রোজাদারকে ইফতার করালে কি হয়

রমজান মাস অনেক ফজিলতপূর্ণ মাস। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা রোজাদারকে ইফতার করালে কি হয় এ বিষয়ে আপনাদের জানাবো। অনেকে আছেন যারা রোজাদারকে ইফতার করালে কি হয় সে বিষয়ে সঠিকভাবে জানেন না। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা রোজাদারকে ইফতার করালে কি হয় সে বিষয়ে আলোচনা করব।

রোজাদারকে ইফতার করালে কি হয়

তাহলে চলুন আজকের এই আর্টিকেলে আমরা রোজাদারকে ইফতার করালে কি হয় সে বিষয়ে সঠিকভাবে জেনে নিন।

সূচিপত্রঃ রোজাদারকে ইফতার করালে কি হয়

ইফতারের দোয়া

রোজার খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হচ্ছে ইফতার। মুসলিমরা সূর্যাস্তের পর ইফতারের মাধ্যমে রোজা ভঙ্গ করে থাকে। রোজাদারদের জন্য ইফতার একটি খুশির সময়। মহান আল্লাহপাকের সন্তুষ্টির জন্য মুসলিমরা দীর্ঘক্ষণ উপবাস থাকে এবং নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সে নিজেকে সকল প্রকার পানাহার ও হারাম কাজ থেকে নিজেকে বিরত থাকে।

আরো পড়ুনঃ ওযু ছাড়া কুরআন তেলাওয়াত করা যাবে কিনা

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা রোজাদারকে ইফতার করালে কি হয় সে বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে আলোচনা করব। তার আগে চলুন ইফতারের দোয়া কি তা জেনে নিই।

ইফতারের দোয়া আরবি উচ্চারণঃ

اَللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ اَفْطَرْتُ

বাংলা উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু, ওয়া আ’লা রিযক্বিকা আফত্বারতু।

বাংলা অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার উদ্দেশ্যেই রোজা পালন করেছি এবং আপনারই দেওয়া রিজিক দ্বারাই ইফতার করছি।

ইফতারের ফজিলত ও গুরুত্ব

রমজান রহমত-বরকতের মাস। এ মাসে প্রাপ্তবয়স্ক প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর ওপর রোজা রাখা ফরজ। রোজা রাখার পর যে খাবারের সমাপ্তি হয় এটাকে ইফতার বলে। ইফতারের রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব ও ফজিলত। আজকের এক আর্টিকেলে আমরা রোজাদারকে ইফতার করালে কি হয় এ বিষয় নিয়ে আপনাদের সামনে আলোচনা করব অনেকেই আছেন যারা ইফতারের ফজিলত ও গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে চান তারা আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।

প্রতিটা রোজদারের কাছে ইফতারের মুহূর্ত টা অনেক আনন্দের সারাদিন রোজা রাখার পরে ইফতারের মুহূর্তে যেন একটা আল্লাহ সন্তুষ্টি ও রহমত বর্ষিত হতে থাকে প্রতিটা প্রতিটা রোজাদারের উপরে।

আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবী কারিম (সা.) বলেছেন, ‘রোজাদারের জন্য দুটি আনন্দ। একটি আনন্দ হচ্ছে যখন সে ইফতার করে। আরেকটি হচ্ছে যখন সে প্রভুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৭৬৬)

ইফতারের সময় রোজাদারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ইফতারের সময় প্রসঙ্গে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যখন রাত সেখান (সূর্য বের হওয়ার স্থান) থেকে চলে আসে এবং দিন (সূর্য অস্ত যাওয়ার স্থান) থেকে চলে যায় এবং সূর্য ডুবে যায় তখন রোজাদার রোজা খুলে ফেলবে।’ (বুখারি, হাদিস : ১৯৫৪)

যে রোজাদার ব্যক্তি ইফতার সামনে নিয়ে আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করতে থাকে আল্লাহ তাআলা তার সমস্ত দোয়া খুশি মনে কবুল করে নেন।

জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবী (সা.) বলেছেন, ‘প্রতিটি ইফতারের সময় এবং প্রতি রাতে লোকদের জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।’ (ইবনে মাজাহ হাদিস : ১৬৪৩)

নবী (সা.) ইফতারের সময় দোয়া করতেন। মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.)-এর কাছে সংবাদ পৌঁছেছে, নবী (সা.) যখন ইফতার করতেন, বলতেন, ‘আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়া আলা রিজকিকা আফতারতু।’ অর্থাৎ হে আল্লাহ, তোমার জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমার রিজিক দিয়ে ইফতার করেছি।’ (আবু দাউদ হাদিস : ২৩৫৮)

 ইফতারের সময় ইফতার সামনের নিয়ে আল্লাহ তাআলার জিকির আজগর আল্লাহর কাছে জীবনের গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা। এবং জাহান্নামের শাস্তি থেকে মুক্তি পেতে এ সময় বেশি বেশি দোয়া পাঠ করা।

এই সময়টা দোয়া কবুলের মোক্ষম সময়। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া ব্যর্থ হয়ে যায় না—১. ইফতারের সময় রোজাদারের দোয়া, ২. ন্যায়বিচারক বাদশাহর দোয়া এবং ৩. মজলুমের দোয়া। (আহমদ, ইবনে মাজাহ:১৭৫২) 

রোজা না রেখে ইফতার করা যাবে কি

রমজানুল মোবারক ধৈর্যের মাস, ত্যাগের মাস, তাকওয়া অর্জনের মাস। এই মাসে প্রত্যেক মুসলমান প্রাপ্তবয়স্ক নর-নারীর রোজা রাখা ফরজ। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা রোজাদারকে ইফতার করালে কি হয় এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। অনেকেই হয়তো রোজা না রেখে ইফতার করা যাবে কিনা এ বিষয়ে জানতে চান। তারা আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

পবিত্র রমজানুল মোবারক সিয়াম সাধনার একটি মাস এ মাসে প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য রোজা রাখা আল্লাহ তা'আলা ফরজ করে দিয়েছেন।

আল্লাহপাক পবিত্র কুরআনুল কারীমে ইরশাদ করেছেন, হে ঈমানদারগণ হে বিশ্বাসীগণ হে মুমিন বান্দাগণ আমি আল্লাহপাক এ রমজান মাসে তোমাদের সকলের ওপরে রোজাকে ফরজ করেছি। তোমাদের পূর্ববর্তী যারা আগমন করেছে আমি তাদের ওপরও রমজান মাসের রোজা ফরজ করেছিলাম।(বাকারা সুরার :১৮৩)

একজন রোজাদারের ইফতার করা এবং রোজা না থাকার ইফতার করার ধরন কখনোই এক নয়। যারা রোজা থাকেন না তারা ইফতারের মর্ম বুঝবেনা। আল্লাহ তাআলা এই ইফতারের মধ্যে অনেক বরকত ও কল্যাণ আল্লাহ তাআলা দান করেছেন। যিনি রোজা না করে ইফতার করেন তাদের মাঝে এই বরকত কল্যাণ কখনোই আল্লাহ তায়ালার নিহিত করবেন না।

তাই এ পবিত্র রমজান মাসে আমরা যেন তাকওয়া অর্জন করতে পারি। রমজানুল মোবারক বরকত, নাজাত এবং মাগফেরাতের মাস। একজন রোজাদার একজন সিয়াম পালনকারীর সবচাইতে আনন্দের মুহূর্ত হলো দুইটি। একটি হলো ইফতারের সময় ইফতারের সময় একটা সুন্দর মুহূর্ত একটা যে আমেজ প্রত্যেকটা রোজাদারের মধ্যে সৃষ্টি হয় তা কোন সময়ই দেখা যায় না।

এ সময় আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি ও বরকত লাভের জন্য সারাদিন অনাহারে থেকে ইফতার সামনে নিয়ে আল্লাহর ভয়ে এবং আল্লাহর হুকুম ছাড়া পানাহার থেকে সকল রোজাদার বিরত থাকে। এর নামই হলো তাকওয়া। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন তোমরা যেন তাকওয়া অর্জন করতে পারো এর জন্যই আমি তোমাদের মাঝে রমজানুল মোবারক দিয়েছি।

আর দ্বিতীয় খুশিটি হল যখন এই একটি মাস রোজা রাখার পরে ঈদুল ফিতর আমাদের মাঝে এসে উপস্থিত হয় এবং আমরা সকলেই ঈদের সালাত আদায় করি।

হযরত ওমর ফাজুক রাযিয়াল্লাহু ঈদের দিন দরজা লাগিয়ে কান্না করতেন তিনি ঈদের খুশি না করে শুধু ভাবতেন আর কান্না করে আল্লাহ তাআলার কাছে ফরিয়াদ জানাতেন আল্লাহ তায়ালা আমার রমজানুল মোবারকের একটি মাসের রোজা কবুল করেছেন কিনা।

আরো পড়ুনঃ রোজা অবস্থায় ফেসবুক চালানো যাবে কিনা

মুসলমান প্রাপ্তবয়স্ক নর-নারী সকলেরই উচিত রোজা রেখে ইফতার করা ইফতার করার মাধ্যমে আল্লাহ তার সন্তুষ্টি ও বরকত নাযিল করেন।  এবং রমজানুল মোবারক এ যেন তাকওয়া অর্জন করতে পারি আল্লাহ তাআলা আমাদের এই সুযোগ করে দিয়েছেন।

রোজাদারকে ইফতার করালে কি হয়

ইফতারের অর্থ ভঙ্গ করা, সমাপ্ত করা বা ছিঁড়ে ফেলা। ইফতার আরবি শব্দ ফিতর শব্দ থেকে এসেছে।এখানে ‘ফিতর’ যে অর্থ প্রদান করে তা হচ্ছে এমন খাদ্য, যা দ্বারা রোজা ভঙ্গ করা হয়। ইফতার রোজাদারদের জন্য একটি আনন্দময় ক্ষণ।

আপনারা যারা আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়েছেন তারা নিশ্চয়ই রোজাদারকে ইফতার করালে কি হয় এ বিষয়ে জানতে চান। তাহলে চলুন আজকের এই আর্টিকেলে আমরা রোজাদারকে ইফতার করালে কি হয় সে বিষয়ে সঠিকভাবে জেনে নিই।

রমজান মাস বছরের শ্রেষ্ঠ সময়। এই মাসে নেক আমলের সওয়াব আল্লাহ তাআলা অনেক বেশি বাড়িয়ে দেন। রমজান মাস আমাদের প্রত্যেকটি মুসলমানের জন্য একটি বিশেষ ও মর্যাদা সম্পন্ন মাস।পবিত্র রমজান মাসে  পাঁচটি সুন্নাত রয়েছে তার মধ্যে দ্বিতীয়টি হলো ইফতার। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। রসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, হাদিসে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘আমার বান্দাদের মধ্যে তারা আমার বেশি প্রিয়, যারা দ্রুত ইফতার করে।’ (জামে তিরমিযি:৫৬০)

রমজান মাস অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত পূর্ণ মাস। নিজে ইফতার করা যেমন ফজিলতপূর্ণ তেমনি অন্যকে ইফতার করানোও অত্যন্ত পুণ্যের কাজ ও বরকতময়। হজরত সালমান ফারসি (রা.) থেকে বর্ণিত।

মহানবি (স.) বলেছেন, ‘এটা ওই মাস, যাতে মুমিন বান্দার রিজিক বাড়িয়ে দেওয়া হয়, এই মাসে যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, তার পূর্বাপর গুনাহসমূহ মাফ হয়ে যাবে, সে জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণ লাভ করবে এবং রোজাদারের সওয়াবের সমপরিমাণ সওয়াব সে লাভ করবে। তবে ঐ রোজাদারের সওয়াব কম করা হবে না।’

সাহাবায়ে কিরাম আরজ করলেন, হে আল্লাহর রসুল (স.)! আমাদের অনেকেরই রোজাদারকে ইফতার করানোর মতো সামর্থ্য নেই। রসুলুল্লাহ (স.) বললেন, পানিমিশ্রিত এক পেয়ালা দুধ বা একটি খেজুর অথবা এক ঢোঁক পানি দ্বারাও যদি কেউ কোনো রোজাদারকে ইফতার করায়, তাতেও সেই পরিমাণ সওয়াব পাবে।

আর যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে তৃপ্তিসহকারে আহার করাবে, আল্লাহতাআলা তাকে আমার হাউজে কাউসার থেকে এমন পানীয় পান করাবেন, যার ফলে সে জান্নাতে প্রবেশ করার পূর্ব পর্যন্ত তৃষ্ণার্ত হবে না। (মুসনাদে আহমদ, মিশকাতুল মাসাবিহ)

ইফতারের কিছুক্ষণ আগে থেকে ইফতারের খাদ্য সামগ্রী সামনে নিয়ে অপেক্ষা করা সুন্নাত। কারণ, এ সময় মানুষ খুবই ক্ষুধার্ত থাকে এবং একমাত্র আল্লাহর ভয়ে খাবার সামনে হাজির থাকা সত্ত্বেও মুখে তোলে না। এতে আল্লাহ খুব খুশি হন।

কারণ, ইফতারের সময়টা হলো বিনয় ও আল্লাহর জন্য ধৈর্য ধারণের চরম মুহূর্ত। এ সময় জাহান্নাম থেকে মুক্তিদানের মুহূর্ত। মহানবি (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘রোজাদারের জন্য দুটি খুশি, একটি ইফতারের সময়, অপরটি আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাতের সময়। (বুখারি :৭৪৯২)

 এ রমজান মাসে আল্লাহর এবাদতে মগ্ন থাকি এবং এই ফজিলত পূর্ণ মাসটিকে নিজের সাধ্যমত আমল করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করি। নিজে ইফতার করি এবং অন্যকে ইফতার করে আল্লাহ তাআলার ওয়াসিল সওয়াবগুলো অর্জন করি।

আল্লাহ আমাদের সকলকে রমজানুল মোবারকের সুন্নত গুলো মেনে চলার তৌফিক দান করুন এবং ইফতার করার তৌফিক দান করুন এবং অপরকে ইফতার করানোর সওয়াব অর্জন করার তৌফিক দান করুন। (আমিন)

ইফতার নিয়ে হাদিস

রমজানের মোবারক প্রত্যেকটা মুসলমানের কাছে আনন্দের এবং রহমতের এবং তাকওয়া অর্জনের মাস। এই মাসের অনেক ফজিলত রয়েছে, যা আমরা ইতিমধ্যে আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে জানতে পেরেছি।

আমরা আজকের এই আর্টিকেলে বিশেষ একটি আলোচনা যা হচ্ছে রোজাদারকে ইফতার করালে কি হয় সে বিষয়ে আমরা ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি। ইফতারের অনেক হাদিস রয়েছে যা আমাদের প্রত্যেক মুসলমানের জানা জরুরী। তাহলে চলুন আমরা আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে ইফতারের হাদিস সম্পর্কে কিছু জেনে নিন।

রোজাদার ব্যক্তিকে, যে শুধু এক পেয়ালা দুধ অথবা একটি খেজুর বা সামান্য পরিমাণ পানি দ্বারাও কাউকে ইফতার করাবে। আর যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে তৃপ্তি মিটিয়ে খাওয়াবে আল্লাহ তাকে হাউজে কাওসারথেকে এমন শরবত পান করাবেন যাতে সে কখনও তৃষিত হবে না। এভাবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (বায়হাকি)

রমজান মাসে সিয়াম সাধনার মাসে আমাদের সকলের উচিত রমজানের এক মাস সঠিকভাবে রোজা রাখা এবং আল্লাহ তাআলার অধিকারে আমল করা ইফতারের সময় সকল প্রস্তাবের ইফতার সামনে নিয়ে আল্লাহ তাআলার জিকির আজগর করা এবং দুরুদ পার করত পাঠ করা এবং গুনাহ খাতার জন্য আল্লাহতালার দরবারে মাফ চাওয়া। কারণ আল্লাহ তাআলা ইফতারের সময় প্রত্যেক রোজাদারের দোয়া কবুল করে থাকেন।

প্রত্যেক রোজাদার ব্যক্তিরা যেন সূর্য অস্তের সাথে সাথে ইফতার করে আল্লাহ তা'আলা এই নির্দেশ সকলকে দিয়েছেন কারণ ইহুদীরা দেরিতে ইফতার করে থাকেন তাই আমাদের মুসলিম হয়ে উচিত তাড়াতাড়ি ইফতার করা এবং আল্লাহর কল্যাণ ও সন্তুষ্টি অর্জন করা।

তাড়াতাড়ি মানে হচ্ছে, ইফতারের সময় হওয়ার পরপরই ইফতার দ্রুত করা। ইফতারের সময় হওয়ার আগেই তাড়াতাড়ি করে খেয়ে ফেলা নয়।

আল্লাহর রসুল সা. বলেন: লোকেরা ততক্ষণ কল্যাণে থাকবে যতক্ষণ তারা ইফতার জলদি করবে। (বুখারী, মুসলিম ১ খণ্ড-৩২১ পৃঃ মিশকাত ১৭৫ পৃঃ)

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন: আমার নিকট সবচেয়ে প্রিয় সেই বান্দা যে ইফতার সঠিক সময়ে করে। (তিরমিযী ১ম খণ্ড, ৮৮ পৃঃ, মেশকাত ১৭৫ পৃঃ) । এ হাদীসগুলো প্রমাণ করে যে, ইফতারের নির্দিষ্ট সময় থেকে দেরী করা মোটেই উচিত নয়।

যদি কেউ ইচ্ছা করে ইফতারে দেরি করে তাহলে সে রসূলুল্লাহ সা. এর নির্দেশ অনুযায়ী কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হবে এবং আল্লাহর নিকট অপ্রিয় হবে। সুতরাং এ ব্যাপারে আমাদের সচেতন হওয়া উচিত।

হাদিসে আছে, হযরত সালমান ইবনে আমের রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সা. এরশাদ করেছেন, যখন তোমাদের মধ্যে কেউ রোজায় ইফতার করে, সে যেন খেজুর কিংবা খোরমা দিয়ে ইফতার করে। কারণ, তা হচ্ছে বরকত। আর তা না হলে পানি দিয়ে করবে, তা পবিত্রকারী।’ (জামে তিরমিজি, ২য় খণ্ড, হাদিস- ৬৯৫)।

আরো পড়ুনঃ যাকাত কখন দিতে হবে

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সা. এরশাদ করেছেন, নিশ্চয়ই রোজাদারের জন্য ইফতারের সময় এমন একটি দোয়া থাকে যা ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। (আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব, ২য় খণ্ড, হাদিস- ২৯)।

তাই আমাদের সকলেরই উচিত ইফতারের সময় অযথা সময় নষ্ট না করে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও করলেন অর্জনের জন্য ইফতারের সময় আমরা যথারীতি আল্লাহকে স্মরণ করব এবং আমাদের সকল চাওয়া পাওয়া গুলো আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রকাশ করব আল্লাহতালা যেন আমাদের সকল গুনাহ খাতা গুলো মাফ করে থাকেন এবং আমাদের ইফতার কবুল করেন (আমিন)।

রোজাদারকে ইফতার করালে কি হয়ঃ শেষ কথা

প্রিয় পাঠক গণ আজকের এই আর্টিকেলে আমরা রোজাদারকে ইফতার করালে কি হয়? ইফতার নিয়ে হাদিস, রোজা না রেখে ইফতার করা যাবে কি? ইফতারের ফজিলত ও গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনারা উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল আরো পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Skbd IT এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url