ঈদুল আযহার দিন কোন কাজগুলো করতে হবে

আশা করি সকলেই ভালো আছেন আপনারা যারা আমাদের এই আর্টিকেলটি গুগলের সার্চ করে ওপেন করেছেন তারা ঈদুল আযহার দিন কোন কাজগুলো করতে হবে সে বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। পবিত্র ঈদুল আযহা মুসলমানদের জন্য একটি উৎসবের দিন। এই দিনে আমাদের বিশেষ কিছু কাজ রয়েছে যা আমাদের জানতে হবে।

ঈদুল আযহার দিন কোন কাজগুলো করতে হবে

ঈদুল আযহার দিন কোন কাজগুলো করতে হবে সে বিষয়ে আজকে আমরা আলোচনা করব। যারা ঈদ উল আযহার দিন কোন কাজগুলো করতে হবে এ বিষয়ে জানতে চান তারা আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকুন। তাহলে আসুন কথা না বাড়িয়ে ঈদুল আযহার দিন কোন কাজগুলো করতে হবে সে বিষয়ে জেনে নিন।

সূচিপত্রঃ ঈদুল আযহার দিন কোন কাজগুলো করতে হবে

ঈদের দিনের সুন্নত আল কাউসার

ঈদুল আযহার দিনের প্রধান আমল-কুরবানী। কুরবানী শা‘আইরে ইসলাম তথা ইসলামী নিদর্শনাবলীর অন্যতম। ঈদের নামাজ পড়ার পর ফিরিশতাগণের মাঝে একজন ঘোষণা দেন- তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের ক্ষমা করে দিয়েছেন। সুতরাং তোমরা সফলতার পতাকা নিয়ে নিজের বাড়ি ফিরে যাও। এ দিনটি হচ্ছে পুরস্কার প্রদানের দিন। আকাশে এ দিনকে পুরস্কারের দিনই নামকরণ করা হয়েছে।" {তাবরানি}

আরো পড়ুনঃ কাজা নামাজ কিভাবে পড়বো - কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম

১। ভোরে উঠে নিজ এলাকার মসজিদে ফজর নামাজ জামায়াতে আদায় করে দৈহিক ও মানসিকভাবে ঈদের নামাজ আদায় করার প্রস্তুতি গ্রহণ করা।

২। মিসওয়াক করাসহ ভালোভাবে গোসল করা।

৩। সুগন্ধি ব্যবহার করা।

৪। সাধ্যানুযায়ী সুন্দর, পবিত্র ও উত্তম পোশাক পরিধান করা।

৫। সাদকাতুল ফিতর যার উপর ওয়াজিব তা ঈদের নামাজের পূর্বেই আদায় করা।

৬। ঈদগাহে যথাশীঘ্র আগে যাওয়া

৭। সামর্থ অনুযায়ী দান-খয়রাত করা।

৮। ঈদুল ফিতর নামাজের আগে কিছু খাওয়া এবং ঈদুল আজহায় কুরবানির পর খাওয়া।

৯। পায়ে হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া।

১০। ঈদগাহে এক রাস্তায় যাওয়া এবং অন্য রাস্তায় আসা।

১১। ধীরস্থিরভাবে ঈদগাহে যাওয়া।

১২। কুরবানি ঈদের দিন যে লোক নিজের পক্ষ থেকে কুরবানি করবে, তার জন্য ঈদের নামাজ ও কুরবানির জন্তু জবেহ করার পর নখ ও লোম কাটা মুস্তাহাব। এতে করে হাজিদের সাথে তার সামঞ্জস্য ঘটে।

ঈদুল ফিতরের সুন্নত সমূহ

মুসলিমদের ঈদের দিন একটি পবিত্র ও ইবাদতের দিন। এদিন শুধু উৎসবের নয়। আনন্দের পাশাপাশি ইবাদতটাই মূখ্য এ দিনে। আজকের এই আর্টিকেলে ঈদুল আযহার দিনে কোন কাজগুলো করতে হবে এই বিষয়ে আপনাদেরকে আমরা বিস্তারিত ভাবে জানাবো এখন চলুন ঈদুল ফিতরের সুন্নত সমূহ কি তা জেনে নিন।

ঈদের দিন রয়েছে ১৩ টি সুন্নত জেনে নিন বিষয়গুলোঃ

১. অন্যদিনের তুলনায় সকালে ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়া। [বায়হাকী, হাদীস নং-৬১২৬]

২. মিসওয়াক করা। [তাবয়ীনুল হাকায়েক-১/৫৩৮]

৩. গোসল করা। [ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৩১৫]

৪. শরীয়তসম্মত সাজসজ্জা করা। [বুখারী, হাদীস নং-৯৪৮]

৫. সামর্থ অনুপাতে উত্তম পোশাক পরিধান করা। [বুখারী, হাদীস নং-৯৪৮, মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস নং -৭৫৬০]

৬. সুগন্ধি ব্যবহার করা। [মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস নং-৭৫৬০]

৭. ঈদুল ফিতরে ঈদগাহে যাবার আগে মিষ্টি জাতীয় যেমন খেজুর ইত্যাদি খাওয়া। তবে ঈদুল আযহাতে কিছু না খেয়ে ঈদের নামাযের পর নিজের কুরবানীর গোশত আহার করা উত্তম। [বুখারী, হাদীস নং-৯৫৩, তিরমিজী, হাদীস নং-৫৪২, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-১৬০৩]

৮. সকাল সকাল ঈদগাহে যাওয়া। [আবু দাউদ, হাদীস নং-১১৫৭]

৯. ঈদুল ফিতরে ঈদগাতে যাওয়ার পূর্বে সদকায়ে ফিতর আদায় করা। [দারাকুতনী, হাদীস নং-১৬৯৪]

১০. ঈদের নামায ঈদগাহে আদায় করা, বিনা অপরাগতায় মসজিদে আদায় না করা। [বুখারী, হাদীস নং-৯৫৬, আবু দাউদ, হাদীস নং-১১৫৮]

১১. যে রাস্তায় ঈদগাতে যাবে, সম্ভব হলে ফিরার সময় অন্য রাস্তা দিয়ে ফিরা। [বুখারী, হাদীস নং-৯৮৬]

১২. পায়ে হেটে যাওয়া। [আবু দাউদ, হাদীস নং-১১৪৩]

১৩. ঈদুল ফিতরে ঈদগাহে যাবার সময় আস্তে আস্তে এই তাকবীর পড়তে থাকাঃ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ

ঈদুল আযহার দিন কোন কাজগুলো করতে হবে

মুসলমানদের জন্য ঈদুল আযহা ত্যাগ ও আনন্দের একটি শুভক্ষণ বা দিন। ইসলামে দিনটিকে আনন্দ ও সাজসার মাধ্যমে অতিবাহিত করতে বলেছেন। ঈদুল আযহার দিন কোন কাজগুলো করতে হবে  সে বিষয়ে চলুন জেনে নিন।

আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ঈদের নামাজে যাওয়ার আগে গোসল করতেন। (মুয়াত্তা ইমাম মালিক)

উত্তম পোশাক পরিধান - ঈদের দিন রাসুল (সা.) ভালো পোশাক পরিধান করতেন। হাদিসে আছে, রাসুল (সা.)-এর লাল ও সবুজ ডোরার একটি চাদর ছিল, তিনি তা দুই ঈদ ও জুমার দিন পরিধান করতেন।

সুগন্ধি ব্যবহার - সুগন্ধি ব্যবহার সুন্নাত।

আর ঈদের দিনে রাসুল (সা.) বিশেষভাবে সুগন্ধি ব্যবহার করতেন। রাসুল (সা.)-এর তিনটি পছন্দনীয় জিনিসের মধ্যে একটি হলো সুগন্ধি। তাই ঈদের দিনের পোশাক পরিধানের পর সুগন্ধি ব্যবহার করা চাই।

ঈদের দিনে খাওয়া - কোরবানির দিনে ঈদের নামাজের আগে কিছু না খাওয়া মুস্তাহাব।

নবী করিম (সা.) ঈদুল আজহার দিন কিছুই খেতেন না, যে পর্যন্ত ঈদের নামাজ আদায় করতেন। (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ)

ঈদগাহে যাওয়া - ঈদগাহে একপথ দিয়ে যাওয়া ও অন্যপথ দিয়ে ফেরা সুন্নাত। (বুখারি, হাদিস : ৯৮৬) সম্ভব হলে ঈদগাহে পায়ে হেঁটে যাওয়াও সুন্নাত। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১০৭১)

তাকবির পাঠ করা - ঈদের দিন তাকবির পাঠের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলাকে বেশি বেশি স্মরণ করা সুন্নাত। পুরুষরা এ তাকবির উঁচু আওয়াজে পাঠ করবে, মেয়েরা নীরবে।

এ তাকবির জিলহজ মাসের ৯ তারিখ থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত পাঠ করবে। (ফাতহুল বারি : ২/৫৮৯)

ঈদের নামাজ আদায় - ঈদের নামাজ সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ। ঈদের নামাজ সব নফল নামাজের মধ্যে ফজিলতপূর্ণ। ঈদের নামাজের আগে ও ফজরের নামাজের পরে কোনো নামাজ নেই। ঈদের নামাজের কোনো আজান ও ইকামত নেই।

আরো পড়ুনঃ তওবা নামাজের গুরুত্ব - তওবা নামাজের নিয়ম

শুভেচ্ছা বিনিময় - ঈদের দিনে ছোট-বড় সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করা সুন্নাত। ঈদের দিনে সাহাবায়ে কিরামদের সম্ভাষণ ছিল—‘তাক্বাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকা’।

কোরবানি করা - ঈদুল আজহার দিনে সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব। কোরবানির গোশত নিজে খাবে, নিজের পরিবারবর্গকে খাওয়াবে, আত্মীয়-স্বজনকে হাদিয়া-তোহফা দেবে ও গরিব-মিসকিনকে দান করবে।

মুস্তাহাব হলো, কোরবানির গোশত তিন ভাগে ভাগ করা। ১. নিজ পরিবার-পরিজনের জন্য এক ভাগ। ২. আত্মীয়-স্বজনের জন্য এক ভাগ। ৩. দরিদ্রদের জন্য এক ভাগ। আর যদি পরিবারের লোকসংখ্যা বেশি হয়, তাহলে কোরবানির সব গোশত খেলেও অসুবিধা নেই। (শামী ৫/২০৮)

পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা - ঈদুল আজহায় পশুর রক্ত, আবর্জনা ও হাড় থেকে যেন পরিবেশ দূষিত না হয়, সে দিকে প্রত্যেক মুসলমানের সতর্ক হওয়া উচিত। কোরবানি শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রক্ত, আবর্জনা ও হাড় নিরাপদ দূরত্বে নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলে দিতে হবে। বেশির ভাগ লোকই নিজস্ব জায়গায় পশু জবাই করে।

এতে করে অলিগলিতে বর্জ্য যেমন পড়ে, তেমনি রক্ত পড়ে দূষিত হয় পরিবেশ, চলাচলের অনুপযোগী হয় রাস্তাঘাট। তাই ঈদুল আজহায় পশুর রক্ত, আবর্জনা পরিষ্কারে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবেও উদ্যোগ গ্রহণ করে পরিবেশ দূষণের হাত থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য কাজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ।

ঈদুল আজহায় বর্জনীয়

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ঈদুল আযহা হয় কোন কাজগুলো করতে হবে সে বিষয়ে ইতিমধ্যে জানতে পেরেছি। আচ্ছা আমাদের মুসলমানদের কাছে একটি বড় উৎসব অতি আনন্দের সাথে আমরা অতিবাহিত করে থাকি। তাই এই ঈদুল আযহা কোন কাজগুলো করতে হবে সে বিষয়ে আমাদের খেয়াল রাখা জরুরী এবং ঈদুল আযহা কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো সচরাচর আমরা করে থাকি কিংবা ভেবে থাকি সেগুলো থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে।

ঈদের দিনে রোজা - ঈদের দিনে রোজা রাখা হারাম। ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিনে রোজা রাখতে নিষেধ করেছেন। (সহিহ বুখারি ও মুসলিম)

ঈদের দিনকে কবর জিয়ারতের জন্য নির্দিষ্ট করা - ঈদের দিনকে কবর জিয়ারতের বিশেষ দিন মনে করে জিয়ারত করা বিদআত (সহিহ ফিকহুস সুন্নাহ : ১/৬৬৯), তবে পূর্বনির্ধারিত রুটিন ছাড়া হঠাৎ সুযোগ হয়ে গেলে একাকী কেউ জিয়ারত করলে দোষণীয় নয়।

ঈদের সালাত আদায় না করে শুধু আনন্দ-ফুর্তি করা - অনেকে ঈদের আনন্দে মশগুল হয়ে নতুন জামা-কাপড় পরিধান, সেমাই, ফিরনি ইত্যাদি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে, ঈদের সালাত আদায় করার কথা ভুলে যায়। অথচ এই দিনে ঈদের সালাত ও কোরবানি করাই হচ্ছে মুসলমানদের মূল কাজ।

কোরবানির কোনো কিছু বিক্রি করা - কোরবানির গোশত, চামড়া ও এর কোনো অংশ বিক্রি করা যাবে না। অর্থাৎ বিক্রি করে নিজে উপকৃত হওয়া যাবে না। এমনকি কসাইকে পারিশ্রমিকস্বরূপ গোশত দেওয়া নিষিদ্ধ। (বুখারি, হাদিস : ১৭১৭, মুসলিম, হাদিস : ১৩১৭) তবে সাধারণভাবে তাকে খেতে দেওয়ায় অসুবিধা নেই।

গান-বাজনা করা, অশ্লীল সিনেমা ও নাটক দেখা - ঈদের দিন উপলক্ষে যেখানে গান-বাজনা, অবাধে নারী-পুরুষ বিচরণ ইত্যাদির আয়োজন থাকে, এমন মেলা আয়োজন করা, অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা দেওয়া সম্পূর্ণ হারাম।

অনুরূপ ঈদ উপলক্ষে বাড়িঘরে গান-বাজনার বিশেষ আয়োজন, নারী-পুরুষের বিশেষ সাক্ষাৎ ও অবাধে যেখানে-সেখানে ঘোরাফেরা অমুসলিমদের কালচার। মুসলিমদের জন্য এগুলো সম্পূর্ণ হারাম। (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৪৯, সুরা লুকমান, আয়াত : ৬

ঈদের দিনের সুন্নত কাজ কয়টি

ঈদের দিনের সুন্নত কাজ সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব। ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতর বছরে দুইটি ঈদ আমরা সকলেই উদযাপন করে থাকি কিন্তু ঈদের দিনের সুন্নত কাজ কয়টি সে সম্পর্কে অনেকেই আমরা সঠিক ভাবে জানিনা। তাই আপনাদের সুবিধার্থে আমরা ঈদুল আযহার দিন কোন কাজগুলো করতে হবে এবং ঈদের দিনের সুন্নত কাজ কয়টি সে বিষয়ে আমরা ইতিমধ্যে উপরে আলোচনা করেছি।

ঈদের দিনের তাকবীর

প্রিয়া পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ঈদুল আযহার কোন কাজগুলো করণীয় সে সম্পর্কে ইতিমধ্যে জানতে পেরেছি ঈদের দিনের বড় একটি করণীয় হলো তাকবির পাঠ করা যা সন্ধ্যায় চাঁদ দেখার পর থেকেই শুরু হয়ে থাকে। এবং ঈদুল আযহার জিলহজ মাসের 9 তারিখ থেকে তাকবীর পাঠ করা শুরু হয়ে থাকে। ঈদের দিন দুই রাকাত সালাতে প্রথম তাকবীরে সাত তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাকাতে ৫ তাকবীর দিয়ে থাকে।

ঈদের তাকবীরঃ

اَللهُ اَكْبَرْ كَبِيْراً اَللهُ اَكْبَر كَبِيْراً اَللهُ اَكْبَروَ أَجَلُّ اَللهُ اَكْبَر وَلِلهِ الْحَمْدউচ্চারণ : ‘আল্লাহু আকবার কাবিরা, আল্লাহু আকবার কাবিরা, আল্লাহু আকবার ওয়া আঝাল্লু, আল্লাহু আবর ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’

উল্লেখ্য, পুরুষরা এ তাকবির উচ্চস্বরে পাঠ করলেও নারীরা তা নিম্নস্বরে পাঠ করবে। নারীদের তাকবিরের আওয়াজ যেন গায়রে মাহরাম তথা পর পুরুষ শুনতে না পায়।

ঈদের দিনের আমলসমূহ

ঈদের দিনের আমলসমূহ সম্পর্কে আপনারা অনেকেই হয়তো সঠিক ভাবে জানেন না তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ঈদুল আযহার দিন কোন কাজগুলো করতে হবে এবং ঈদের দিনের আমলসমূহ সম্পর্কে আপনাদের আমরা জানাবো।

১। গোসল করা ঈদের দিন গোসল করার মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করা।সুনানে বায়হাকি ৫৯২০)।

২। সুন্দর জামাকাপড় পরা গোসল করার পর উত্তম জামাকাপড় পরিধান করা। আমাদের সাধ্যমতো উত্তম জামাকাপড় পরিধান করা উচিত (নতুন হতে হবে তেমন নয়) কারণ, আল্লাহ তার প্রদত্ত নেয়ামতের প্রকাশ দেখতে চান। {সহিহ আল জামে ১৮৮৭}

আরো পড়ুনঃ ঈদুল আযহা ২০২৩ কত তারিখ সৌদি আরব<

৩। ঈদের নামাজের আগে কিছু খাওয়া ঈদুল ফিতরের দিন ঈদের নামাজ আদায় করার আগে আর ঈদুল আজহার দিন ঈদের নামাজের পর কিছু খাওয়া সুন্নাত। তিরমিজি শরিফ : ৫৪৫)।

৪। হেঁটে ঈগাহে যাওয়া । (তিরমিজি শরিফ : ৫৩৩)।

৫। খুতবা শোনা ।(আবু দাউদ শরিফ : ১১৫৭)।

৬। সাদাকাতুল ফিতর আদায় করা (সহিহ বুখারি : ১৫০৩)।

ঈদুল আযহার দিন কোন কাজগুলো করতে হবেঃ শেষ কথা

প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই আর্টিকেলে ঈদের দিনের সুন্নত আল কাউসার, ঈদুল ফিতরের সুন্নত সমূহ, ঈদে ঈদুল আযহার দিন কোন কাজগুলো করতে হবে, ঈদুল আজহায় বর্জনীয় হবে, ঈদের দিনের সুন্নত কাজ কয়টি? ঈদের দিনের তাকবীর, ঈদের দিনের আমলসমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনারা উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

প্রতিটি মুসলিমের জন্য এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানা অতীব ও গুরুত্বপূর্ণ। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল আরো পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন