পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ৯টি ইসলামিক উপায়

আশা করি সকলে ভালো আছেন। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাদের পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ইসলামিক উপায় সম্পর্কে জানাবো। অনেক ছেলে মেয়ে আছে যারা পড়াশোনায় অমনোযোগী। তাদের জন্য আমরা পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ইসলামিক উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব। আমাদের এই আর্টিকেলটি যদি আপনি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকেন।

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ৯টি ইসলামিক উপায়

তাহলে পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ইসলামিক উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আমরা পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ইসলামিক উপায় সম্পর্কে সঠিকভাবে কিছু তথ্য জেনে নিন।

সূচিপত্রঃ পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ইসলামিক উপায়

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার উপায়

আমরা পড়াশোনায় মনোযোগী হতে বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে থাকি। ভালোভাবে পড়ার জন্য নানারকম প্রচেষ্টা করে থাকি। এই প্রচেষ্টা যদি আপনি সঠিক ভাবে চালিয়ে যেতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি সঠিকভাবে পড়ালেখায় মনোযোগী হতে পারবেন।

কঠোর পরিশ্রম এবং সৎ চিন্তা ভাবনা এবং সঠিক অধ্যাবস্যই মাধ্যমে আপনি সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে গড়ে উঠতে পারবেন। অনেক স্টুডেন্ট রয়েছে যারা ইসলামী টাইপের তারা বিভিন্ন উপায়ে পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ইসলামিক উপায় গুলো সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য পেতে চান।

আরো পড়ুনঃ চুল ঘন করার ইসলামিক উপায় জানতে চাই

রুটিন তৈরি করাঃ পড়ায় মনোযোগী মনোযোগী হতে হলে অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত ভাবে রুটিন তৈরি করতে হবে এবং সে রুটিন অনুযায়ী আপনি পড়ালেখা কমপ্লিট করতে পারবেন তাই প্রত্যেকটি সাবজেক্টের জন্য নিয়ম করে রুটিন তৈরি করুন।

পড়ার পরিবেশ তৈরি করাঃ পড়তে বসলে অবশ্যই পড়ার একটি পরিবেশ দরকার যা অনেকেরই হয়ে ওঠে না।পড়ালেখার নিয়ম ও মানান হল পড়ার টেবিল। সঠিক নিয়মে প্রতিদিন পড়ার টেবিলে পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। দেখবেন আপনার পড়াশোনায় ভালোভাবেই আপনি মনোযোগী হতে পারছেন।

লক্ষ্য স্থিরঃ আমাদের যেকোনো কাজ করার উদ্দেশ্যে অবশ্যই কিছু লক্ষ্য রয়েছে। এবং সে লক্ষ্যকে উদ্দেশ্য করে আমরা যে যার কাজে এগিয়ে যাই। আপনার কাজে যদি কোন লক্ষ্যই না থাকে তাহলে আপনি কোনদিনও সেই কাজে সফল হবেন না।

সে ভাবে লেখাপড়াটাও একটি ওপরে ওঠার সিঁড়ি। তাই আপনার লক্ষ্যে আপনাকে অবিচল থাকতে হবে। কারণ আপনার লক্ষ্য স্থির করেই আপনাকে আপনার লেখাপড়া চালিয়ে যেতে হবে। এবং এই লক্ষ্য আপনাকে আপনার লেখাপড়ায় মনোযোগী করে তুলবে।

শারীরিক ও মানসিক সুস্থতাঃ পড়াশোনায় মনোযোগী হতে হলে অবশ্যই শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের মন যখন সতেজ এবং শরীরে সুস্থ থাকে, তখন আমাদের কঠিন বিষয়গুলো আমার আয়ত্ত করতে পারি। তাই শরীরকে এবং মনকে সুস্থ রাখা অবশ্যই জরুরি একটি বিষয়।

পড়ার বিষয়ে কারো সাহায্য নেওয়াঃ পড়ার বিষয়ে সাহায্য নেওয়া একটি স্বাভাবিক বিষয়। অনেক সময় বিভিন্ন কারণে আমাদের অনেক পড়ায় আমরা বুঝতে পারি না এজন্য আমাদের মনোযোগ নষ্ট হয়ে যায় এবং সে পড়াতে আমাদের মন বসতে চায়না। সে সময় আপনি যদি আপনার পরিচিত কাউকে দিয়ে সে বইয়ের বিষয়ে সাহায্য নিতে  চান তাহলে সবচাইতে উত্তম হবে। তাই পড়ার বিষয়ে কারো সাহায্য নেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

ব্রেনের বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় খাবারঃ ছাত্র-ছাত্রীদের ব্রেনের বিকাশের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ পুষ্টি ভিটামিন এবং যুক্ত খাবার অত্যন্ত জরুরি। বাচ্চাদের ছাত্র-ছাত্রীদের ব্রেন বাড়াতে বিভিন্ন বাদাম, আখরোট, সামুদ্রিক মাছ, সহ নানা রকম শাক-সবজি ও ফলমূল, গ্রিন- টিসহ বিভিন্ন চা খাওয়াতে পারেন। এ খাবারগুলো শরীর এবং মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী।

পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট হওয়ার দোয়া

পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য আমরা বিভিন্ন রকম প্রচেষ্টা চালিয়ে থাকি। লেখাপড়ার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় বদ অভ্যাসগুলো যেমন পরিত্যাগ করা জরুরী। তেমনি কিছু দোয়া রয়েছে যা আমাদের রেজাল্ট ভালো করতে পারে। পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ইসলামিক উপায় সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে জানানো হবে।

আমরা পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট হওয়ার দোয়া সম্পর্কে আপনাদের জানাবো এ দোয়াটির মাধ্যমে অবশ্যই আপনি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট আশা করতে পারবেন। পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ইসলামিক উপায় হিসেবে যারা আজকের এই আর্টিকেলটি করছেন তাদের জন্য এবং সকল শিক্ষার্থীর জন্য এ দোয়াটি আমল করা উচিত।

اللَّهُمَّ حَاسِبْنِي حِسَابًا يَسِيرًا

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা হাসিবনি হিসাবাইঁ ইয়াসিরা।’

অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি আমার হিসাব (পরীক্ষা) সহজ করে দেন।’

প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রী উচিত উক্ত দোয়াটি পরীক্ষার সময় বা ভাল রেজাল্টের আশায় যথাযথভাবে বেশি বেশি পাঠ করা। শুধু উক্ত দোয়াটি বেশি বেশি পাঠ করলেই হবে না আপনাকে যথেষ্ট পরিমান অধ্যাবসাই করতে হবে। এর জন্য অবশ্যই আপনাকে পড়ায় মনোযোগী হতে হবে। আমাদের সকলকে আল্লাহতালা পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ইসলামের উপায় গুলো সম্পর্কে সঠিকভাবে  পালন করার তৌফিক দান করুন (আমীন)

পরীক্ষায় ভালো ফলো করার জন্য ৯ টি আমল

ছাত্র জীবনে সবচেয়ে কঠিন মুহূর্ত হলো পরীক্ষার সময়। এ সময় তাদের মাথায় এমন টেনশন থাকে যে তারা তাদের সময় মত খাওয়া দাওয়া এবং ঘুম এবং স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে ভুলে যাই। আপনাদের এই সব টেনশন দূর করতে আমরা ইসলাম অনুযায়ী কয়েকটি আমল নিয়ে হাজির হয়েছি।

এ আমল গুলো পড়লে আপনার সন্তানের পরীক্ষার ফলাফল অবশ্যই ভালো হবে। আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাদের আমরা পরীক্ষায় ভালো ফল করার জন্য জানিয়ে দেওয়া হবে যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার ভালো রেজাল্ট করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ সৌদি আরব থেকে কোন দেশে যাওয়ার সহজ হয়

আল্লাহর উপর আস্থা রাখাঃ ভালো জ্ঞানের জন্য এবং বিভিন্ন কাজে সফল হওয়ার জন্য অবশ্যই আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল (আস্থা রাখ) রাখা জরুরী। আল্লাহর উপর ভরসা নিয়ে আপনি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারেন। মহান আল্লাহ তাআলা কুরআনে এরশাদ করেছেন যে ব্যক্তি আমার ওপর আস্থা রাখে আমি তার জন্য যথেষ্ট (সুরা: তালাক, আয়াত: ৩) তাই আমাদের পড়াশোনা কমপ্লিট করে এবং আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল রেখে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা উচিত।

বিসমিল্লাহ বলাঃ শুধু কাজকর্মে নয় পড়তে বসতে গেলেও প্রথমে বিসমিল্লাহ বলে পড়তে বসতে হবে। কারণ যে কোনো ভালো কাজ করতে গেলে অবশ্যই বিসমিল্লাহ বলতে হয়। একজন স্টুডেন্ট যখন পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করে প্রশ্নপত্র টি হাতে নিবে তখনই বিসমিল্লাহ বলা উচিত। যে কাজে আল্লাহ তায়ালার নাম নেওয়া হয় সে কাজ অবশ্যই বরকতপূর্ণ। তাই প্রতিটা কাজে বিসমিল্লাহ বলে আল্লাহর নাম নিয়ে সে কাজ করলে অবশ্যই সে কাজে ভাল কল্যাণ দিক রয়েছে।

অলসতা ত্যাগঃ একজন ছাত্র যদি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল পেতে চাই তাহলে অবশ্যই তাকে সকল প্রকার অলসতা  ত্যাগ করতে হবে। কারণ অলসতা মানুষের জীবনে দুর্ভোগ বয়ে নিয়ে আসে। তাই অবশ্যই একজন ছাত্রকে তার অলসতা এবং বদ অভ্যাস গুলো ত্যাগ করা উচিত।

কঠোর পরিশ্রমঃ শুধু পরীক্ষা নয় যে কোন ভালো কাজের জন্য কঠোর পরিশ্রম করা জরুরি কারণ আল্লাহ তাআলা তার কর্ম অনুযায়ী তাকে ফল দিবেন।

পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর সবার জন্যই তাদের কর্ম অনুসারে মর্যাদা রয়েছে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর সবার জন্যই তাদের কর্ম অনুসারে মর্যাদা রয়েছেআর আল্লাহ যেন তাদেরকে তাদের কর্মের পূর্ণ প্রতিফল দিতে পারেন। আর তাদের প্রতি কোনো জুলুম করা হবে না।’ (সুরা আল-আহকাফ, আয়াত : ১৯)

তাড়াহুড়া না করাঃ পরীক্ষার সময় এলে আমার অনেক সময় তাড়াহুড়া করে পড়াশোনা কমপ্লিট করতে গিয়ে বেশিরভাগ ভুল করে বসি বা ভুল উত্তর দিয়ে বসি। তাই কখনোই পরীক্ষার সময় তাড়াহুড়া করে পড়াশোনা বা তাড়াহুড়া করে প্রশ্নের উত্তর করে দেবেন না। তাড়াহুড়ার সময় আমরা অনেক ভুল করে বসি। আর সময় আমাদের উপর শয়তানের প্রভাব পড়ে।

শয়তান আমাদের ভুল পথে এবং ভুল কাজে পরিচালনা করে থাকেন। আর তাড়াহুড়া করা কাজ শয়তানের পক্ষ থেকে আসে এবং এর আর ধীরস্থির কাজ গুলো আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে। আল্লাহর কাছে চাইতে হলে আমাদের অবশ্যই ধীর স্থির ভাবে চাইতে হবে। স্থির ভাবে সকল কাজ পরিচালিত করতে হবে তাহলে আমরা শয়তান থেকে দূরে থাকবো এবং সকল কাজে সফল হব।

সালাতুল হাজতঃ সালাতুত হাজত হলো বিপদের প্রয়োজনীয়  নামায। পরীক্ষার আগে দুই রাকাত সালাতুল হাজত নামাজ পড়ে পরীক্ষা দিতে যাওয়া উত্তম।কারণ রাসুল (সা.) যখন কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হতেন, তখন ‘সালাতুল হাজত’ বা প্রয়োজন পূরণের নামাজ পড়তেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৩১৯)। এই নামাজ অন্যান্য সাধারণ নামাজের মত যে কোন সূরাতে আপনি দুই রাকাত নফল সালাতুল হাজত নামাজের নিয়ত করে পড়বেন। আল্লাহর কাছে আপনার সকল প্রয়োজন এবং চারা প্রকাশ করবেন।

বেশি বেশি দোয়া করাঃ পরীক্ষার কেন্দ্রে অনেক সময় আমাদের টেনশনের মাথা কাজ করে না এ সময় আল্লাহকে স্মরণ করে বেশি বেশি দোয়া পাঠ করবেন এবং পরীক্ষায় যেন আপনি সঠিক উত্তর লিখতে পারেন এজন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য চেয়ে, রব্বি জিদনি ইলমা’পাঠ করতে হবে। এর মাধ্যমে আল্লাহ নিশ্চয়ই আপনাকে সঠিক জ্ঞান দান করবে।

নকল না করাঃ আপনি লেখাপড়া মনোযোগী হওয়ার ইসলামিক উপায় সম্পর্কে সঠিকভাবে জ্ঞান অর্জন করতে চান তাহলে অবশ্যই নকল করবেন না। নকল হল প্রতারণা করা, আর এটি শয়তানের কাজ। একজন মুমিন কখনোই শয়তানের কাজে যুক্ত হতে পারে না। একুশে নবী করীম সাঃ বলেছেন যে প্রতারণা করে সে আমার দলভুক্ত নয়। (মুসলিম, হাদিস : ১০২)।

তাই নকল থেকে দূরে থাকতে হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে এমন কোন খারাপ আচরণ করবে না যার কারণে আপনার কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। এবং আপনার সারা জীবনের শিক্ষা জীবন নষ্ট হয়ে যায়।

কোন উত্তর না পড়লে দোয়াঃ পরীক্ষার সময় অতিরিক্ত টেনশনের কারণে আমাদের প্রায় সকলেরই মুখস্ত করা জিনিস ভুলে যায়। এ সময় আপনাকে একটি দোয়া পাঠ করতে হবে। নিম্নে এই দোয়াটি সম্পর্কে বলা হলো।

রব্বিশরহলি সদরি, ওয়া ইয়াসসিরলি আমরি, ওয়াহলুল উকদাতাম মিল্লিসানি, ইয়াফকহু কওলি।’ অর্থ : ‘সে বলল, হে আমার রব, আমার বুক প্রশস্ত করে দিন এবং আমার কাজ সহজ করে দিন। আর আমার জিহ্বার জড়তা দূর করে দিন যাতে তারা আমার কথা বুঝতে পারে।’ (সুরা ত্বহা, আয়াত : ২৫-২৮)। এই দোয়া মৌখিক পরীক্ষার সময় বেশি বেশি পড়তে পারেন।

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ইসলামিক উপায়ঃ শেষ কথা

প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই আর্টিকেলে পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার উপায়, পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ইসলামিক উপায়, পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট হওয়ার দোয়া, পরীক্ষায় ভালো ফলো করার জন্য ৯ টি আমল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। না আপনি যদি পড়াশোনায় মনোযোগী হতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে এ বিষয়গুলো জেনে নেওয়া উচিত।

আরো পড়ুনঃ বেতর নামাজ কিভাবে পড়তে হয়

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল আরো ঘুরতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। কারণ আমাদের ওয়েবসাইটের নিয়মিত এ ধরনের প্রকাশ করা হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Skbd IT এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url