সেপ্টেম্বর মাসে কোন সবজি বেশি ভালো চাষ হয়

প্রিয় চাষী ভাইয়েরা আপনাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলে আমরা বছরের ১২ মাস সবজি চাষ সম্পর্কে জানাবো। যারা সেপ্টেম্বর মাসে কোন সবজি বেশি ভালো চাষ হয় এ বিষয়ে জানতে চেয়ে গুগলে এ সার্চ করেছেন তারা সঠিক জায়গায় এসেছেন আজকের এই আর্টিকেল আমরা সেপ্টেম্বর মাসে কোন সবজি বেশি ভালো চাষ হয় এ বিষয়ে আলোচনা করব। সেপ্টেম্বর মাসে কোন সবজি বেশি ভালো চাষ হয় এ বিষয়ে জানতে চান তাহলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গেই থাকুন।

সেপ্টেম্বর মাসে কোন সবজি বেশি ভালো চাষ হয়

তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা সেপ্টেম্বর মাসে কোন সবজি বেশি ভালো চাষ হয় এ বিষয়ে জেনে নিন। উক্ত বিষয়টি সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে

সূচিপত্রঃ সেপ্টেম্বর মাসে কোন সবজি বেশি ভালো চাষ হয়

সেপ্টেম্বর মাসে কোন সবজি বেশি ভালো চাষ হয়

সেপ্টেম্বর মাস শুরু হয়ে গেছে যারা সেপ্টেম্বর মাসে চাষাবাদে আগ্রহী তারা সেপ্টেম্বর মাসে কোন সবজি বেশি ভালো চাষ হয় এ বিষয়ে জানতে আমাদের এই আর্টিকেলটি সার্চ করেছেন তারা সঠিক জায়গায় এসেছেন। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা সেপ্টেম্বর মাসে কোন সবজি বেশি ভালো চাষ হয় এ বিষয়ে আপনাদের জানাবো।

আরো পড়ুনঃ বর্ষাকালের পর কোন ঋতু আসে

সেপ্টেম্বর মাসে বেশ কিছু সবজি রয়েছে যেগুলো প্রায় সারা বছরের তুলনায় বেশি চাষাবাদ হয়ে থাকে। এবং এ সময় এ ফসলগুলো র চাহিদা এবং বাজারদর অনেক টাই বেশি হয়ে থাকে। তাই কৃষকেরা যারা সেপ্টেম্বর মাসে যে সকল সবজি চাষাবাদ করতে চান এবং সেপ্টেম্বর মাসে কোন সবজি বেশি ভালো চাষ হয় এ বিষয়ে জানতে চান তারা মনোযোগ সহকারে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।

কাঁচা মরিচঃ সারা বছরই কাঁচা মরিচের ব্যাপক চাহিদা থাকে এবং এই কাঁচামরিচটি সেপ্টেম্বর মাসেই ভালো উৎপাদন হয়ে থাকে। যে সকল চাষিরা সেপ্টেম্বরে কাঁচা মরিচ চাষাবাদ করে থাকেন তারা উচ্চহারে এর বাজার দর পাই এবং কাঁচা মরিচ এ সময় বাম্পার দ্বিগুণ পরিমাণে ফলে থাকে।

পেঁপেঃ পেঁপে সবজির মধ্যে অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি ফল। এটি সবজি হিসেবে বেশ জনপ্রিয়।পেঁপে চাষ কৃষকদের জন্য সবচেয়ে বেশি লাভজনক হয়ে থাকে।কারণ এর চাষে লোকসানের সম্ভাবনা কম, বেড পদ্ধতিতে চাষ করলে চাষিরা বেশি ফলন পাবেন।

ব্রকলি চাষঃ বাঁধাকপির মতো দেখতে এই সবজিটির বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এবং বাঁধাকপির চাইতেও এর পুষ্টি কোন অংশে কম নয়। স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী হওয়ায় বাজারে এর দাম ৫০ থেকে ১০০ টাকা কেজি সবসময় থাকে। নার্সারি মাধ্যমে এর চাষ করা হয়। এই ফসল ৬০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে বাজারজাত করা হয়।

ক্যাপসিকাম চাষঃ ক্যাপসিকাম এমন একটি সবজি, যার চাহিদা বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বের বাজারে সবসময়ই থাকে। সেপ্টেম্বর মাসে এই সবজির বপন প্রক্রিয়া শুরু করলে এর থেকে বেশি লাভ করতে পারেন।

আমরা উপরোক্ত আলোচনা থেকে সেপ্টেম্বর মাসে কোন সবজি বেশি  ভালো চাষ হয়  বা  বেশি লাভ করা যায় সে বিষয়ে জানতে পেরেছি। এবার চলুন বছরে কোন মাসে কোন সবজি চাষ করতে হয় এ বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জেনে নিন।

কোন মাসে কোন সবজি চাষ করতে হয়

সবজি আমাদের দেহের বিভিন্ন পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে। আর এই পুষ্টি চাহিদা পোড়ানোর জন্য আপনার বসতভিটা বা বাড়ির আগে নাই সবজি চাষ পদ্ধতি চালু করতে পারেন। অনেকেরই বাড়ির আগে নাই বা পাশেই সবজি চাষ করে থাকে। এসব যেগুলো যেমন একটি পরিবারের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে পারে তেমনি পাশাপাশি এটি বাণিজ্যিকভাবেও বাড়ির মহিলারা অর্থ উপার্জন করতে পারে।

বছরের বারোটি মাসে প্রতিটা মাসে বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদন হয়ে থাকে আপনারা যারা চলতি মাস বা সেপ্টেম্বর মাসে কোন সবজি বেশি ভালো চাষ হয় এ বিষয়ে ইতিমধ্যে জানিয়েছি। অনেকেই সেপ্টেম্বর মাসে কোন সবজি বেশি ভালো চাষ হয় এবং কোন মাসে কোন  সবজি চাষ করতে হয় জানতে চান তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে চলুন আজকে আমরা কোন  মাসে কোন  সবজি চাষ করতে হয় সে বিষয়ে জেনে নিই।

একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক সবজির চাহিদা গড়ে ২১৫ গ্রাম। কিন্তু আমরা গড়ে মাত্র ৫৪ গ্রাম সবজি খেয়ে থাকি। শাক-সবজি ও ফল-মূল ভিটামিন ও খনিজ মিনারেল এবং ক্যালসিয়ামের অন্যতম প্রধান উৎস। সে কারণে সবজি চাষের উৎসাহ বাড়িয়ে সবজি গ্রহণের হার বৃদ্ধি করতে হবে।

বাংলাদেশ ছয়টি ঋতু বা মৌসুমে বিভক্ত।আর কৃষি চাষের জন্য মৌসুম তিনটি খরিফ-১, খরিফ-২ ও রবি। উৎপাদনের ওপর ভিত্তি করে যদিও কৃষি মৌসুমকে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে।  কিন্তু ভৌগোলিক অবস্থান, আবহাওয়া, জলবায়ু এবং আমাদের প্রয়োজনের তাগিদে প্রতি মাসে কিছু  সবজি চাষ করা জরুরী। তাই কি সুখের জন্য প্রতিটা দিন বা মাস অনেেক গুরুত্বপূর্ণ।

তাই প্রত্যেক চাষেরই উচিত নিজের সু চিন্তা ধারা থেকে অর্থ ও উপার্জন করার জন্য এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি চাহিদা মিটানোর জন্য চাষাবাদকে নিজস্ব রুপে রূপে বাস্তবায়িত করবে।

গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষ

আজকে আমরা সেপ্টেম্বর মাসে কোন সবজি বেশি ভালো চাষ হয় এ বিষয়ে ইতিমধ্যে অনেক কিছু আলোচনা করেছি। এবার চলুন গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষ সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেই, গ্রীষ্মকালীন বেশ কিছু সবজি রয়েছে যেগুলো এ মাসগুলোতে আপনি চাষাবাদ করতে পারবেন।

(ফেব্রুয়ারি–মার্চ) ফাল্গুন মাস

সবজি তৈরির জন্য প্রথমে আপনাকে বীজতলা তৈরি করতে হবে। এর জন্য মাচা তৈরি, বীজ বপন, লালশাকের বীজ বপন করতে হবে। আগাম খরিফ-সবজির চারা সংগ্রহ করে সেগুলো উৎপাদন ও মূল জমি তৈরি, সার প্রয়োগ ও রোপণ করতে হবে।

এবং আলু, মিষ্টি আলু সংগ্রহ করতে হবে। রবি সবজির বীজ সংগ্রহ করে সেগুলো সংরক্ষণ ও বাগানের অন্যান্য ফসলের পরিচর্যা করতে হবে। এ সময় আলু সংগ্রহে বিশেষ নজর দিন। আলু গাছের বয়স ৯০ দিন হলে মাটি সমান করে সমুদয় গাছ কেটে গর্তে আবর্জনা সার তৈরি করতে হবে।

(মার্চ–এপ্রিল) চৈত্র মাস 

গ্রীষ্মকালীন সময় আছে সবজিগুলো চাষ করতে হবে বেগুন, টম্যাটো, মরিচ- এর বীজ বপন/চারা রোপণ। নাবী জাতের বীজতলাতৈরি ও বীজ বপন করতে হবে। এ সময় যে চারাগুলো তৈরি করেছেন সেগুলো মূল জমিতে রোপণ করার ব্যবস্থা করতে হবে। সবজি ক্ষেতের আগাছা দমন, সেচ ও সার প্রয়োগ করতে হবে।

এবং কুমড়া জাতীয় সবজির পোকামাকড় ও রোগ বালাই দমনে বিশেষ আগ্রহী হতে হবে। নাবী রবি সবজি যথাসময়ে উঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে, এ সবজির বীজ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। চাষাবাদের জমিতে যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে কারণ জমিতে পানির ঘাটতি হলে ফলের গুটি/কড়া ঝরে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তাই প্রয়োজনীয় সেচ প্রদান, পোকামাকড় ও রোগবালাই দমনে নজর রাখতে হবে।

(এপ্রিল–মে) বৈশাখ মাস 

এপ্রিল মেলে বৈশাখ মাস এ বৈশাখ মাসের সবজি গুলো হলো লালশাক, ডাঁটা, বেগুন,  গিমাকলমি পাতাপেঁয়াজ

কাঁচা মরিচ ঢেঁড়স আদা হলুদ ইত্যাদি এসবের বীজ বপন করতে হবে। গ্রীষ্মকালীন টমেটো চারা রোপণ করতে হবে। এছাড়াও মিষ্টিকুমড়া, করলা, ধুন্দুল, ঝিঙা, চিচিংগা, চালকুমড়া, শসার এ সকল সবজির জন্য মাচাতৈরি করতে হবে এবং এগুলোর চারা উৎপাদন ও কুমড়া জাতীয় সবজির পোকামাকড় দমন, সঠিক সময়ে সেচ প্রদান করা জরুরী।

আরো পড়ুনঃ সফর মাসের কত তারিখে আজ ২০২৩

এ সময় কচি সাজিনা, কাঁচা কাঁঠাল, বাঙ্গি, তরমুজ, আলু সংগ্রহ করতে হবে। ফল চাষ করতে হলে উপযুক্ত জায়গা নির্বাচন করতে হবে। এবং উন্নতজাতের ফলের চারা/কলম সংগ্রহ, পুরানো ফলগাছ গুলোতে সুষম সার প্রয়োগ, এবং বিশেষ করে ফলন্ত গাছে সেচ প্রদান করতে হবে।

(মে–জুন) জ্যৈষ্ঠ মাস 

বিভিন্ন সবজির চারা রোপণ, সেচ ও সার প্রয়োগ, বিভিন্ন সবজির পরিচর্যা, সজিনা সংগ্রহ এবং গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চারা রোপণ ও পরিচর্যা এ সময় বা মাসে করা হয়ে থাকে।

ঝিঙা, চিচিংগা, ধুন্দুল, পটল, কাঁকরোল  যথাসময়ে সংগ্রহ করতে হবে, এবং এ গাছগুলোতে পোকামাকড় দমন কারে কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে। নাবী কুমড়া জাতীয় ফসলের মাচা তৈরি করতে হবে, যথাসময়ে সেচ ও সার প্রয়োগএবং প্রত্যেক সপ্তাহ অন্তর কীটনাশক ব্যবহার করা। ফলের চারা রোপণের জন্য জায়গা নির্বাচন ও গর্ত প্রস্তুত  এবং বয়স্ক ফল গাছে সুষম সার প্রয়োগ, ফল সংগ্রহ করে বাজারজাত করতে হবে।

বর্ষাকালে কি সবজি চাষ করা যায়

বর্ষাকালে যারা সবজি চাষ করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আমরা বর্ষাকালে কি সবজি চাষ করা যায় এ বিষয়ে জানাবো এমন কিছু সবজি রয়েছে যেগুলো আপনি বর্ষাকালে চাষাবাদ করে অধিকারে লাভবান হতে পারবেন তাহলে চলুন বর্ষাকালে কি সবজি চাষ করা যায় সে বিষয়ে জেনে নেই।

(জুন–জুলাই) – আষাঢ় মাস

গ্রীষ্মকালীন সবজি যেমন : কাঁচামরিচ বেগুন টমেটো গাছের পরিচর্যা, কুমড়া ও শিমের বীজ বপন সবজির পোকামাকড়, রোগবালাই দমন ফলের চারা রোপণের গর্ত প্রস্তুত ও বয়স্ক ফল গাছে সুষম সার প্রয়োগ, ফল সংগ্রহ করে বাজারজাত করতে হবে।

পুরনো বা আগাম লাগানো গাছের বেগুন, টম্যাটো ও ঢেঁড়সের বাগান থেকে যথাসময়ে ফসল সংগ্রহ করতে হবে। সবজির চারা রোপণ ও পরিচর্যা, সেচ, সার প্রয়োগ করতে হবে। ফল ও ওষুধি গাছের চারা রোপন ,কলম করতে হবে, চারা গাছের পরিচর্যা খুঁটিতে বাধা ও বেড়ে দিতে হবে। এ সময় ফল গাছে সুষম প্রয়োগ করতে হবে।

(জুলাই–আগস্ট) শ্রাবণ মাস 

এ সময়ের বিভিন্ন সবজি যেমন: লাউ, টমেটো, বাঁধাকপি, ফুলকপি বেগুন এর বীজতলা তৈরি করতে ও বীজ বপন করতে হবে। সঠিক সময়ে সবজি সংগ্রহ ও পোকামাকড় দমন করতে হবে। এ সময়ে শিমের বীজ বপন, লালশাক ও পালংশাকের বীজ বপন করা হয়। রোপণকৃত ফলের চারার অবশ্যই পরিচর্যা নিতে হবে। উন্নত চারা/কলম রোপণ, খুঁটি দেয়া, খাঁচি বা বেড়া দেয়া, ফল সংগ্রহ, বাজারজাতকরণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ/ সংরক্ষণ।

শরৎকালে কি সবজি চাষ করা যায়

সারা বছরের মতো শরৎকালেও বেশ কিছু সবজি চাষ হয়ে থাকে, যে সব কৃষক ভাইয়েরা শরৎকালে সবজি চাষ করতে চাচ্ছেন এবং কি সবজি চাষ করবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না তারা মনোযোগ সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি পড়লে শরৎকালে কি সবজি চাষ করা যায় সে বিষয়ে ধারণা পাবেন।

(আগস্ট–সেপ্টেম্বর) ভাদ্র মাস 

এ সময়ে অধিকাংশ খরিফ-২ এর সবজি চাষ করা হয় ও সংগ্রহ করা হয়। এবং  খরিফ-১ এর সবজি বীজ সংরক্ষণ কাজ করা হয়। এছাড়াও আগাম রবি সবজি বাঁধাকপি, ফুলকপি, টম্যাটো, বেগুন, সবুজ ফুলকপি ওলকপি লাউ-এর জমিতৈরিও চারা রোপণ করা হয় এবং রাসায়নিক সার প্রয়োগ।

মধ্যম ও নাবী রবি সবজির বীজতলাতৈরি, বীজ বপন সপ্তাহ অন্তর কীটনাশক ব্যবহার করা জরুরী। এই সবজি গুলো যথাসময়ে সংগ্রহ ও বীজ সংরক্ষণ করতে হবে। আগে লাগানো ফলের চারার পরিচর্যা। ফলের উন্নত চারা/কলম লাগানো, খুঁটি দেয়া, বেড়া দিয়ে চারাগাছ সংরক্ষণ, ফল সংগ্রহের পর গাছের আগাছা ছাঁটাই করতে হবে

(সেপ্টেম্বর–অক্টোবর) আশ্বিন মাস 

এ মাসে আগাম রবি সবজির চারা রোপণ করতে হবে, উন্নত চারার জাত প্রয়োজনে সেচ ও সার প্রয়োগ, রোগ বালাই দমন, নাবী রবি সবজির বীজতলাতৈরি, বীজ বপন, আগাম টম্যাটো, বাঁধাকপি, ফুলকপি, সবুজ ফুলকপি, ওলকপির আগাছা দমন ও গোড়া বাঁধা। শিম, লাউ, বরবটির মাচাতৈরি ও পরিচর্যা করতে হবে। এবং এ সময় রসুন, পেঁয়াজের বীজ বপন, আলু লাগানো কাজ শুরু করতে হবে। ফল গাছের পরিচর্যা ও গাছের গোড়ায় মাটি দেয়া, আগাছা পরিষ্কার ও সার প্রয়োগ করতে হবে।

(অক্টোবর–নভেম্বর) কার্তিক মাস 

এ মাসে আলুর চারা রোপনের জন্য আলোর আইল বাঁধা ও আগাম রবি সবজির পরিচর্যা ও সংগ্রহ করতে হবে। মধ্যম রবি সবজি পরিচর্যা করতে হবে এবং সার প্রয়োগ ও সেচ প্রদান করতে হবে। নাবী রবি সবজির চারা উৎপাদন, জমি তৈরি/চারা লাগানো। বাঁধাকপি, ফুলকপি, ওলকপির গোড়া বাঁধা/ আগাছা নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। মরিচের বীজ বপন/চারা রোপণ। ফল গাছের পরিচর্যা,সার প্রয়োগ না করে থাকলে সার ব্যবহার ও মালচিং করে মাটিতে রস সংরক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে।

শীতকালীন সবজি চাষ

বছরে বারো মাসের মধ্যে শীতকাল হলো সবজির সংগ্রহ। এই সময় বিভিন্ন সবজিতে ভরপুর থাকে সারা বাজার। শীতকালে এমন কিছু সবজি রয়েছে যেগুলোর চাহিদা প্রায় ১২ মাসই থাকে চলুন তাহলে আমরা শীতকালীন কি কি সবজি রয়েছে এবং শীতকালীন সবজি চাষ সম্পর্কে জেনে নিন।

(নভেম্বর–ডিসেম্বর) অগ্রহায়ণ মাস 

এ সময় যারা মিষ্টি আলু রোপন করতে চান তারা মিষ্টি আলুর লতা রোপণের আগে লতার পরিচর্যা করে নিবেন। এ সময় পেঁয়াজ, রসুন ও মরিচের চারা রোপণ ও আলুর জমিতে সার প্রয়োগ ও সেচ প্রদান করতে হবে। রবি ফসলের মধ্যে যেমনঃ ফুলকপি, বাঁধাকপি, টম্যাটো, বেগুন ওলকপি, শালগম-এর চারার যত্ন, সার প্রয়োগ, সেচ প্রদান, আগাছা পরিষ্কার, সবজি সংগ্রহ এ সকল কাজ যত্ন সহকারে করতে হবে। ফল গাছের মালচিং এবং পরিমিত সার প্রয়োগ সপ্তাহ অন্তর কীটনাশক ব্যবহার করা জরুরী।

(ডিসেম্বর–জানুয়ারি) পৌষ মাস 

আগাম ও মধ্যম রবি সবজির যারা ওরকম করেছেন সে সকল গাছের পোকামাকড় ও রোগবালাই দমন করতে হবে ও সবজি সংগ্রহ করতে হবে। নাবী রবি সবজির পরিচর্যা, ফল গাছের পোকামাকড় ও রোগবালাই দমনে যত্নশীল হতে হবে

আরো পড়ুনঃ বর্ষাকালে কোন ফসল ভালো জন্মে

যারা এ সময় ফুলের চারা লাগানো বা বাণিজ্যিকভাবে মৌসুমি ফুলে চাষ করতে চান তাদেরকে এ সময় ফুল গাছের বেশি করে যত্ন নিতে হবে বিশেষ করে সারের উপরি প্রয়োগ করতে হবে এবং মাঝের মধ্যে সেচ প্রদান ব্যবস্থায় যত্নশীল হতে হবে।

(জানুয়ারি–ফেব্রুয়ারি) মাঘ মাস 

এ সময় যে সবজি গাছের গোড়াতে মাটি তুলে দিবেন সে সবজি গাছগুলো হলো আলু, পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাদি এবং এই কাজগুলোতে নিয়মিত সেচ, সার প্রয়োগ, টমেটোর ডাল ও ফল ছাঁটা, ইত্যাদি কাজ করতে হবে এবং যারা মধ্যম ও নাবী রবি সবজির চাষাবাদ করেছেন তারা সেচ, সার, গোড়া বাঁধা, মাচা দেয়া বীজতলায় চারা উৎপাদনে বেশি সচেতন হবেন। গাছের পরিচর্যা এবং আপনার সচেতনতাই পরবর্তীতে আপনাকে ভালো ফলের আশা দেখাতে পারে। ফল গাছের পোকামাকড়, রোগাবালাই দমন ও পরিচর্যা করা অত্যন্ত জরুরি।

সেপ্টেম্বর মাসে কোন সবজি বেশি ভালো চাষ হয়ঃ শেষ কথা

প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই আর্টিকেলে সেপ্টেম্বর মাসে কোন সবজি বেশি ভালো চাষ হয়? কোন মাসে কোন সবজি চাষ করতে হয়? গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষ, বর্ষাকালে কি সবজি চাষ করা যায়? শরৎকালে কি সবজি চাষ করা যায়? শীতকালীন সবজি চাষ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনারা উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল আরো পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এ ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন