বিয়ের পর কখন সন্তান নেওয়া উচিত

প্রিয় পাঠকগণ আপনারা যারা জানতে চান বিয়ের পর কখন সন্তান নেওয়া উচিত তাদের জন্য আজকের এই পোস্টটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে নতুন বিয়ে করে ক্যারিয়ার করতে ব্যস্ত থাকেন, তাই বিয়ের পর কখন সন্তান নেওয়া উচিত এ বিষয়ে অনেকেই সঠিকভাবে জানেন না।

বিয়ের পর কখন সন্তান নেওয়া উচিত

আপনাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলে আমরা বিয়ের পর কখন সন্তান নেওয়া উচিত এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানাবো। তাহলে চলুন কথা না বাড়ি গিয়ে বিয়ের পর কখন সন্তান নেওয়া উচিত এ বিষয়ে সঠিকভাবে জেনে নিন।

সূচিপত্রঃ বিয়ের পর কখন সন্তান নেওয়া উচিত

বিয়ের কত দিন পর সহবাস করা যায়

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জানাবো বিয়ের কত দিন পর সহবাস করা যায়। অনেকেই আছেন যারা বিয়ের পর কখন সন্তান নেওয়া উচিত এ বিষয়েও সঠিকভাবে জানেন না তাই আপনাদের জন্য আমরা বিয়ের কতদিন পর সহবাস করা যায় এ বিষয়টি আগে আলোচনা করব।

আরো পড়ুনঃ ক্যান্সারের লক্ষণ ও প্রতিকার

সহবাসের কোন দিনক্ষণ বা রাত লাগে না। আপনার যখন শারীরিক চাহিদার ইচ্ছা হবে আপনি তখনই সহবাস করতে পারেন। এটি একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। দু’জনের মধ্যে  একজন যদি শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে মিলনে আগ্রহী না হন, তবে  সহবাস না করাই শ্রেয়।

সেক্ষেত্রে অনাগ্রহী পার্টনারের শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ও একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী যখন শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে প্রশান্তি লাভ করে থাকেন তখনই তাঁদের মধ্যে শারীরিক মিলন হতে পারে। আশা করি বিয়ের কত দিন পর সহবাস করা যায় এ বিষয়ে সঠিক জ্ঞান লাভ করতে পেরেছেন।

কোন বয়সে কতবার সহবাস করা উচিত

আমাদের শারীরিক চাহিদা পুরুষ ও নারী উভয়ের উপরে নির্ভর করে গড়ে ওঠে। আমাদের শারীরিক চাহিদার হার যত বয়স বাড়ে তত কমতে থাকে। কোন বয়সে কতবার সহবাস করা উচিত এ বিষয়ে অনেকেই অসচেতন যার জন্য আমাদের শারীরিক ক্ষতির আশঙ্কা অনেকাংশে বেড়ে যায়।

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা বিয়ের পর কখন সন্তান নেওয়া উচিত সে সম্পর্কে আপনাদের সামনে কিছু আলোচনা তুলে ধরছি। নিম্নে আমরা দিনে, মাসে অথবা বছরে কয়বার যৌন মিলন করা উচিত সে বিষয়ে দেখে নিব।

গবেষণায় দেখা গেছে,

বাড়তি বয়সে নারী - পুরুষের যৌন মিলনের হার অনেক অংশেই কমতে থাকে।

থেকে ২৯ বছর বয়সী দম্পতিরা বছরে গড়ে ১১২ বার শারীরিক মিলনে লিপ্ত হন। অর্থাৎ এক সপ্তাহে দু’বারের একটু বেশি।

৩০ থেকে ৩৯ বছর বয়সী দম্পতিরা বছরে গড়ে ৮৬ বার যৌনমিলন করেন। অর্থাৎ এক মাসে ৭ বার।

৫০ থেকে ৫৯ বছর বয়সী দম্পতিরা বছরে ৬৯ বার শারীরিক মিলনে লিপ্ত হন। এঁদের যৌনমিলনের হার গড়ে মাসে ৬ বারের একটু কম।

যেসব মহিলাদের বয়স ১৮ থেকে ৩০ এর মধ্যে তাদের সহবাসের হার অধিক হয়ে থাকে।

১। যাঁদের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছর, তাঁরা সপ্তাহে ৩ বার সহবাস করতে পারেন।

২। যাঁদের বয়স ৩০-৪০ বছর তাঁরা সপ্তাহে ২ বার সহবাস করতে পারেন।

৩। যাঁদের বয়স ৪০-৫০ বছর তাঁরা সপ্তাহে ১ বার করে সহবাস করতে পারেন।

৪। যাঁদের বয়স ৫০-৬০ বছর, তাঁরা ১৫ দিনে কিংবা ৩০ দিনে ১ বার সহবাস করতে পারেন।

আপনারা যারা আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ছেন তারা নিশ্চয়ই কোন বয়সে কতবার সহবাস করা উচিত এ বিষয়ে সঠিক জ্ঞান লাভ করতে পেরেছেন।

বাচ্চা কখন নেওয়া উচিত

বিয়ে হলে মেয়েদের একটি প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় তা হলো বাচ্চা কখন হবে ? অনেকে আছেন যারা ক্যারিয়ার গড়তে ব্যস্ত থাকেন এবং বিয়ের পরপরই তারা হুট করে বাচ্চা নিতে চান না। যেটা আজকালকার যুগে বেশি লক্ষ্য করা যায়।

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা বিয়ের পর কখন সন্তান নেওয়া উচিত সে বিষয়ে আপনাদের জানাতে চলেছি। আজকের আর্টিকেলটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে বাচ্চা কখন নেওয়া উচিত এই বিষয়ে সঠিকভাবে জেনে নিন।

আগের যুগ আর বর্তমান যুগের অনেক তফাৎ রয়েছে। কেননা আগের যুগেই ২০ বছর বয়সেই বাচ্চা নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হত। কিন্তু এখন সেটা অনেকাংশই কমে গেছে কারণ এখনকার যুগের মেয়েরা ক্যারিয়ার গড়তে অনেক ব্যস্ত, তাই বিয়ে করেই হুট করে কেউ বাচ্চা নিতে চায় না। কিন্তু এটা কতখানি সঠিক? এ বিষয়টিও আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

চিকিৎসকরা বলে থাকেন, ২৫ বছর বয়সে প্রথম সন্তানটি নেওয়া ভালো এবং ৩০ বছরের সমীক্ষা বলে, ৩০ বছর পেরিয়ে গেলে প্রজননক্ষমতা প্রায় ৫০ শতাংশ কমে যায়। ৩৫ বছরে পর ডিম্বাণুর সংখ্যা কমে যায় আরও বেশি।

আরো পড়ুনঃ স্কিন ক্যান্সারের লক্ষণ - স্কিন ক্যান্সার কেন হয়

এ ছাড়া এ বয়সে গর্ভধারণের পরে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, প্রসব-পূর্ব রক্তক্ষরণ ও প্রসবকালীন জটিলতা গুলো দেখা দেয়। আপনি যদি সুস্থ সন্তান জন্ম দেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে স্বামী স্ত্রী উভয়ের বয়সের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাই নারীদের ৩০ বছর এবং পুরুষদের ৩৫ বছরের মধ্যে প্রথম সন্তানকে নিয়ে নেওয়া ভালো।

বাচ্চা না নেওয়ার সঠিক পদ্ধতি

বিয়ের পর অনেকেই বাচ্চা নিতে চান না তাই বাচ্চা না নেওয়ার সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকেন এবং এ বিষয়ে জানতে চান। বিয়ের পর কখন সন্তান নেওয়া উচিত এ বিষয়ে আপনাদের সামনে আলোচনা করেছি। তাহলে শুনুন বাচ্চা না নেওয়ার সঠিক পদ্ধতিটা কি সে বিষয়ে জেনে নিন।

আমরা অনেক সময় আমাদের ক্যারিয়ার নিয়ে ব্যস্ত থাকি যার ফলে বিয়ের পরে বাচ্চা নিতে চাই না। সাধারণত তাই বাচ্চা না নেওয়ার সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চায়। বাচ্চা না নেওয়া সঠিক পদ্ধতি হলো যৌন মিলনের সময় অবশ্যই কনডম ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া আপনি যদি কনডম ব্যবহার করতে না চান তাহলে জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি খেতে পারেন।

অল্প বয়সে বিয়ে ও গর্ভবতী হলে

আমাদের দেশে অনেক অঞ্চলের মানুষ এখনো অসচেতন রয়েছে, যারা অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ে দিয়ে থাকেন। অল্প বয়সে বিয়ে ও গর্ভবতী হলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। যা সম্পর্কে তারা সঠিকভাবে সচেতন নয় তাই তারা এসব পরিস্থিতির শিকার হয়ে থাকেন। আজকেরে আর্টিকেলে আমরা বিয়ের পর কখন সন্তান নেওয়া উচিত এ সম্পর্কে আপনাদের সামনে আলোচনা করছি। অল্প বয়সে বিয়ে ও গর্ভবতী হলে কি হয় চলুন তাহলে বিস্তারিতভাবে জেনে নিই।

আমাদের দেশে এমন অনেক বাবা মায়েরা আছেন যারা ১৮ বছরের আগেই মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দায়িত্ব সারতে চান। বিশেষ করে দরিদ্র পরিবারে এই ঘটনাটি ঘটে থাকে।

চিকিৎসকরা বলেন, আঠারোর আগে শারিরীক মানসিক কোন দিক দিয়েই একটি মেয়ে বিয়ে এবং গর্ভধারণের জন্য প্রস্তুত হয় না।অল্প বয়সে গর্ভধারণ বা টিনএজ পেগনেন্সি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ একটি বিষয়।আন্তর্জাতিকভাবে যারা ২০ বছরের নিচে গর্ভধারণ করবে, তাদের টিনএজ প্রেগনেন্সি বলা হয়। আমাদের দেশের জন্য যেটা বা হয়  ১৮ বছরের নিচে।

এ ধরনের গর্ভবস্থা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে থাকে। যা বাচ্চা ও মায়ের জন্য মৃত্যুর সম্মুখীন হতে পারে। কারণ 18 বছরের আগে কোন মেয়ের শারীরিক গঠন সম্পন্নভাবে পূর্ণ হয় না, যার ফলে এই বয়সে গর্ভবতী হলে বাচ্চা হওয়ার সময় জরায়ুতে বাচ্চা আটকে জরায়ু ফেটে রক্তক্ষরণ হয়ে গর্ভবতী মারা যেতে পারে। এবং বাচ্চাটিও পেটে মারা যাবে।

আবার অনেক মা ও মেয়ের সঠিক পুষ্টির অভাব দেখা দিয়ে থাকে মায়ের যেহেতু নিজস্ব পুষ্টি হয়নি, তার রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। এতে বাচ্চাও হয়তো রক্তশূন্য হবে। যেহেতু বাচ্চা পুষ্টি না পাওয়ার কারণে, রক্তশূন্যতা হয়, এবং আগে বাচ্চাটি প্রসব হয়।

আরো পড়ুনঃ ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধের উপায়

তাই আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে কেননা 18 বছরের আগেই কোন মেয়ের বিয়ে দেওয়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এই অপরাধগুলো আমাদের গ্রাম অঞ্চলে বেশি দেখা যায়। তাই বিভিন্ন সরকারি পদক্ষেপ নিয়ে গ্রামে গ্রামে সচেতনতা টিম গড়ে তুলতে হবে। তাই আসুন আমরা সকলে সচেতন হই এবং মানুষকে সচেতন করি এবং ১৮ বছরের আগে মেয়েকে বিয়ে দেওয়া থেকে বিরত রাখি।

বাচ্চা নেওয়ার সঠিক পদ্ধতি video

আমরা অনেকেই বাচ্চা নেওয়ার সঠিক পদ্ধতি video দেখতে চাই। আপনি তাহলে সঠিক জায়গাতে এসেছেন। নতুন বিবাহ হলে আপনার জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ইতিমধ্যেই বিয়ের পর কখন সন্তান নেওয়া উচিত এ বিষয়গুলোই জেনেছি। আপনাদের সুবিধার্থে নিচে বাচ্চা নেওয়ার সঠিক পদ্ধতি video উল্লেখ করা হলো।

বিয়ের পর কখন সন্তান নেওয়া উচিতঃ শেষ কথা

বাচ্চা নেওয়ার সঠিক পদ্ধতি video, বিয়ের পর কখন সন্তান নেওয়া উচিত? অল্প বয়সে বিয়ে ও গর্ভবতী হলে, বাচ্চা না নেওয়ার সঠিক পদ্ধতি, বাচ্চা কখন নেওয়া উচিত? কোন বয়সে কতবার সহবাস করা উচিত? বিয়ের কত দিন পর সহবাস করা যায়? এ বিষয়গুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল আরো পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Skbd IT এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url