হরিতকি খাওয়ার উপকারিতা - হরিতকি খাওয়ার অপকারিতা

হরিতকি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা হরিতকি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের সামনে আলোচনা করব। হরিতকী খাওয়ার উপকারিতা অনেক।

হরিতকি খাওয়ার উপকারিতা

তাহলে চলুন হরিতকি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

সূচিপত্রঃ হরিতকি খাওয়ার উপকারিতা - হরিতকি খাওয়ার অপকারিতা

হরিতকি খাওয়ার উপকারিতা

হরিতকি বহুগুণী গুণান্বিত একটি ঔষধি গাছ। ত্রিফলার তিনটি ফলের মধ্যে হরতকি অন্যতম। হরতকি আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে প্রচুর ব্যবহৃত হয়। এটি স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যের জন্য খুবই উপকারী। হরতকির ফল, মূল ও ছাল সবই ব্যবহৃত হয়। হরতকি খাওয়ার উপকারিতা কি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আমরা বিস্তারিত ভাবে জানতে পারব।

আরো পড়ুনঃ কাঁচা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা

  • হজমে সাহায্য করে
  • সর্দি কাশি
  • ওজন কমাতে
  • আর্থ্রারাইটিস
  • অ্যালজাইমা
  • ডায়াবেটিকস
  • চোখের সমস্যা দূর
  • হার্টের সমস্যা 
  • দাঁতের সমস্যা দূর করে 
  • সেক্সুয়াল হেলথ মজবুত করে

হজমে সাহায্য করেঃ আমাদের বিভিন্ন খাদ্য অভ্যাসের ফলে হজমের সমস্যা হয়ে থাকে।পাকস্থলী খাবার পরিপাক করতে না পারলে হজমে সমস্যা হয়। দুপুরে আর রাতে খাবারের পর হরিতকী গুঁড়ো যদি অল্প উষ্ণ গরম পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন সমস্যা দূর হবে। এবং সাথে সাথে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যাও কমবে।

সর্দি কাশিঃ আমাদের সারা বছরই প্রায় কম বেশি সর্দি কাশি লেগে থাকে।তুলসী, মধু এই ধরণের উপাদানের সঙ্গেই নিন হরিতকী। হরিতকী গুঁড়ো আর অল্প সৈন্ধব লবণ বা রক সল্ট মিশিয়ে খেয়ে উষ্ণ গরম পানি খেয়ে নিন। হরিতকীর মধ্যে শরীরের কফ উপাদান ব্যাল্যান্স করার ক্ষমতা থাকে।

ওজন কমাতেঃ ওজন কমাতে আমরা অনেক কিছুই ব্যবহার করে থাকি বা খেয়ে থাকি।হরিতকী মেটাবলিজম ক্ষমতা বহুগুণে বৃদ্ধি করে থাকে। যার ফলে খাবার ভালোভাবে হজম হয়। হরিতকি ১০টা মতো নিয়ে নিন। অল্প ঘি দিয়ে ভেজে নিন হাল্কা করে আর শুকিয়ে নিন। ঠাণ্ডা করার পর গুঁড়ো করে রেখে দিন। এই হরিতকী গুঁড়ো রোজ খাবার পর অল্প খান। খুব উপকার পাবেন। সঙ্গে অবশ্যই পরিমিত খাবার খেতে হবে ডায়েট মেনে।

আর্থ্রারাইটিসঃ শুধু বয়স্ক মানুষ নন, আজকাল অনেক কম বয়সের মানুষেরও হাঁটুর ব্যথা, গাঁটের ব্যথা এই সব হয়। এই ক্ষেত্রে ওষুধ খাওয়ার পাশে হরিতকী যদি আপনি ব্যবহার করতে পারেন তাহলে অনেক উপকার পাবেন অ্যালজাইমার সমস্যায়

অ্যালজাইমাঃ অ্যালজাইমা হল স্নায়ু বা নার্ভের সমস্যা। যা বয়স বাড়ার সাথে সাথে বৃদ্ধি পায়। বুদ্ধিভ্রংশের সমস্যা বলা হয় একে। স্নায়ু দুর্বল হলে অনেক সময়ে খিঁচ রোগ হয়, নানা রকম বিকৃতি দেখা যায়। হরিতকী খেলে আমাদের স্মৃতিশক্তি বাড়ে।

আমরা অনেক বেশি মন দিয়ে শান্ত হয়ে কাজ করতে পারি। হরিতকী চূর্ণ রোজ দুই বেলা হাফ চামচ করে খেলে উপকার অবশ্যই পাবেন।। হরিতকীর মধ্যে ক্যালসিয়াম আছে প্রচুর পরিমাণে। আর ক্যালসিয়াম হাড় শক্ত করতে, টিস্যু মজবুত করতে সাহায্য করে।

ডায়াবেটিসঃ হরিতকির মধ্যে থাকা হাইপোগ্লাইকেমিক উপাদান শর্করার মাত্রা রক্তে ঠিক রাখে। হরিতকী গ্লুকোজের অতিরিক্ত উৎপাদন হতে দেয় না, একটা ভারসাম্য বজায় রাখে। ফলে আমরা ডায়াবেটিসের সমস্যায় কম ভুগি।

চোখের সমস্যা দূরঃ চোখের নানা রকম সমস্যা, যেমন চোখের নার্ভ শুকিয়ে যাওয়া, চোখে বারবার জল আসা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, চোখ জ্বালা, এইরকম অনেক সমস্যার ওয়ান স্টপ সলিউশন এই হরিতকী। চায়ের সঙ্গে হরিতকী গুঁড়ো মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। তারপর ঠাণ্ডা করে ছেঁকে নিন। এই ছেঁকে নেওয়া জল দিয়ে চোখ পরিষ্কার করতে পারেন। এতে চোখের ইনফেকশন, চোখের চোখে নানা সমস্যা দূর হবে এবং দৃষ্টিশক্তি বাড়বে।

হার্টের সমস্যাঃ হার্টবিট কম হওয়া, বুক ধড়ফড় করা, হাল্কা চিনিচিনে ব্যথা, হরিতকি মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হতে পারে।হরিতকী হার্টের মাসল মজবুত করে, রক্ত সঞ্চালন আর পাম্পিং ক্ষমতা বাড়ায়। তার সঙ্গে কোলেস্টেরল হওয়ার মাত্রাও অনেক কমিয়ে আনে।

দাঁতের সমস্যা দূর করেঃ হরিতকীতে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন যা আমাদের দাঁতের সমস্যা দূর করতে বিশেষভাবে কার্যকরী।

সেক্সুয়াল হেলথ মজবুত করেঃ পুরুষের মধ্যে শক্তি, ক্ষমতা আর নারি-পুরুষ উভয়ের মধ্যেই উৎপাদন শক্তি অনেক বাড়ায় হরিতকী।নারী ও পুরুষ, উভয়ের ক্ষেত্রেই হরিতকী সেক্সুয়াল হেলথ মজবুত করতে পারে। স্ট্রেস কমিয়ে সেক্স হরমোন, মানে টেস্টোস্টেরন বা প্রজেস্টেরন হরমোনের নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে, নিয়মিত নিঃসরণ বজায় রাখে। ফলে ‘সেক্স আর্জ’ বা চাহিদা তৈরি হতে থাকে। 

হরিতকি খাওয়ার নিয়ম

হরিতকি একটি গুণসম্মত গাছ, হরিতকির রয়েছে বিশেষ উপকারিতা। হরিতকি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা আজকের এই কিছু তথ্য জানতে পারলাম। হরিতকী খাওয়ার রয়েছে বেশ কিছু নিয়ম যা আমাদের জানা জরুরী কারণ সঠিক নিয়মে হয়তো কে খাওয়া না গেলে আমরা সঠিক গুণ পাবো না।

১। হরিতকী আপনি চূর্ণ বা গুঁড়ো রূপে, কাথ হিসেবে আবার বড়ি হিসেবেও খেতে পারেন। 

২। কিছু জিনিসের সঙ্গে মিশিয়ে হরিতকী খেতে হয় মরসুমের সঙ্গে তাল রেখে। গরমের সময়ে হরিতকী খেলে অল্প গুড় মিশিয়ে খান। আবার বর্ষার সময়ে হরিতকী রক সল্ট আর শরতে চিনির সঙ্গে খেলে ভাল উপকার পাবেন। 

৩। শীতের শুরুতে অল্প আদা কুচি আর শীতের মধ্যে অল্প গোলমরিচ দিয়ে হরিতকী খেতে পারেন।

৪। বসন্তকালে মধু দিয়ে হরিতকী খাওয়া সবচেয়ে উপকারী। আর প্রত্যেকবার হরিতকী খাওয়ার পর খানিক উষ্ণ জল খেতে হবে।

৫। হরিতকি খাওয়ার উপকারিতা পেতে হলে আপনি চাইলে উক্ত নিয়মগুলো ব্যবহার করে হরিতকি খেতে পারেন।

রূপচর্চায় হরিতকির ব্যবহার

হরিতকি প্রাচীন ঔষধি গুন সম্পন্ন একটি গাছ। এটি বিভিন্ন ঔষধি উপকারিতার পাশাপাশি রূপচর্চার ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে কাজ করে থাকে। চলুন তাহলে রূপচর্চায় হরিতকির ব্যবহার কতটুকু তা জেনে নিই।

মুখের ছিদ্র কমিয়ে আনতে: অনেকে আছেন যারা জোরে জোরে ঘর্ষণের ফলে মুখের ছিদ্র এবং দাগ পড়ে যায়।পোর্স বা মুখের ছিদ্র কমিয়ে আনবে এই পেস্ট।

আরো পড়ুনঃ নাশপাতি খাওয়ার উপকারিতা

উপকরণঃ

১ চামচ হরিতকী পাউডার, হাফ চামচ বেসন, হাফ চামচ মুলতানি মাটি, ১ চামচ গোলাপ জল।

ব্যবহার পদ্ধতিঃ

সব উপকরণ ভাল করে মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। জল দেবেন না, শুধু গোলাপ জল দিয়ে গুলবেন। এই পেস্ট মুখে মেখে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর সাধারণ জলে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে দু দিন করুন আর একমাস টানা করুন। উপকার পেতে আপনি বাধ্য।

ডার্ক সার্কেল: চিন্তা বেশি করে বা নিয়ম করে না ঘুমিয়ে এই অবস্থা। চোখের কোলে কালি আমাদের সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়। এর জন্যও হরিতকীর বিশেষ প্রয়োগ আছে।

উপকরণঃ

১ চামচ হরিতকী গুঁড়ো, হাফ চামচ অ্যালোভেরা জেল, ২ ফোঁটা আমন্ড অয়েল।

ব্যবহার পদ্ধতিঃ

সব উপকরণ মিশিয়ে মোটামুটি ঘন একটা পেস্ট বানান। তারপর চোখের নিচের অংশে লাগিয়ে সার্কুলার মোশনে ম্যাস্যাজ করুন হাল্কা হাতে। ১৫ মিনিট রেখে দিন শুকিয়ে যাওয়ার জন্য। তারপর ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে তিন দিন করুন খুব ভাল ফল পেতে।

চুলের সমস্যায়ঃ

চুলের আমাদের কতো সমস্যা! খুশকি, চুল পড়া, মাথা চুলকুনি, সাদা চুল, সমস্যা কি কম! কিন্তু বিশ্বাস করুন, হরিতকী হতে পারে এ টু জেড সমস্যার একমাত্র সমাধান। চুলের জন্য তো আমরা ত্রিফলা ব্যবহার করিই। আর এই ত্রিফলার অন্যতম উপাদান হরিতকী। তাই নিশ্চিন্তে চুলের জন্য ব্যবহার করুন হরিতকী।

যে কোনও তেলের সঙ্গে মিশিয়ে হরিতকী মাথায় ম্যাস্যাজ করলে যেমন চুলের গড়া মজবুত হয়, তেমন হরিতকী গুঁড়ো মাথায় শ্যাম্পু হিসেবে ব্যবহার করলে স্ক্যাল্পের ময়লা দূর হয় তাড়াতাড়ি। হরিতকী দিয়ে তৈরি একটি ভাল প্যাক আপনাদের জানাই।

উপকরণঃ

২ চামচ হরিতকী পাউডার, ১ চামচ আমলা পাউডার, হাফ চামচ বহেরা পাউডার আর হেনা পাউডার।

ব্যবহার পদ্ধতিঃ

একটি পাত্রে সব উপকরণ নিয়ে জল দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। সপ্তাহে এক দিন চুলে এই মিশ্রণ ব্যবহার করে ১ ঘণ্টা রেখে দিন। তারপর ভাল করে ধুয়ে কন্ডিশনার ব্যবহার করে নিন। শ্যাম্পু আলাদা করে করতে হবে না। এতে চুল ফুরফুরে হবে। চুলের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে।

ব্রণ কমাতেঃ তেলতেলে ত্বক যাদের তাঁদের র্যারশ, ব্রণ খুবই হয়ে থাকে। আর ব্রণ কমে গেলেও ব্রণর দাগ সহজে যেতে চায় না। কিন্তু হরিতকীর সাহায্যে এই দাগ দূর করা সম্ভব।

উপকরণঃ

২ চামচ হরিতকী গুঁড়ো, ১ চামচ চন্দন বাটা, ১ চামচ কাঁচা হলুদ বাটা।

ব্যবহার পদ্ধতিঃ

সব উপকরণ ভাল করে মিশিয়ে নিন। ব্রণ যে যে জায়গায় হয়েছে সেই সেই জায়গার ওপর দিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট মতো। তারপর সাধারণ তাপমাত্রার জল দিয়ে ধুয়ে নিন। এটি এক দিন ছাড়া ছাড়া করুন খুব ব্রণর সমস্যা হলে। কম ব্রণ থাকলে বা ব্রণর দাগ কম থাকলে সপ্তাহে তিন দিন করলেই হবে।

এক মাসের মধ্যে অনবদ্য ফল আপনার চোখের সামনেই থাকবে। হরিতকী আর হলুদ, এই দুইয়ের অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টি ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ যাতে কম হয় তা দেখবে। চন্দন অতিরিক্ত তেলতেলে ভাবও কমাবে।

সংগ্রহঃ DusBus com.

হরিতকি খাওয়ার অপকারিতা

বহু গুণে গুণান্বিত এই ঔষধি গাছটির যেমন রয়েছে ঔষুধি গুন তেমন রয়েছে এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ইতিমধ্যে আমরা হয়তো কি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছি। কিন্তু হরিতকি খাওয়ারও রয়েছে বেশ কিছু অপকারিতা। হরিতকি খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে চলুন তাহলে কিছু তথ্য জেনে নিন।

১। আপনি যদি বেশি পরিমাণে হইতো কি খেয়ে ফেলেন তাহলে আপনার ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা রয়েছে।

২। গর্ভাবস্থায় হয়তো কি খাওয়া থেকে বিরত রাখুন। কান গর্ভাবস্থায় হয়তো কি ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। হরিতকী যেকোনো অবস্থায় যেকোন ভাবে খাওয়ার পর উষ্ণ গরম পানি খেয়ে নিবেন।

৩। হরিতকী কখনই শুধু শুধু কোনও কাটা বা আঘাত লাগা জায়গায় দিতে নেই। সবসময়ে অন্য কিছু, খুব ভাল হয় অল্প নারকেল তেল সহযোগে যদি সেই আঘাত লাগা জায়গায় ব্যবহার করা যায়।

৪। দ্রুত উপকারের জন্য অতিরিক্ত বা একনাগারে হরিতকী খাওয়া উচিত নয়। এটা নিয়মিত এবং পরিমিতভাবে খেলে আপনি উপকার পাবেন।

শেষ কথাঃ হরিতকি খাওয়ার উপকারিতা - হরিতকি খাওয়ার অপকারিতা

প্রিয় পাঠক গণ আজকের এই আর্টিকেল থেকে হরিতকি খাওয়ার উপকারিতা, হরিতকি খাওয়ার অপকারিতা, রূপচর্চায় হরিতকির ব্যবহার, হরিতকি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। আপনাদের বিষয়গুলো জানাতে পেরে আমরা আনন্দিত।

আরো পড়ুনঃ রূপচর্চায় মধুর উপকারিতা - রূপচর্চায় মধুর ব্যবহার

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক পোস্ট আরো পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এ ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Skbd IT এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url