ল্যাপটপ দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায়

বর্তমান যুগে চাকরি পাওয়া অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই অনেকে শিক্ষিত বেকার ঘরে বসেই দিন কাটিয়ে থাকেন। আজকেরে আর্টিকেল আমরা ল্যাপটপ দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে কিছু তথ্য নিয়ে এসেছি। আপনারা যারা ভাবছেন ল্যাপটপ দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায় গুলো কিভাবে জানতে পারব, তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

ল্যাপটপ দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায়

আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের আমরা ল্যাপটপ দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানাবো। তাহলে আসুন আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে নিন এবং কিভাবে ল্যাপটপ দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায় গুলো সম্পর্কে জানা যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নিন।

সূচিপত্রঃ ল্যাপটপ দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায়

অনলাইন থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়

আপনারা অনেকেই ভেবে থাকেন অনলাইন থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যাই, তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদের অনলাইন থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় এ সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানাবো। এর সাথেও থাকবে ল্যাপটপে কিভাবে টাকা ইনকাম করার উপায়। তার জন্য আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনাকে মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

আরো পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজ নতুনদের জন্য সহজ

বর্তমান বিশ্ব দিন দিন আরও উন্নতির দিকে এগিয়ে চলেছে। তার সাথে এগিয়ে চলেছে অনলাইনের কাজগুলি। অনলাইনের বিভিন্ন রকম কাজ রয়েছে যেগুলো আপনি ঘরে বসেই করতে পারেন।এ অনলাইন ইনকাম করে এখন অনেক পরিবারেই স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে।

কারণ এটি ঘরে বসে নারীরাও তাদের পার্ট টাইম সময় বের করে এই কাজটি করতে পারে। দিন দিন অনলাইনের কাজ আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই অনেকেই অনলাইন কাজে আগ্রহী হচ্ছেন। আমাদের দেশে অনেক বেকার যুবক রয়েছে যারা চাকরির আশা ছেড়ে এখন অনলাইনে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং কাজের যোগদান দিচ্ছেন।

তাছাড়াও অনলাইন ইনকাম (Online Income) এর জন্য আপনার বিশেষ কিছুই প্রয়োজন হবে না। আপনার মেধা কাজে লাগিয়ে আপনি খুব সহজেই কোনো কাজে দক্ষ হয়ে সেটা থেকে নিয়মিত ইনকাম করতে পারেন।

আপনি ছেলে মেয়ে, ছাত্র, চাকরিজীবী যাই হন না কেন, আপনি এখান থেকে আয় করতে পারবেন। আপনি একজন ছাত্র বা ছাত্রী হয়ে আপনার পড়ালেখার খরচ আপনি নিজেই জোগাড় করতে পারবেন।

বর্তমানে অসংখ্য মাধ্যম আছে অনলাইনে যেখান থেকে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। এর মধ্যে থেকে সেরা ১০ টি উপায় নিচে দেয়া হলো।

ফিন্যান্সিং(Freelancing) করে আয়

অনলাইনের মধ্যে সবচাইতে জনপ্রিয় হলো ফিন্যান্সিং কাজ। বর্তমান সময়ে ফিনান্সিং করে মানুষ অনেক ইনকাম করছেন। এই কাজটির মাধ্যমে আমাদের দেশে অনেক বেকারত্ব ঘোচন হচ্ছে। এবং দিন দিন অনলাইন কাজের জন্য নারী-পুরুষ দুজনেই উৎসাহিত হচ্ছেন। আপনার উন্নত ক্যারিয়ার গড়তে ফিন্যান্সিং আপনাকে যথেষ্ট সাহায্য করবে। তাই আপনি চাইলেই অনলাইন ফিন্যান্সিং কাজে যোগদান করতে পারেন।

এখানে আপনার কাজ করার এবং আপনার যে ইমপ্লয়ার (Employer) তার নির্দিষ্ট কোনো জায়গা নাই। আপনি ঘরে বসেই আপনার কাজ সম্পাদন করতে পারবেন এবং আপনার ক্লায়েন্ট হবে বিভিন্ন দেশের। সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন হতে থাকবে।

ফিন্যান্সিং এর বিভিন্ন দক্ষতা রয়েছে যে কাজটি আপনি দক্ষশীলো তার সাথে করতে পারবেন আপনি সেই কাজটি গ্রহণ করতে পারবেন। ল্যাপটপ দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি।

ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে রয়েছে-

১। গ্রাফিক্স ডিজাইনিং (Graphics Design),

২। ফটো এডিটিং (Photo Editing),

৩। ওয়েব ডিজাইনিং (Web Design), 

৪। ওয়েব সাইট মেকিং (Website Making), 

৫। কপি রাইটিং (Copywriting), 

৬। কন্টেন্ট রাইটিং (Content Writing), 

৭। লোগো ডিজাইন (Logo Design), ইত্যাদি।

উপরের কাজগুলোর মধ্যে যেকোনো কাজে আপনি দক্ষ হলে আপনি একটি দক্ষ শীল ফিন্যান্সার হতে পারবেন।

কাজ শেখার পর আপনাকে বিভিন্ন ফ্রিলান্সিং সাইটে (যেমন- Freelancer, Upwork, Fiver, ইত্যাদি) আপনার তথ্য দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এর পরে আপনি কোন কোন কাজে পারদর্শী সেগুলো ওই সাইটে মেনশন করে দিতে হবে।

তবে একটা বিষয় আপনাকে অবশ্যই স্মরণ রাখতে হবে। বর্তমান সময়ে অনলাইন ইনকাম সাইট অনেক আছে। কিন্তু সঠিক ও ভালো মানের সাইট খুব একটা নেই।

তাই যেকোনো ওয়েবসাইটে কাজ শুরু করার আগে অবশ্যই ভালো ভাবে সাইটটি দেখে নিবেন। যদি সব কিছু দেখে আপনার কাছে ভালো বলে মনে হয়, তাহলেই আপনি সেই সাইটে কাজ করা শুরু করবেন।

ওয়েবসাইট (Website) বানিয়ে আয়

অনলাইন ইনকাম এর মধ্যেও এটি একটি। ওয়েবসাইট অ্যাকাউন্ট খোলা এখন ফেসবুক একাউন্ট খোলার মতোনই সহজ। একটি ওয়েবসাইটের মূল্য অনেক বেশি। বিভিন্ন দামের ওয়েবসাইট রয়েছে। তাই আপনি চাইলেই ঘরে বসেই ওয়েবসাইট বানিয়ে সেটা সচল করে বিক্রি করতে পারেন।

কিন্তু এই ওয়েবসাইট গুলোর তেমন কোনো মূল্য পাওয়া যায় না।তবে আপনার সাইটে যদি পরিমিত পরিমান ট্রাফিক থাকে, সেক্ষেত্রে দাম পেতে পারেন ভালো। যে সাইট গুলো বেশি দামে বিক্রি হয় সেগুলো দক্ষ ওয়েব ডিজাইনার দ্বারা তৈরি করা হয়।

আপনি চাইলে ইউটিউব থেকে ফ্রিতে ভিডিও ডাউনলোড করে গ্রাফিক্স ডিজাইনের ওপর দক্ষ হতে পারবেন এবং আপনার হাতে যদি কয়েন থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি ওয়েবসাইটটি নিজেই বিক্রি করতে পারবেন। ল্যাপটপ দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম সেরা পদ্ধতি।

তাই আপনি যদি একজন ওয়েব ডিজাইনের কাজ জেনে থাকেন, অথবা ওয়েব ডিজাইনিং শিখতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনি নিজে নিজে ভালো ওয়েবসাইট বানিয়ে সেখানে পর্যাপ্ত কন্টেন্ট আপলোড করে সেখান থেকে সাইটটি সচল করে সেটিকে ভালো দামে বিক্রি করতে পারেন। ধীরে ধীরে এই কাজে আপনি দক্ষ হয়ে উঠলে বিভিন্ন স্থানে কাজের সুযোগও পেতে পারেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing) করে আয়

বাংলাদেশেও আস্তে আস্তে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার এর সংখ্যা বাড়ছে। কারণ এটি একটি জনপ্রিয় অর্থ উপার্জনের মাধ্যম হয়ে উঠেছে।

সাধারন মানুষের অনেকেরই এ বিষয়ে স্পষ্ট ধারনা না থাকার কারনে এই কাজে তেমন আগ্রহ প্রকাশ করছেনা। আসুন বিষয়টা খুব সহজে বুঝে নেই।

আরো পড়ুনঃ ২০২৩ সালের ব্যবসায় আইডিয়া

এটি একটি সহজ অর্থ উপার্জনের মাধ্যম। বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার ই-কমার্স (E-Commerce) সাইট রয়েছে। এদের ভেতরে অনেকগুলো সারা বিশ্বেই পন্য ডেলিভারি দিয়ে থাকে। এইসব ই-কমার্স (E-Commerce) সাইটে প্রত্যেকটাতে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing) নামে একটি সেকশন রয়েছে।

আপনাকে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে খুব সহজেই তাদের মেম্বার হয়ে যেতে পারেন। তারপর আপনার একটা গ্রুপ এরকম গ্রুপ আমাদের প্রতিটি মানুষেরই আছে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচার করতে পারবেন।

এখন ওই নির্দিষ্ট ই-কমার্স (E-Commerce) সাইট থেকে আপনি বিভিন্ন পন্যের বিবরন সহ ওই লিঙ্ক কপি করে বিভিন্ন গ্রুপে পাঠাতে হবে। এবার ওখানে থেকে ওই লিঙ্কে ক্লিক করে যদি কেও পন্যটি কিনে তাহলে আপনি সেটার থেকে নির্দিষ্ট পরিমানের একটি কমিশন পাবেন। তাছাড়া আপনি চাইলে এখান থেকে ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমেও ইনকাম করতে পারেন।

এর জন্য আপনার অনেকগুলো অ্যাক্টিভ ইমেইলের প্রয়োজন রয়েছে । আপনি যদি হাজার খানেক একটিভ ইমেইল ম্যানেজ করে ফেলতে পারেন, তাহলেই খুব সহজে এখানে থেকে ভালো অঙ্কের একটি টাকা ইনকাম করে ফেলতে পারেন।

ছবি বিক্রি (Sell Photos Online) করে আয়

বর্তমান সময়ে আমাদের হাতে হাতে সবার স্মার্টফোন  এবং ক্যামেরা রয়েছে। আপনি চাইলে আপনার এই মোবাইলের মাধ্যমে খুব সহজেই অনেক অর্থ উপার্জন করতে পারেন। আমরা ইতিমধ্যে ল্যাপটপ দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে জেনেছি।

সেক্ষেত্রে আপনাকে শুধু বিভিন্ন আকর্ষণীয় ও মানসম্মত জিনিসের ছবি তুলতে হবে। সেটা আপনি আপনা মোবাইল ফোন দিয়েও তুলতে পারেন বা ক্যামেরা দিয়েও তুলতে পারেন।তারপর চাইলে একটু এডিট করে অথবা “র” (Raw) ফাইলই বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আপলোড করে সেখান থেকে এক একটি ছবির জন্য ৫০ ডলার থেকে শুরু করে ৫০০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারেন।

আপনি যদি ফটো এডিট করতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনাকে এই কাজটি অনেক আপনি যদি অল্প সল্প ফটো এডিটিং জানেন, তাহলে এক্ষেত্রে অনেক সুবিধা লাভ করতে পারবেন। Photoshop, Illustrator ইত্যাদির মাধ্যমে ছবির আকর্ষণীয়তা অনেক বেড়ে যায়।

অনলাইনে ছবি বিক্রির জন্য অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে। তার মধ্যে, Shutterstock, 500px, Envato ইত্যাদি খুবই জনপ্রিয় এবং সব থেকে বেশি পে করে থাকে ফটোগ্রাফারদেরকে।

ব্লগিং (Blogging) করে আয়

ব্লগিং অনলাইনের একটি অন্যতম উপার্জনের মাধ্যম ব্লগিং অনেক কার্যকরী একটা পদ্ধতি। এই পদ্ধতিত অবলম্বন করে আপনি প্রতিমাসে একটি মোটা অংকের অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

এটি মূলত একটি ডিজিটাল নিউজ পেপার এর মতো। আপনি আপনার মন মতো কোনো একটি বিষয় নিয়ে লিখবেন। যার ওই বিষয়টি জানার দরকার সে এসে পড়ে যাবে।

আপনি এখন যে লেখাটি পড়ছেন এটিও একটি ব্লগ। অতএব বুঝতেই পারছেন বিষয়টা। লেখালেখি যদি আপনার আগ্রহ থাকে, তাহলে আপনি খুব সহজেই এখান থেকে ইনকাম করতে পারেন।

আপনি বিভিন্ন বিষয়ে ব্লক করতে পারেন যেমন রান্না, খেলাধুলা, টেকনোলজি, আইন, রান্না, জীবনী, ভ্রমন, ইত্যাদি। উদাহরণ স্বরূপ ভ্রমনের ক্ষেত্রে আপনি কোনো এক জায়গায় ভ্রমনে গিয়ে কি কি অভিজ্ঞতা হয়েছিলো সেটি নিয়ে একটি বিস্তারিত ব্লগ লিখে ফেলতে পারেন।

এ কাজগুলো করার জন্য আপনি নিজে একটি ব্লক সাইট খুলে সেখানেএকটি ব্লগ সাইট নিজে বানিয়ে নিতে পারেন। এখন অনেক সহজে কোনো খরচ ছাড়াই ব্লগ সাইট বানানো যায়। তবে ফ্রি সাইটগুলো রয়েছে যেগুলো মানুষ সহজে বিশ্বাস করতে চায় না।

তাই কিছু টাকা খরচ করে ডোমেন কিনে হোস্টিং ঠিক করে আকর্ষণীয় একটি সাইট তৈরি করুন। এরপর সেখানে লেখা লেখি শুরু করতে পারেন। দেখবেন বেশ ভালো ফল পাচ্ছেন।

একটি ডট কম ডোমেন কিনবেন সাথে এক জিবি হোস্টিং এবং একটি ফ্রি থিম। এই তিনটা জিনিসই আপনার ব্লগিং শুরু করার জন্য যথেষ্ট। এক্ষেত্রে আপনার তিন হাজার টাকা মতো খরচ হতে পারে।

এতো কিছুর পাশাপাশি আপনার যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর কিছুটা ধারনা থাকে তাহলে কিন্তু আপনি খুব সহজেই আপনার সেই ব্লগে প্রচুর পরিমাণে ট্রাফিক বা ভিজিটর আনতে পারবেন। যার মাধ্যমে আপনি কিন্তু আপনার ইনকামের পরিমাণ বহুগুণে বাড়িয়ে ফেলতে পারবেন খুব সহজেই।

এক্ষেত্রে আপনি মোবাইল এবং কম্পিউটারের মাধ্যমে কাজ করতে পারেন। তাই যারা মোবাইলে অনলাইন ইনকামের কথা ভাবছেন, তাদের জন্যও এটি একটি সেরা সুযোগ হতে পারে।

ঘরে বসে ইনকাম করার উপায়

আপনারা যারা ঘরে বসে ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাদের জন্য আজকের এই আদিকালে আমরা ল্যাপটপ দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছি। ঘরে বসে ইনকাম করা এখন আর কোন অবাস্তব কিছু নয়। বর্তমান বিশ্ব এখন অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে অনলাইনের মাধ্যমে। তাই ঘরে বসে আপনি চাইলেই অনলাইন মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন এবং আপনার পরিবারের স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে পারেন।

বর্তমানে অনলাইনের কিছু প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেগুলো আপনি ঘরে বসেই করতে পারেন।অনলাইনে কাজ করে আয় করার প্রচুর সুযোগ রয়েছে। আর এই কাজ ঘরে বসে করা সম্ভব প্রয়োজন শুধু কাজের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষতা অর্জন। ঘরে বসে আয় করার নিশ্চিত উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।

ঘরে বসে ইউটিউব থেকে আয়

বর্তমান সময়ে ঘরে বসে আয় করার সেরা মাধ্যম হলো ইউটিউব। আপনি ইউটিউব এ চ্যানেল খোলার পর ভিডিও তৈরি করে আপলোড দিতে হবে। আপনার ভিডিও যত বেশি ভিউ হবে এবং সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা বাড়বে তত আপনার চ্যানেলের ভিউ আওয়ার বাড়বে।

এর জন্য আপনাকে মানসম্মত আকর্ষণীয় ভিডিওগুলো তৈরি করতে হবে। তাই আপনাকে আগে থেকেই আপনি কোন বিষয়ে ভিডিও করবেন সে সম্পর্কে আপনাকে সঠিকভাবে দক্ষ হতে হবে। 

তাই আপনি যত বেশি ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করবেন ততই আপনার ভিউয়ারের সংখ্যা বাড়বে এবং আপনার ইনকাম বৃদ্ধি পাবে।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে ঘরে বসে আয়

বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয়ের বিভিন্ন উপায় রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কের্টিং এর কাজ ঘরে বসে করা যায়। এরপর জন্য প্রয়োজন ফেসবুক, টুইটার, পিন্টারেস্ট, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি। আপনার সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে নানাভাবে মার্কেটিং করা যাচ্ছে।

আপনার পেজ এর যদি ফলোয়ার বেশি হয়ে থাকে তাহলে যে কোন কোম্পানির পণ্যের প্রচারণার মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারা খুব সহজ হবে। পাশাপাশি আপনার পেজ বিক্রির মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারে। ঘরে বসেই আপনি সোশ্যাল মিডিয়ার ম্যাধ্যমে আয় করতে পারেন।

বাংলাদেশে এই মুহূর্তে সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর সবচেয়ে অন্যতম মাধ্যম হল ফেসবুক। আপনি যদি চান শুধু মাত্র ফেসবুক মার্কেটিং শিখেই ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম শুরু করে দিতে পারেন।

গ্রাফিকস ডিজাইন করে অনলাইনে আয়

ঘরে বসে ইনকামের কথা ভাবলে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন টি স্মরণ করতে পারেন। ঘরে বসে আয় করার আরেকটি উপায় হলো গ্রাফিকস ডিজাইন। গ্রাফিকস ডিজাইন শিখে আপনিও মার্কেটপ্লেস থেকে আয় করতে পারবেন খুব সহজেই।

এর জন্য আপনাকে গ্রাফিক্স ডিজাইনের ওপর দক্ষশীলতা গড়ে তুলতে হবে তাহলে আপনি চাইলে খুব সহজেই ঘরে বসে গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

ঘরে বসে হন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট

বর্তমান সময়ে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট এর চাকরি খুবই চাহিদা সম্পন্ন। আপনি ঘরে বসেই পৃথিবীর যে কোন প্রান্তের যে কোন কোম্পানির ভার্চুয়াল আ্যাসিস্টেন্ট হতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনাকে দেয়া কাজ সমূহ ঘরে বসেই সম্পাদন করতে পারেন। আর দক্ষতা অনুযায়ী আপনার আয় বৃদ্ধি করতে পারেন। বর্তমান সময়ে ভার্চুয়াল আসিস্টেন্ট এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। যা শুধুমাত্র ঘরে বসে করলেই হয়।

আরো পড়ুনঃ ফাইবারে কোন ধরনের কাজের চাহিদা বেশি

ঘরে বসে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো আপনার ওয়েবসাইটে অন্যের প্রোডাক্ট প্রচারের মাধ্যমে বিক্রি করা। অনলাইনের এ মাধ্যমটি আপনি ঘরে বসেই পরিচালনা করতে পারেন। যার মাধ্যমে আপনি বিক্রিত প্রোডাক্টের দাম থেকে নির্ধারিত হারে কমিশন পাবেন।

আপনার ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে যত বেশি প্রোডাক্ট বিক্রি হবে তত বেশি আয় হবে আপনার। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হচ্ছে অ্যামাজন।তাই ঘরে বসে ইনকাম করার উপায় হিসেবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কাজটি বেছে নিতে পারেন।

ল্যাপটপ দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায়ঃ শেষ কথা

প্রিয় পাঠক গণ আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ল্যাপটপ দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনি কিভাবে ল্যাপটপ দিয়ে বাড়িতে বসে ইনকাম করতে পারবেন সেই সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনি এখন থেকে বাড়িতে বসে ল্যাপটপ দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য। যদি আপনার বাসায় ল্যাপটপ থাকে তাহলে উক্ত কাজগুলো শুরু করে দিন। এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল আরো পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Skbd IT এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url