ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়

আশা করি সকলে ভালো আছেন। আর যারা ভালো নেই তাদের জন্য আজকের এই আয়োজন। আজকে আমরা ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব। যারা গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় ভুগছেন তারা ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় সম্পর্কে জেনে খুব সহজেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় অবলম্বন করে দূর করতে পারবেন। তার জন্য আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনাকে মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়

তাহলে আপনি ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় সম্পর্কে জেনে নিন।

সূচিপত্রঃ ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়

ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়

আমাদের সবার কমবেশি গ্যাস্টিক সমস্যা হয়ে থাকে আর এই সমস্যার মূল হল বাইরের ফাস্টফুড খাবার। এ খাবার গুলোর মাধ্যমে আমাদের শরীরের নানা রকম রোগের বাসা বাঁধে এবং গ্যাসের সমস্যায় আমরা ভুগে থাকি। তাই আপনাদের জন্য আমরা ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় সম্পর্কে কিছু তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছি।

আরো পড়ুনঃ স্কিন ক্যান্সারের লক্ষণ - স্কিন ক্যান্সার কেন হয়

অনেকে আছেন যারা ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে চান। তারা মনোযোগ সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন। আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনারা ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্টিক দূর করার উপায় সম্পর্কে জেনে চিরতরে মুক্তি দিতে পারবেন গ্যাস্ট্রিক।

পানিঃ পানি ছাড়া কোন প্রাণী বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। পানিতে রয়েছে বিভিন্ন কার্যকরী উপাদান। সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা জরুরী। তাই প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দুই গ্লাস পানি পান করলে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হবে।

আদাঃ বদহজম বা গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় আদা বিশেষ উপকারী একটি উপাদান। বুক জ্বালাপোড়া বদহজম এবং বমি ভাব,অম্বল ইত্যাদি নানা সমস্যা সমাধানে আদা অনেক উপকারী। আদা রস ভালো করে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে এক চামচ মধু মিশিয়ে দিনে দুইবার খেলে অনেক উপকার পাবেন। এছাড়াও আদা চিবিয়েও খেতে পারবেন।

টক দইঃ টক দই আমাদের শরীরকে ঠান্ডা রাখে এছাড়াও পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে। প্রতিদিন দুই থেকে তিন চামচ টক দই খেলে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা দূর হবে।

আলুর রসঃ হ্যাঁ বন্ধুরা আলুর রস, আমাদের গ্যাস্ট্রিক সমস্যা দূর করতে বিশেষভাবে কাজ করে থাকে। সপ্তাহে দুইদিন দুই টুকরো আলু ব্ল্যান করে রস বের করে গরম পানি দিয়ে মিশিয়ে খাবেন দিনে ৩ বার। আলুতে থাকে অ্যালকোহল যা গ্যাস্ট্রিক সমস্যা দূর করতে পারে। আর বাড়িতে যদি আলো থাকে তাহলে আজই এ পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন।

লেবু পানিঃ হালকা গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে গ্যাস্টিকের সমস্যা দ্রুত সমাধান হবে। এ লেবু পানিটি প্রাকৃতিক মূল বর্ধক হিসেবে কাজ করে এবং পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।

মৌরি পানিঃ মৌরি পানিতেও রয়েছে বিশেষ উপকারিতা। এটি আমাদের গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সমাধানও বিশেষভাবে কাজ করে থাকে। তাই প্রতিদিন সকালে মৌরি পানি ভিজানো পানিটি পান করবেন, এতে করে আপনার গ্যাসের সমস্যা দ্রুত দূর হবে।

জিরা পানিঃ জিরা পানির উপকারিতা ও অনেক যা বলে শেষ করা যাবে না। রান্নাঘরে সকলের জিরা রয়েছে, এই মসলাটি যেমন রান্নার স্বাদ বাড়াতে পারে তেমনি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ও দূর করতে পারে। রোজ নিয়ম করে যদি খালি পেটে জিরা পানি খান তাহলে নিমিষেই আপনি গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

তুলসিপাতাঃ তুলসী পাতা শুধু সর্দি কাশিতেই নয় এটি পেটের যেকোনো সমস্যা দূর করতে তুলসিপাতার ব্যবহার বেশ পুরোনো। এই পাতার নির্যাস গ্যাস্ট্রাইটিসে আক্রান্ত ইঁদুরের গ্যাস্ট্রিক মিউকোসার প্রদাহ কমানোর ক্ষেত্রে কার্যকরী বলে গবেষণায় জানা গেছে। নিয়মিত তুলসি পাতা খেলে ওষুধ ছাড়াই দূর হবে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ‌

গ্যাস্ট্রিক দূর করার খাবার

আপনারা যারা ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে আমাদের এই আর্টিকেলটি ওপেন করেছেন। তাদের জন্য আমরা গ্যাস্ট্রিক দূর করার খাবার সম্পর্কে আলোচনা করব। অনেক খাবার রয়েছে যেগুলো আমাদের গ্যাস্টিকের জন্য দায়ী এবং অনেক খাবার রয়েছে যেগুলো গ্যাস্ট্রিক দূর করার জন্য উপযোগী। তাহলে চলুন গ্যাস্টিক দূর করার খাবার সম্পর্কে জেনে আমরা গ্যাস্ট্রিক সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি নেব।

১। পুদিনা পাতা - পুদিনা পাতায় রয়েছে পেপারমিন্ট অয়েলে, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল যৌগ, যা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আপনাকে সাহায্য করবে।

২। ক্যামোমিল টি - ক্যামোমিল টি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার জন্য ও কার্যকরী ক্যামোমিল টি। এই ভেষজ চা নিয়মিত খেলে ওষুধ ছাড়াই দূর হবে গ্যাস্ট্রিক। ক্যামোমিল টি অনেক উপকারিতা রয়েছে এটি খেলে গ্যাস্ট্রিকের কারণে সৃষ্ট প্রদাহ কমানোর পাশাপাশি মুক্তি দেয় আলসার থেকেও। প্রতিদিন এক কাপ ক্যামোমিল টি পান করলে আপনার হজম ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করবে।

৩। কলা - কলাতে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান। কলা গ্যাস্টিকের সমস্যা সমাধানও বেশ উপকারী। কলাতে রয়েছে স্যালুবল ফাইবার এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। সারাদিনে অন্তত দুটো কলা খান। পেট পরিষ্কার রাখতে কলা একটি কার্যকরী ফল।

৪। কমলা - কমলা পাকস্থলীর অতিরিক্ত সোডিয়াম দূর করতে সহায়তা করে এবং গ্যাসের সমস্যা দূর করতেও বিশেষভাবে কাজ করে।

৫। ঠান্ডা দুধ - যারা গ্যাসের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য ঠান্ডা দুধ হতে পারে, একটি মহা ঔষধ।পাকস্থলির গ্যাসট্রিক অ্যাসিডকে নিয়ন্ত্রণ করে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দেয় ঠান্ডা দুধ। এক গ্লাস ঠান্ডা দুধ পান করলে অ্যাসিডি দূরে থাকে।

৬। খাবারের সরিষা যোগ - সরিষার গ্যাসটিক দূর করতে বিশেষভাবে কাজ করে থাকে, তাই প্রতিদিন রান্নার কাজে একটু করে সরিষা যোগ করুন।

৭। এলাচ ও লবঙ্গ - গ্যাস্টিকের মত সমস্যা দূর করতে এলাচ ও লবঙ্গ দুইটি বিশেষভাবে কাজ করে থাকেন।

৮। দারুচিনি - গ্যাস্টিক সমস্যা বা বদহজমের জন্য দারুচিনি ভূমিকা অনেক। এক গ্লাস পানিতে আধা চামচ দারুচিনির গুড়া মিশিয়ে দিনে তিনবার পান করুন তাহলে গ্যাসের সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাবেন চিরতরে।

৯। পেঁপে - পেঁপেতে রয়েছে পাপায়া নামক এনজাইম একটি উপাদান রয়েছে যা হজমশক্তি বাড়ায়। তাই নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন এবং গ্যাস থেকে বাঁচুন।

১০। শসা - শসা পেট ও শরীর দুটোই ঠান্ডা রাখতে অনেক বেশি কার্যকরী খাদ্য। শসায়  রয়েছে ফ্লেভানয়েড ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা পেটে গ্যাসের সমস্যায় কমায়।

গ্যাস্টিক দূর করা ব্যায়াম

শরীর সুস্থ রাখতে ব্যায়ামের ভূমিকা অপরিহার্য। প্রতিদিন  নিয়ম করে যদি ৩০ মিনিট হাঁটা যায় তাহলে আমাদের শরীর সুস্থ থাকবে এবং আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ও দূর হবে। তাই আমাদের উচিত প্রতিদিন সকালে ৩০ মিনিট করে হাঁটা এবং খাওয়ার পরে হাঁটাহাঁটি করা। খাওয়ার পরে হাঁটাহাঁটি করলে আমাদের পাকস্থলীর খাবারগুলো তাড়াতাড়ি হজম হয় এবং আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।

আরো পড়ুনঃ গলার ক্যান্সার থেকে বাঁচতে কি করবেন

এছাড়াও শারীরিক ব্যায়ামের ফলে আমাদের দেহ মন সতেজ ও সুন্দর থাকে। যারা অধিক গ্যাসের সমস্যায় ভুগছেন এবং গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্টিক দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে চান, তারা নিয়মিত খাবার খাওয়ার পর অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করুন।

গ্যাস্ট্রিক আলসার দূর করার উপায়

আলসার হলো, খোলা ঘা বা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল নালীর উপর ক্ষয়। আলসার একটি সাধারণ সমস্যা হলেও এর অবস্থা দিন দিন গুরুতর হয়ে ওঠে এবং এটি ক্যান্সারের আকার ধারণ করতে পারে। বেশ কিছু কারণে আলসারের মতো রোগের জন্ম নেয়। এছাড়াও ইবুপ্রফেনের মতো নির্দিষ্ট ওষুধের কারণে সৃষ্টি হয়। আলসার এর মেইন কারণ হলো গ্যাস্ট্রিক।

গ্যাস্ট্রিকের কারণে আলসারের মতো রোগে অনেকে আক্রান্ত হন। আজকের এ আর্টিকেলে আপনাদের আমরা ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় এবং গ্যাস্ট্রিক আলসার দূর করার উপায় সম্পর্কে কয়েকটি পদ্ধতি নিয়ম আপনাদের সামনে আলোচনা করব। গ্যাস্ট্রিক আলসার দূর করার এই উপায় গুলো আপনি যদি মানেন তাহলে অবশ্যই আলসার থেকে দূরে থাকতে পারবেন।

নারিকেল পানিঃ আনসার নিরময়ের জন্য নারিকেল পানি বেশ কার্যকরী একটি খাবার। কচি নারিকেলের পানি বা নারকেলের আঁশ এছাড়াও নারিকেলের দুধ খেলে আনসারের মতো রোগ নিরাময় হয়। নারিকেল পানিতে থাকা উপযুক্ত বৈশিষ্ট্য পেটের যাবতীয় সমস্যা দূর করে থাকে।

নারকেল তেলঃ যারা আলসারের মতো সমস্যায় ভুগছেন তারা খাবারে নারিকেলের তেল যুক্ত করুন। পেটে যে পদার্থ গুলো আলসারের মতো সমস্যা তৈরি করে তা দূর করতে এবং ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে নারকেল তেল বিশেষ কার্যকরী।

ফলের রসঃ আলসার থেকে দূরে থাকতে এবং ক্ষত সারাতে লেবুর রস এবং আঙ্গুরের রস প্রতিদিন নিয়ম করে সেবন করুন। এটি স্বাভাবিকভাবেই পেপটিক আলসার নিরাময় করে। এ এই ফলের রসগুলো আলসার নিরাময়ে কাজ করে থাকে।

রসুনঃ আলসার নিরাময়ে রসুন কার্যকরী। প্রতিদিন খাবারের সাথে নিয়ম করে রসুন খান আলসার থেকে মুক্তি পাবেন।

মধুঃ মধুতে রয়েছে সকল রোগ প্রতিরোধকারী ক্ষমতা। পাকস্থলের প্রদাহ কমাতে বা আলসারের ক্ষত সারাতে মধু বিশেষভাবে কাজ করে থাকে। তাই প্রতিদিন সকালে এক চামচ মধু সেবন করুন।

ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবারঃ ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার খেলে আপনার আনসারের মতো রোগ দূর হবে। এজন্য যেসব মাছে ভিটামিন ই রয়েছে এবং এবং ভিটামিন ই যুক্ত ফলমূল শাকসবজি ও কাজুবাদাম খেতে থাকুন।

কাঁচা মরিচঃ কাঁচা মরিচ একটি ঘরোয়া উপাদান। কাঁচা মরিচ আলসারের ঘা শুকাতে বিশেষভাবে কাজ করে এবং ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে।

কলাঃ কলায় রয়েছে গ্যাস্টিক আলসার প্রতিরোধকারী ক্ষমতা। কলা পেটের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে এবং আলসারের মতো রোগ প্রতিরোধ করে।

মেথি পাতাঃ পাকস্থলীর আলসার নিরাময় করতে এক কাপ পানিতে মেথি পাতা ফোটান। এক চিমটি লবণ যোগ করুন। দিনে দু’বার এই উষ্ণ গরম পানিটি পান করুন পেট সুস্থ করার জন্য।

বাঁধাকপিঃ আলসার থেকে যদি মুক্তি পেতে চান তাহলে প্রতিদিন নিয়ম করে ঘুমোতে যাওয়ার আগে বাঁধাকপি পাতার রস সেবন করুন।

গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যথা দূর করার উপায়

অনেক সময় গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে আমাদের বুক ব্যথা সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে। এ সমস্যা থেকে বাঁচতে ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় সম্পর্কে অনেকের জানা জরুরী। কারণ চট জলদি এই গ্যাস্ট্রিক সমস্যা সমাধানে ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় সম্পর্কে জেনে থাকলে এই গ্যাস্টিক সমস্যা দ্রুত নিষ্পত্তি করা সম্ভব।

গ্যাস্ট্রিকের বুক ব্যথা একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। গ্যাসের মাধ্যমে যখন আমাদের বুকের ব্যথা সৃষ্টি হয় তখন সেটা খুবই কষ্ট জনক হয়ে থাকে। আর এ থেকে বাঁচতে অবশ্যই আমাদের সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরী। অনেক সময় ডাক্তারেরা গ্যাস্টিকের জন্য ফলের রস খেতে খেতে নিষেধ করেন। কারণ অনেক ফলে উচ্চমাত্রায় শর্করা আঁশ ও এসিড সমৃদ্ধ উপাদান থাকে। যা খেলে আমাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেড়ে যায় এবং বুক ব্যাথার সৃষ্টি হয় ।

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে বাঁচতে নিয়মিত সবুজ শাকসবজি খেতে পারেন। সবুজ শাকসবজির রস কিংবা আলুর রস খেতে পারেন কারণ এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ উপাদান যা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দ্রুত সমাধান করে।

গ্যাস্ট্রিক দূর করার দোয়া

রোগ প্রতিবাদ করার জন্য আমরা বিভিন্ন খাদ্য খেয়ে থাকি যে খাদ্যের মাধ্যমে আমাদের রোগ প্রতিরোধ হবে। মানুষের শরীর বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে, তেমনি একটি হল গ্যাস্ট্রিক । এই গ্যাস্ট্রিক সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আমরা ইতিমধ্যে অনেক কিছু আলোচনা করেছি।

শুধু চিকিৎসা ক্ষেত্রে যে অসুখের নিরাময় হয়ে থাকে তা নয়। কিছু কিছু দোয়া আল্লাহতালা কুরআনুল কারীমে নাজিল করেছেন। যে দোয়া আমলের মাধ্যমে আল্লাহ তা'আলা আমাদের শেফা দান করে থাকেন। আজকে আমরা গ্যাস্ট্রিক দূর করার দোয়া সম্পর্কে জানব এ দোয়া আপনার পেটের পিরা সহ পেট ব্যথার জন্য বিশেষ কার্যকারী একটি আমল। এ দোয়া পাঠ করলে আপনার পেটের ব্যথা দূর হবে।

আরো পড়ুনঃ ক্যান্সারের লক্ষণ ও প্রতিকার

উসমান ইবনে আবুল আস আস-সাকাফি (রা.)-এর ব্যাপারে বর্ণিত রয়েছে, তিনি একবার রাসুল (সা.)-এর কাছে পেটের ব্যথার কথা জানান। তিনি বলেন, ব্যথা আমাকে অস্থির করে তুলেছে। তখন রাসুল (সা.) বলেন, ‘তুমি তোমার ব্যথার স্থানে ডান হাত রেখে তিনবার বিসমিল্লাহ বোলো। এরপর সাতবার বলো

أعوذُ باللهِ و قُدرتِه من شرِّ ما أَجِدُ و أُحاذِرُ

উচ্চারণঃ আউজু বি-ইজ্জাতিল্লাহি ওয়া কুদরাতিহি মিন শাররি মা আজিদু ওয়া উহাজিরু।

অর্থঃ আল্লাহর মর্যাদা ও তার কুদরতের উসিলায় আমি যা অনুভব এবং ভোগ করছি, তা থেকে মুক্তি চাচ্ছি।{মুসলিম, হাদিসঃ ৪১৯৯, আবু দাউদ, হাদিসঃ ৩৮৫১}

আল্লাহতালা উক্ত দেয়ার মাধ্যমে আমাদের পেটের সকল পীড়া এবং পেট ব্যাথা দূর করুক।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়ঃ শেষ কথা

প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই আর্টিকেলে ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়, গ্যাস্ট্রিক দূর করার খাবার, গ্যাস্টিক দূর করা ব্যায়াম, গ্যাস্ট্রিক আলসার দূর করার উপায়, গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যথা দূর করার উপায়, গ্যাস্ট্রিক দূর করার দোয়া সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনারা উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেল থেকে জানতে পেরেছেন।

এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল আরো পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। কারন আমাদের ওয়েবসাইটের নিয়মিত এ ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন