জুম্মার দিনে মহিলাদের নামাজ - জুম্মার দিনে মহিলাদের আমল

প্রিয় পাঠক আপনারা যারা এই পোস্টটি পড়ছেন তারা নিশ্চয়ই জুম্মার দিনে মহিলাদের নামাজ জুম্মার দিনে মহিলাদের আমল সম্পর্কে জানতে চান গুগলে সার্চ করে আমাদের এই পোস্টটি ওপেন করেছেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন আজকের আমরা জুম্মার দিনে মহিলাদের নামাজ জুম্মার দিনে মহিলাদের আমল সম্পর্কে আলোচনা করব

জুম্মার দিনে মহিলাদের নামাজ

তাহলে চলুন জুম্মার দিনে মহিলাদের নামাজ জুম্মার দিনে মহিলাদের আমল সম্পর্কে জেনে নিই। উক্ত বিষয়টি সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

পেজ সূচিপত্রঃ জুম্মার দিনে মহিলাদের নামাজ - জুম্মার দিনে মহিলাদের আমল

জুম্মার দিনে মহিলাদের নামাজ

জুম্মাবার সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন এই জুম্মার নামাজ আদায় করা হয়। মানুষের আগমন ও জুম্মার খুতবা আলোচনা আনুসাঙ্গিকতা মিলিয়ে অন্যদিনের চাইতেও একটু বিলম্ব হয়। যার জন্য জুম্মার নামাজ আদায়ে একটু সময় লাগে।

জুম্মার দিনে মহিলাদের নামাজ কি এরূপ দেরি হবে না পুরুষের সাথে মিল রেখে হবে তা জেনে নিই-অনেকেই বলে থাকে পুরুষের নামাজ আদায় না হলে নারীরা নামাজ পড়তে পারবে না এটা কতটুকু সঠিক নামাজের সময় হওয়ার পর নারী এবং পুরুষ উভয়ই বিলম্ব করা কারোর জন্য সঠিক নয়।বিশেষত যখন নামাজের মুস্তাহাব ওয়াক্ত হয়ে যায়। তাই নারী-পুরুষ উভয় শ্রেণি নামাজের মুস্তাহাব ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নামাজ আদায় করবে। 

আরো পড়ুনঃ জান্নাতের সুসংবাদ পাওয়া ১০ জন সাহাবা

আর পুরুষের নামাজের সঙ্গে নারীদের নামাজের এমন কোনো সম্পর্ক নেই যে পুরুষ যে সময়ে নামাজ পড়ে সে সময়েই তাদের নামাজ আদায় করতে হবে বা পুরুষ নামাজ আদায় করার পর তারা নামাজ আদায় করবে।

সুতরাং শুক্রবারও নারীরা জোহরের নামাজের মুস্তাহাব সময় হওয়ার পর নামাজ আদায় করতে পারবেন। চাই মসজিদে জুমার জামাত হোক বা না হোক। শুক্রবার জোহরসহ যেকোনো দিন যেকোনো ওয়াক্তের নামাজ নারীরাও মুস্তাহাব সময় দেখে আদায় করবে। পুরুষদের ঘরে ফেরার অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই। (আল-বাহরুর রায়িক )

জুম্মার দিনে মহিলাদের আমল

সপ্তাহে সাত দিনের মধ্যে জুম্মাবার হল শ্রেষ্ঠ।এবং ফজিলত এর দিন এই দিনে  অনেক বরকতময় এবং ফজিলত পূর্ণ আল্লাহ তা'আলা এই দিনে কিছু আমলের মাধ্যমে অনেক সওয়াব দিয়ে থাকেন। বাংলাদেশের প্রায় অঞ্চলে মহিলারা জুম্মার নামাজ পড়তে মসজিদে যেতে পারে না কিন্তু কিছু কিছু অঞ্চলে মহিলারা মসজিদে যেয়ে নামাজ আদায় করতে পারি তাহলে মহিলারা কোন সময়ে আল্লাহর এবাদত এবং দোয়া কবুল হবে? জুম্মার দিন মহিলাদের দোয়া কবুলের উপযুক্ত সময় কোনটি-চলুন জেনে নিই-

আরো পড়ুনঃ নামাজ শেষে দোয়া করা যাবে কিনা

ইমাম সাহেব খুতবা দেয়ার আসার পর থেকে সালাত শেষ করা পর্যন্ত এই সময়টুকু আপনি দোয়া করতে পারেন। এটা তো অনেকের জানার কথা, কখন ইমাম সাহেব খুতবার জন্য আসেন, কখন সালাত শেষ হয়ে থাকে। আর বিকেল বেলায় সালাতের আসরের আগ থেকে আরম্ভ করে শেষ করে সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত এই সময়টুকু দোয়া কবুলের সময় এ সময় মহিলারা বাসায় বেশি বেশি আল্লাহতায়ালার জিকির এবং নবী মুহাম্মদ (সাঃ)  নামে দুরুদ পাঠ করবেন।

জুম্মার দিনে কি করা উচিত

আল্লাহ তাআলার বিশেষ দিনের মধ্যে জুম্মার দিন হল শ্রেষ্ঠ দিন এদিনের অনেক ফজিলত ও নিয়ামত আল্লাহ তায়ালা নিহিত রেখেছেন পবিত্র কুরআনে জুম্মা দিয়ে তাই আল্লাহ তায়ালা একটি সূরার নাম রেখেছেন। জুমার দিনের গুরুত্বপূর্ণ আমল মর্যাদাপূর্ণ এই দিনের অনেক আমল হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে। কিছু আমল-

  1. গোসল করা। 
  2. উত্তম পোশাক পরিধান করা।
  3. সুগন্ধি ব্যবহার করা। 
  4. মনোযোগের সঙ্গে খুতবা শোনা
  5. কেনাবেচা বন্ধ রাখা
  6. দ্রুত মসজিদে যাওয়া
  7. সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করা
  8. দোয়ার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া
  9. বেশি বেশি দূরুদপাঠ করা
  10. সূরা কাহাফ শেষের দশ আয়াত পাঠ করা

জুমার দিনে মারা গেলে কি হয়

যেসব ব্যক্তি জুমার দিন ও রমজান মাসে মৃত্যুবরণ করবে আর তারা যদি ঈমান ও আমল ঠিক রেখে জীবন-যাপন করে মৃত্যুবরণ করে তবে সেসব ব্যক্তির জন্য জুমার দিন ও রমজান মাসই নয় বরং কেয়ামত পর্যন্ত থাকবে অনাবিল সুখ আর শান্তি। তারা পরকালের জীবনে থাকবে মঙ্গল।আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন, ‘নিশ্চয়ই যারা ঈমান আনে এবং সৎ কাজ করে, তাদের অভ্যর্থনার জন্য আছে ফেরদাউস বেহেশত। সেখানে তারা চিরস্থায়ী হবে; ওই স্থানের পরিবর্তে তারা অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হওয়াও কামনা করবে না।’ (সুরা কাহফ : আয়াত ১০৭-১০৮)।

আরো পড়ুনঃ আকিকা দেওয়ার নিয়ম

জুম্মার দিন বা হজের দিন বা অন্য যেকোনো মাসে মারা গেলে মৃত ব্যক্তি সাথে জান্নাত এবং জাহান্নামের কোন সম্পর্ক নেই জান্নাত এবং জাহান্নাম দের সম্পর্ক হল দুনিয়াতে মানুষের সঠিক আকিদা আমল ও দুনিয়ার জীবনে আল্লাহর উপর আস্থা ও অবিচল থাকা। ঈমান ও ভালো কাজের সঙ্গে থাকা আর এই মৃত্যু পরবর্তী জীবনে ঈমান কাজের ভিত্তিতে ও ফায়সালা হবে। যে ব্যক্তি সৎ কাজ করে ঈমানের সাথে মৃত্যুবরণ করবে সে জুম্মার দিনে মৃত্যুবরণ করুক অন্য যে কোন দিনে মৃত্যু বরণ করুক সে জান্নাতে উপনীত হবে।

আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে মুসলমান জুমার দিনে কিংবা জুমার রাতে মৃত্যুবরণ করবে, নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা তাকে কবরের ফেতনা থেকে বাঁচিয়ে রাখবেন। (তিরমিজি, হাদিস : ১০৯৫; মিশকাত, হাদিস : ১৩৬৭; মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ১১/১৪৭)

শেষ কথাঃ জুম্মার দিনে মহিলাদের নামাজ - জুম্মার দিনে মহিলাদের আমল

প্রিয় পাঠক আপনারা যারা এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন তারা নিশ্চয়ই জুম্মার দিনে মহিলাদের নামাজ জুম্মার দিনে মহিলাদের আমল সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পেরেছেন। জুম্মার দিনে মহিলাদের নামাজ জুম্মার দিনে মহিলাদের আমল আম্মুর সম্পর্কে ওলায়েমায়ে একরামগণ ইমাম বলে থাকেন আজানেরপর খুতবার প্রথম থেকে নামাজ শেষ পর্যন্ত এ সময়টুকু মহিলাদের জন্য দোয়া করার উত্তম সময়।

এই সময় মহিলারা বেশি বেশি আল্লাহর জিকির এবং দুরুদ পাঠ করবে এবং  অসীম সওয়াবের অধিকারী হবে। এবং আসরের নামাজের পর থেকে সূর্য অস্ত পর্যন্ত সময়টুকু দোয়া কবুলের উত্তম সময়। তাহলে আশা করি আজকের এই আর্টিকেল থেকে জুমার দিন মহিলাদের নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Skbd IT এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url