স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ব্যায়াম - স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি দোয়া

আশা করি সকলে ভাল আছেন। আপনি কি স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ব্যায়াম সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ব্যায়াম সম্পর্কে আপনাদের সামনে আলোচনা করব। যেখান থেকে আপনি আপনার বাচ্চার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করার উপায় জেনে নিতে পারবেন।

স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ব্যায়াম

যারা স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ব্যায়াম সম্পর্কে জানতে আমাদের এই আর্টিকেলটি ওপেন করেছেন তাদের জন্য আমরা বিস্তারিতভাবে স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ব্যায়াম সম্পর্কে জানাবো। স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ব্যায়াম সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

সূচিপত্রঃ স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ব্যায়াম - স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি দোয়া

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির উপায় খাবার

আপনার বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথেই আপনার স্মৃতিশক্তি কমে যাবে এটা একটি স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু আমরা এমন কিছু খাবার খেয়ে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে পারি। এমন বিশেষ কিছু খাবার রয়েছে যে খাবারগুলো খেলে আমাদের মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাবে।

আরো পড়ুনঃ ল্যাপটপ দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায়

এছাড়াও আজকের আমরা স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ব্যায়াম সম্পর্কে আপনাদের জানাবো। কারণ স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পেতে গেলে স্মৃতিশক্তির ব্যায়াম অবশ্যই জরুরী। তার আগে চলন স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির উপায় খাবার গুলো কি তা জেনে নিন।

  • বাদাম
  • ডিনার হলুদ অংশ 
  • কফি 
  • কুমড়া বীজ 
  • পালং শাক 
  • ব্রকলি 
  • চকলেট 
  • টমেটো 
  • গ্রিন টি

কাঁচা বাদাম - স্মৃতিশক্তির বৃদ্ধির জন্য কাঁচা বাদাম বিশেষ উপকারী একটি খাদ্য।বাদামে ভিটামিন-ই থাকায় স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। যেমন- কাঠবাদাম ও আখরোট ভিটামিন -ই এর ভাল উৎস।

ডিমের হলুদ অংশ - ডিমের হলুদ অংশে রয়েছে কোলিন নামক অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। যা কোষে সংকেত পৌঁছাতে সাহায্য করে। আর 'শর্ট-টার্ম' মেমোরির সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে।

কফি - কফিতে রয়েছে ক্যাফেইন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের জন্য বেশ উপকারী। এছাড়া ক্যাফেইনের মনোযোগ বৃদ্ধি, এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

কুমড়া বীজ - কুমড়ো বীচে রয়েছে প্রযুক্ত পরিমাণ জিংক যা মস্তিষ্কের বিশেষভাবে সাহায্য করে। স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে তোলে এবং কুমড়ার বীজ থেকে ভিটামিন বি ও ট্রিপ্টোফেন পাওয়া যায়।

পালং শাক - পালং শাক ভিটামিন ই যুক্ত একটি সবজি যা মস্তিষ্কের জন্য বিশেষ উপকারী।মস্তিষ্কে বয়সের প্রভাব ও স্মৃতিভ্রংশের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।

ব্রকোলি - ব্রকোলি ভিটামিন-কে সমৃদ্ধ একটি খাবার। এটি গ্লুকোসিনোলেটসের ভাল উৎস। যা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে সঠিক কার্যকারিতা পরিচালনা করে এবং স্মৃতি ভাল রাখতে সাহায্য করে।

চকলেট - চকলেট খেতে আমরা অনেকেই পছন্দ করি আর এই চকলেটি আমাদের স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও বেশ চমৎকার ভাবে কাজ করে থাকে।চকলেটে প্রায় ৮০ শতাংশ কোকো থাকায় এটা ধমনীর কার্যকারিতা উন্নত করে, মস্তিষ্ক ও স্মৃতিশক্তির কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে।

টমেটো - টমেটোতে থাকা লাইকোপেন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট  যা মস্তিষ্কের কোষের রেডিকল ক্ষয়ের বিরুদ্ধে কাজ করে। মস্তিষ্কের  অনেক সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে থাকে টমেটো।

গ্রিন টি - গ্রিন টি আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি আমাদের মন কেউ সতেজ করে তোলে এবং ক্লান্ত টা দূর করে কিন্তু গ্রিন টি স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মস্তিষ্কে থাকা অন্টিঅক্সিডেন্ট দুশ্চিন্তা কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এই উপাদানটির উপস্থিতি উদ্বেগ, অতিরিক্ত চিন্তা, ভয় কমাতেও সাহায্য করে।

উপরে উল্লেখিত খাবার গুলো স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে যথেষ্ট ভাবে সাহায্য করে থাকেন তাই যাদের স্মৃতিশক্তির প্রবলেম রয়েছে তারা এ খাবারগুলো বাসায় ট্রাই করতে পারেন।

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির উপায় ইসলামিক

স্মৃতিশক্তি আমাদের একটি মূল্যবান সম্পদ প্রতিটা মানুষেরই স্মৃতিশক্তি একসময় কমে যায় তাই এর স্মৃতি শক্তি কে ধরে রাখতে আমাদের অবশ্যই স্মৃতিশক্তি বাড়ানো খাবার এবং স্মৃতিশক্তির বাড়ানোর ব্যায়াম করা জরুরী। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির উপায় ইসলামিক ভাবে কি হতে পারে আজকে আমরা এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে তা জানবো।

দোয়া ও জিকির করাঃ

আমরা সব কিছুতেই আল্লাহতালা সহনাপন্ন হয়ে থাকি। স্মৃতিশক্তি কমা বা বাড়া দুটোই আমাদের মাধ্যমে বিদ্যমান রয়েছে। আল্লাহতায়ালা ছাড়া আমাদের কোন কাজে সফলতা আসা সম্ভব নয় এবং কোন জিনিস ভুলে গেলে আমরা অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা স্মরণ হয়ে আল্লাহতালার কাছে দোয়া করি যেন আল্লাহতালা আমাদের স্মৃতিশক্তি ফিরিয়ে দেয়। তাছাড়া যিকর বা আল্লাহর স্মরণও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেন, "যখন ভুলে যান, তখন আপনার পালনকর্তাকে স্মরণ করুন" {সূরা আল-কাহ্‌ফঃ ২৪} তাই আমাদের উচিত যিকর, তাসবীহ (সুবহান আল্লাহ), তাহমীদ (আলহামদুলিল্লাহ), তাহলীল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) ও তাকবীর (আল্লাহু আকবার) – এর মাধ্যমে প্রতিনিয়ত আল্লাহকে স্মরণ করা।

মুখস্থকৃত বিষয়ের উপর আমল করাঃ বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের স্মৃতিশক্তি অনেকেরই কমে যায় যে কারণে আমাদের মুখস্ত বিদ্যা গুলো আর মনে থাকে না। তাই আপনি শৈশবকালে যেসব জ্ঞান অর্জন করেছেন তা প্রতিনিয়ত যদি একবার করে চর্চা করেন তাহলে খুব সহজেই আপনার স্মৃতিশক্তিতে ধরে রাখতে পারবেন।

ধরুন এমন অনেক সুরা রয়েছে যেগুলো আপনার মনে নেই কিন্তু প্রত্যেকটা নামাজের পর আপনি যদি সেই সুরাগুলো একবার করে আমল করেন তাহলে আপনি নিমিষেই আপনার স্মৃতিশক্তি তে ধরে রাখতে পারবেন এজন্য আপনাকে মুখস্ত বিষয়ের উপর আমল করতে হবে সেটা আরবি হোক কিংবা এমনি যেকোন বিষয়।

মস্তিষ্কের জন্য উপকারী খাদ্য গ্রহণঃ পরিমিত ও সুষম খাদ্য গ্রহণ আমাদের মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্যের জন্য একান্ত আবশ্যক। অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ আমাদের ঘুম বাড়িয়ে দেয়, যা আমাদের অলস করে তোলে। ফলে আমরা জ্ঞানার্জন থেকে বিমুখ হয়ে পড়ি। তাছাড়া কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলো আমাদের মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী। তাই আমাদের সকলকে স্মৃতিশক্তি বাড়ানো খাবারগুলো খাওয়া জরুরী।

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য অনেক ‘আলিম কিছু নির্দিষ্ট খাদ্য গ্রহণের কথা বলেছেন। ইমাম আয-যুহরি বলেন, “তোমাদের মধু পান করা উচিত কারণ এটি স্মৃতির জন্য উপকারী। ”মধুতে রয়েছে মুক্ত চিনিকোষ যা আমাদের মস্তিষ্কের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া মধু পান করার সাত মিনিটের মধ্যেই রক্তে মিশে গিয়ে কাজ শুরু করে দেয়। মধুর পাশাপাশি কিসমিস ও আমাদের মস্তিষ্কের জন্য বিশেষ উপকারী একটি খাদ্য।

পরিমাণ মতো ঘুমানোঃ মস্তিষ্কের এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য ঘুম বিশেষ কার্যকরী। যখন আপনি ঘুমাবেন তখন আপনার মস্তিষ্ক সুরক্ষা এবং কার্যকারিতায় যথাযথভাবে ভূমিকা পালন করবে এবং সারাদিনের সকল তথ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়াজাত করবে।তাছাড়া ঘুম মস্তিষ্ক কোষের পুণর্গঠন ও ক্লান্তি দূর করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

অন্যদিকে দুপুরে সামান্য ভাতঘুম আমাদের মন-মেজাজ ও অনুভূতিকে চাঙা রাখে। তবে বর্তমান সময়ে জেনারেশন ছেলে মেয়ে গুলো রাতে দেরী করে ঘুমিয়ে থাকে। যার কারণে দিনকে দিন তাদের স্মৃতিশক্তির প্রভাব কমে আসছে। তাই সকলেরই উচিত পরিমাণ মতো সঠিক টাইমে ঘুমানো এবং ঘুম থেকে ওঠা।

আরো পড়ুনঃ টিকটক থেকে সহজে ইনকাম ২০২৩

চেষ্টা করাঃ সকলের স্মৃতিশক্তি এক নয়, তাই অনেক মানুষ  মুখস্ত করতে কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে তাই আপনি হাল না ছেড়ে আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করে চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।

গোনাহ থেকে বিরত থাকাঃ আলো ও অন্ধকার এক সঙ্গে থাকতে পারে না। জ্ঞান হলো আলো আর গোনাহ হলো অন্ধকার। তাই জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হতে হলে অবশ্যই গোনাহ থেকে দূরে থাকতে হবে। 

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি দোয়া

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য অবশ্যই আপনাকে আল্লাহ তাআলা সরানো পূর্ণ হতে হবে এর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ সুষম খাদ্য গ্রহণ এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ব্যায়াম ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির দোয়া সম্পর্কে জ্ঞান চর্চা করতে হবে। জ্ঞান হলো আল্লাহ তাআলার এক অশেষ নেয়ামত যা সবার মধ্যে কম বেশি রয়েছে। আমাদের স্মৃতিশক্তি দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়ছে তারা আল্লাহ তায়ালার কাছে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির দোয়া চাইতে পারবেন। এর জন্য স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির দোয়া আল্লাহ তায়ালা আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন।

দোয়া ও জিকিরআল্লাহর সাহায্য ছাড়া কোনো কাজেই সফলতা অর্জন করা সম্ভব নয়। এজন্য মুমিন মুসলমানের উচিত সর্বদা আল্লাহর কাছে দোয়া ও জিকির করা যাতে তিনি সবার স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে দেন এবং কল্যাণকর জ্ঞান দান করেন। এক্ষেত্রে কুরআনুল কারিম একটি দোয়া রয়েছে।

এ দোয়াটি বেশি বেশি পাঠ করা-رَّبِّ زِدْنِي عِلْمًاউচ্চারণ : ‘রাব্বি যিদনি ইলমা’

অর্থঃ হে আমার পালনকর্তা! আমার জ্ঞান বাড়িয়ে দিন।’ (সুরা ত্বহা : আয়াত ১১৪)

স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ব্যায়ম

মস্তিষ্ককে নতুন অভিজ্ঞতা দিলে এটি ভালো থাকে। আমরা বার বার যা করি মস্তিষ্ক তাই ধারণ করে এবং স্মৃতি হিসেবে রেখে দেয়। অভ্যাসের বাইরে গিয়ে কিছু করাটাই মস্তিষ্কে নতুন অভিজ্ঞতা প্রদান। এতে মস্তিষ্কের স্মৃতিক্ষয় হওয়া রোধ করে। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ব্যায়াম সম্পর্কে জানাবো।

মস্তিষ্ককে সজাগ রাখা - মস্তিষ্ককে নতুন অভিজ্ঞা দিলে শারীরিক অনুভূতি- শোনা, দেখা, স্বাদ নেওয়া, গন্ধ নেওয়া, স্পর্শ করা- এসব সঙ্গে মানসিক অনুভূতি যুক্ত হয়ে মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশগুলোর মধ্যে আরো বেশি সংযোগ সৃষ্টি করে। নার্ভ কোষগুলো মস্তিষ্কের পুষ্টি উৎপাদন করে যা নাটকীয় ভাবে স্মৃতি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং পার্শ্ববর্তী কোষগুলোকে শক্তিশালী করে তোলে এবং বার্ধক্যজনিত প্রভাবগুলো অনেক বেশি প্রতিরোধী করে তোলে।

চোখ বন্ধ করে গোসল করা - চোখ বন্ধ করে গোসল করলে আপনি মানসিক অবসাদ এবং মস্তিষ্কের শান্তি অনুভব করবেন।মস্তিষ্ককে নতুন অভিজ্ঞতা প্রদান করার জন্য চোখ বন্ধ করে গোসল করুন। এবং পানির যেন অবশ্যই তাপমাত্রা ঠিক থাকে।

ভিন্ন ভাবে পড়া - যখন আমাদের পাশে বসে কেউ কিছু জোরে জোরে পড়ে এবং আমরা শুনতে থাকি তখন মস্তিষ্ক তার আলাদা আলাদা অংশ একই সঙ্গে ব্যবহার করে। কিন্তু যখন আমরা নীরবে একা একা পড়ি তখন এটি ঘটে না। তাই নীরবে পড়ার থেকে জোরে পড়ুন। এতে করে মস্তিষ্কের অনুশীলন হবে।

সুদোকু - ছক কাটা ঘরে সংখ্যা বসানোর এই খেলাকে মগজের জন্য সবচেয়ে উপকারী ধরা হয়। এই খেলা শুধু মগজের গতিই বাড়াবে না, ঝালিয়ে দেবে সমস্যা সমাধানের ক্ষমতাও।

খাবার ও শরীরচর্চা - সঠিক নিয়মে খাবার ও শরীরচর্চা আপনার মস্তিষ্কের জন্য বিশেষভাবে উপকারিতা পাবে। স্বাস্থ্যকর খাবারে শরীরের অন্যান্য অঙ্গের মতো মস্তিষ্কও সুস্থ থাকে। আর দিনে মাত্র ১৫ মিনিটের শরীরচর্চাও পারে আপনাকে আরো বুদ্ধিদীপ্ত করে তুলতে।

বই পড়া - বই হল জ্ঞানের ভান্ডার তাই নিয়মিত জ্ঞান চর্চা করতে হলে অবশ্যই বই পড়া দরকার।বই পড়া হচ্ছে মস্তিষ্কের সবচাইতে ভালো ব্যায়াম। যেধরণের বইই হোক না কেন বই পড়ার বিষয়টি মস্তিষ্কের নার্ভ সচল রাখতে সহায়তা করে।

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির মন্ত্র

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির মন্ত্র সম্পর্কে অনেকে জানতে চাই। স্মৃতিশক্তির মন্ত্র বলে কিছু নেই জ্ঞান আল্লাহ তায়ালার বিশেষ এক নিয়ামত। যা জন্মের সাথে সাথে আল্লাহ তায়ালা সবার মস্তিষ্কে দান করে থাকেন কারো মস্তিষ্কে কম এবং কারো মস্তিষ্কের বেশি এবং তার বয়স বাড়ার সাথে সাথে কমতে থাকে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ব্যায়াম  সম্পর্কে আপনাদের সামনে বিশেষ আলোচনা করতে চলেছি। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির মুলমন্ত্র হলো ইখলাস বা নিয়ত করা।

ইখলাস বা আন্তরিকসফলতা অর্জনে যেমন ইখলাস বা আন্তরিকতার বিকল্প নেই। তেমনি স্মৃতিশক্তি ভালো রাখতেও ইখলাসের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। আর ইখলাসের মূল উপাদানই হচ্ছে বিশুদ্ধ নিয়ত। আল্লাহ তাআলা বলেন-‘তাদেরকে এছাড়া কোরো নির্দেশ করা হয়নি যে, তারা খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদত করবে, নামাজ কায়েম করবে এবং জাকাত দেবে। এটাই সঠিক ধর্ম।’ (সুরা আল-বায়্যিনাহ : আয়াত ৫)

এ জন্যই স্মরণশক্তি ধরে রাখা কিংবা বাড়ানোর মূলমন্ত্রও কাজের প্রতি নিয়তের বিশুদ্ধতা, ইখলাস তথা যথাযথ আন্তরিকতা রাখা। এ সম্পর্কে বিশ্বনবি বলেন, ‘ব্যক্তির সব আমলই নিয়তের উপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ যার নিয়ত যত পরিশুদ্ধ ও ইখলাসপূর্ণ হবে তার কাজ তত মজুবত হবে।

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির সিরাপ - স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ঘরোয়া ঔষধ

উপরের আলোচনায় আমরা ইতিমধ্যে স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ব্যায়াম সম্পর্কে আলোচনা করেছি। যেহেতু স্মৃতিশক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তাই আমাদের সকলকে এই বিষয়টি সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। অনেকে আছে যারা স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ঘরোয়া ঔষধ সম্পর্কে জেনে তা খেতে চাই। কিন্তু আপনি যদি ওষুধ খেয়ে স্মৃতিশক্তি বাড়াতে চান তাহলে এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াবে।

আরো পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে সহজে ইনকাম

কারণ বর্তমানে এমন কোন ওষুধ তৈরি হয়নি যা স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে পারে। উপরে স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর বিভিন্ন রকমের উপায় আলোচনা করা হয়েছে আপনি যদি সেই উপায়গুলো অবলম্বন করেন তাহলে অবশ্যই স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে পারবেন। তাই উপরে যে উপায় গুলো উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো অনুসরণ করুন। যেকোনো ধরনের ওষুধ খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ব্যায়াম - স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি দোয়াঃ শেষ কথা

প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই আর্টিকেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির উপায় খাবার, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির উপায় ইসলামিক, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি দোয়া, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ঔষধ, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির মন্ত্র, মস্তিষ্কের ব্যায়াম, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির সিরাপ, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ঘরোয়া ঔষধ, স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ব্যায়াম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।আপনি যদি আপনার সন্তানের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল আরো পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। কারণ আমাদের ওয়েব সাইটে নিয়মিত এ ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন