রাজশাহীতে আমের দাম কেমন ২০২৩

প্রিয় বন্ধুগণ আশা করি সকলেই ভালো আছেন, চলছে আমের সিজন তাই সারাদেশে গ্রীষ্মকালীন সময়ে পাকা আমের সমারহ চলছে। রাজশাহীতে আমের দাম কেমন ২০২৩ এর সম্পর্কে যারা জানতে আমাদের এই আর্টিকেলটি ওপেন করেছেন, তাদেরকে আমরা রাজশাহীতে আমের দাম কেমন ২০২৩ সম্পর্কে  জানাবো।

রাজশাহীতে আমের দাম কেমন ২০২৩

যারা রাজশাহীতে আমের দাম কেমন ২০২৩ সম্পর্কে জানতে চান তারা আমাদের এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ত থাকুন। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে রাজশাহীতে আমের দাম কেমন ২০২৩ সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিন।

সূচিপত্রঃ রাজশাহীতে আমের দাম কেমন ২০২৩

রাজশাহীতে আমের দাম কেমন ২০২৩

আমরা বিভিন্ন জেলায় বসবাস করে থাকি এক একটি জেলা এক একটি বিখ্যাত জিনিস রয়েছে। রাজশাহী আম ফলে বিখ্যাত। রাজশাহীতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের আম। আমের কয়েকটি উন্নত জাতের মধ্যে রাজশাহীর গোপালভোগ অন্যতম। জেলা প্রশাসনের দেওয়া তারিখ অনুযায়ী সোমবার থেকে বাগানে বাগানে এই আম পাড়া শুরু হয়েছে।

আরো পড়ুনঃ হ্যাক হওয়া ইউটিউব চ্যানেল ফিরিয়ে আনার উপায়

মঙ্গলবার (১৬ মে) জেলার বিভিন্ন বাজারে এসেছে আম। প্রতি মণ ১৬০০-২০০০ (ছোটবড় মানভেদে) টাকা বিক্রি হচ্ছে। তবে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে কেজি ৬০ টাকা। সরেজমিনে কয়েকটি বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।

গোপালভোগ রাজশাহী বাজারে ২০০০ টাকা মন দরে বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজারে গোপালভোগ আমের মূল্য ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

গতবারের চেয়ে এ বছর আম বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে জানা গেছে ‘মানভেদে গোপালভোগ ১৬০০-২০০০ টাকা ও গুটি ৮০০-১২০০ টাকায় মণ বিক্রি হচ্ছে।’

সরকারের দেওয়া নির্দেশ আম ক্যালেন্ডার অনুযায়ী গোপালভোগ ১৫ মে, লক্ষ্মণভোগ বা লখনা ও রানিপছন্দ ২০ মে এবং হিমসাগর ২৫ মে থেকে বাজারে আসবে। অন্যান্য জাতের আম এরপর বাজারে আসা শুরু করবে।

পাইকারি বাজারে দাম ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এবং যারা খুচরা বাজারে বিক্রি করছেন। এভাবে ধাপে ধাপে আমের দাম গুলো বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে গতবারের চাইতে এবারের আমের দাম অনেকটাই বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাজশাহীতে আমের বাজার এখনো কতটা জমে ওঠেনি। হাতেগোনা বেশ কয়েকটি আমগুলো বাজারে নেমেছ।

আমের দাম এখন কিছুটা বৃদ্ধি হলে পরবর্তীতে এর দাম কমতে পারে। সেটি বাজারের চাহিদা অনুযায়ী নির্ভরশীল।

রাজশাহীতে বিভিন্ন বাজারে আমের দাম চাহিদা অনুযায়ী কম বেশি হয়ে থাকে। তবে এখনো ভালোভাবে আমের বাজারগুলো জমে ওঠেনি। আরো বেশ কয়েক দিন পরেই আমের বাজারগুলোতে বিভিন্ন প্রকার আম নামবে এবং আমের বাজারগুলো জমে উঠবে এবং আজকের আমের দাম কেমন সেটি বাজারের চাহিদা অনুযায়ী নির্ভর করবে।

রাজশাহীর সবচেয়ে বড় আমের বাজার বানেশ্বরে গোপালভোগ আম ২২০০ থেকে ২৪০০ টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়াও হিমসাগর বা ক্ষীরশাপাত ১৬০০ থেকে ১৮০০, লক্ষণভোগ বা লখনা ৮০০ থেকে ৯০০, রানি পছন্দ ৯০০ থেকে ১৪০০ ও গুটি জাতের আম ৯০০ থেকে ১৫০০ টাকা আকার ভেদে প্রতি মণ কেনাবেচা হচ্ছে।

বাজারজাত করা হচ্ছে গোপালভোগ ১৫ মে, লক্ষণভোগ ও রানি পছন্দ ২০ মে, হিমসাগর ২৫ মে, ৬ জুন থেকে ল্যাংড়া, ১৫ জুন থেকে ফজলি, ১০ জুন আম্রপালি এবং ১০ জুলাই থেকে আশ্বিনা ও বারি-৪, ১০ জুলাই থেকে গৌড়মতি ও ২০ আগস্ট ইলামতি আম বাজারজাত শুরু হবে। আর কাটিমন ও বারি-১১ সারা বছরই বাজারজাত করা যাবে বলে জানানো হয়।

রাজশাহীর কয়েকটি বড় আমের বাজার

বাংলাদেশের রাজশাহী জেলা হল আমি বিখ্যাত। রাজশাহীর আম অত্যন্ত সুস্বাদু ও মিষ্টি। সারা দেশে রাজশাহীর আমের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা রাজশাহীতে আমের দাম কেমন ২০২৩ সম্পর্ক আপনাদের সামনে আলোচনা করছি।

রাজশাহীতে বেশ কয়েকটি বড় আমের বাজার রয়েছে সেগুলো আপনাদের জানাবো। আমের সিজনে রাজশাহী বড় বড় বাজার গুলো আমের সমারহ লেগে থাকে। এবং এখান থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় আম সেল হয়ে থাকে।

আমের রাজধানী যদি বলা হয় রাজশাহীকে, তবে পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বরকে বলতে হবে এর বাণিজ্যিক রাজধানী। রাজশাহীতে আমের সবচেয়ে বড় মোকাম এটি। এখানকার সড়ক-মহাসড়ক ছাপিয়ে আস্তে আস্তে এ বাজার ছড়িয়ে পড়েছে অনলাইনেও।

আরো পড়ুনঃ দুবাই থেকে অন্য দেশে যাওয়ার নিয়ম

অনলাইনেও বানেশ্বর বাজারের আম বিক্রি করেন অনেকে।স্থানীয় লোকজন ও ব্যবসায়ীরা জানান, বানেশ্বর বাজার থেকে দেশের সব জায়গায় আমের চালান যায়। এখানে দিনে কয়েক শ মণ আম বেচাকেনা চলে। টাকার অঙ্কে তা কয়েক কোটি।

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আমের হাট বলা হয় শিবগঞ্জের কানসাট আমের হাটকে। প্রাচীনকালের কংসহট্ট পরবর্তী সময়ে কানসাট নাম ধারণ করে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটের রাজবাড়িকে বলা হয়ে থাকে কুঁজা রাজার বাড়ি। এই রাজার শতাধিক বছর বয়সী একটি আমবাগান রয়েছে এবং এই স্থানে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বড় আমের বাজারের সমাহার চলে।

এছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রহনপুর, রাজশাহী নওগাঁর সাপাহার রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার মধ্যে সেরা ও বড় আমের বাজার।

রাজশাহীতে কত রকম আমের জাত পাওয়া যায়

প্রিয় বন্ধুরা আপনারা অনেকেই রাজশাহীতে আমের দাম কেমন ২০২৩ সম্পর্কে জানতে আমাদের এই আর্টিকেলটি ওপেন করেছেন। একটি সুস্বাদু ফল যা আমরা সকলেই খেতে অত্যন্ত পছন্দ করে থাকি এবং বাংলাদেশের মধ্যে আমাদের রাজশাহী আমের জন্য বিখ্যাত। অনেকের  প্রশ্ন থাকে, রাজশাহীতে কত রকম আমের জাত পাওয়া যায়। চলুন তাহলে রাজশাহীতে কত রকম আমের জাত পাওয়া যায় সে সম্পর্কে জেনে নিই।

রাজশাহী এবং চাপাইনবাবগঞ্জ মিলে প্রায় ৩৫ প্রকার আমই পাওয়া যায়। রাজশাহী যেহেতু পৃথিবীতে আমের জন্য বিখ্যাত এজন্য বর্তমানে পৃথিবীর সকল প্রকার আমই নিয়ে এসে চাষাবাদ শুরু করেছে রাজশাহী বাসী। তাই আপনি চাইলে যেকোনো ধরনের যে কোন প্রকার আম রাজশাহীতে পেতে পারেন।

রাজশাহীতে আমের উৎপাদন ভালো হওয়ার কারণ

রাজশাহীতে আমের দাম কেমন ২০২৩ আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা রাজশাহীর আমের বাজার ও আম উৎপাদনের কারণ সম্পর্কে জানতে পারবেন। আমাদের বাংলাদেশে বিভিন্ন রকমের ফলমূল ও শাকসবজি চাষাবাদ হয়ে থাকে। আর সেটি নির্ভর করে থাকে সে দেশের এবং সে অঞ্চলের আবহাওয়া ও মাটির উপরে। আপনি চাইলে যে কোন অঞ্চলে যে কোন শাকসবজি উৎপাদন করে ভালো ফলন পাবেন না।

তাই আপনাকে সেদেশের আবহাওয়া ও মাটি নির্বাচন করে কোন ফলন ফসল উৎপাদন করা যায় সেটি পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে হবে। অনেকেই জানতে চান রাজশাহীতে আমের উৎপাদন ভালো হওয়ার কারণ কি, কারণ সেখানকার মাটি ও আবহাওয়া আমের জন্য অনুকূল। তাই রাজশাহীতে আমি উৎপাদন ভালো হয়ে থাকে।

রাজশাহীতে আমের দাম কেমন ২০২৩ঃ শেষ কথা

প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই আর্টিকেলে আমরা রাজশাহীতে আমের দাম কেমন ২০২৩? রাজশাহীর কয়েকটি বড় আমের বাজার, রাজশাহীতে কত রকম আমের জাত পাওয়া যায়? রাজশাহীতে আমের উৎপাদন ভালো হওয়ার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনারা রাজশাহীর আম সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা পেয়েছেন।

আরো পড়ুনঃ পুলিশের এসআই হওয়ার যোগ্যতা

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল আরো করতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে থাকুন। কারণ আমাদের ওয়েব সাইটে নিয়মিত এ ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন