বছরের শেষ দিন পালন করা যাবে কিনা

বছরের শেষ দিন পালন করা যাবে কিনা এ নিয়ে অনেকেরই দ্বিধামত থাকে। আজকের এই পোস্টে আমরা বছরের শেষ দিন পালন করা যাবে কিনা এ নিয়ে আপনাদের বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব। ডিসেম্বর মাস চলছে অনেকেই  ডিসেম্বর মাসের ৩১ তারিখ বা থার্টিফার্স্ট নাইট অনেক আনন্দ উৎসবের সাথে উদযাপন করে থাকে। আসলেই কি এটা করা ঠিক?

বছরে শেষ দিন পালন করা যাবে কিনা

তাই আজকের এই পোস্টে আমরা বছরের শেষ দিন পালন করা যাবে কিনা এ নিয়ে বিস্তারিতভাবে আপনাদের জানাবো। তাহলে চলুন আর দেরি না করে বছরের শেষ দিন পালন করা যাবে কিনা এ নিয়ে সঠিক তথ্য জেনে নিন।

সূচিপত্রঃ বছরের শেষ দিন পালন করা যাবে কিনা

ভূমিকাঃ বছরের শেষ দিন পালন করা যাবে কিনা

আজকে আপনাদের জন্য আমরা বছরের শেষ দিন পালন করা যাবে কিনা এ বিষয়ে বিশেষ তথ্য নিয়ে এসেছি। কারণ আসছেই ডিসেম্বর মাস। আর ডিসেম্বর মাস মানেই থার্টিফার্স্ট নাইট পালনের উদযাপন। এ বিষয়ে আজকের এই পোস্টে আমরা বছরের শেষ দিন পালন করা যাবে কিনা এ বিষয়ে সঠিকভাবে জেনে নেব। তাহলে চলুন বছরের শেষ দিন পালন করা যাবে কিনা সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন।

বছরের শেষ দিন মানে বলা হয়েছে এখানে ডিসেম্বর মাসের ৩১ তারিখ। বারো মাসে এক বছর আর শেষ মাসটি হলো ডিসেম্বর। আর ডিসেম্বর মাসটি হলো 31 দিন। আর এ দিনটিকেই থার্টিফার্স্ট নাইট হিসেবে অনেকেই পালন করে থাকেন। অনেকেই না জেনে এই দিনটিকে বিশেষভাবে উদযাপন করে থাকেন।

আরো পড়ুনঃ ছেলেদের আকিকা দেওয়ার সঠিক নিয়ম

পশ্চিমাদের পাশাপাশি মুসলমান বিশ্বে থার্টি ফাস্ট নাইটে বিশেষ ও মহা উৎসবে দিনটি পালন করা হয়। অনেকে বিভিন্ন আতশবাজি এবং অশ্লীল ও কুকর্মে লিপ্ত থাকেন। অনেকে অর্থ অপচয় করেন, এবং বিভিন্ন নেশা দ্রবে ডুবে থাকেন। মুসলিমের জন্য একেবারে হারাম করা হয়েছে। যদি কোন ব্যক্তি বিধর্মীদের কোন অনুষ্ঠানে লিপ্ত থাকে তাহলে সে মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হবে।

তাই আমাদের মুসলিম হয়ে উচিত এসব বিধর্মীদের অনুষ্ঠানগুলোকে এড়িয়ে চলা। এবং সকল মুসলিম জাতিকে এসব গর্হিত কাজগুলো থেকে সতর্ক রাখা। আমাদের বাংলাদেশের মানুষ কোনদিন বাঙালি হিসেবে থার্টিফার্স্ট নাইট বাংলাদেশের সাংস্কৃতি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করবে না। তাই বাংলাদেশের বিভিন্ন সংস্কৃতি ও উৎসব বাদ দিয়ে বিদেশি সাংস্কৃতিকে কখনো প্রাধান্য দিতে পারে না। তাই থার্টি ফাস্ট নাইট উৎসবটি সবাইকে বর্জন করা উচিত।

থার্টি ফাস্ট নাইট কি

প্রিয় বন্ধুরা আপনারা যারা আমাদের এই পোস্টটি পড়ছেন নিশ্চয়ই থার্টিফার্স্ট নাইট সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে চান। তাহলে আজকের এই পোস্টে আমরা বছরের শেষ দিন পালন করা যাবে কিনা এবং থার্টিফার্স্ট নাইট কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানবো। থার্টি ফাস্ট নাইট কি অনেকে জানেন আবার অনেকে জানেন না। কারন আমাদের নতুন প্রজন্মের শিশুরা এ সম্পর্কে একেবারেই  অজানা। তাই আজ চলুন থার্টিফার্স্ট নাইট কি সে সম্পর্কে জেনে নিন।

আমাদের ইংরেজি মাসের ১২ মাসে এক বছর হয়।ইংরেজি মাসের শেষ মাস ডিসেম্বর মাস । ডিসেম্বর মাসের ৩১ তারিখ থার্টি ফার্স্ট নাইট পালন করা হয়। আর এই ৩১ এই ডিসেম্বর রাতকে থার্টিফার্স্ট নাইট বলা হয়ে থাকে। এই দিনে পশ্চিমাদের সাথে সাথে বিভিন্ন জাতির মানুষ বিভিন্ন কুকর্মে এবং আতশবাজি, পটকাবাজি, অশ্লীলতা, নেশাদ্রব্য পান করে এ উৎসবটি মাটিয়ে তোলে।

থার্টিফার্স্ট নাইট উৎপত্তি হয় কখন

আজকের এই পোস্টে আমরা বছরের শেষ দিন পালন করা যাবে কিনা এই বিষয়ে আপনাদের সামনে কিছু তথ্য নিয়ে আজ হাজির হয়েছি। ইংরেজি বছরের শেষ মাস ডিসেম্বর। আর এ মাসের 31 শে তারিখ মানে ৩১শে ডিসেম্বর থার্টিফার্স্ট নাইট। থার্টিফার্স্ট নাইট উৎপত্তি হয় কখন তা কি জানেন? আপনারা অনেকেই থার্টিন-এর পালন করে থাকেন, কিন্তু থার্টিফার্স্ট নাইটের উৎপত্তি কখন হয় তা অনেকেরই অজানা। চলুন তাহলে আজকে আমরা এ বিষয়ে জেনে নেই।

প্রাচীন পারস্যের পরাক্রমশালী সম্রাট জমশিদ খ্রিষ্টপূর্ব ৮০০ সালে নববর্ষ উৎসব প্রবর্তন করেন। পরবর্তীতে ব্যাবীলনের সম্রাট জুলিয়াস সিজার খ্রিষ্টপূর্ব ৪৬ সালে ইংরেজি নববর্ষ প্রচলন করেন। প্রথমদিকে নববর্ষ বিভিন্ন তারিখে পালন করা হতো।

তারপর পহেলা জানুয়ারী নববর্ষের দিন হিসেবে নির্দিষ্ট হয় ১৫৮২ সালে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার প্রবর্তনের পর। বাংলাদেশে থার্টি ফাস্ট নাইট এর ব্যাপক প্রচলন ঘটে ২০০০ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর মধ্যরাতের মিলেনিয়াম পালনের মধ্য দিয়ে।

থার্টিফার্স্ট নাইট পালনের ব্যাপারে ইসলাম কি বলে

ডিসেম্বর মাসের ৩১ তারিখ দিবাগত রাতকে থার্টিফার্স্ট নাইট বলা হয়। আর এই রাতকে ঘিরে পশ্চিমা দের যত আয়োজন। শুধু পশ্চিমা নয় মুসলিম জাতিরাও এ রাতকে ঘিরে অনেক আনন্দ উদযাপন করে থাকেন। আসলেই কি এটা করা ঠিক? আজকের এই পোস্টে আমরা বছরের শেষ দিন পালন করা যাবে কিনা এই নিয়ে আলোচনা করছি। থার্টিফার্স্ট নাইট পালনের ব্যাপারে ইসলাম কি বলে তা অনেকেই জানেন না। চলুন তাহলে থার্টিফার্স্ট নাইট পালনের ব্যাপারে ইসলাম কি বলে তা সঠিকভাবে জেনে নেই।

আরো পড়ুনঃ আকিকা দেওয়ার নিয়ম

অর্থ অপচয়

ডিসেম্বর মাসের ৩১ তারিখ যেটা সারা বিশ্বে এখন থার্টিফার্স্ট নাইট হিসেবে পরিচিত। এ রাত কে ঘিরে বিভিন্ন বয়সের যুবক-যুবতীরা অশ্লীল ও কুকর্মে এবং নেশা ভান করে বিভিন্ন অর্থ অপচয় করে থাকেন। যা আল্লাহতালা একেবারেই অপছন্দ করেন। কারণ ইসলামে বলা হয়েছে আল্লাহ তাআলা অপচয়কারীকে পছন্দ করেন না।

অশ্লীলতা

এ রাতকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা মহোৎসবে মাতিয়ে  তোলে। মহিলারা অর্ধনগ্ন ও অসীম কাপড় পড়ে চলাফেরা করে। যা ইসলামে একেবারে হারাম করা হয়েছে।

পোশাক সম্পর্কে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম বলেছেন যে নারী পোশাক পরিহিতা কিন্তু প্রায় নগ্ন। যারা পর পুরুষকে আকৃষ্ট করবে এবং নিজেও আকৃষ্ট হবে তাদের মাথা বক্র উঁচু কাঁধ বিশিষ্ট উটের ন্যায়। তারা জান্নাতে প্রবেশ তো দূরে থাক তারা জান্নাতের সুগন্ধী ও পাবে না।

বিভিন্ন আতশবাজি 

এ রাতকে ঘিরে আনন্দ উল্লাস করার জন্য আতশবাজি ও পটকা বাজি ফুটানো শুরু করে। জনগণের আতঙ্ক ও ভয়ভীতি সৃষ্টির কারণ হতে পারে। তা জনগণের জন্য কষ্টদায়ক। আল্লাহ বলেন: যা বিনা অপরাধে মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদের কষ্টদেয়, তারা মিথ্যা অপবাদ ও প্রকাশ্য পাপের বোঝা বহন করে। (সূরা আহযাব-৫৮, সহীহ বুখারী-২৯০৫)

নেশা করা

থার্টি ফাস্ট নাইট কে ঘিরে যুবক-যুবতীরা বিভিন্ন নেশা দ্রব্য পান করে থাকে। এবং মাতাল হয়ে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হয়।আর একারণেই ইসলাম সমুদয় নেশাদ্রব্যকে হারাম করেছে। (সূরা মায়েদা-৯০-৯১ ও সূরা নিসা-১৪, সহীহ মুসলিম ২য় খন্ড, ৯৬৭ পৃষ্ঠা)

আরো পড়ুনঃ সেরা ইসলামিক ওয়েবসাইট সমূহ

যুবক-যুবতীর কুকর্মে লিপ্ত

এ রাতকে ঘিরে বিভিন্ন পার্কে, হোটেলে, নাইট ক্লাব কমিউনিটি সেন্টারে যুবক-যুবতীরা অবাধে ও কুকর্মে লিপ্ত থাকে। অথচ এ কাজগুলোকে ইসলাম কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছেন।রাসূল (সা) বলেছেন: অবশ্যই কোন পুরুষ কোন নারীর সাথে নির্জনে একত্রিত হলে তাদের তৃতীয়জন হয় শয়তান। (তিরমিযি, মিশকাত-১৩১৮, সহীহ)

যদি কোন ব্যক্তি বিধর্মীদের কোন অনুষ্ঠানে লিপ্ত থাকে তাহলে সে মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হবে। তাই আমাদের মুসলিম হয়ে উচিত এসব বিধর্মীদের অনুষ্ঠানগুলোকে এড়িয়ে চলা। এবং সকল মুসলিম জাতিকে এসব গর্হিত কাজগুলো থেকে সতর্ক রাখা।

শেষ কথাঃ বছরের শেষ দিন পালন করা যাবে কিনা

আপনারা যারা এতক্ষণ আমাদের সাথেই ছিলেন তারা নিশ্চয়ই বছরের শেষ দিন পালন করা যাবে কিনা এ বিষয়ে সঠিক তথ্য জানতে পেরেছেন। ৩১শে ডিসেম্বর অর্থাৎ যাকে বলা হয়ে থাকে থার্টিফার্স্ট নাইট যা পশ্চিমা দেশ থেকে উৎপত্তি। বর্তমানে এই উৎসবটি সারা বিশ্বের মানুষ আনন্দ উৎসবের সাথে পালন করে থাকে কিন্তু ইসলামে যা একেবারেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এই উৎসবে বিভিন্ন কুকর্ম অশ্লীলতা নেশাদ্রব্য অর্থ অপচয় করে এই উৎসবটি পালন করে থাকে আল্লাহ তাআলা আমাদের মুসলিম জাতিকে এইসব হারাম ও অশ্লীল কুকর্ম থেকে যেন রক্ষা করে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Skbd IT এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url