রমজানের ফজিলত ও গুরুত্ব

প্রিয় পাঠকবৃন্দরা রমজানের ফজিলত ও গুরুত্ব সহ বিভিন্ন তথ্য পেতে আজকের আর্টিকেলটি সাজিয়েছি। কারণ সামনে রমজান মুসলমানদের একটি ধর্মীয় ইবাদতের মাস। রমজানের ফজিলত ও গুরুত্ব অপরিসীম। তাই আমাদের সকলেরই উচিত মুসলমান হয়ে পবিত্র রমজান পালন করা এবং রমজানের ফজিলত ও গুরুত্ব সম্পর্কে যথারীতি ভাবে জানা।

রমজানের ফজিলত ও গুরুত্ব

তাই আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের জন্য আমরা রমজানের ফজিলত ও গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করব। তার জন্য আমাদের আর্টিকেল জুড়ে থাকুন এবং মনোযোগ সহকারে পড়ে রমজানের ফজিলত ও গুরুত্ব কতখানি তা জেনে নিন।

সূচিপত্রঃ রমজানের ফজিলত ও গুরুত্ব

রমজানের ফজিলত

প্রতিবছরের মতো এবারও আমাদের দুয়ারে এসে রমজান হাজির হয়েছে। রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের সাওগাত নিয়ে রমজান উপস্থিত হয়েছে। এ মাস প্রত্যেক মুমিন মুসলমানদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস। এ মাসে রয়েছে বিশেষ কিছু ফজিলত। আজকে আমরা রমজানের ফজিলত ও গুরুত্ব সম্পর্কে আপনাদের সামনে কিছু তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছি। চলুন তাহলে রমজানের ফজিলত গুলো কি তা জেনে নিন।

আরো পড়ুনঃ ২০২৩ সালে রোজার ক্যালেন্ডার

 ১। রোজাদারের প্রতিদান আল্লাহ নিজেই দিবেনঃ

অন্য সব আমলের থেকে রোজাদারের রয়েছে বিশেষ ফজিলত । রোজাদারের প্রতিদান আল্লাহ তায়ালা নিজেই দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

يترك طعامه وشرابه و شهوته من أجلي الصيام لي و أن اجزي به

রোজাদার আমাকে রাজি খুশি করার জন্য পানাহার এবং যৌন চাহিদা পরিহার করেছে। এবং আমার জন্যই রোজা রেখেছে আমিই  তার প্রতিদান দিব।

(সহি বুখারী হাদিস নং ১৮৯৪)

২। রোজাদারের জন্য রয়েছে বিশেষ দুটি খুশির সময়ঃ

প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন।

للصائم فرحت يفرحهما أذا أفكر فرح وإذا لقي ربه فرح بصومه

রোজাদারের জন্য রয়েছে দুটি খুশির সময়, ইফতারের সময়, এবং তার প্রতিপালকের নিকট রোজার বিনিময় প্রাপ্তির সময়।

(সহি বুখারী হাদিস নং১৯০৪ সহিঃ মুসলিম হাদিস নং ১১৫৭)

৩। রোজাদারের দোয়া আল্লাহ তায়ালা কবুল করেনঃ

হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

ثلاثه لا ترد دعوتهم الامام العادل الصائم حتى يفطر و دعوة المظلوم

তিন শ্রেণীর মানুষ আছে যাদের দোয়া আল্লাহ তাআলা ফিরিয়ে দেন না (কবুল করে নেন) ন্যায়পরায়ণ বাদশার দোয়া, ইফতারের পূর্ব পর্যন্ত রোজাদারের দোয়া এবং অত্যাচারিত ব্যক্তির দোয়া।

(সহীহ ইবনে হিব্বান হাদিস নং ৭৩৮৭মুসনাদে আহমাদ হাদীস নং৮০৪৩ সুনানে তিরমিজি হাদিস নং৩৫৯৮ সুনানে ইবনে মাজাহ হাদিস নং ১৭৫২)

৪। রোজাদারের মুখের ঘ্রাণ আল্লাহ তাআলার নিকট অত্যন্ত প্রিয়ঃ

একজন রোজাদার সারাদিন পানাহার থেকে বিরত থাকার কারণে রোজাদারের মুখে যে ঘ্রাণ সৃষ্টি হয় তা আল্লাহ তাআলার নিকট অত্যন্ত প্রিয়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন,

والذي نفس محمد بيده لخلوف فم الصائم أطيب عند الله من ريح المسك

শপথ ঐ সত্তার যার হাতে মুহাম্মদের জীবন, রোজাদারের মুখের আল্লাহ তাআলার নিকট মেশকের সুগন্ধির চেয়েও অধিক সুগন্ধময়।

(সহি: বুখারী হাদিস নং ১৮৯৬, সহিঃ মুসলিম হাদিস নং১১৫১, তিরমিজি হাদিস নং ৭৬৪, সুনানে নাসায়ী হাদিস নং২২১৮,২২১৯)

৫। রোজাদারের জন্য রয়েছে জান্নাতের বিশেষ দরজাঃ

আল্লাহ তায়ালা তার প্রিয় অনেক বান্দাদের জন্য জান্নাত তৈরি করেছেন। আর আল্লাহ তায়ালার তৈরিকৃত জান্নাতের একটি বিশেষ প্রবেশদ্বার রোজাদারের জন্য নির্বাচন করেছেনঃ প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন

ان في الجنه بابا يقال له الريان يدخل منه الصائمون يوم القيامة لا يدخل معهم احد وغيرهم يقال اين الصائمون فيدخلون منه فاذا دخل اخرهم أغلق فلم يدخل منه احد

নিশ্চয়ই জান্নাতে রাইয়ান নামক একটিএকটি প্রবেশদ্বার রয়েছে। মতের দিন তা দিয়ে রোযাদারগণ প্রবেশ করবেন। রোজাদার দের সাথে রোজাদার ব্যতীত অন্য কেউ উক্ত প্রবেশদ্বার দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না।

বলা হবে রোযাদারগণ কোথায়? তখন রোযাদারগণ উক্ত প্রবেশদ্বার দিয়ে প্রবেশ করবেন অতঃপর যখন সর্বশেষ রোজাদার প্রবেশ করবে তখন উক্ত প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দেয়া হবে। ফলে আর কেউ উক্ত প্রবেশদ্বার দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না।

(সহিঃ মুসলিম হাদিস নং-১১৫২, সহি বুখারী হাদিস নং-১৮৯৬, সুনানে তিরমিজি হাদিস নং-৭৬৫, সুনানে নাসায়ী হাদীস নং২২৩৬-২২৩৭, সুনানে ইবনে মাজাহ হাদিস নং১৬৪০)

রমজানের গুরুত্ব

ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি রমজান মাসের রোজা। রমজানের রোজা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।রহমত বরকত ও মাগফেরাতের মাস রমযান। এই মাস তাই সবার কাছেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আবার এর প্রতি পালনের ওপর অনেক বড় পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। তাই কেউ যদি এটাকে অস্বীকার করে সে যেন ইসলাম থেকে বের হয়ে যায়। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এরশাদ করেছেন আল্লাহ তায়ালা বলেছেন রোজা আমার জন্যই তাই আমি নিজেই তাঁর প্রতিদান দেব।

রহমত বরকত ও মাগফেরাতের মাস রমযান। এই মাস তাই সবার কাছেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সবাই চায় কীভাবে এ মাস থেকে বেশি বেশি উপকৃত হওয়া যায়। সবাই আন্তরিকভাবে কামনা করে নিজেকে সকল প্রকার পাপ-পঙ্কিলতা থেকে মুক্ত করে পবিত্র একটি জীবন শুরু করতে।

হিজরী পঞ্জিকার বারোটি মাসের মধ্যে শুধুমাত্র একটি মাসের নামই পবিত্র কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে আর সে মাসটি হলো রমযান। যা এ মাসটির অসামান্য মর্যাদা পরিচয় বহন করে।

রমযান একটি আরবি শব্দ। এর শব্দমূল হলো রা-মিম-দোয়াদ । আরবি ভাষায় এর অর্থ হচ্ছে অতিরিক্ত গরম,কঠোর সূর্যতাপ,দহন,জ্বলন,তৃষ্ণা এবং গলে যাওয়া। রমযান মাসে যেহেতু নেক আমলের কারণে বিগত গুনাহ বা পাপগুলো বিমোচিত হয়ে যায় কিংবা গলে গলে নিঃশেষ হয়ে যায় সেজন্যেই এ মাসের নাম হলো রমযান।

ইসলামের মৌলিক পাঁচটি রুকনের মধ্যে একটি হলো রোযা। তবে এই বিধানটি কেবল আমাদের জন্যেই নয় বরং আমাদের পূর্ববর্তী নবী রাসূলগণের উপরে ও লিপিবদ্ধ রয়েছে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআনে বলেছেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ

অর্থাৎ “হে বিশ্বাসিগণ! রোযা যেরূপ তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর আবশ্যিক ছিল তেমনি তোমাদের ওপরও তা আবশ্যিক করা হল;হয়ত তোমরা সাবধানী (ও আত্মসংযমী) হবে।” (সূরা বাকারাহ-১৮৫)

পরকালে আল্লাহ তায়ালা কি পুরস্কার দেবেন তার কিছুটা ইঙ্গিত নবী কারিম (সা.) আমাদের দিয়েছেন। সে থেকে রোযাদারগণ নিশ্চয়ই পরিতৃপ্ত হবার আনন্দ পাবেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এরশাদ করেছেন, রমযান এমন একটি মাস যে মাসে আল্লাহ তোমাদের জন্যে রোযা রাখাকে ফরজ করে দিয়েছে।

আরো পড়ুনঃ রমজানের প্রস্তুতি কিভাবে নেব

অতএব যে ব্যক্তি ঈমান সহকারে আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় রোযা রাখবে,তার জন্যে রোযার সেই দিনটি হবে এমন যেন সবেমাত্র সে মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নিয়েছে,অর্থাৎ রোযাদার তার সকল গুণাহ থেকে মুক্তি পেয়ে নিষ্পাপ শিশুটির মতো হয়ে যাবে।

এ পবিত্র মাস মানুষকে সকল রকম অনৈতিক কার্যকলাপ থেকে বিরত রাখে এবং সকলকে সাধ্যমত ইবাদাত বন্দেগি করার জন্য উৎসাহিত করে। প্রকৃতপক্ষে রমজান হলো পূর্বের সকল গুনাহর জন্য ক্ষমা চেয়ে খাঁটি মুসলমান হয়ে জীবনযাপনের প্রতিজ্ঞা করার মাস।

এ মাসের সময়গুলো খুব বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগিতে অতিবাহিত করা উচিত। তাই আসুন সামনে রমজান মাস  ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে আল্লাহর অশেষ নিয়ামত গুলো হাসিল করি। এবং আল্লাহর কাছে প্রিয় বান্দা হিসেবে নিজেকে আত্মসমর্পণ করি।

বিনা কারণে রোজা না রাখার শাস্তি

রোজা ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত যা আমাদের প্রত্যেকের উপরে ফরজ করা হয়েছে। এ মাসের একটি রোজা সারা বছরের রোজা রাখার সমান সওয়াব পাওয়া যায়। অনেকেই বিনা কারণে রোজা রাখতে চাই না আজকের এই আর্টিকেলে আমরা রমজানের ফজিলত ও গুরুত্ব নিয়ে কিছু তথ্য ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি।

বিনা কারণে রোজা না রাখার শাস্তি সম্পর্কে অনেকেই জানেন না, আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের জন্য আমরা বিনা কারণে রোজা না রাখার শাস্তি সম্পর্কে ইসলাম কি বলে সে সম্পর্কে জেনে নিব।

কোরআনুল কারিমে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর সিয়াম ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর, যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।’ (সুরা বাকারা : ১৮৩)। অন্য আয়াতে এসেছে, ‘অতএব, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এ মাস পাবে, সে যেন এ মাসে রোজা পালন করে। তবে কেউ রোগাক্রান্ত হলে অথবা সফরে থাকলে এ সংখ্যা অন্য সময়ে পূরণ করবে।’ (সুরা বাকারা : ১৮৫)

শরিয়তসম্মত ওজর বা যথাযথ কারণ ছাড়া রোজা ভঙ্গকারীদের সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, হজরত আবু উমামা (রা.) বলেন, আমি রাসুলকে (সা.) বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, ‘একবার আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। এ সময় দুজন ব্যক্তি এসে আমার দুই বাহু ধরে আমাকে দুর্গম পাহাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে তারা আমাকে বলল, পাহাড়ে উঠুন।

আমি বললাম, আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তারা বলল, আমরা আপনার জন্য সহজ করে দিচ্ছি। আমি ওঠা শুরু করি এবং পাহাড়ের চূড়ায় পৌঁছি। সেখানে প্রচণ্ড চিৎকারের শব্দ শুনতে পাই। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এটা কিসের শব্দ? তারা বলল, এটা জাহান্নামিদের আওয়াজ। এরপর তারা আমাকে এমন কিছু লোকদের কাছে নিয়ে যায়, যাদেরকে পায়ের টাখনুতে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

তাদের গাল ছিন্নভিন্ন, তা হতে রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এরা কারা? তারা বললেন, এরা এমন রোজাদার যারা (অকারণে রমজান মাসের) রোজা শেষ না করেই ইফতার করত।’ (সহিহ ইবনে খুজাইমা, হাদিস : ১৫০৯)

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি প্রয়োজন ও রোগ-ব্যাধি ছাড়া রমজানের একটি রোজা ভেঙে ফেলে, তার সারাজীবনের রোজার দ্বারাও এই কাজা আদায় হবে না।বুখারি, হাদিস : ১৮১১)

রমজানের ফরজ রোজা বিনা কারণে বা ইচ্ছাকৃতভাবে ছেড়ে দেওয়া একটি বড় গুনাহের কাজ। যারা এমনটি করবে তারা আল্লাহর লানতে পরিণত হবে এবং পরকালে মহাক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে রমজানের রোজা যথাযথভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন এবং এ রোজার মাধ্যমে আমাদের কৃত গুনাহসমূহ ক্ষমা করুন। আমিন।

রমজানের হাদিস

রমজান আমাদের কাছে বিশেষ একটি মাস। এ মাসে একমাস রোজা রাখলে আল্লাহ তা'আলা তার উপর অশেষ রহমত বর্ষণ করেন, এবং আল্লাহ তাআলা বলেছেন যে রমজান মাসে যে এক মাস সিয়াম পালন করবে তার প্রতিদান আমি নিজ হাতে দেব। আজকে আমরা রমজানের ফজিলত ও গুরুত্ব সম্পর্কে আমাদের এই আর্টিকেলটি সাজিয়েছি। যা আপনারা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন। রমজানের অনেক হাদিস রয়েছে। রমজানের হাদিস সম্পর্কে আমাদের আর্টিকেলে চলুন কিছু তথ্য সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

হযরত আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ(সো:)ইরশাদ করেন, আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, সিয়াম ব্যতীত আদম সন্তানের প্রতিটি কাজই তার নিজের জন্য, কিন্তু সিয়াম আমার জন্য এবং আমিই এর প্রতিদান দেব। সিয়াম ঢালস্বরূপ। তোমাদের কেউ যেন সিয়াম পালনের দিন অশ্লীলতায় লিপ্ত না হয় এবং ঝগড়া-বিবাদ না করে।

দিয়ে কেউ তাকে গালি দেয় অথবা তার সঙ্গে ঝগড়া করে, তাহলে সে যেন বলে, আমি সায়িম (রোজাদার)। যার হাতে মুহাম্মদের প্রাণ, তার শপথ! অবশ্যই সায়িমের মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মিসকের গন্ধের চেয়েও সুগন্ধি। সায়িমের জন্য রয়েছে দু’টি খুশি, যা তাকে খুশি করে। যখন যে ইফতার করে, সে খুশি হয় এবং যখন সে তার প্রতিপালকের সাথে সাক্ষাৎ করবে, তখন সাওমের বিনিময়ে আনন্দিত হবে। (সহীহ বুখারী: ১৯০৪, সহীহ মুসলিম:১১৫১)

হযরত আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ(সো:)ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি ঈমান ও ইহতিসাবসহ রমজান মাসের সিয়াম পালন করবে, তার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী গুণাহ মাফ করে দেওয়া হবে।(সহীহ বুখারী: ৩৮, সহীহ মুসলিম:৭৬০)

আরো পড়ুনঃ শবে বরাতের আমল ও ফজিলত

হে ঈমানদারগণ, তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে। যেমন ফরজ করা হয়েছিলো তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর। যেন তোমরা পরহেজগারি অর্জন করতে পার’: আল কুরআন। ‘রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের চেয়ে বেশী ঘ্রানযুক্ত’:( আল হাদিস)

আবু হুরায়রা (রা) বলেন, যখন রমজান মাসের আগমন ঘটল, তখন নবীজি (সা.) ইরশাদ করলেন, ‘তোমাদের কাছে বরকতময় মাস রমজান এসেছে। আল্লাহ তাআলা তোমাদের ওপর এ মাসের রোজা ফরজ করেছেন। ’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ৭১৪৮)

রমজানের ফজিলত ও গুরুত্বঃ শেষ কথা

প্রিয় বন্ধুরা আজকের এই আর্টিকেলে আমরা রমজানের ফজিলত ও গুরুত্ব, রমজানের হাদিস, বিনা কারণে রোজা না করার শাস্তি, রমজানের গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনারা উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এটি আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম আর্টিকেল আরো পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Skbd IT এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url