নাশপাতি খাওয়ার উপকারিতা

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা নাশপাতি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের সাথে কিছু তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছি। নাশপাতি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে যারা গুগলের সার্চ করে আমাদের এই আর্টিকেলটি ওপেন করেছেন, তারা সঠিক জায়গায় এসেছেন।

নাশপাতি খাওয়ার উপকারিতা

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা নাশপাতি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানাবো। তাহলে চলুন নাশপাতি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে নিই।

সূচিপত্রঃ নাশপাতি খাওয়ার উপকারিতা

নাশপাতির উপকারিতা

নাশপাতি একটি পুষ্টিগুণ সম্মত ফল। নাশপাতিতে রয়েছে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা নাশপাতি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের সামনে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করতে চলেছি উপকারিতা সম্পর্কে কিছু জেনে নেওয়া যাক।

আরো পড়ুনঃ মেথি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

১। রোগ প্রতিরোধ

২। হাড় মজবুত

৩। রক্ত সরবরাহ

৪। হজম শক্তি বৃদ্ধি

৫। ক্ষতিকর কোলেস্ট্রল কমাতে

৬। ব্যথা কমাতে

রোগ প্রতিরোধ - নাশপাতিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি বিদ্যামান যা আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।

হাড় মজবুত - হাড় মজবুত রাখতে এবং হাড়ের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে আপনি নাশপাতি খেতে পারেন।এই ফলে থাকে বোরন নামক রাসায়নিক উপাদান। এটি ক্যালসিয়ামের মাত্রা বজায় রাখতে কার্যকর।

রক্ত সরবরাহ - রক্ত সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে নাশপাতি বিশেষ ভূমিকা পালন করে।শরীরে আয়রনের পরিমাণ বেড়ে গেলে রক্তে লোহিত কণিকার পরিমাণ বাড়ে। তাই নাশপাতি খেলে অ্যানিমিয়া, মাংসপেশির দুর্বলতা, ক্লান্তি ও শারীরিক অবসাদ দূর হয়।

হজম শক্তি বৃদ্ধি - হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে নাশপাতি উপকারী একটি ফল।হজম প্রক্রিয়ার জন্য খুব জরুরি। প্রতিদিন নাশপাতি খেলে ১৮ শতাংশ আঁশ পাওয়া যায়। এই ফলে থাকা আঁশ অদ্রবণীয় পলিস্যাকারাইড।

যা অন্ত্রে গিয়ে হজমে বিশেষভাবে সাহায্য করে। নাশপাতি খাওয়ার পর পাকস্থলীতে ডাইজেস্টিভ ও গ্যাস্ট্রিক জুস বেড়ে যায়, যা খাবারকে সহজে হজমে সাহায্য করে। নাশপাতি বাওয়েল মুভমেন্ট ঠিক রাখে ও ডায়রিয়ার আশঙ্কা কমায়।

ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমায় - নাশপাতিতে আছে উপকারী যৌগ, যা ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের কারণে বিভিন্ন অসুখ আমাদের শরীরে আক্রান্ত করেন। সেসব সমস্যা দূরে রাখতে কাজ করে উপকারী এই ফল।

ব্যথা কমায় - আপনি যদি আর্থ্রাইটিস বা শরীরের কোনো ব্যথায় ভোগে থাকেন, তাহলে নাশপাতি সেই উপসর্গ সারাতে একটু বিশেষ ফল। এতে থাকা ফ্লেভোনয়েড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

নাশপাতি খাওয়ার নিয়ম

নাশপাতি একটি উপকারী ফল এর বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী। নাশপাতি খাওয়ার উপকারিতা অন্যান্য ফলের মতোই। তবে এই ফল খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে, এই ফল নিয়মিত খেলে আপনার যে রোগ গুলো সারতে সাহায্য করবে তা জেনে নিন।

১। নাশপাতিতে রয়েছে উচ্চমাত্রায় মিনারেল। এবং নাশপাতি দেহে ক্যালসিয়ামের জোগান দিয়ে থাকেন। এটি হরমোন উৎপাদন এবং হাড়ের ক্ষয়রোধ করে। তাই প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদানের ১০শতাংশ নাশপাতিতে বিদ্যমান।

২। খুশকি ও পেটের পীড়ার কারণে মাথার চুল পড়ে গেলে সিকি কাপ নাশপাতির রস দুই সপ্তাহ খেলে চুল পড়া ও খুশকি দূর হয়।

৩। দাঁতের মাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলে নাশপাতির রস ও অল্প ফিটকিরি মিশিয়ে রেখে সকালে খেলে মাড়ির ক্ষয় পূরণ হয়।

৪। আপনার কোলেস্টেরল কমাতে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।নাশপাতিতে আছে ৬ গ্রাম সলিউবল ফাইবার।

৫। করোনারি থ্রম্বোসিস, হার্ট ব্লক, মায়োকার্ডিয়াল ইনফ্যাকশন ইত্যাদি রোগ থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন ২-৩ টুকরো নাশপাতি খাওয়ার অভ্যাস করুন।

গর্ভাবস্থায় নাশপাতি খাওয়ার উপকারিতা

প্রত্যেকটা মায়েদের জন্য গর্ভাবস্থা একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই সময় প্রত্যেকটা মায়েদের ভারসাম্য যুক্ত খাদ্য খাওয়া প্রয়োজন। নাশপাতি হল গ্রীষ্মমন্ডলীয় একটি সুস্বাদু ফল। যা হাজার বছর ধরে প্রচলিত একটি পুষ্টি সমৃদ্ধ ফল।

আরো পড়ুনঃ গাজর খাওয়ার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা নাশপাতি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে ইতিমধ্যে জানতে পেরেছি কিন্তু গর্ভাবস্থায় নাশপাতি খাওয়ার উপকারিতা কতটুকু তা আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা জানতে পারবো।

নাশপাতি স্বাদ মিষ্টি এবং টক যা বেশিরভাগ গ্রীষ্মের মাস গুলোতে দেখা যায়। নাশপাতি অত্যন্ত পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত একটি ফল যা গর্ব অবস্থায় খাওয়ার জন্য অত্যন্ত নিরাপদ এবং গর্ভাবস্থায় শিশুর বিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে এই নাশপাতি ফল।

নাশপাতির মধ্যে থাকা ক্যালোরি

গর্ভবতী মহিলারা দুজনের জন্য পুষ্টির যোগান দিতে খাচ্ছেন এবং তাদের আগের চেয়ে বেশি শক্তিতে পূর্ণ খাবারের প্রয়োজন। ভ্রূণের বৃদ্ধি, গর্ভাবস্থার বিকাশ, দুধ উত্পাদন ইত্যাদি সহ শরীরের সমস্ত প্রক্রিয়াগুলির জন্য শক্তি অপরিহার্য। নাশপাতিতে ক্যালোরি কম থাকলেও এগুলি স্বাস্থ্যকর ফলের কার্বসের উৎস।

নাশপাতিতে ভিটামিন সি

ভিটামিন সি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে এটি মানবদেহের বিভিন্ন কার্য পরিচালনা করে।

ভিটামিন সি কোষগুলিতে ফ্রি র‌্যাডিক্যালগুলির সাথে লড়াই করে, যা জারণে ক্ষতির কারণ হতে পারে এবং বৃদ্ধি, বিকাশ ও শক্তি উত্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় সেলুলার প্রতিক্রিয়াগুলিতে হস্তক্ষেপ করতে পারে।

এটি খাদ্য, বিশেষত আয়রন থেকে পুষ্টির শোষণে সহায়তা করে। আয়রন শিশুর বিকাশে বিশেষত রক্ত গঠন এবং সংবহনতন্ত্রের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।

নাশপাতিতে পটাসিয়াম থাকে

নাশপাতিতে পটাসিয়াম কম পরিমাণে থাকে, তবে এটি সেলুলার এবং টিস্যু স্তরে শরীরের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন। তাদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হল:Advertisements পটাসিয়াম গর্ভবতী এবং গর্ভস্থ শিশু, উভয়ের ক্ষেত্রেই রক্তচাপের মাত্রা বজায় রাখার পাশাপাশি হৃদস্পন্দনেও সহায়তা করে।

নাশপাতিতে ভিটামিন এ থাকে

নাশপাতি ভিটামিন এ-তে প্রচুর পরিমাণে সমৃদ্ধ, একটি পুষ্টি যা প্রথম ত্রৈমাসিক থেকে প্রসবের আগে পর্যন্ত গর্ভাবস্থায় বেশ প্রয়োজনীয়। এই পুষ্টির ঘাটতি গর্ভাবস্থায় গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

কপার এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকে

কপার এবং ম্যাগনেসিয়াম হল প্রয়োজনীয় মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট যা গর্ভাবস্থায় বড় ভূমিকা পালন করে।কপার, আয়রনও বি-ভিটামিনের পাশাপাশি লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে সহায়তা করে। এটি গুরত্বপূর্ণ, কারণ গর্ভবতী নয় এমন প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলাদের চেয়ে গর্ভবতীদের প্রায় এক লিটার রক্ত বেশি থাকে।

নাশপাতির পুষ্টিগণ

নাশপাতি ফলের সঙ্গে সবাই পরিচিত। দেখতে অনেকটা সবুজ আপেলের মতো। মিষ্টি নাশপাতির খোসা পুরু থাকে। এই নাশপাতির পুষ্টিগুণ সম্পর্কে অনেকেই অবগত নয়। এই ফলের গুণাগুণ সম্পর্কে তথ্যও কম পাওয়া যায়। তবে জানলে অবাক হবেন নাশপাতি খাওয়ার উপকারিতা অন্য কোনও ফলের থেকে কম নয়।

আরো পড়ুনঃ রূপচর্চায় মধুর উপকারিতা - রূপচর্চায় মধুর ব্যবহার

১০০ গ্রাম নাশপাতিতে রয়েছে ৬৯ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, ১ গ্রাম খাদ্য আঁশ, ১৬ গ্রাম শর্করা, শূন্য দশমিক ৬ গ্রাম আমিষ, শূন্য দশমিক ৩ গ্রাম চর্বি, শূন্য দশমিক ২ গ্রাম খনিজ লবণ, ৮৩ গ্রাম পানি, ৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, শূন্য দশমিক ৫ মিলিগ্রাম লোহা, শূন্য দশমিক ১৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-১ ও শূন্য দশমিক শূন্য ৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-২।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Skbd IT এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url