শীতকাল নিয়ে রচনা - শীতকাল নিয়ে কবিতা
প্রিয় বন্ধুরা তোমরা নিশ্চয়ই শীতকাল নিয়ে রচনা ও শীতকাল নিয়ে কবিতা সম্পর্কে ভাবছো তাহলে আজকের এই পোস্টটি তোমাদের জন্যই। আজকের এই পোস্টটিতে আমরা শীতকাল নিয়ে রচনা সম্পর্কে তোমাদের সামনে বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরব। স্কুল জীবনে আমরা শীতের বিভিন্ন রচনা লিখে থাকি। আজকের এই পোস্টটিতে আমরা শীতকাল নিয়ে রচনা সম্পর্কে তোমাদের জানাব।
তাহলে চলো বন্ধুরা শীতকাল নিয়ে রচনা - শীতকাল নিয়ে কবিতা সম্পর্কে আমাদের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকো।
সূচিপত্রঃ শীতকাল নিয়ে রচনা - শীতকাল নিয়ে কবিতা
- শীতকাল নিয়ে রচনা - শীতকাল নিয়ে কবিতাঃ উপস্থাপনা
- শীতকাল নিয়ে রচনা
- শীতকাল নিয়ে কবিতা
- শীতকাল নিয়ে রোমান্টিক কবিতা
- আমাদের শেষ কথাঃ শীতকাল নিয়ে রচনা - শীতকাল নিয়ে কবিতা
শীতকাল নিয়ে রচনা - শীতকাল নিয়ে কবিতাঃ উপস্থাপনা
প্রিয় বন্ধুরা আজকের এই পোস্টটিতে আমরা শীতকাল নিয়ে রচনা - শীতকাল নিয়ে কবিতা সম্পর্কে তোমাদের দের বিস্তারিতভাবে জানাবো। বাংলাদেশে শীতকাল হলো পঞ্চম ঋতু। এই ঋতুটি সবার কাছে অতি প্রিয়। ছোট থেকে বড় সবাই এই ঋতুটি পছন্দ করে থাকেন। ছোটবেলায় অনেকে আমরা স্কুলে শীতকাল নিয়ে রচনা - শীতকাল নিয়ে কবিতা লিখেছি।
আরো পড়ুনঃ চোখের ফোলা কমানোর উপায়
অনেকেই আছেন যারা শীতকাল নিয়ে রচনা - শীতকাল নিয়ে কবিতা সম্পর্কে জানেন না। তাদের জন্য আমাদের পোস্টটি অনেক উপকারে আসবে আজকের পোস্টটিতে আমরা শীতকাল নিয়ে রচনা- শীতকাল নিয়ে কবিতা সম্পর্কে তোমাদের সামনে তুলে ধরব।
শীতকাল নিয়ে রচনা
বাংলাদেশের শীতকাল আসে শীতের নানা আগমনের বার্তা নিয়ে। শীতকাল হলো বাংলাদেশের একটি বিশেষ ঋতু। অনেকে এর ঋতু পছন্দ করে বলে শীত নিয়ে রচনা লেখা অনেক কাছে সহজ হয়ে ওঠে ।চলুন তাহলে এই পোস্টটিতে শীতকাল নিয়ে একটি রচনা জেনে নিন।
সূচনা: শীত হলো বাংলাদেশের পঞ্চম তম ঋতু। ছয় ঋতুর দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ । আমাদের দেশকে আবার ঋতুরাজ নামেও পরিচিত। ঋতুচক্রের আবর্তনে আমাদের দেশে শীত আসে কুয়াশার চাদর মুড়িয়ে। শীতের হিমেল হাওয়ার প্রভাবে হাড় কাঁপানো শীত সময় জেকে বসে আমাদের এই বাংলাদেশে।
প্রকৃতি: শীতকালে প্রায় সময় কুয়াশায় ঢেকে থাকে। কোন কোন দিন আবার সূর্যের মুখ পর্যন্ত দেখা যায় না। এ সময় প্রাকৃতির গাছের পাতা রুক্ষ ও বিবর্ণ হয়ে ঝরে যায়। ঘুম থেকে উঠেই প্রাকৃতি দেখে মনে হয় যেন কুয়াশার লেপ মুড়ি দিয়ে ঘুমিয়ে আছে।
শীতের সকাল: শীতের সকাল হয় কুয়াশাচ্ছন্ন। সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখি গাছপালা ও ঘাস শিশীরে ভিজে আছে । সকালে রাস্তাঘাট ও নির্জন হয়ে থাকে। শীতের সকালে সবাই ঘুম থেকে সূর্য উদয়ের পরে ওঠে। শহরগুলোতে শীতের সকাল হয় আরমপ্রদ। তাদের সূর্য উদয়ের পরে কোলাহল সৃষ্টি হয়। এবং সবাই কর্মক্ষেত্রে যায়। কিন্তু গ্রামের শীতের সকাল আসে নির্মমরুপে। গ্রামের লোকের প্রয়োজনীয় শীত বস্ত্র না থাকায় তারা সারা রাত খড়কুটো জেলে হিমশীতল রাত কাটিয়ে দেয়। এবং সকালে রোদ পোহাবে তাই সূর্যের অপেক্ষা করে থাকে।
স্থায়িত্ব: পৌষ ও মাঘ হল শীতকাল। বাংলাদেশের ঋতু চক্রের শীত হলো পঞ্চম তম ঋতু। কার্তিক মাসের মাঝামাঝি যেতেই শীতের আগমন শুরু হয়ে যায়। এবং ফাল্গুন মাসের শেষ পর্যন্ত এর স্থায়িত্ব থাকে।
সুবিধা: শীতকালে বাংলাদেশের কৃষকের ঘরে ঘরে ওঠে নতুন আমন ধান। চারিদিক নবান্ন উৎসবে মেতে ওঠে। এই উৎসবে নানা ধরনের পিঠা পুলি পায়েস তৈরি হয়ে থাকে। খেজুরের গুড়ের রসের মৌ মৌ গন্ধে চারিদিক আমোদিত হয়ে থাকে। এ সময় টাটকা টাটকা বিভিন্ন ধরনের সবজি ও মাছ মাংস পাওয়া যায়। এ সময় অনেকটা পরিশ্রম করা যায়। সহজে শরীরের ক্লান্তি আসে না। এ সময় বিভিন্ন প্রকার পোকামাকর ও মশা মাছি উপদ্রব থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
অসুবিধা: বাংলাদেশের অনেক মানুষ গ্রামে বাস করে। এবং গ্রামের অধিকাংশই মানুষ গরিব ও অসহায় হয়ে থাকে। তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ শীতের কাপড় না থাকায় তাদের কাছে শীত মর্মান্তিক রূপে আসে। গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠী ও শহরের বস্তির জনগণের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়াও শীতকালে বিভিন্ন রকমের চর্মরোগ ও সর্দি কাশির প্রকোপ দেখা যায়।
উপসংহার: বিভিন্ন অসুবিধার মধ্যেও শীত আমাদের কাছে অত্যন্ত একটি প্রিয় ঋতু। এ ঋতুতে নবান্ন উৎসবে চারিদিক মাতিয়ে তোলে। এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মানুষকে মাতিয়ে রাখে।
শীতকাল নিয়ে কবিতা
প্রিয় বন্ধুরা তোমরা অনেকেই শীতকাল নিয়ে কবিতা সম্পর্কে জানতে আগ্রহী আমাদের এই পোস্টটিতে আজকে শীতকাল নিয়ে কবিতা সম্পর্কে তোমাদের সামনে তুলে ধরব।শীতের কবিতা বলতে শীতের অনুভূতি ও শীতের পরিবেশ নিয়ে যে কবিতা লেখা হয় তাকে শীতের কবিতা বলে থাকে। শীতের কবিতা বলতে বিভিন্নভাগ রয়েছে যেমন শীতের কবিতা, শীতের বিকেলের কবিতা ,শীতের সকালের কবিতা, শীতের দুপুরের কবিতা আজকের এই পোস্টটিতে আমরা শীতকাল নিয়ে কিছু কবিতা আপনাদের সামনে তুলে ধরবো।
আরো পড়ুনঃ টিউমার ভালো করার ঘরোয়া উপায়
পউষ এলো গো
পউষ এলো গো! পউষ এলো অশ্র'' পাথর হিম পারাবার
পারায়ে ও মে এলো গো- কুজঝটিকার ঘোম্টা- পরা দিগন- রে দাঁড়িয়ে ।। সে এলো আর পাতায় পাতায় হাই বিদায় ব্যথা যাই গো কেঁদে যায়, অস্ত -বধূ (আ -হা) মিলন চোখে চায় পথ - চাওয়া দীপ্ত- সন্ধ্যা তারায় হারায়ে ।। পউষ এলো গো-
শীত সোহাগী
শীত সোহাগী আসলো দেশে
রূপের রানী হয়ে
ভর বিহনে সুখের ক্ষণে
হিম পবনে বয়ে ।
শীত সোহাগী আসলো দেশে
হিম কুয়াশা মোড়ে
পিঠা পুলি সোনা রোদে
মিঠে দানা গুড়ে।
শীত সোহাগে আসলো দেশে
সোনার ওদের ঝিলিক
সোনার দেশ বাংলাদেশ নয়া পাখির হিরিক।
চুপি চুপি শীত
চুপি চুপি কোথা থেকে
এলো আজ শীত
গুন গুন গাই পাখি
শীত শীত শীত
কৃষকেরা ধান কাটে পায় খুঁজে সুখ
পিঠাপুলি খাবে তাই উজ্জ্বল মুখ।
রাখালেরা হাসি নিয়ে সুর তুলে গাই
চারদিকে মাঠগুলো ধানে ছেয়ে যায়।
শীতকাল নিয়ে রোমান্টিক কবিতা
প্রিয় বন্ধুরা শীত আমাদের সকলেরই প্রিয় শীতের এই ঘন মুহূর্তে আমরা বিভিন্ন ধরনের শীতের রোমান্টিক কবিতা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। এই পোস্টটিতে শীত নিয়ে রচনা এবং শীতকালে নিয়ে রোমান্টিক কবিতা সম্পর্কে আজকে আমার আপনাদের জানাবো।
আরো পড়ুনঃ পা ফাটা দূর করার ক্রিম বাংলাদেশ
* *শীতের সকাল কুয়াশা ঢাকা তোমার আমার হবে দেখা,,,,,!!
আসতে হবে আমার বাড়ি খেতে দেবো পিঠা পুলি ,,,,!!!!
** শীত এলো শীত এলো গরম কোথায় হারিয়ে গেল,,,,!!
শীতের হিমেল হাওয়ায় বলছে আমার কানে কানে আমি হলাম শীতের রানী,,,!!!
**কুয়াশা ঢাকা শীতের সকাল দেখতে লাগে ভালো,,, ওগো শীত বলছি তোমায় রোদে ঝলমল,,, তুমি কি আমায় বলতে পারো,,, তোমার হিমেল হাওয়ায় মন যে আজ পাগলপারা ,,,,,, কুয়াশা ভরা ছন্নছাড়া মন পাগল আজ দিশেহারা,,,,,,,,!!!!
আমাদের শেষ কথাঃ শীতকাল নিয়ে রচনা - শীতকাল নিয়ে কবিতা
প্রিয় বন্ধুরা আজকের এই পোস্টে আমরা শীতকাল নিয়ে রচনা - শীতকাল নিয়ে কবিতা সম্পর্কে তোমাদের সামনে তুলে ধরেছি। তোমরা যারা শীতকাল পছন্দ কর এবং শীতকাল নিয়ে রচনা -শীতকাল নিয়ে কবিতা সম্পর্কে জানতে চাও তারা আমাদের পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে পারো। আশা করি আমাদের পোস্টটি পড়ে তোমরা অনেক উপকারে আসবে।
0 Comments
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন