ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় - ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ

ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয়- ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ সম্পর্কে অনেকেই আপনারা অবগত নন। ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় সম্পর্কে আমাদের সচেতন হতে হবে। এবং ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে হবে। না হলে আপনারা বিভিন্নভাবে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হতে পারেন। আজকের এই পোস্টটিতে আমরা ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয়- ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিতভাবে জানানোর চেষ্টা করব।

ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয়

তাহলে চলুন দেরি না করে ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয়  সঠিকভাবে জেনে নিন এবং ডেঙ্গু জ্বরের করণীয় সম্পর্কে সচেতন হোন।

সূচিপত্রঃ ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় - ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ

ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় - ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণঃ উপস্থাপনা

আমাদের শরীর বিভিন্ন ভাবে আক্রান্ত হয়ে থাকে। এখন বেশিরভাগই সময় ডেঙ্গুজরে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। তাই ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় - ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ সম্পর্কে আমাদের সচেতন হতে হবে।কারণ ডেঙ্গু জ্বরের মাধ্যমে আমাদের শরীর বিভিন্ন ভাবে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। এটি একটি মারাত্মক প্রাণঘাতি ভাইরাস ।

আরো পড়ুনঃ টিউমার ভালো করার ঘরোয়া উপায়

তাই ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় সম্পর্কে আমাদের সবারই সচেতন হওয়া দরকার । ডেঙ্গু জ্বরের মাধ্যমে প্রতিবছর অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে। আমাদের চারিপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মতভাবে রাখতে হবে। ও চলাফেরা করলে আমরা ডেঙ্গু জ্বর থেকে মুক্তি পেতে পারি । তাই আসুন সবাই আমরা ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় -  ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন।

ডেঙ্গু জ্বর কেন হয়

আমাদের শরীর বিভিন্নভাবে রোগে আক্রান্ত হতে পারে আজকের এই পোস্টটিতে আমরা ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করব তার আগে আপনাকে ডেঙ্গু জোর কেন হয় তা জানতে হবে।

ডেঙ্গু একটি মশা বাহিত রোগ । এটি বিশেষ করে এডিস মশার কামড়ে হয়ে থাকে। এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু ভাইরাস হয়ে আমাদের শরীর আক্রান্ত হয়ে ডেঙ্গু জ্বর টি গ্রীষ্মকালীন সময় হয়ে থাকে। একটি এডিস মশার কামড়ে ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার  তিন থেকে  পনের দিন পর এ রোগের উপসর্গ দেখা দেয়।

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ

আমাদের দেশে প্রায় প্রতি বছরই ডেঙ্গু জ্বরে আকারান্ত হয়ে মানুষ মারা যায়।  ডেঙ্গু একটি মারাত্মক ভাইরাস যা একটি মশার মাধ্যমে এ ভাইরাসটি সংক্রমিত হয়ে থাকে। তাই ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় সম্পর্কে জেনে থাকা উচিত। আজকের এই পোস্টটিতে আমরা ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণগুলো জানবো।

একটি এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু ভাইরাস রোগ হয়ে থাকে। মশাটি কামড়ের ৩ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে এর লক্ষণগুলো দেখা দিতে থাকে।

আরো পড়ুনঃ পা ফাটা দূর করার ক্রিম বাংলাদেশ

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ-

১। মাথা ব্যথা ,বমি মাংসপেশী ও ঘাটে ব্যথা, 

২। এবং শরীরের উপর ভাগে চামড়ায় লালচে দাগ ফুসকুড়ি ওঠা  চোখের পিছনে ব্যাথা

৩। ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণে জ্বরের তাপমাত্রা ৯৯ থেকে ১০৬ ডিগ্রী ফেরেনহাইট পর্যন্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।

৪। আপনি যদি সঠিকভাবে ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা নিয়ে থাকেন এবং ডেঙ্গু জ্বরের কারণ গুলো সম্পর্কে সচেতন থাকেন তাহলে দুই থেকে সাত দিনের মাথায় আপনি আরোগ্য লাভ করবেন ইনশাআল্লাহ।

৫। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আবার রোগটি মারাত্মক  রক্তক্ষয়ী রূপ নিতে পারে । যাকে আবার ডেঙ্গু রক্তক্ষয়ী জ্বর বলে। এই জ্বরটি কে আবার ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার ও বলা হয়। এরফলে অনেক রক্তপাত হয় এবং রক্তের অনুচক্রপাত কমে যায়। 

৬। আবার অনেক শক সিনড্রোম দেখা যায়। ডেঙ্গু শক সিনড্রোম কারণে রক্তচাপ কমে যায় যা বিপদজনক ভাবে রোগীর ক্ষতি হয়।

ডেঙ্গু জ্বর  হলে করণীয়

আজকের আর্টিকেলে আমরা ডেঙ্গু জ্বর কেন হয়। ডেঙ্গু  জ্বরের লক্ষণ সম্পর্কে ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি। এখন আমরা ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করব।

১। ডেঙ্গু একটি মশা বাহিত প্রাণঘাতী ভাইরাস। যা প্রথমে জ্বর দিয়ে শুরু হয় এবং আস্তে আস্তে এবং সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ার জন্য অনেকেই মৃত্যুবরণ করে থাকেন। তাই ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় সম্পর্কে সচেতন থাকেন।

২। জুলাই থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ থাকে।আমাদের দেশে অনেক মানুষ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে। অনেকে ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় সম্পর্কে সচেতন থাকেন না। তাই অনেকে সচেতনতার অভাবে সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে মারা গিয়ে থাকে।

৩। আপনার যদি ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণগুলো প্রকাশ পেয়ে থাকে, তাহলে আপনার চিকিৎসা বাসায় না হাসপাতালে হবে সেটা নির্ভর করবে আপনার ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণের উপর। আপনার লক্ষণ যদি মারাত্মক আকার ধারণ করে তাহলে আপনাকে দূত হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হবে। 

৪। আপনাকে বিভিন্ন তরল জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। এবং সাধারণ ডেঙ্গু জ্বর হলে আপনাকে প্রাপ্তবয়স্কদের দিনে চারটি করে প্যারাসিটামল খেতে পারবেন। কিন্তু কোন ব্যক্তির যদি লিভার কিডনি সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের চিকিৎসা গ্রহণ করে খেতে হবে।

৫। ডেঙ্গু জ্বর তিন প্রকার হয়ে থাকে এ, বি, ওসি । যে রোগীর ডেঙ্গুজ্বর  'এ' ক্যাটাগরির তারা বাড়িতে স্বাভাবিকভাবে চিকিৎসা নিতে পারে। এ ক্যাটাগরির ডেঙ্গু জ্বর রোগীর সাধারণত শুধু জ্বরই থাকে। এবং অধিকাংশই রোগীরা এ ক্যাটাগরির হয়ে থাকে। 

৬। তাই 'এ' ক্যাটাগরির ডেঙ্গু রোগীরা হাসপাতালে না গিয়ে বাড়িতেই বিশ্রাম নিতে পারেন। ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় সম্পর্কে আপনি আগে থেকে যদি সতর্ক হোন তাহলে এ ক্যাটাগরির ডেঙ্গু জ্বর হতে আপনি মুক্তি পেতে পারেন।

৭। যারা 'বি' ক্যাটাগরির ডেঙ্গু রোগী তাদের হাসপাতালে ভর্তি প্রয়োজন হতে পারে। 'বি' ক্যাটাগরি রোগীর লক্ষণ হল পেট ব্যথা ,বমি ভাব, অন্তঃসত্ত্বা, ডায়াবেটিস, স্থূলতা, জন্মগত সমস্যা ,কিডনি ও লিভারের সমস্যায় আক্রান্ত থাকলে আপনাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।

৮। এই বার 'সি' ক্যাটাগরির ডেঙ্গু রোগীগুলোর লক্ষণ জেনে নেই। 'সি' ক্যাটাগরি রোগের লক্ষণ খুবই মারাত্মক। 'সি' ক্যাটাগরির ডেঙ্গু জ্বরের রোগী খুবই বিপদজনক হয়ে থাকে। এতে লিভার কিডনি মস্তিষ্ক ক্ষতিকর হতে পারে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা আইসিউর প্রয়োজন হতে পারে। তাই আমাদের ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় সম্পর্কে সচেতন হওয়া অতীত জরুরী।

ডেঙ্গু মশা থেকে বাঁচার উপায়

আজকের আর্টিকেলে আমরা মশা ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় সম্পর্কে আপনাদের সামনে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। ডেঙ্গু একটি প্রাণঘাতিক রোগ। যা এডিস মশার কারণে হয়ে থাকে। এডিস মশাকে আবার ডেঙ্গু মশা বলা হয়। তাই ডেঙ্গু মশা থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। চলুন তাহলে আজকের পোস্টটিতে আমরা ডেঙ্গু মশা থেকে বাঁচার উপায় গুলো জেনে নিই।

আরো পড়ুনঃ চোখের ফোলা কমানোর উপায়

১। আমরা অনেকেই সচরাচর মশা তাড়ানোর জন্য মশারি বা কয়েল ব্যবহার করে থাকি। আবার অনেকেই আছেন যারা কয়েল এক্স-প্র মশা  থেকে বাঁচার উপায় হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। এগুলো কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তাও আমরা এই সব উপায় গুলো অবলম্বন করে থাকি।

২। আমাদের চারিপাশে বারান্দায় বেলকনিতে বিভিন্ন টবের ও টায়ারে পানি জমে থাকে । যা মশা জন্মানোর উৎস হিসেবে কাজ করে। এইসব অপরিচ্ছন্ন জায়গা থেকে ডেঙ্গু মশার সৃষ্টি হয়ে থাকে। 

৩। তাই ডেঙ্গু মশা থেকে বাঁচতে আপনাকে নিয়মিত আপনার বাড়ির আনাচে কানাচে বেলকনি ও টবের বিভিন্ন গাছ-গাছড়া পরিষ্কার এবং শুষ্ক রাখতে হবে।

৪। অনেকদিন যাবত টায়ারে কিংবা টবে পানি জমে ডেঙ্গু মশার জন্ম হয়ে। এবং এই মশার কামড় থেকে আমাদের মশাবাহিতরোগ বা ডেঙ্গু ভাইরাসে পরিণত হতে পারে। 

৫। আপনার বাড়িতে যদি পানির কোন ব্যবস্থা থাকে তাহলে আপনি সেখানে গাপ্পি মাছ ও খালসে মাছ রাখুন। এই মাছগুলো ডেঙ্গু মশা ও বিভিন্ন মশার লাভা গুলো খেয়ে ফেলবে। এ থেকে কোন মশার বংশবিস্তার ঘুটতে পারবেনা।

৬। আবার কেউ কেউ বাড়ির আশেপাশের জমানো পানিতে লাভা নাশক রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করতে পারেন। তবে এটি স্বাস্থ্য ঝুঁকিপূর্ণ সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

আমাদের শেষ কথাঃ ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় - ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ

আজকের আর্টিকেলে আমরা ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় - ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আপনাদের জানিয়েছি। আশা করি আমাদের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা ডেঙ্গু জ্বরের হলে করণীয়- ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন ও অনেক উপকৃত হয়েছেন। তাই আসুন আমরা ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে সচেতন হয়।

এবং ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় গুলো সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে নিন। ও অন্যদের ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় সম্পর্কে সচেতন করি। তাই আসুন নিজেও সুস্থ থাকি এবং অন্য কেউ সুস্থ রাখি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Skbd IT এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url