শীতে গা খসখস করে কেন

শীতে গা খসখস করা নিয়ে চিন্তিত তাহলে চিন্তা ছেড়ে আমাদের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। আপনারদের জন্য আজকের এই পোস্টে আমরা শীতে গা খসখস করে কেন, আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব। শীতে আমাদের বেশিরভাগই গা খসখস করে থাকে। তাই এ গা খস দূর করার জন্য আমরা বিভিন্ন রকমের ক্রিম লোশন ব্যবহার করে থাকি।

শীতে গা খসখস করে কেন

তাহলে চলুন আর দেরি কেন সামনেই শীত আসতে চলেছে তাই শীতে গা খসখস করে কেন এ বিষয়ে ভালোভাবেই জেনে নেওয়া যাক।

সূচিপত্রঃ শীতে গা খসখস করে কেন

শীতে গা খসখস করে কেনঃ উপস্থাপনা 

শীত প্রায়  এসেই পড়েছে। তাই শীতে আমাদের আগে  থেকেই শরীরের যত্ন নেওয়া সবারই উচিত। শীতে গা খস খস করে কেন আমরা অনেকেই জানি। কারণ শীতের আদ্রতা শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে আমাদের ত্বক অনেকটাই শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে ওঠে।

আরো পড়ুনঃ পা ফাটা দূর করার ক্রিম বাংলাদেশ

এই জন্য আমাদের শরীর অনেকটাই খসখস অনুভূত হয়। এবং অনেক সময় শীতে শরীরের চামড়া পরিবর্তন হয়। যার কারনে শীতে আমাদের গা খসখসে হয়। আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের শীতে গা খসখস করে কেন সে বিষয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।

শীতে ত্বক  ফাটে কেন

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা শীতে গা খসখস করে কেন এই বিষয় নিয়ে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব। এখন আমরা জানবো শীতে ত্বক ফাটে কেন।

শীতের প্রকৃতি অনেকটাই শুষ্ক ও রুক্ষ থাকে। শীতের হিমেল হাওয়ায় বাইরে গেলে আমাদের সবারই ত্বক ফেটে যায়। আর আমাদের শরীরের চামড়াগুলো পরিবর্তন হয়। এবং শরীর খসখসে হয়ে ওঠে। শরীর রুক্ষ ও খসখসসে হয়ে যায়। যা শুধু শীতকালের ঋতুতে ই আমাদের এই শরীরের পরিবর্তন গুলো দেখা যায় । অন্য কোন ঋতুতে ত্বকের এতটা পরিবর্তন হয় না।

তাই শীতকালে অনেক আদ্রতার জন্য এবং রুক্ষ প্রাকৃতির জন্য আমাদের ত্বকে বিভিন্ন জায়গা যেমন হাত, পা, ঠোঁট ফেটে যায়। অনেকের আবার পায়ের গোড়ালি ফেটে রক্ত পড়ে এবং যন্ত্রনা করে। আমরা শীতকালে সবাই  ত্বকের অনেক যত্ন নিয়ে থাকি। অনেক ধরনের লোশন ক্রিম ত্বকের যত্নে ব্যবহার করে থাকি। যেন আমাদের ত্বক সুন্দর কমল মসৃণ থাকে।

শীতে অতিরিক্ত ধুলোবালিতে আমাদের ত্বকে বিভিন্ন রকমের ময়লা জমে থাকে। যা আমাদের ত্বক ফাটাতে সাহায্য করে।  শীতের শুষ্কতা ও ধুলাবালি ত্বক ফাটার প্রধান কারণ। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, মানুষের ত্বকে উপরিভাগে পানি জমা থাকে, যা কোষের ছিদ্র দিয়ে শীতকালে বের হয়ে যায়। এ সময় আমাদের শরীর শুষ্ক রুক্ষ টানটান ভাব হয়ে, যার প্রমাণ আমাদের শরীরে আঁচড় দিলে হালকা সাদা দাগ ও চামড়া উঠে আসে।

শীতকালে শরীরের যত্ন নেওয়ার উপায়

 শীতে গা খসখস করে কেন জেনে নিন ও শীতকালে শরীরের যত্ন নেওয়ার উপায়।শীতের ঋতুতে বাতাসের আদ্রতা অনেক কমে  যায়। এবং আমরা যখন বাইরে বের হয়, তখন আমাদের শরীর থেকে পানি শুষে নিয়ে ত্বক রুক্ষ করে তোলে। এইজন্য আমাদের  ত্বক ঠোট ও হাত-পায়ের তলা ফেটে যায়।   তাই এ ত্বকের সঠিক যত্ন নেওয়ার উপায় গুলো, শীতে গা খসখস করে কেন। আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আমরা জেনে নেব।

শীতের ঠোটের যত্ন

শীতের সময় আমাদের কমবেশি সবারই ঠোঁট ফেটে থাকে। আমাদের শীতের সময় বা এমনি সময় জিব্বা দিয়ে ঠোঁট ভিজানো উচিত নয়। জিব্বা দিয়ে বারবার ঠোট চাটার ফলে আমাদের ঠোঁটফাটা আরো বৃদ্ধি হয়ে যেতে পারে। তাই ঠোঁট ফাটা রোধ করতে তৈলাক্ত প্রলেপ ব্যবহার করতে হবে। যেমন লিপজেল, ভেসলিন, মেরিল ইত্যাদি। যা ঠোঁট ভালো রাখতে ও ঠোঁট ফাটা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে।

শীতে শরীরের যত্ন -

শীতকালে বেশিরভাগই আমাদের শরীর রুক্ষ খসখুসে থাকে। এবং মরা চামড়াগুলো পরিবর্তন হয়ে নতুন চামড়া গজিয়ে থাকে। শীতকালে আমাদের সকলেরই শরীরের যত্ন নেওয়া উচিত আপনি প্রতিদিন গোসলের পর লোশন ক্রিম ও বিভিন্ন মশ্চারাইজার আপনার শরীরে ব্যবহার করতে পারেন । এ থেকে আপনার শরীর অনেকটাই মশ্চারাইজিং ও মসৃণ হয়ে উঠবে। শীতে গা খসখস করে কেন এই নিয়ে টেনশনে থাকলে আপনি এই উপায়টি অবলম্বন করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ টিউমার ভালো করার ঘরোয়া উপায়

শীতে পায়ের যত্ন -

শীতে অনেকের পা ফাটা বৃদ্ধি হয়ে যায়। যারা এই সমস্যায় ভুগছেন তারা অ্যাক্রোফ্লেভিন দ্রবণে পা ভিজিয়ে রেখে পরে পা শুকনা করে ভ্যাসনিল ব্যবহার করতে হবে এতে অনেক উপকৃত হবেন। বাজারে বিভিন্ন প্রকার পা ফাটা ক্রিম ও ভেসলিন পাওয়া যাচ্ছে । যা একটি তৈলাক্ত ও পানি দ্বারা মিশ্রিত পণ্য।

এছাড়া পা ফাটা রোধ করতে আপনি গ্লিসারিন ব্যবহার করতে পারেন। এবং পা ফাটা কম হলে বাসায় অলিভ অয়েল ও নারিকেল তেল ব্যবহার করে আপনি উপকৃত হবেন ।

 গোসলের সময় গরম পানি ব্যবহার 

শীতের সময় গোসল করতে আমরা অনেকেই নারাজ থাকি। কারণ শীতের সময় গোসল করা অনেক কষ্টকর। তাই শরীরে তৈলাক্ত বজায় রাখতে আমরা হালকা গরম পানি গোসলের সময় ব্যবহার করব। আমরা মুখ ও হাত-পায়ে শুধু গরম পানি নয় আমাদের পুরো শরীরেই গোসলের সময় হালকা গরম পানি করে আমাদের শরীরটি ধুয়ে ফেলবো।

নিয়মিত ত্বকে লোশন ও ক্রিম এর ব্যবহার

আমরা শীতের সময় শরীরের খসখসে ভাব দূর করতে যখন তখনই ক্রিম ব্যবহার করে থাকি। যা করা উচিত নয় ।এরকম করলে আপনি আপনার ত্বকে ভালো ফল পাবেন না। তাই আপনার শরীরের ভালো ফল পেতে হলে আপনাকে গোসলের পর ত্বকে লোশান ও ক্রিম  ব্যবহার করতে হবে।

গোসলের পর ক্রিম বা লোশন কিংবা মশ্চারাইজার জাতীয় উপাদান যদি আপনার ত্বকে ব্যবহার করেন। তাহলে আপনার ত্বকের অনেকক্ষণ আদ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। তাই আপনার ত্বককে যদি সুস্থ ও কমল রাখতে চান, তাহলে নিয়মিত গোসলের পর রোশন ও ক্রিম ব্যবহার করুন।

নিয়মিত পানি পান করুন

শীতে গা খসখস করে কেন জানেন কারণ  শীতের আদ্রতা আমাদের শরীরকে রুক্ষ করে তোলে। এবং শীতকালে অনেকেই কোম পানি পান করে থাকি। কোম পানি পান করা আমাদের শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর। আমাদের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খাওয়া জরুরী। তার জন্য শীতে আমাদের হালকা গরম করে হলেও পানি পান করা উচিত। আপনি পানির সাথে কয়েক ফোঁটা লেবু মিশিয়ে খেলেও ভালো ফল পাবেন।

শীতকালে রাতে শরীরের যত্ন নেওয়ার উপায়

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা শীতকালে গা খসখস করে কেন এ বিষয় নিয়ে আপনাদের বিস্তারিতভাবে জানানোর চেষ্টা করেছি। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা শীতকালে গা খসখস করে কেন এ বিষয়েও ছাড়া শীতকালের ত্বকের যত্নে বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে আপনাদের ইতিমধ্যেই জানিয়েছি এখন আমরা শীতকালে রাতে শরীরের যত্ন নেওয়ার উপায় গুলো সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে নেব এবং নিয়মগুলো মেনে চলব।

ক্লিনজিং মিল্ক দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন

আমরা যখন কর্মব্যস্ততা শেষ করে রাত্রে বাড়ি ফিরে অবশ্যই আপনাকে ক্লিনজিং মিল্ক দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হবে। এবং আপনি যদি মেকআপ করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে মেকআপ গুলো রিমুভ করতে হবে। আপনার বাসায় যদি ক্লিনজিং মিল্ক না থাকে তাহলে হাতের কাছেই কাঁচা দুধ ও লেবুর কয়েক ফোঁটা রস মিশিয়ে আপনি আপনার ত্বকটি পরিষ্কার করে নিবেন।

আরো পড়ুনঃ চোখের ফোলা কমানোর উপায়

স্ক্রাবিং করুন

শীতের রাতে আপনাকে স্ক্রাবিং করা প্রয়োজন । কিন্তু এটি প্রতিদিন করা ক্ষতিকর। যা আমাদের ত্বকের ক্ষতির কারণ হতে পারে । বাসায় স্ক্রাবিং বানানোর জন্য চালের গুড়ি, বেসন ,লেবুর রস, চিনি , কফি দিয়ে  স্ক্রাবিং বানিয়ে নিন।

রাতে ত্বক ম্যাসাজ করুন

প্রতিদিন রাতে শোবার আগে আপনার ত্বক মাসাজ করা জরুরী। ঘাড় আর মুখ ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। এতে করে আপনার পেশি রিলাক্স পাবে। এতে করে আপনার ঘুম ভালো হবে যা আপনার ত্বকের জন্য অনেক উপকৃত ও ভালো প্রভাব ফেলবে।  ত্বক ম্যাসাজ করার জন্য আপনি অর্গান অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এতে মুখে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। এবং মেসেজের পর ইষদুষ্ণ পানি দিয়ে মুখটি ধুয়ে ফেলুন।

ডিপ মশ্চারাইজার বা জেল ব্যবহার

রাত্রে শোবার আগে উপরের নিয়ম গুলো পালন করে আপনি বিভিন্ন ময়্চারাইজার ক্রিম ও জেল ব্যবহার করবেন। মুখ থেকে ঘার পর্যন্ত আপনি এই মশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন। এছাড়াও বিভিন্ন অ্যালোভেরা জেল ও ভিটামিন সি যুক্ত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনার ত্বকের রক্ত সরণ সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে এবং পুষ্টি পাবে। এবং ভেতর থেকে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।

আমাদের শেষ কথা

আমাদের পোস্টটি পড়ে কি আপনারা শীতে গা খসখস করে কেন সে বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন? আমাদের এই পোস্টটিতে আমরা শীতের বিভিন্ন ত্বকের যত্নের উপায় সম্পর্কে আপনাদের জানিয়েছি। আশা করি এই উপায় গুলো আপনারা মেনে চললে ত্বকের যত্নে ভালো ফল পাবেন।

এবং যাদের মনে প্রশ্ন ছিল শীতে গা খসখস করে কেন আশা করি আমাদের পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের বোঝাতে পেরেছি এবং আপনাদের সামনে শীতে গা খসখস করা বিষয়ে সঠিক তথ্য দিতে পেরেছি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Skbd IT এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url