ডেঙ্গু জ্বরের ১৭টি লক্ষণ - ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয়

আসসালামু আলাইকুম, আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের জন্য আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন নিয়ে হাজির হয়েছি। ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ এবং ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় সম্পর্কে আজকে আমরা আলোচনা করব। এ সময় অনেকে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাই ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ এবং ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে। হয়তো আপনিও কোন সময় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হতে পারেন।

ডেঙ্গু জ্বরের ১৭টি লক্ষণ

তাই আজকের এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ এবং ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন। তাহলে আর দেরি  কেন চলুন গুরুত্ব সহকারে আমরা ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ এবং ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

সূচিপত্রঃ ডেঙ্গু জ্বরের ১৭টি লক্ষণ - ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয়

ডেঙ্গু জ্বর কি

আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের আমরা ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ এবং ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। ডেঙ্গু একটি মারাত্মক রোগ। সময় মতো চিকিৎসা না গ্রহণ করলে আপনি মারা যেতে পারেন। বারোমাসি আমাদের শরীর কোন না কোন রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। গ্রীষ্মকালীন সময়ে একটি রোগ আছে যা এই সময় বেশি দেখা দিয়ে থাকে।

আরো পড়ুনঃ গর্ভবতী মায়েদের ঘুমানোর সঠিক পজিশন

গ্রীষ্মকালীন সময়ে আমরা ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। এটি একটি গ্রীষ্মকালীন রোগ। একটি এডিস মশার কামড়ে মাধ্যমে যে রোগ ছড়িয়ে থাকে সেটাই ডেঙ্গু জ্বর। এবং এডিস মশা কামড়ানোর ৩ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ প্রকাশ পায়। আশা করি ডেঙ্গু জ্বর কি তা ওপরের আলোচনা থেকে বুঝতে পেরেছেন। এবার চলুন এই ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ কি সে বিষয়ে নিচে আলোচনা করা হলো।

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ

ডেঙ্গু জ্বর গ্রীষ্মকালীন সময়ের একটি মারাত্মক রোগ এর রোগের প্রতিবছরই অনেক মানুষ মারা যায়। এর কারণ হলো সঠিক সময়ে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ না বুঝা। তাই আমাদের সকলের গ্রীষ্মকালীন সময়ে সচেতন হতে হবে। ডেঙ্গু রোগ হলে বা এরকম কোন সম্ভাবনা দেখা দিলে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ সম্পর্কে  ভালোভাবে জানতে হবে।

তাই আপনাদের সুবিধার্থে আমরা ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ সম্পর্কে নিজে আলোচনা করব। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে প্রথমবার ডেঙ্গু-তে আক্রান্ত রোগীর বিশেষ কোন উপসর্গ বা লক্ষণ দেখা যায় না। শুধু অল্প কিছু ক্ষেত্রেই রোগের প্রভাব গভীর হয়। 

ডেঙ্গুর সাধারণ উপসর্গ গুলি হলঃ

১। উচ্চ জ্বর যার তাপমাত্রা ৯৯ থেকে ১০৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত তাপমাত্রা উঠতে পারে।

২। তীব্র মাথার যন্ত্রণা

৩। চোখের পিছনে ব্যথার অনুভূতি 

৪। মাংসপেশি এবং অস্থি সন্ধি (bone) তে যন্ত্রণা 

৫। বমিভাব

৬। মাথাঘোরা

৭। গ্রন্থি ফুলে যাওয়া 

৮। ত্বকে বিভিন্ন স্থানে ফুসকুড়ি

এই উপসর্গ গুলি রোগ সংক্রমণের ৪ থেকে ১০ দিনের মধ্যে দেখা দেয়। সাধারণত ২ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত উপসর্গ স্থায়ী হতে পারে। দ্বিতীয় বার ডেঙ্গু তে আক্রান্ত হলে রোগের ভয়াভয়তা বৃদ্ধি পায়। সেই কারনে পূর্বে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের খুব সতর্কতার সাথে সচেতন থাকা জরুরী। এছাড়াও ডেঙ্গু জ্বরের কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপসর্গ রয়েছে। তা আপনাদের সামনে আমরা তুলে ধরবো।

ডেঙ্গুর গুরুতর উপসর্গ গুলি হোলঃ

১। প্রচণ্ড পেট ব্যথা

২। ক্রমাগত বমি হওয়া

৩। মারি বা নাক থেকে রক্তপাত

৪। প্রস্রাবে এবং মলের সাথে রক্তপাত

৫। অনিয়ন্ত্রিত পায়খানা 

৬। ত্বকের নিচে রক্তক্ষরণ (যা ক্ষতের মতো দেখাতে পারে)

৭। দ্রুত শ্বাস প্রশ্বাস

৮। শরীর ক্লান্ত অনুভব হওয়া

৯। বিরক্তি এবং অস্থিরতা

ডেঙ্গুর জীবাণু গুলো মানুষের শরীরের প্রবেশ করে রক্তনালীগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ফলে রক্তনালীতে ছিদ্র তৈরি হয়। রোগীর শরীরে গুরুতর উপসর্গ গুলির কোন একটি দেখা দিলে অতি অবশ্যই দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা জরুরী। এছাড়াও রোগী কে নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা হাসপাতালে ভর্তি করা উচিত। নাহলে রোগীর জীবন ঝুঁকি পূর্ণ হবে।

ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা

ডেঙ্গু জ্বর হলে অনেক সময় আমরা ভেঙে পরি এবং ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ সম্পর্কে এবং ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের আমরা ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে জানাবো। গ্রীষ্মকালীন সময়ে অনেকে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন এবং রোগ থেকে বাঁচতে অবশ্যই ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা করা জরুরী।

তবে ডেঙ্গুর চিকিৎসার বিশেষ কোন ওষুধ বা প্রতিষেধক এখনো পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি। ডেঙ্গু রোগ সম্পর্কে গবেষকরা কাজ করে যাচ্ছেন। বেশিরভাগ সময় ডেঙ্গু রোগ ঘরোয়া চিকিৎসাতেই কমে  থাকে। ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা অনুযায়ী চিকিৎসকরা পেরাসিটামিল জাতীয় ওষুধ দিয়ে যন্ত্রণা এবং জ্বরের মাত্রা স্বাভাবিক এ নিয়ে আসেন।

Non-steroidal প্রদাহ-প্রতিরোধী ওষুধের রক্ত ক্ষরণের সম্ভাবনা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। রোগের মাত্রা যদি অতিরিক্ত ভাবে বৃদ্ধি পায় তাহলে অবশ্যই রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা জরুরী। হাসপাতালে যখন রগীকে ভর্তি করা হয় তখন ডেঙ্গু রোগীদের শিরায় (IV) ইলেক্ট্রোলাইট (লবণ) তরল দেওয়া হয়। এতে শরীরে প্রয়োজনীয় পানি এবং লবণের যোগান বজায় রাখতে সাহায্য করে।

ডেঙ্গু জ্বর কতদিন থাকে

ডেঙ্গু একটি ভয়াবহ ভাইরাস জনিত রোগ। এ রোগটি যেমন দ্রুত ছড়ায় তেমনি এ রোগটি সেরে উঠতে কিছুটা সময় লাগে। ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত তিন থেকে ছয় দিন পর্যন্ত থাকতে পারে কোন কোন সময় আবার সর্বোচ্চ ১০ দিনও সময় নিয়ে থাকে।

আরো পড়ুনঃ ক্যান্সারের লক্ষণ ও প্রতিকার

জ্বর ভালো হয়ে যাওয়ার ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টাকে বলা হয় সংকটকাল এই সময়টা রোগের জন্য খুবই ভয়াবহ এবং প্রাণ ঝুঁকিপূর্ণ সময়। কারণ, ডেঙ্গু রোগজনিত বিভিন্ন জটিলতা এ সময়ে হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই আপনার ডেঙ্গু রোগ কোন লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

ডেঙ্গু জ্বর হলে গোসল করা যাবে কি

ডেঙ্গু হলে গোসল করা যাবে কি এ বিষয়ে অনেকেরই মতবাদ রয়েছে। অনেকেই মনে করেন জ্বর হলে গোসল করা যাবে না কারণ এতে করে আপনার সর্দি-কাশি বা জ্বরের আশঙ্কা আরও তীব্রভাবে বেড়ে যাবে কিন্তু এ ধারণাটা ভুল। কারণ গোসল করলে আমাদের শরীর ফ্রেশ এবং সতেজতা ফিরে আসে।

কিন্তু আমাদের দেশে অনেক সময় দেখা দেয় জ্বর হলে মাথায় পানিপট্টি সারা শরীর মোচ করে থাকে কিন্তু গোসল করতে চায় না। কিন্তু আপনি যদি গোসল না করেন তাহলে আপনি একটু অস্বস্তি বোধ করবেন আপনার শরীর হাত অন্যরকম অনুভূতি হবে এবং মাথা ঘোরা এবং অস্বস্তি বোধ করবেন।

জ্বরে অনেক সময় আমাদের শরীর ঘেমে অস্বস্তি বোধ হয়। জ্বরের সময় যদি আপনি গোসল করেন তাহলে আপনার ঘামগুলো ধুয়ে সতজতা ফিরে আসবে এবং আপনি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে পারবেন।

জ্বরে আক্রান্ত রোগীর মাথা ঘোরা, দুর্বলতা অনুভব হতে পারে। রোগীর শুয়ে থাকা এবং বাথরুমে হাঁটা থেকে দ্রুত উঠে দাঁড়াতে অসুবিধা হতে পারে। তাই রোগীকে ধীরে ধীরে ওঠাবসা করতে হবে এবং  প্রয়োজন হলে রোগী কারো সাহায্য নিবে।

গোসলের সময় বেশিক্ষণ ভেজা থাকা উচিত নয় এতে করে রোগীর ঠান্ডা লাগা এবং জ্বরে তীব্রতা বেড়ে যেতে পারে। তাই গোসলের পর শরীর ও মাথা ভালো করে মুছে নিতে হবে। তাই ডেঙ্গু জ্বর হলে আপনি অবশ্যই গোসল করতে পারবেন।

ডেঙ্গু জ্বর কি ছোঁয়াচে

ডেঙ্গু রোগ কিছু আছে এ বিষয়ে অনেকেই জানতে চাই কারণ ডেঙ্গু একটি ভাইরাস জনিত সংক্রমণ রোগ যা গ্রীষ্মকালে এইডস রোগটি বেশি ছড়িয়ে থাকে। এক্স এ রোগ সংক্রমনের প্রধান কারণ হলো মশার কামড়। একটি এডিস মশার কারণে এরা কি ছড়িয়ে থাকে।

ডেঙ্গু কোন ছোঁয়াচে রোগ নয় বলে অনেক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, অর্থাৎ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে স্পর্শ করলে, একই বিছানায় ঘুমালে কিংবা তার ব্যবহৃত কিছু ব্যবহার করলে, অন্য কারো এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

এই রোগ শুধুমাত্র মশার মাধ্যমেই ছড়ায়। তাই কেউ যদি ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয় সেখানে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগীর সাথে আপনি কোন ভয় ছাড়াই উঠাবসা করতে পারবেন।

ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয়

এই সময় ডেঙ্গু জ্বর বেড়ে যায়। ডেঙ্গু রোগটি ভাইরাসজনিত। সাধারণত, জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকে। আপনি যদি ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ এবং ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় সম্পর্কে জানতে হবে।

ডেঙ্গু জ্বরের তাপমাত্রা ৯৯ থেকে ১০৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত তাপমাত্রা উঠতে পারে।এই জ্বর টানা থাকতে পারে, আবার ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে দেওয়ার পর আবারও আসতে পারে। এর সঙ্গে শরীরে ব্যথা, মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা ইটান দিয়ে বিভিন্ন উপসর্গ গুলো দেখা দিয়ে থাকে।

আপনার যদি ডেঙ্গু জ্বর প্রকাশ পায় তাহলে আপনি হসপিটালে না গিয়ে বাড়িতে থেকে ডেঙ্গু জ্বরের করণীয় সম্পর্কে জিনিসপত্র হতে পারবেন।

ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয়ঃ

১। বাড়িতে পরিপূর্ণ বিশ্রাম গ্রহণ করতে হবে।

২। প্রচুর তরলজাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। ডাবের পানি, লেবুর শরবত, ফলের জুস এবং খাবার স্যালাইন পান করুন একটু পরপর।

৩। ডেঙ্গু জ্বর হলে প্যারাসিটামল খেয়ে জ্বর কমানো হয়ে থাকে।

৪। কমলালেবুতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ কমানোর পাশাপাশি ভাইরাসের প্রকোপ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৫। অলিভ, সয়াবিন, ব্রকোলি, ফুলকপি, টমেটো প্রভৃতি সবজি শরীরের রক্তের প্রবাহকে স্বাভাবিক রাখে ফলে রক্ত জমাট বাধতে পারে না। এর ফলে প্লাটিলেটের মাত্রাও সঠিক থাকে। তাই প্রচুর পরিমাণে সবজি খান।

৬। স্বাভাবিক ওজনের একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি প্রতিদিন সর্বোচ্চ আটটি প্যারাসিটামল খেতে পারবে। কিন্তু কেউ যদি লিভার, হার্ট এবং কিডনি সংক্রান্ত কোন রোগ থাকে, তাহলে প্যারাসিটামল সেবনের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

৭। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে গায়ে ব্যথার জন্য অ্যাসপিরিন, ক্লোফেনাক, আইবুপ্রোফেন–জাতীয় ওষুধ খাওয়া যাবে না। ডেঙ্গুর সময় এ জাতীয় ওষুধ গ্রহণ করলে রক্তক্ষরণ হতে পারে।

৮। এতক্ষণ আমরা ডেঙ্গু রোগে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করলো ডেঙ্গু রোগ হলে আপনার অবশ্যই কিছু করণীয় রয়েছে তা মানা যেমন জরুরী, তেমনি ডেঙ্গু রোগ হলে কিছু নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে সেগুলো আপনাকে মানতে হবে চলুন তাহলে ডেঙ্গু রোগ হলে যা করবেন না সে বিষয়ে জেনে নিন।

আরো পড়ুনঃ ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধের উপায়

ডেঙ্গু রোগ হলে যা করবেন নাঃ

১। ডেঙ্গু জ্বরের ক্ষেত্রে প্লাটিলেট এখন আর কোন জটিল বিষয় নয়। প্লাটিলেট হিসাব নিয়ে অতিরিক্ত ভাবনার কোনো প্রয়োজন নেই।

২। প্লাটিলেট কাউন্ট ১০ হাজারের নিচে নামলে বা শরীরের কোনো জায়গা থেকে রক্তপাত হলে প্রয়োজন বোধে প্লাটিলেট বা ফ্রেশ রক্ত দেওয়া যেতে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতি খুবই কম দেখা যায়।

৩। অনেকে বলেন, পেঁপেপাতার জুস অনিম পাতা ইত্যাদি খেলে প্লাটিলেট বাড়ে। আসলে এসবের কোনো ভূমিকা নেই। জ্বর কমে যাওয়ার পর সংকটকাল পেরিয়ে গেলে এমনিতেই থেকেই প্লাটিলেট বাড়তে শুরু করে।

৪। জ্বরের শেষের দিকে রক্তচাপ কমে যেতে পারে অথবা মাড়ি, নাক, মলদ্বার দিয়ে রক্তপাত হতে পারে। এ রকম হলে প্রয়োজনে শিরাপথে স্যালাইন দেওয়া হয়ে থাকে। তাই এমন কোন সম্ভাবনা দেখা গেলে অবশ্যই আপনাকে হসপিটালে ভর্তি হতে হবে।

ডেঙ্গু জ্বরের ১৭টি লক্ষণ - ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয়ঃ শেষ কথা

প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই আর্টিকেলে ডেঙ্গু জ্বর কি? ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ, ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা, ডেঙ্গু জ্বর কতদিন থাকে? ডেঙ্গু জ্বর হলে গোসল করা যাবে কি? ডেঙ্গু জ্বর কি ছোঁয়াচে? ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি একজন সচেতন নাগরিক হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে এ বিষয়গুলো বিস্তারিত জেনে নিতে হবে।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল আরো পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের নিয়মিত এ ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url