রমজানের দ্বিতীয় দশকে মাগফিরাত বলা হয় কেন

আসসালামু আলাইকুম, আপনারা যারা আজকের এই আর্টিকেলটি পরছেন তারা নিশ্চয়ই রমজানের দ্বিতীয় দশক কে মাগফিরাত বলা হয় কেন সে বিষয়ে জানতে চান তাই গুগলে সার্চ করে আমাদের এই আর্টিকেলটি ওপেন করেছেন ,তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা রমজানের দ্বিতীয় দশকে মাগফিরাত বলা হয় কেন এ বিষয়ে আলোচনা করব।

রমজানের দ্বিতীয় দশকে মাগফিরাত বলা হয় কেন

যারা রমজানের দ্বিতীয় দশক কে মাগফিরাত বলা হয় কেন জানতে চান তারা আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকুন। তাহলে আসুন আর দেরি না করে আমরা রমজানের দ্বিতীয় দশকে মাগফিরাত বলা হয় কেন সে বিষয়ে জেনে নিই।

সূচিপত্রঃ রমজানের দ্বিতীয় দশকে মাগফিরাত বলা হয় কেন

রমজানের দ্বিতীয় দশকে মাগফিরাত বলা হয় কেন?

পবিত্র মাহে রমজান আল্লাহ তায়ালার এবাদত জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস এই মাসকে তিন ভাবে বিভক্ত করা হয়েছে। প্রথম দশক কে বলা হয় রহমত এবং রমজানের দ্বিতীয় দশকে বলা হয় মাগফিরাত ও শেষের দশকে বলা হয়েছে নাজাত। রমজানের এগারো দশক থেকে ২০ রমজান পর্যন্ত মাগফিরাত বলা হয়। মাগফিরাত অর্থ হচ্ছে ক্ষমা। রমজানের মাগফিরাতে আমাদের সকলকে আল্লাহ তায়ালার কাছে মন থেকে ক্ষমা চাইতে হবে।

আরো পড়ুনঃ রোজা অবস্থায় চুল দাড়ি কাটা যাবে কিনা

রমজান মাস আমাদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস এই মাসের প্রথম দশক কে বরকত বলা হয় এবং পরের দশক টি হল মাগফিরাত । রমজান মাসের মাগফিরাত দিনগুলো আমরা যেন আল্লাহ তাআলার কাছে আমাদের পূর্বের গুনাহের জন্য মন থেকে ক্ষমা চাইতে পারি।

আমাদের সে অনুযায়ী মাগফিরাতের দিনগুলো পার করতে হবে। আল্লাহতালা আমাদের জন্য রমজান মাসের দ্বিতীয় দশক মাগফিরাতের দিন ক্ষমা লাভের জন্য এই দিনগুলোকে বিবেচিত করেছেন। আল্লাহ তাআলা অসংখ্য গুণাবলীর অধিকারী এবং শ্রেষ্ঠ ক্ষমাকারী।

তাই মাগফিরাতের অংশ হিসেবে আমাদের সকলের উচিত আল্লাহ তাআলার কাছে মাগফিরাতের দিনগুলোতে যথাসাধ্য আমাদের ভুল ত্রুটি  জন্য ক্ষমা চাওয়া।

নবী করিম সাঃ বলেছেন প্রতিটা বান্দা ভুলকারী আর ভুল কারীর মধ্যে সর্বোচ্চ উত্তম হলো যে ভুল করে তওবা করে। (বায়হাকী)

তাই আমাদের সকলেরই উচিত রমজান মাসের দ্বিতীয় দশক তথা মাগফিরাতের দিনগুলো আমাদের আল্লাহ তাআলার কাছে খাস দিলে ক্ষমা প্রার্থন করে। আল্লাহ তাআলা আমাদের সেই তৌফিক দান করুন এবং আমরা যেন খাঁটি মমিন হিসেবে আল্লাহতালা সন্তুষ্টি লাভ করতে পারি । (আমিন)

রমজানের মাগফিরাতের আমল

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা রমজানের দ্বিতীয় দশকে মাগফিরাত বলা হয় কেন? এ বিষয়ে জানতে পেরেছি। রমজান মাস আমাদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্য মাস হিসেবে বিবেচিত রমজানের মাগফিরাতের আমল অনেক রয়েছে যা আমাদের মুসলিম হিসেবে সকলেরই জানা জরুরী তাহলে চলুন রমজানের মাগফিরাতের আমল গুলো কি তা জেনে নিন।

রমজান মাসের আমলগুলো আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং ফজিলতপূর্ণ। প্রতিটা বান্দা এই গুনাহ কারি তাই আমাদের উচিত আল্লাহ তাআলার কাছে আমাদের গুনাহ খাতাগুলো তুলে ধরে ক্ষমা প্রার্থনা চাওয়া।

আমাদের এ গুনাহ খাতা থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহতালা রমজানের দ্বিতীয় দশকে মাগফিরাত দিনটি বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন। মাগফিরাত অর্থ ক্ষমা। আল্লাহ তায়ালার ক্ষমা ও করুণা ছাড়া কখনোই একজন খাঁটি বান্দা ও মুসলিম হতে পারবেনা।

রমজান মাসে আল্লাহ তায়ালা আমাদের সেই সুযোগটি করে দিয়েছেন রমজান মাসের ১১ রমজান থেকে ২০ শে রমজান পর্যন্ত দিনটি মাগফিরাতের অংশ। এ মাগফিরাতের দিনগুলোতে আল্লাহ তাআলার কাছে দুনিয়ার সকল গুনাহগার দুনিয়ার মুক্তি এবং আখেরাতের শাস্তির জন্য ক্ষমা চেয়ে থাকেন। রমজানের এই ১০ দিনে আল্লাহ তায়ালা বিশেষভাবে তার বান্দাদের উপর দৃষ্টি রাখেন। তাই আমাদের উচিত আল্লাহ তায়ালার খাঁটি বান্দা হিসেবে মাগফিরাতের দিনগুলো বিশেষভাবে পার করা।

মাগফিরাতের ১০ দিন আল্লাহতালা তার প্রতিটি বান্দাদের ক্ষমা করবেন এ আশায় মাগফিরাতের দিনগুলোতে আমল করতে হবে। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন রমজানের প্রথম ১০ দিন  রহমতের, দ্বিতীয় দশ দিন মাগফিরাতের, এবং শেষের ১০ দিন জাহান্নাম থেকে নাজাত প্রাপ্তির। (মিশকাত)

রমজান মাস আমাদের কাছে অধিক মর্যাদা সম্পন্ন মাস এই মাসে এবাদত করলে আল্লাহ তা'আলা অধিক হারে কবুল করে থাকেন তাই রমজান মাসের মাগফিরাতের দিনগুলোতে আল্লাহতালা প্রতিটা বান্দা গুনহা খাতা অন্যের জন্য এবং সারা বছরের ঘাটতি পূরণের জন্য আমাদের এই সুযোগটি দিয়ে থাকেন।

এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে যাবতীয় অন্যায় পাপাচার ও খারাপ কাজ থেকে ক্ষমা লাভের সুযোগ হয় এই মাগফিরাতের দিনগুলোতে। যে ব্যক্তি রমজান মাসের প্রথম দশকে সকল প্রকার অপকর্ম থেকে নিজেকে মুক্ত রাখবে সেই মাগফিরাতের ১০ দিনে আল্লাহতালার কাছ থেকে ক্ষমা প্রাপ্ত হবে।

রমজানের দ্বিতীয় দশক গুলো অতিবাহিত করতে হবে সকল প্রকার গুনহা খাতার ওযর নিয়ে। যেন আল্লাহ তাআলা আমাদের সকল গুনা খাতা গুলো মাফ করে দেন। হাদিসে এসেছে রমজান মাসের প্রতি রাতে একজন ফেরেশতা ঘোষণা করতে থাকে, হে পূর্ণ বান্দাগণ! অগ্রসর হও, হে পাপাচারি! থামো, চোখ খোলো।

ওই ফেরেশতা আরো ঘোষণা করতে থাকেন; 'ক্ষমাপ্রার্থীকে ক্ষমা করা হবে। ক্ষমা প্রার্থনা কারীর ক্ষমা প্রার্থনা কবুল করা হবে'। যারা ক্ষমা লাভের প্রত্যাশী তারা মাগফিরাতের দিনগুলোতে প্রতিরাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার জন্য কান্নাকাটি করবেন এবং অনুতপ্ত হবেন পূর্বের সব গুনাহ খাতার জন্য।

মাগফিরাতের মূল শিক্ষা হলো, আমি আল্লাহর ক্ষমা পাব এবং সবাইকে ক্ষমা করে দেব। হাদিস শরিফে রয়েছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের দোষ গোপন করবে, আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন তার দোষ গোপন রাখবেন।’ (তিরমিজি শরিফ)। ক্ষমা করে দিলে নিজের মনের বোঝা দূর হয়, মানসিক চাপ কমে যায়, মন হালকা ও পবিত্র হয়। সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর দয়া, করুণা ও ক্ষমা লাভ করা যায়

আরো পড়ুনঃ রমজানের ফজিলত ও গুরুত্ব

আমরা সকলেই যেন মাগফিরাতের দিনগুলোতে ক্ষমা লাভের আশায় সঠিকভাবে আমল করতে পারি এবং সকলকে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ করে দিতে পারি। আমরা আশা করতে পারি যেন আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলের জীবনের নেক আশা ও সকল গুনাহ খাতা গুলো মাফ করবেন।

রমজানের মাগফিরাতের দোয়া

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা রমজানের দ্বিতীয় দশক মাগফিরাত বলা হয় কেন এ বিষয়ে আজকের এই আর্টিকেলটি সাজিয়েছি আপনারা যারা আমাদের এই আর্টিকেলটি করছেন তারা নিশ্চয়ই রমজানের দ্বিতীয় দশকে মাগফিরাত বলা হয় কেন এ বিষয়ে জানতে পেরেছেন রমজান মাস আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও তথ্য পর্যপূর্ণ মাস। এই মাসের অনেক ফজিলত রয়েছে। রমজানের দ্বিতীয় দশকের মাগফিরাত বলা হয়। রমজানের মাগফিরাতের দোয়া রয়েছে যা আমাদের প্রত্যেকের জানা জরুরী।

رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِيْنَ

উচ্চারণঃ রাব্বিগফির ওয়ারহাম ওয়া আংতা খাইরুর রাহিমিন।

অর্থঃ হে আমার প্রভু! (আমাকে) ক্ষমা করুন এবং (আমার উপর) রহম করুন; আপনিই তো সর্বশ্রেষ্ঠ রহমকারী।' (সুরা মুমিনুন : আয়াত ১১৮)

 رَبِّ إِنِّيْ ظَلَمْتُ نَفْسِيْ فَاغْفِرْ لِيْ

উচ্চারণঃ রাব্বি ইন্নি জ্বালামতু নাফসি ফাগফিরলি।

অর্থঃ হে আমার) প্রভু! নিশ্চয়ই আমি নিজের উপর জুলুম করে ফেলেছি, অতএব আপনি আমাকে ক্ষমা করুন। (সুরা কাসাস : আয়াত ১৬)

মাগফিরাতের দিনগুলোতে বেশি বেশি এই দোয়াগুলো পাঠ করতে হবে।প্রত্যেক মুমিনের কর্তব্য সে যেন কেবল নিজেই মুত্তাকি না হয় বরং সে নিজে এবং পরিবারের সবাইকে যেন নেককার-মুত্তাকি হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা করে। সব ধরণের পাপ ও খারাপ কাজ থেকে রক্ষা পেতে পুরো পরিবারকে সঠিক ইসলামী শিক্ষায় আলোকিত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।

আরো পড়ুনঃ রোজা অবস্থায় ফেসবুক চালানো যাবে কিনা

আমাদের সকলের উচিত রমজান মাসের এই দিনগুলোতে আল্লাহ তাআলার বিধি নিষেধগুলো সঠিকভাবে মেনে চলা। এবং রমজান মাসের আমল গুলো সঠিকভাবে পালন করা। এই কাজগুলো সঠিকভাবে রমজান মাসে আমল করলে আমাদের মন প্রশান্তি লাভ করবে এবং আমাদের ঘরগুলো জান্নাতের পরিবেশ ও আবহাওয়া বিরাজ করবে।

রমজানের মাগফিরাতের ফজিলত

আজকের এয়ারটেলে আমরা আপনাদের রমজানের দ্বিতীয় দশকে মাগফিরাত বলা হয় কেন এ বিষয়ে ইতিমধ্যে অনেক কিছু বিস্তারিত ভাবে জানিয়েছি। রমজানের মাস হল মুক্তির মাস এই মাসে আমাদের এক বছরের আল্লাহতালা সকল গুনাহ মাফ করে থাকেন তাই এই মাসের ফজিলত ও বরকত ইত্যাদি আপনারা অনেকেই আছেন যারা রমজানের মাগফিরাতের ফজিলত সম্পর্কে জানেন না। তারা আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে রমজানের মাগফিরাতের ফজিলত সম্পর্কে জানতে পারবেন।

পবিত্র এ রমজানজুড়ে গুনাহগার বান্দাদের ক্ষমা করেন মহান আল্লাহ। তবে মধ্য এ দশকে ক্ষমাপ্রার্থী বান্দাদের ব্যপকভাবে ক্ষমা করেন তিনি। বিভিন্ন হাদিসের বর্ণনায় সে তথ্য পাওয়া যায়।

হযরত উবাদা ইবনে সামিত (রা.) বলেন, একবার রমজানের কিছু পূর্বে একদিন হযরত মুহাম্মদ (সা.) এরশাদ করলেন, তোমাদের সামনে রমজান আসন্ন। এ মাস অত্যন্ত বরকতের মাস। আল্লাহ তা’য়ালা তোমাদের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দেনএ মাসে। রহমত বর্ষণ করেন এবং গুনাহ মাফ করেন (তাবরানী)।

কোনো কোনো হাদিস থেকে জানা যায়, বরকতময় এ মাসের প্রতিদিন মাছও ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকে রোজাদারদের জন্য। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) এরশাদ করেন, রমজান উপলক্ষে আমার উম্মতকে এমন পাঁচটি বস্তু দেয়া হয়েছে, যা পূর্ববর্তী উম্মতদের দেয়া হয়নি। রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর নিকট মৃগনাভী থেকেও অধিক পছন্দনীয় এবং জলের মাছ রোজাদারের জন্য ইফতার পর্যন্ত ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকে (মুসনাদে আহমদ, বায়হাকী)।

এ হাদিসটাকে কে বলেছে আল্লাহ তায়ালা রব্বুল আলামীন আমাদের কত সুযোগ করে দিয়েছেন এ রমজান মাসে আমাদের বিগত দিনগুলোর ক্ষমা চাওয়ার জন্য। তাই আমরা এই দিনগুলো থেকে কাজে লাগিয়ে রমজানের বিশেষ আমলগুলো সঠিকভাবে পালন করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করব।রমজানের দ্বিতীয় দশককে মাগফিরাত বা ক্ষমা করার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ দশকে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁর বান্দাদের প্রচুর পরিমাণে ক্ষমা করবেন। 

রমজান মাসের দোয়া আল্লাহ তাআলা কবুল করে নেন বলে জানিয়েছেন স্বয়ং বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। হাদিসে এসেছে-‘রমজান মাসে প্রত্যেক মুসলমান আল্লাহর সমীপে দোয়া করে। আর তা কবুল হয়ে যায়।’ (মুসনাদে আহামদ)

রমজানের দ্বিতীয় দশকে মাগফিরাত বলা হয় কেনঃ শেষ কথা

প্রিয় বন্ধুরা আজকের এই আর্টিকেলে আমরা রমজানের দ্বিতীয় দশকে মাগফিরাত বলা হয় কেন? এ বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এছাড়া রমজানের মাগফিরাতের ফজিলত, রমজানের মাগফিরাতের দোয়া, রমজানের মাগফিরাতের আমল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনারা উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

আরো পড়ুনঃ সেহেরিতে কোন খাবার শরীর সুস্থ রাখবে

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল আরো করতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে থাকুন। আবার দেখা হবে নতুন কোন আর্টিকেলে সে পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Skbd IT এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url