমনি রয়েছে মাত্র সমস্যা সমাধানের বিশেষ কার্যকারিতা নিয়মিত ছোলা খেলে আপনার মূত্র সমস্যা সমাধান করবে।

ডালিম - ডালিম এ রয়েছে বিশেষ পুষ্টি উপাদান যা আপনার মূত্র সমস্যা দূর করবে।বার বার প্রস্রাবের সমস্যা দূর করতে ডালিম খেতে পারেন।ডালিমে রয়েছে নানা ধরনের ভিটামিন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা মূত্র থলির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

ঘন ঘন প্রস্রাব দূর করার ঘরোয়া উপায়

ঘনঘন প্রস্রাব কেন হয়? আপনি নিশ্চয় এ বিষয়ে সঠিকভাবে জানতে চান এবং ঘরোয়া কোন উপায় জানতে চান যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ঘন ঘন প্রস্রাব দূর করার সহজ উপায়টি জানতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধের উপায়

আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের মাঝে আমরা একটি পানীয় শেয়ার করব যার মাধ্যমে আপনি আপনার ঘন ঘন প্রস্রাব সমস্যাটি দূর করতে সাহায্য করবে।

পানীয় তৈরি করতে প্রয়োজনীঃ

১। আতপ চাল।

২। পানি।

প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে ১ গ্লাস পানি নিতে হবে।

তারপর সেই পানিতে আধা মুটো আতব চাল মেশাবেন।

এবার পানিকে ভালোভাবে নাড়া দিয়ে মিশিয়ে নিন। তারপর গ্লাসটি ডাকনা দিয়ে ডেকে রাখুন।

তারপর সকালে,ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে শুধু পানি টুকু পান করবেন। চাল খাওয়া যাবেনা।

এই ভাবে যদি নিয়মিত ২০ দিন খেয়ে যান। দেখবেন ধীরে ধীরে আপনার ঘন ঘন প্রস্রাবের সামস্যা দূর হয়ে যাচ্ছে। আগের মতো শরীরে শক্তি পাবেন এবং যৌবন শক্তি ও বৃদ্ধি হবে।

যাদের মূত্র সমস্যা রয়েছে আশা করি এই টিপসটি ব্যবহারের ফলে ঘন ঘন প্রসাবের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

ঘন ঘন প্রস্রাব কেন হয় - ঘন ঘন প্রস্রাব দূর করার ঘরোয়া উপায়ঃ শেষ কথা

আজকের এই আর্টিকেলে ঘন ঘন প্রস্রাব কেন হয়? ঘন ঘন প্রস্রাব দূর করার ঘরোয়া উপায়, ঘনঘন প্রসাব দূর করতে যেসব খাবার খাবেন, ঘন ঘন প্রস্রাব দূর করতে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি আপনি উক্ত বিষয় গুলো বুঝতে পেড়েছেন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Skbd IT এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url