শাবান মাসে কয়টি রোজা করা উচিত

শাবান মাসে কয়টি রোজা করা উচিত এই বিষয়ে ভাবছেন?🤔 ভাবনা ছেড়ে আমাদের আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন। কারণ আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের জন্য আমরা শাবান মাসে কয়টি রোজা করা উচিত সে বিষয়ে আলোচনা করতে চলেছি। শাবান মাস রমজান মাসের পূর্ব প্রস্তুতির মাস। এ মাসে রোজা করার অনেক ফজিলত রয়েছে।অনেকেই শাবান মাসে কয়টি রোজা করা উচিত এ বিষয়ে সঠিকভাবে জানেন না।

শাবান মাসে কয়টি রোজা করা উচিত

আজকেরে আর্টিকেলে আপনারা শাবান মাসে কয়টি রোজা করা উচিত সে বিষয়ে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে শাবান মাসে কয়টি রোজা করা উচিত সে বিষয়ে সঠিকভাবে জেনে নিন।

সূচিপত্রঃ শাবান মাসে কয়টি রোজা করা উচিত

শাবান মাসে কয়টি রোজা করা উচিত

শাবান রমজান মাসের পূর্ব প্রস্তুতির মাস। এ মাসের অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। এবং নফল রোজার জন্য গুরুত্ব ও শ্রেষ্ঠতম মাস শাবান মাস। আজকে আমরা শাবান মাসে কয়টি রোজা করা উচিত এ বিষয়ে আপনাদের জানাতে চলেছি। অনেকেই আছেন যারা শাবান মাসে কয়টি রোজা করা উচিত সে বিষয়ে সঠিকভাবে জানেন না। তারা আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে শাবান মাসে কয়টি রোজা করা উচিত তা জেনে নিন।

আরো পড়ুনঃ ২০২৩ সালে রোজার ক্যালেন্ডার

কেউ যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর অনুসরণ করতে চান এবং সুন্নতি উপায় রোজা গুলো পালন করতে চায়। কিন্তু অনেকেই শাবান মাসের কয়টি রোজা করা উচিত এ বিষয়ে জানিনা।

হযরত মুহাম্মদ সাঃ আমাদের প্রত্যেক আরবি মাসের ১৩,১৪,১৫ তারিখ রোজা রাখতে উৎসাহিত করেছেন।

**মাসিক রোজা : ৩ দিন ১৩, ১৪,১৫ শাবান তথা ২৭, ২৮, ২৯ মার্চ (শনি-সোমবার)।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমজান ছাড়া এতবেশি নফল রোজা শাবান মাস ছাড়া অন্য কোনো মাসে রাখেননি। হাদিসে এসেছে-হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, ‘আমি রাসুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কখনো রমজান ছাড়া পুরো মাস রোজা রাখতে দেখিনি; আর শাবান মাসের মতো অন্য কোনো মাসে অধিক (নফল) রোজা রাখতেও দেখিনি।’ (বুখারি ও মুসলিম)

তাই শাবান মাসে আমাদের কয়টি রোজা করা উচিত এ বিষয়ে আশা করি উত্তরটি পেয়েছেন।

শাবান মাস ছাড়াও এ দিনগুলোতে রোজা রাখলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত আদায় হবে। তাই এই দিনগুলোতে রোজা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরী।

কিন্তু অনেকের শাবান মাসের গুরুত্বটা বোঝেনা তাই শাবান মাসের নফল রোজা গুলো সঠিকভাবে পালন করে না।আল্লাহ আমাদের শাবান মাসের গুরুত্ব ফজিলত বোঝার জ্ঞান দান করুন এবং শাবান মাসের রোজাগুলো সঠিকভাবে আদায় করার তৌফিক দান করুন। (আমিন)

শাবান মাসের ফজিলত

নফল এবাদতের মধ্যে রোজা সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ও সৃষ্ট ইবাদত হিসেবে আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য। নফল রোজার অনেক সওয়াব ও ফজিলত রয়েছে যা আমরা আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে জানতে পারবো আজকে আমরা শাবান মাসের কয়টি রোজা রাখা উচিত সে বিষয়ে ইতিমধ্যে জানতে পেরেছি শাবান মাসের ফজিলত সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।

হিজরি বর্ষপরিক্রমা বা চান্দ্র মাসের অষ্টম মাস পবিত্র শাবান মাস। এ শাবান মাস হাদিসের আলোকে বিভিন্ন বিবেচনায় একটি ফজিলত ও তাৎপর্যপূর্ণ মাস।পবিত্র শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত, অর্থাৎ পনের শাবান রাত হচ্ছে পবিত্র শবেবরাত, ভাগ্য রজনী, এ রাতের অশেষ ফজিলত হাদিসে বর্ণিত হয়েছে।

বছরের শ্রেষ্ঠ পাঁচটি রজনীর অন্যতম এ রাত। এ রাতের করণীয় সম্পর্কে হজরত মুহাম্মদ (সা.) ইরশাদ করেছেন_ পনের শাবান রাতে (শবেবরাত) তোমরা জেগে থেকে ইবাদত কর এবং পরদিন রোজা রাখ। এ জন্য শবেবরাতে জেগে থেকে ইবাদত করা এবং পরদিন রোজা রাখা উত্তম।

হজরত উসামা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, একদিন আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এ মাসে (শাবান) বেশি বেশি রোজা রাখার কারণ জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি উত্তরে বললেন- ‘লোকেরা রজব ও রমজান এ দুই মাসের গুরুত্ব বেশি দেয় এবং রোজাও রাখে। কিন্তু মধ্যবর্তী এ মাসটিকে উপেক্ষা করে চলে। অথচ এ মাসেই বান্দার আমলসমূহ আল্লাহর দরবারে উপস্থিত করা হয়।

আর আমার কামনা হলো- আমার আমলসমূহ আল্লাহর দরবারে উপস্থাপন করার সময় আমি রোজা অবস্থায় থাকি। এ কারণেই আমি শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা রাখি। (নাসাঈ, আবু দাউদ)

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রায় রজব মাসে- ১০টি নফল রোজা রাখতেন এবং শাবান মাসে- ২০টি নফল রোজা রাখতেন। রমজানে পূর্ণ মাস (৩০ দিন) ফরজ রোজা রাখতেন। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমজান ছাড়া বছরের সবচেয়ে বেশি শাবান মাসেই নফল নামাজ, নফল রোজা ও নফল ইবাদত-বন্দেগি করতেন। এই মাসে যে যত বেশি ইবাদত বন্দেগি করবে সে তত বেশি নেকির অধিকারী হবে।

শাবান মাসের শাবান মাসের ফজিলত দোয়া

এ মাসের তুলনায় রমজান অন্য মাসে এতবেশি নফল রোজা রাখতেন না বিশ্বনবি। আর এ মাসে তিনি রোজা পালন, রাতজেগে ইবাদতের সামর্থ্য কামনায় বেশি বেশি দোয়া পড়তেন। আজকেরে আর্টিকেল পড়ে আমরা তা জানবো।আজকের আর্টিকেলে আমরা শাবান মাসে কয়টি রোজা করা উচিত এ বিষয়ে আলোচনা করছি শাবান মাসের দোয়া সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।

আরো পড়ুনঃ রমজানের প্রস্তুতি কিভাবে নেব

শাবান মাসের ফজিলত ও গুরুত্ব অনেক বেশি। রমজানের পরিপূর্ণ ফসল আহরণে রজব মাসের পর শাবানের গুরুত্ব অপরিসীম। এ সম্পর্কে হজরত আবু বকর বালখি রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-

‘রজব হলো বীজ রোপনের মাস। আর শাবান হলো ওই বীজ সেচ দেয়ার মাস। অতঃপর রমজান হলো বীজ রোপন ও সেচ দেয়ার পর পরিপূর্ণ ফসল ওঠানোর মাস।’তাই এ মাসের ফজিলত অনেক। যে যত বেশি এবাদত করবে সে তত বেশি নেকি অর্জন করে আল্লাহর প্রিয় বান্দা হবে।

বরকতময় মাস রমজান পেতে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর কাছে বেশি বেশি একাধিক দোয়া করতেন। তাহলো

-اَللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِىْ شَعْبَانَ وَ بَلِّغْنَا رَمَضَانَ

উচ্চারণঃ ‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি শাবান ওয়া বাল্লিগনা রামাদান।’

অর্থঃ ‘হে আল্লাহ! আপনি আমাদের জন্য শাবান মাসকে বরকতময় করুন এবং আমাদেরকে রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন। অর্থাৎ রমজান পর্যন্ত হায়াত দান করুন।

শাবান মাসের গুরুত্ব

শাবান মাসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক।যেহেতু এই মাসটি রজব ও রমজানের মধ্যবর্তী, তাই এই মহিমান্বিত মাসকে শাবান নামে নামকরণ করা হয়। আজকেরে আর্টিকেলে আমরা শাবান মাসে কয়টি রোজা করা উচিত এ সম্পর্কে ইতিমধ্যে অনেক কিছু জানতে পেরেছি। শাবান মাসের গুরুত্ব সম্পর্কে আমরা আজকের এই আর্টিকেলে কিছু আলোচনা করতে চলেছি। তাহলে চলুন শাবান মাসের গুরুত্ব কতখানি তা জেনে নিই।

নবি করিম (স.) শাবান মাসের গুরুত্ব, মাহাত্ম্য ও তাত্পর্যের বিবেচনায় এ মাসে অধিক হারে নফল ইবাদত-বন্দেগি করতেন। রমজানুল মুবারকের মর্যাদা রক্ষা এবং হক আদায়ের অনুশীলনের জন্য রসুলুল্লাহ্ (স.) শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা পালন করতেন। এ সম্পর্কে হজরত আনাস (রা.) বলেছেন, নবি করিম (স.)-কে জিগ্যেস করা হলো—‘আপনার কাছে মাহে রমজানের পর কোন মাসের রোজা উত্তম?’ তিনি বললেন, ‘রমজান মাসের সম্মান প্রদর্শনের জন্য শাবানের রোজা উত্তম।’ (তিরমিজি)

এ মাসটির ও প্রতি সপ্তাহের সোমবার ও বৃহস্পতিবারের সুন্নাত সিয়াম রয়েছে। এবং মাসের ১৩, ১৪ ও১৫ তারিখ   আইয়াম বীযের নফল সিয়াম রয়েছে। এবং অনেক মা বোন আছেন যাদের বিগত বছরের কাজা রোজা গুলো রয়েছে তা আদায় করা এ মাসে অনেক উত্তম।

আরো পড়ুনঃ শবে বরাতের আমল ও ফজিলত

হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু থেকে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম শাবান মাসের দিন তারিখের হিসাব এত বেশি লক্ষ্য রাখবেন যা অন্য কোন মাসে রাখতেন না। (আবু দাউদ:২৩২৫) এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর উম্মতদের ও শাবান মাসের দিন তারিখের হিসাব রাখতে উৎসাহিত করেছেন।

শাবান মাসে কয়টি রোজা করা উচিতঃ শেষ কথা

প্রিয় বন্ধুরা আজকের এই আর্টিকেলে শাবান মাসে কয়টি রোজা করা উচিত? শাবান মাসের গুরুত্ব, শাবান মাসের দোয়া, শাবান মাসের ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনারা উক্ত বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন এবং শাবান মাসের কয়টি রোজা করতে হবে এ বিষয়ে জানতে পেরেছেন।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম আর্টিকেল আরো পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Skbd IT এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url