আমের বিচির ১১টি উপকারিতা ও গুনাগুন

প্রিয় ভিউয়ার্স আশা করি সকলেই ভালো আছেন। শুরু হয়েছে আমের সমারোহ এ সময় আমরা সকলে আম খেয়ে আমের বিচি ফেলে দেই। কিন্তু আমের বিচির উপকারিতা ও গুনাগুন সম্পর্কে আমরা কি জানি। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আমের বিচির উপকারিতা ও গুনাগুন সম্পর্কে আপনাদের সামনে আলোচনা করব।

আমের বিচির ১১টি উপকারিতা ও গুনাগুন

যারা আমের বিচির উপকারিতা ও গুনাগুন সম্পর্কে জানতে চান তারা আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকুন। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে আমের বিচির উপকারিতা ও গুনাগুন সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নেই।

সূচিপত্রঃ আমের বিচির ১১টি উপকারিতা ও গুনাগুন

আমের বিচির উপকারিতা

প্রিয় বন্ধুরা আজকের এই আর্টিকেলে আমরা একটি আমাদের অত্যন্ত সুস্বাদু ও গ্রীষ্মকালীন ফল আমের বিচির উপকারিতা ও গুনাগুন সম্পর্কে আপনাদের সামনে আলোচনা করব আমরা সকলেই খাই এবং পছন্দ করি কিন্তু আমের বিচি আমরা অজান্তেই ফেলে দেই। কিন্তু আপনি জানেন কি? এই আমের বিচি আমাদের দেহের কত বড় উপকার করে থাকে।

আরো পড়ুনঃ কাঁচা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা

সাধারণ একটি আমের বিচি আপনার দেহের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তাই আর দেরি না করে আমের বিচির উপকারিতা ও গুনাগুন সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে করতে থাকুন।

  • ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে
  • ডায়রিয়া প্রতিরোধ করে
  • দাঁত ভালো রাখতে
  • চুলের যত্নে
  • মুখের ব্রণ দূর করে
  • খুশকি সমস্যা দূর করতে 
  • ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ রাখে 
  • জ্বালা-পোড়া দূর করতে 
  • শুষ্ক ও রুক্ষ ত্বকের জন্য 
  • হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে 
  • অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করতে

ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতেঃ আমের আটিতে রয়েছে এমন কিছু উপাদান যেগুলো আমাদের দেহের কোলেস্টরলের মাত্রা ঠিক রাখে এবং রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। ওজন কমাতে আপনি আমের বিচির উপর আস্থা রাখতে পারেন।

ডায়রিয়া প্রতিরোধ করেঃ আপনি যদি ডায়রিয়ার আক্রান্ত হন তাহলে মধুর সঙ্গে এক থেকে দুই গ্রাম আমের বিচির পাউডার মিশিয়ে দিনে তিনবার খাবেন।

দাঁত ভালো রাখতেঃ দাঁত ভালো রাখতে আমের বিচি রোদে শুকিয়ে চূর্ণ করে টুথপোস্টের বিপরীতে ব্যবহার করুন অনেক উপকার পাবেন।

চুলের যত্নেঃ আমের বিচিতে রয়েছে ফ্যাটি এসিড মিনারেল ও মিনারেল যা আপনার চুলের স্বাস্থ্য উজ্জ্বল বৃদ্ধি করে। আমের আটির শক্ত আবরণটি ফেলে দিয়ে ভেতরের বিচিটি নিয়ে সরিষার তেল বা নারিকেল তেলে কয়েক সপ্তাহ রোদে ডুবিয়ে রাখুন এবং নিয়মিত এটি চুলে ব্যবহার করুন আপনার চুল ঘন কালো এবং স্বাস্থ্য উজ্জ্বল হবে।

মুখের ব্রণ দূর করেঃ আমের বিচি শুকিয়ে গুড়ো করে টমেটোর সাথে মিশিয়ে মুখে ব্যবহার করুন আপনার ব্রণের দাগ এবং ব্ল্যাকহেডস গুলো দূর হবে। এবং ত্বকের মরা কোষগুলো সতেজ হয়ে উঠবে।

খুশকি সমস্যা দূর করতেঃ খুশকি সমস্যায় আমরা কম বেশি সকলেই ভুলে থাকি। তাই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আমের বিচি শুকিয়ে গুড়ো করে স্ক্যাল্পে লাগিয়ে রাখুন। অথবা পানির সঙ্গে মিশিয়ে মাথায় ঘষুন এতে করে আপনার খুশকি দূর হবে।

ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ রাখেঃ আম খেলে যেমন আমাদের ব্লাড সুগার বেড়ে যায় তেমনি আমের বিচি খেলে আপনার ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকে।

জ্বালা-পোড়া দূর করতেঃ পিঁপড়া, মৌমাছি বা অন্যান্য কীট কামড়ালে জ্বালা-পোড়া করে। এই জ্বালা-পোড়া দূর করতে আক্রান্ত স্থানে আমের রস বা আমের আঁটির গুঁড়া লাগালে সাময়িক ভাবে ব্যথার বোধ দ্রুত কমে যায়।

আরো পড়ুনঃ করমচা খাওয়ার উপকারিতা

শুষ্ক ও রুক্ষ ত্বকের জন্যঃ শুষ্ক ও রুক্ষ ত্বকের জন্য আমের আটির জুড়ি নেই। এজন্য আমের আঁটির গুঁড়ার সঙ্গে সরিষার তেল মিশিয়ে ত্বকে মালিশ করুন। নিয়মিত এটি ব্যবহার করলে ত্বক তেলতেলে ও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেঃ বর্তমান সময়ে হৃদরোগের সমস্যাও আগের তুলনায় অনেকখানি বেড়েছে। এই হার্টের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও কিন্তু ভূমিকা রয়েছে আমের আঁটির। রোজ এক চামচ করে শুকনো আমের আঁটির গুড়ো খেতে পারলে হার্ট ভাল থাকবে। 

অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করতেঃ অ্যাসিডিটির থেকে মুক্তি দিতে পারে আমের  বিচি। আমের আঁটির মধ্যে আছে ফেনোল, আছে অ্যান্টিঅক্সাইড যা আমাদের হজমে সাহা

আমের বিচির গুনাগুন

পুষ্টিকর একটি ফল আম এর সুস্বাদু স্বাদ আমাদের সকলেরই অনেক প্রিয় তাই আমরা সকলে ই আমাদের প্রিয় ফল আমটি পছন্দ করে থাকে। এবং সকলে এই আমটা খেয়ে এর বিচিটি ফেলে দিন কিন্তু আপনি কি জানেন এই মূল্যবান বিচির গুনাগুন সম্পর্কে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আমের বিচির উপকারিতা ও গুনাগুন সম্পর্কে আপনাদের জানাতে এসেছি।

গবেষকরা জানিয়েছেন, প্রতি ১০০ গ্রাম আমের আঁটিতে রয়েছে ৬ গ্রাম প্রোটিন, ২০ গ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, ৩২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেড, ৩ গ্রাম ডায়েটরি ফাইবার আর প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-৬ ও বি-১২। এছাড়াও আমের আঁটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যামাইনো অ্যাসিড, খনিজ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান।

আমের আঁটি ম্যাঞ্জিফেরিন নামের অ্যান্টি–অক্সিডেন্টের খুব ভালো উৎস। এ বিশেষ ধরনের অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট সেলুলার ড্যামেজ কমিয়ে শরীরে ক্যানসারের মতো মারাত্মক রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।

আমের বিচির পাউডার 

আমের বিচির উপকারিতা ও গুনাগুন সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যেই ওপরে জানতে পেরেছি বিভিন্ন পুষ্টিগনে যেমন আমের ভরপুর তেমনি আমের বিচিতে রয়েছে বেশ গুণাগুণ ও উপকারিতা।

কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে

কাঁচা আমের বীজ শুকিয়ে গুঁড়ো করে দুধের সঙ্গে ব্যবহার করুন। এইভাবে, শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। আমের বীজ গুঁড়ো করে খেলে পাউডার সেবন খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে।

আশা করি যারা আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়েছেন তারা ইতিমধ্যে উপরে আমের বিচির উপকারিতা ও গুনাগুন সম্পর্কে এবং আমের বিচির পাউডার সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

আমের বিচির ১১টি উপকারিতা ও গুনাগুনঃ শেষ কথা

প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই আর্টিকেলে আমের বিচির ১১টি উপকারিতা ও গুনাগুন সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আমরা যারা আমায় বিচির তথ্য সম্পর্কে জানি না সাধারণত তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের তথ্য বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ কাঁচা মরিচ খাওয়ার ২০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল আরো পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এ ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url