মাথা ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা - মাথা যন্ত্রণা কমানোর উপায়

আপনি কি প্রায় সময় মাথা ব্যথা সমস্যায় ভুগছেন? এবং মাথা ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা মাথা ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে কিছু তথ্য আলোচনা করব। আপনি যদি মাথা ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

মাথা ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা

তাহলে চলুন অতিরিক্ত কথা না বাড়িয়ে আমরা ঝটপট মাথা ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো জেনে মাথা ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা করি। উক্ত বিষয়টি সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

সূচিপত্রঃ মাথা ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা - মাথা যন্ত্রণা কমানোর উপায়

প্রচন্ড মাথা ব্যথা হলে করণীয়

আমাদের প্রায় সময়ই মাথাব্যথা যন্ত্রণায় ভুগে থাকি। আর এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে আমরা বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবন এবং ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করে থাকি। এবং অনেক সময় মাথা ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা করে থাকি। কিন্তু আমাদের মাথাব্যথা যখন স্বাভাবিক থেকে তীব্র বা প্রচন্ড মাথা ব্যথা হয় তখন আমরা আর স্বাভাবিক অবস্থায় থাকি না।

আরো পড়ুনঃ মাথা ব্যথার ওষুধের নাম কি

মাথা যন্ত্রণায় সারাদিনের কাজগুলো আমাদের বাধাগ্রস্ত হয়ে দাঁড়ায়। যা কর্ম  বিভ্রান্ত ঘটায়। এ থেকে মুক্তি পেতে হলে মাথা ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা আপনি প্রথমে ট্রাই করতে পারেন। এবং আপনার যদি প্রচন্ড মাথা ব্যথা হয় তাহলে অবশ্যই মাথা ব্যথা হলে করণীয় সম্পর্কে জানতে হবে। তাই আপনাদের সুবিধার্থে আমরা প্রচন্ড মাথা ব্যথা হলে করণীয় কিছু তথ্য জানাবো।

১। আদা প্রচন্ড মাথা ব্যথা দূর করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে বিশ্বাস না হলে আপনি ট্রাই করে দেখতে পারেন। আপনার যখন প্রচন্ড মাথা ব্যথার সৃষ্টি হবে তখন এক পিস আদা চিবুতে থাকবেন এবং এতে করে ৬০ সেকেন্ডের মধ্যে আপনার মাথা ব্যথা নিমেষে হারিয়ে যাবে।

২। আপনার যখন প্রচন্ড মাথা ব্যথার সৃষ্টি হবে তখন এক চুমুক পানি পান করবেন। এতে করে খুব দ্রুত আপনার মাথা ব্যথা সেরে যাবে কারণ পানি শরীরকে আর্দ্র হতে সাহায্য করে এতে করে মাথা ব্যথা ধীরে ধীরে কমতে থাকে।

৩। প্রচন্ড মাথাব্যথা সমস্যায় আপনি লবণের লবঙ্গ ঘ্রান নিতে পারেন প্রথমে একটি পাত্রে লবঙ্গ হালকা গরম করে ভেজে নিন, সেটি রুমালে বেঁধে নিয়ে নাকের কাছে ঘ্রান নিবেন এতে করে আপনার মাথা ব্যথা ধীরে ধীরে কমে যাবে।

৪। প্রচন্ড মাথা ব্যথায় আপনি এক পিস আপেলের সাথে এক চিমটি লবণ মিশিয়ে চাবিয়ে চাবিয়ে খাবেন এতে করে আপনার প্রচন্ড ব্যথা নিমেষে গায়েব হয়ে যাবে।

মাথা যন্ত্রণা কমানোর উপায়

দিনভর মাথাব্যথা খুবই অস্বস্তিকর একটি যন্ত্রণা যা সারা দিনের কাজের বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এ মাথাব্যথা বিভিন্ন কারণে আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়। যখন দিনের শুরুতে মাথা ব্যথা মত অনুভূতি হয় তখন শরীর মন দুটোই বিষাদ হয়ে ওঠে।

এ থেকে মুক্তি পেতে সকলেই মাথাব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা বা মাথা ব্যথার ভালো ওষুধ সম্পর্কে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে চাই। কারণ মাথাব্যথা যন্ত্রণা খুবই অস্বাভাবিক। এ যন্ত্রণা আপনার জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলবে। তাই মাথা যন্ত্রণা কমানোর উপায় সম্পর্কে চলুন তাহলে কিছু তথ্য জেনে নিই।

মাথা ব্যথা যন্ত্রণা অনেকটা টেনশনের জন্য হয়ে থাকে তাই আমাদের মনকে সব সময় টেনশন মুক্ত রাখতে হবে। আপনি যখন অতিরিক্ত কোন জিনিস নিয়ে ভাববেন ঠিক তখনই আপনার মাথা ব্যাথার সৃষ্টি হয়ে থাকবে।

তাই মাথা ব্যথা কমাতে প্রথমে আপনার মনকে হাসিখুশি এবং টেনশন মুক্ত রাখতে হবে দেখবেন ৬০ সেকেন্ডের মধ্যে আপনার মাথা ব্যথা দূর হয়ে গেছে। এবং এতে করে শরীর এবং মনমানসিকতা দুটোই ভালো থাকবে।

অনেক সময় মাথা ব্যথা যন্ত্রণায় আমরা যদি সঠিকভাবে মাসাজ করতে পারি, তাহলে এই মাথাব্যথা সমস্যাটি নিমিষেই দূর হয়ে যাবে এবং আমাদের মাথায় একটা শান্তি অনুভূতি হয়।বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি এবং তর্জনির মাঝখানের অংশে অন্য হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি ও তর্জনি দিয়ে চাপ দিন এবং ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন। একই ভাবে ডান হাতেও করুন। 

এছাড়াও মাথাব্যথার যন্ত্রণা কমাতে আপনি যে ওষুধগুলো খেয়ে থাকেন সেগুলো তৎক্ষণিকভাবে খেয়ে মাথা ব্যথা যন্ত্রণা কমাতে পারবেন এবং এ মাথাব্যথা যন্ত্রণা যদি না কমে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আপনার মাথা ব্যাথার ধরন সনাক্ত করে চিকিৎসা নিতে হবে।

মাথা ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা

অনেক সময় অতিরিক্ত কাজের চাপে আমাদের মাথা ব্যথা সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। কারণ অতিরিক্ত কাজ করলে আপনাকে অবশ্যই পরিমাণমতো বিশ্রাম নিতে হবে এবং আপনি যখন অতিরিক্ত কাজ করে বিশ্রাম না নিবেন তখনই আমাদের মাথা ব্যথার যন্ত্রণা উৎপত্তি হয়ে থাকে। এবং এই মাথা ব্যাথার ধরনটি দিন দিন বাড়তে বাড়তে অস্বাভাবিক আকার ধারণ করে।

এবং এ মাথা ব্যথার যন্ত্রণা কমাতে ডাক্তারি পরামর্শ ছাড়া অনেক ওষুধ সেবন করে থাকেন যা মোটেও ঠিক নয়, কারণ মাথাব্যথা কমাতে যে ওষুধগুলো আমরা সেবন করে থাকি তার অনেক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। তাই ডাক্তারকে না জেনে ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে মাথা ব্যথার ওষুধ খাওয়া ঠিক নয়।

মাথা ব্যথার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে আপনি ঘরোয়া ভাবে মাথা ব্যথার চিকিৎসা নিতে পারেন। মাথা ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা গুলোর কোন ক্ষতিকর  পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই তাই আপনি নিশ্চিন্তে আপনার মাথা ব্যথা যন্ত্রণা কমাতে মাথা ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা নিতে পারেন। তাহলে চলুন মাথা ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিন।

১। প্রথমেই ম্যাসাজের কথা বলি কারণ মাথাব্যথা সমস্যা হয়ে থাকে হলে আমরা প্রথমে মাথা ম্যাসাজ করে থাকি কারণ মাথাব্যথা যন্ত্রণা দূর করতে মাসাজ বেশ চমৎকার কাজ করে থাকে।রগের দুটো পাশ ও ঘাড়ের কাছে যদি খানিক ক্ষণের জন্য আঙুলের ডগা দিয়ে ম্যাসাজ করেন, তাহলে মাথাব্যথা যন্ত্রণা কমবে ও ক্লান্তি দূর হবে। কারণ আপনার যদি ক্লান্তির জন্য মাথা ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে এই মাসাজ অবশ্যই ১০০% ফলদায়ক।

২। মাথা ব্যথা দূর করতে আমরা মেসেজের সাথে বিভিন্ন মলম ব্যবহার করে থাকি কারণ এই মলম গুলো আমাদের মাথা ব্যথা দূর করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। তাই আঙুলের ডগায় অ্যাসেনশিয়াল অয়েল লাগিয়ে কপালে আর রগে ম্যাসাজ করুন। এছাড়াও ল্যাভেন্ডার বা পিপারমিন্টের মতো কোনো সুগন্ধি ফ্লেভারের তেল দিয়ে ম্যাসাজ করলে মাথার যন্ত্রণা অনেকটা কমে আরাম বোধ করবন।

৩। মাথাব্যথা যন্ত্রণা কমাতে অবশ্যই কম্পিউটার , ল্যাপটপ,মোবাইল ফোন থেকে আমাদের চোখকে দূরে রাখতে হবে। কারণ এই পণ্যগুলো আমাদের চোখের ওপর প্রভাব ফেলে এবং মাথাব্যথা যন্ত্রণার সৃষ্টি করে। এছাড়াও আপনি ভালো মানের চশমা ব্যবহার করতে পারেন। তবে সেটা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী হতে হবে।

আরো পড়ুনঃ মাথা ভারী হলে করণীয় - মাথা ভারী লাগার কারণ

৪। অফিসের বা বাড়ির অতিরিক্ত কাজে যখন আমাদের মাথা যন্ত্রণা বৃদ্ধি হয়ে থাকে, ততক্ষণিকভাবে আপনি মাথা যন্ত্রণা কমাতে চা এবং কফির সাহায্য নিতে পারেন। চা বা কফিতে উপস্থিত ক্যাফিন মাথা যন্ত্রণা কমাতে ভালো কাজ করে। আর কালো চায়ে আদা-লবঙ্গ ও মধু মিশিয়ে খেলে মাথা যন্ত্রণা অনেকটাই কমে যায়।

৫। আমাদের অনেকেরই এমন স্বভাব রয়েছে, আলো দেখলেই মাথা যন্ত্রণার বৃদ্ধি হওয়া । কারণ অতিরিক্ত আলো অনেকেরই সহ্য হয় না তাই মাথা যন্ত্রণা কমাতে অতিরিক্ত আলো থেকে দূরে থাকুন এবং আলো কমিয়ে রাখুন।

৬। আকুপ্রেশার বহুবছর ধরে মাথা ব্যথা দূর করতে অনেকেই আকুপ্রেশার পদ্ধতি ব্যবহার করে আসছেন।এই ছোট্ট ঘরোয়া পদ্ধতিটি আপনাকে এক মিনিটের মধ্যে মাথা ব্যথা সারাতে সাহায্য করবে।

৭। মাথাব্যথা যন্ত্রণা কমাতে ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে। কারণ আপনার যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হয় তাহলে মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে তাই দিনে কমপক্ষে সাত থেকে আট ঘন্টা পরিমাণমতো ঘুমাতে হবে এবং অবশ্যই আপনাকে অতিরিক্ত পরিশ্রম এবং অতিরিক্ত উত্তেজনা থেকে বিরত থাকতে হবে।

৮। আমাদের অনেক সময় সুষম খাদ্যের অভাবে মাথা যন্ত্রণা হয়ে থাকে। তাই দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় অবশ্যই আপনাকে সুষম খাবার রাখার চেষ্টা করতে হবে। কারণ আমাদের দেহের কিছু পুষ্টি ঘাটতি দেখা দিল মাথা ব্যথার মত সমস্যা হয়ে থাকে। এবং পরিমাণমতো প্রতিদিন আপনাকে তিন বেলায় সময়মতো খেতে হবে।

কারণ খালি পেটে আপনার মাথা যন্ত্রণার কারণ হতে পারে এবং আপনি যদি সময় মতো না খান তাহলে আপনার মস্তিষ্কের গ্লুকোজ সরবরাহ কম হয়ে থাকে এবং এর কারণে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হওয়ার সম্ভাবন রয়েছে।

৯। নিজের শরীরকে হাইড্রেট রাখুন, কারণ প্রতিদিনের কাজের চাপের কারণে আমাদের ক্লান্ত হয়ে মাথা যন্ত্রণার সৃষ্টি হয়ে থাকে। তাই এ ক্লান্তির অবসান ঘটাতে ডাবের পানি, জুস,স্যুপ  এবং পরিমাণমতো পানি পান করুন।

১০। মাথা ব্যথা কমাতে আদা রয়েছে বিশেষ কার্যকারিতা কারণ আদা রক্তনালির প্রদাহ দ্রুত কমায়। কিভাবে এ আদা আপনার ভরা ভাবে মাথা যন্ত্রণা কমাবে তা জেনে নিন।

মাথাব্যথা যন্ত্রণা হলে আপনি এক টুকরো আদা চিবিয়ে বা ক্যান্ডির মতো করে চুষে খেতে পারেন এতে করে আপনার মাথা ব্যথা কমবে।

২ চামচ আদা রস এবং দুই চামচ লেবুর রস ভালোভাবে মিশিয়ে মাথাব্যথা থাকাকালীন দুই থেকে তিন দিন সেবন করতে পারেন।

এছাড়াও মাথা ব্যথা কমাতে শুকনো আদার গুড়ো দু চামচ এবং দুধ চামচ পানি দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে পেস্ট করে কপালে লাগিয়ে রাখুন। এতে করে মাথাব্যথা অনেকটাই কমে যাবে। এছাড়াও শুকনো আদা গুঁড়ো বা কাঁচা আদা সিদ্ধ করে সেই পানির ভাব নাকের সামনে নিন।

১১। যন্ত্রণা আক্রান্ত স্থানে ঠান্ডা কিছু দিলে অনেকটাই ব্যথা কমে। তাই মাথা যন্ত্রণা বা মাথা ব্যথা কমাতে বরফের প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। বরফ যেমন প্রদা হোক আমাদের সাহায্য করে তেমনি ব্যথা উপশম বেশ কার্যকরী ভাবে কাজ করে থাকে। বরফের ব্যাগ ঘাড়ে নিলে এতে মাইগ্রেন ব্যথাও অনেকটাই কমে যায়।

এছাড়াও একটি পরিষ্কার তোলাতে বা কাপড়ে বরফের পানিতে ভিজিয়ে কপালে ৫ মিনিট ধরে রাখুন। দিনে এটি তিন থেকে চারবার করতে পারেন তবে আপনার যদি ঠান্ডা লাগা সমস্যা থাকে তবে এটি করা থেকে বিরত থাকতে পারেন।

১২।পুদিনা পাতায় রয়েছে ম্যানথল ও ম্যানথন উপাদান। যায় মাথা ব্যথা দূর করার জন্য বিশেষভাবে কাজ করে থাকে। এক মুঠো পুদিনা পাতা নিয়ে পাতা থেকে রস বের  এই রস কলে মাখুন। এতে মাথাব্যথা অনেকটাই কমে যাবে। এ ছাড়া পুদিনার চাও মাথা ব্যথা উপশম করতে বেশ উপযোগী।

মাথা ব্যথা দূর করার ঔষধ

মাথাব্যথা সমস্যা আর নতুন কিছু নয়, এটি নিত্যদিনের সঙ্গী। মাথাব্যথা এখন প্রায় প্রচলিত একটি রোগ আর এই রোগে ভুগেন না এমন মানুষ পাওয়াও দুষ্কর। মাথা ব্যথার অনেক কারণ রয়েছে আবার অনেক সময় মাথা ব্যাথার কোন কারণই খুঁজে পাওয়া যায় না। হঠাৎ হঠাৎ মাথাব্যথার অনুভূতি আবির্ভাব হয় আমাদের মাঝে।

এবং এ মাথাব্যথা থেকে মুক্তি পেতে ঘরোয়া ভাবে কিছু টোটকা এবং মাথা ব্যাথার ঘরোয়া চিকিৎসা নিয়ে থাকি। কিন্তু এতে করেও মাথা ব্যথার সমস্যা সমাধান না হলে আমরা কিছু ওষুধ সেবন করে থাকি। এ ওষুধগুলো মাথাব্যথা কমাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।

মাথা ব্যথার ওষুধঃ

Tufnil 200 mg tablet 

এবং তীব্র মাথাব্যথা হলে আপনি নিম্নে এই ওষুধগুলো খেতে পারেন।

Tufnil 200 mg tablet 

Napa one tablet

Tryptin 10/20 mg tablet 

উপরের এই ওষুধগুলো খেলে আপনার মাথা ব্যথা কমবে কিন্তু এই ওষুধগুলো খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাবেন কারণ সব ওষুধের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে, যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন ক্ষতি করতে পারে তাই এই ওষুধগুলো খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারি পরামর্শ নিয়ে খাবেন।

ঠান্ডায় মাথা ব্যথা হলে করণীয়

ঠান্ডায় মাথা ব্যথা হলে করণীয় সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান, কারণ শীতকাল বা ঠান্ডার সময় আমাদের শরীরের নানা রকম ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধে। এবং ঠান্ডার সময় ইনফ্লুয়েঞ্জার মত ভাইরাস আমাদের শরীরকে আক্রান্ত করে। যাদের শরীরে ইমিউনিটি কম থাকে তারা বেশি ঠান্ডা সর্দি কাশি এবং মাথা ব্যথা জনিত সমস্যায় পড়ে থাকে।

তাই ঠান্ডায় যেন মাথাব্যথা না হয় সেদিকে আমাদের সকলকে সজাগ থাকতে হবে। আর এ সময় আপনার ডায়েট বা খাবারের দিকে লক্ষ্য রাখা জরুরী।নিচে আমরা যে খাবারগুলো সম্পর্কে আপনাদের সামনে আলোচনা করব তা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং ঠান্ডায় মাথাব্যথা দূর করতে বিশেষভাবে কাজ করবে।

গরম পানিঃ শীতকাল বা গ্রীষ্মকাল যে সময়ই বলেন আপনি যদি বারোমাসি হালকা গরম পানি খেতে পারেন তাহলে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। ঠান্ডায় আপনার যদি মাথা ব্যথা গলা ব্যাথার মত সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই গরম পানিতে এক চিমটি লবণ দিয়ে গারর্গিল করবেন। এছাড়া গরম পানিতে লেবু বা মধু দিয়ে খেলেও পাবেন অনেক উপকার।

লেবু পানিঃ শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং শরীরের ইমুনিটি বাড়াতে লেবুর বিকল্প কিছু নেই। লেবুতে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টিগুণ উপকারিতা যা করণার মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি। এটি করার মত মহামারি শক্তিশালী রোগ কেউ প্রতিরোধ করতে বিশেষভাবে কাজ করে এবং শরীরের ইমিউনিটি বাড়িয়ে শরীরকে শক্তিশালী করে তোলে। তাই শীতকালে বা ঠান্ডায় প্রতিদিন লেবু পানি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

আরো পড়ুনঃ হাত পা ব্যথা করার ৮টি কারণ

সবুজ শাকসবজিঃ নানা রকম রোগ প্রতিরোধ করতে সবুজ শাকসবজি বিশেষভাবে কাজ করে থাকে। এই সবুজ শাকসবজি রয়েছে ভিটামিন, আয়রন,মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আর এই সকল পুষ্টিগুলো আমাদের রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। বেশি পুষ্টি পেতে হলে অবশ্যই সালাদ বানিয়ে খেতে পারেন।

প্রোটিন যুক্ত খাবারঃ শরীরের এমন এটি বাড়াতে যেমন ভিটামিন সি জরুরী তেমনি শরীরকে সুস্থ রাখতে প্রোটিনযুক্ত খাবারের গুরুত্ব রয়েছে অনেক। সর্দি কাশি মাথা ব্যথা বিভিন্ন সমস্যায় প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়া জরুরী। সে সাথে ও খেতে পারেন ডিমের সাদা অংশ চিকেন, মাছ ,দুধ, ডিমের সাদা অংশ।প্রোটিন যুক্ত খাদ্যগুলো পেশিকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

মাথা ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা - মাথা যন্ত্রণা কমানোর উপায়ঃ শেষ কথা

প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই আর্টিকেলে প্রচন্ড মাথা ব্যথা হলে করণীয়, মাথা যন্ত্রণা কমানোর উপায়, মাথা ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা, মাথা ব্যথা দূর করার ঔষধ, ঠান্ডায় মাথা ব্যথা হলে করণীয় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যেহেতু মাথাব্যথা অনেক সময় হয়ে থাকে সে তো অবশ্যই আমাদেরকে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল আরো পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এ ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url