৭ই মার্চ কি দিবস বাংলাদেশ

আমরা বাঙালি তাই বাংলাদেশের অনেক দিবসই রয়েছে যেগুলো আমাদের কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন হিসেবে বিবেচিত। আজকেরে আর্টিকেলে ৭ই মার্চ কি দিবস বাংলাদেশ সম্পর্কে আপনাদের সামনে বিস্তারিত কিছু তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছি। অনেকে আছেন যারা ৭ই মার্চ কি দিবস বাংলাদেশ সম্পর্কে সঠিকভাবে জানেন না।

৭ই মার্চ কি দিবস বাংলাদেশ

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ৭ই মার্চ কি দিবস বাংলাদেশ সম্পর্কে আলোচনা করতে চলেছি। তাহলে চলুন আর দেরি না করে ৭ই মার্চ কি দিবস বাংলাদেশ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন।

সূচিপত্রঃ ৭ই মার্চ কি দিবস বাংলাদেশ 

৭ই মার্চ কি দিবস ২০২৩

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ৭ই মার্চ কি দিবস ২০২৩ সম্পর্কে আপনাদের সামনে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য নিয়ে এসেছি। অনেকে আছেন যারা সাথে মার্চ কি দিবস ২০২৩ সম্পর্কে সঠিকভাবে জানেন না। চলুন তাহলে আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা ৭ই মার্চ কি দিব ২০২৩ সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে নিন।

আরো পড়ুনঃ ১৬ই ডিসেম্বর কি - ১৬ই ডিসেম্বর কেন পালন করা হয়

৭ই মার্চ বাঙালির কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে, সেই ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৭ কোটি বাঙালিকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ৭ই মার্চ বাঙালির জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অনন্য দিন হিসেবে স্মরণীয়।

৭ ই মার্চ কেন পালন করা হয়

৭ই মার্চ কেন পালন করা হয় তা হয়তো অনেকেই সঠিক ভাবে জানে না ৭ই মার্চ কি দিবস বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে হলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনারা মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। ৭ই মার্চ কেন পালন করা হয় চলুন তাহলে এই বিষয়ে সঠিকভাবে জেনে নিন।

শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা চূড়ান্ত করার জন্য ৭ ই মার্চের ভাষণ দেন। ভাষণটি শুরু করেন বিকেল ২ টা ৪৫ মিনিটে। ৭ই মার্চের ভাষণ শেষ হয়েছিল বিকেল ৩ টা ৩ মিনিটে। তার সেই ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চের ভাষণ ছিল সর্বমোট ১৮ মিনিটের। যা  বাংলাদেশে ৭ ই মার্চ হিসেবে পালিত হয়। বর্তমানে ৭ই মার্চকে বিশ্ব স্মৃতির আন্তর্জাতিক নিবন্ধন হিসেবে পুরো বিশ্বে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে।

৭ই মার্চ কত মানুষ হয়েছিল

৭ই মার্চের ভাষণ বাঙালির কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই ভাষণের মূল লক্ষ্য ছিল বাঙালি জাতিকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর শক্তি ও উৎসাহ প্রদান করা। যা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার রেসকোর্স ময়দানের ১৮ মিনিটের ভাষণে এক যুগান্তকারীর পটভূমি রচনা করে গেছেন। 

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ৭ই মার্চ কি দিবস বাংলাদেশ সম্পর্কে আপনাদের সামনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করছি। আপনারা যারা ৭ই মার্চ কত মানুষ হয়েছিল জানেনা, তারা আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে ৭ই মার্চ কত মানুষ হয়েছিল সে সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পারবেন।

১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই মার্চ ঢাকার রমনায় অবস্থিত রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) অনুষ্ঠিত জনসভায় শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রদত্ত এক ঐতিহাসিক ভাষণ। তিনি উক্ত ভাষণ বিকেল ২টা ৪৫ মিনিটে শুরু করে বিকেল ৩টা ৩ মিনিটে শেষ করেন। উক্ত ভাষণ ১৮ মিনিট স্থায়ী হয়।

আরো পড়ুনঃ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস কবে - শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস কেন পালিত হয়

তিনি নিপীড়িত বাঙালি জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে স্বাধীনতা অর্জনে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন, সেটি হলো ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণ। ৭ মার্চের ভাষণদানকালে রেসকোর্স ময়দানে ১০ লাখ মানুষ উপস্থিত হয়েছিল।

৭ই মার্চের ভাষণ

বাঙালির ইতিহাসে অনেকগুলো দিন আছে, যা আমাদের মনে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার জীবনের শ্রেষ্ঠ ভাষণটি দিয়েছিলেন। ১০ লক্ষাধিক লোকের সামনে পাকিস্তানি  হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর উৎসাহ প্রেরণ করেছিলেন।

৭ই মার্চের ভাষণ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ হিসেবে বিবেচিত যা আজও বাংলাদেশে ৭ই মার্চ হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ৭ই মার্চ কি দিবস বাংলাদেশ সম্পর্কে আপনাদের সামনে ইতিমধ্যে অনেক কিছু আলোচনা করেছি। চলুন তাহলে ৭ই মার্চের ভাষণের কিছু তথ্য জেনে নেই।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে, সেই ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৭ কোটি বাঙালিকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

তিনি ঘোষণা দেন, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম- এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।”

তার ওই ভাষণের ১৮ দিন পর পাকিস্তানি বাহিনী বাঙালি নিধনে নামলে বঙ্গবন্ধুর ডাকে শুরু হয় প্রতিরোধ যুদ্ধ। নয় মাসের সেই সশস্ত্র সংগ্রামের পর আসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা।

১৮ মিনিট স্থায়ী এ ভাষণে তিনি নির্যাতিত বাঙালিকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান। এই ভাষণের একটি লিখিত ভাষ্যও বিতরণ করা হয়েছিল। যা তাজউদ্দীন আহমদের মাধ্যমে কিছুটা পরিমার্জিত হয়েছিল। পরিমার্জনের মূল উদ্দেশ্য ছিল সামরিক আইন প্রত্যাহার এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবির ওপর গুরুত্বারোপ করা।

৭ মার্চের ভাষণে বাঙালির মনে অনুপ্রেরণার সাহস লক্ষ্য করা যায়। ফলশ্রুতিতে বাংলার সর্বস্তরের মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে। অর্জিত হয় স্বাধীনতা। পরবর্তীতে বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত ও আলোচিত হতে থাকে ৭ মার্চের ভাষণ। এমনকি ১২টি ভাষায় অনুবাদ করা হয় ভাষণটি। নিউজউইক ম্যাগাজিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘রাজনীতির কবি’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

এছাড়া ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনেস্কো এ ভাষণকে ‘ডকুমেন্টরি হেরিটেজ (বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য)’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ইউনেস্কোর ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্ট্রারে (এমওডব্লিউ)’ ৭ মার্চের ভাষণ সংগৃহীত হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী এবং বঙ্গবন্ধুর  যোগ্য মেয়ে  বেগম শেখ হাসিনা একে ‘ইতিহাসের প্রতিশোধ’ হিসেবে উল্লেখ করেন। কারণ স্বাধীন দেশে দীর্ঘসময় এ ভাষণের প্রচার নিষিদ্ধ ছিল।

৭ মার্চের ভাষণ আমাদের গর্ব। এই ভাষণটি  কবিতায়, গানে,নাটকে বহুবার ব্যবহৃত হয়েছে। শিশুর কণ্ঠে উচ্চারিত হচ্ছে শত বার। যতদিন আমাদের এই স্বাধীন বাংলাদেশ থাকবে, শত হাজার বার উচ্চারিত হবে সেই বজ্রকণ্ঠ।ততদিন ঝংকৃত হবে সেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ভাষণ- ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।

৭ই মার্চ কি দিবস বাংলাদেশঃ শেষ কথা

প্রিয় পাঠক গণ আজকের এই আর্টিকেলে ৭ই মার্চ কি দিবস বাংলাদেশ? ৭ই মার্চের ভাষণ, ৭ই মার্চ কত মানুষ হয়েছিল? ৭ই মার্চ কেন পালন করা হয়? ৭ই মার্চ কি দিবস ২০২৩? সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

আরো পড়ুনঃ ১৫ আগস্ট কে কে নিহত হয়েছিল - ১৫ আগস্ট কাদের হত্যা করা হয়

প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনার উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এইরকম গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট আরো পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Skbd IT এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url