সূরা আর রহমান ১১ বার পড়ার ফজিলত
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক আপনারা যারা আমাদের এই পোস্টটি পড়ছেন তারা নিশ্চয়ই সূরা আর রহমান ১১ বার পড়ার ফজিলত সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আমাদের পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পূরণ।কোরআনে ফজিলত পুণ্য অনেক দোয়া রয়েছে। যেগুলো আমরা নিয়মিত পাঠ করে থাকি। এই ফজিলত পূর্ণ দুয়ার উসিলায় আল্লাহ আমাদের অনেক গুনাহ মাফ করে দিয়ে থাকেন। এবং আমাদের কল্যাণ সাধিত হয়ে থাকে। আপনারা অনেকেই আছেন যারা সূরা আর রহমান ১১ বার পড়ার ফজিলত সম্পর্কে জানেন না।
আজকের এই পোস্টটিতে আমরা সূরা আর রহমান ১১ বার পড়ার ফজিলত সম্পর্কে আলোচনা করব। তাহলে চলুন আর দেরি না করে সূরা আর রহমান ১১ বার পড়ার ফজিলত সম্পর্কে জেনে নিই।
সূচিপত্রঃ সূরা আর রহমান ১১ বার পড়ার ফজিলত
- সূরা আর রহমান ১১ বার পড়ার ফজিলতঃ ভূমিকা
- সূরা আর রহমান এর ফজিলত
- সূরা আর রহমান শিক্ষা
- শেষ কথাঃ সূরা আর রহমান ১১ বার পড়ার ফজিলত
সূরা আর রহমান ১১ বার পড়ার ফজিলতঃ ভূমিকা
আমাদের পবিত্র আল কুরআনে ফজিলতপূর্ণ বিভিন্ন দোয়া রয়েছে। সে ফজিলাত পুণ্য দোয়া গুলো আমরা অনেকেই আছি যারা জানিনা। এ ফজিলত পণ্য দোয়া গুলোর মাধ্যমে আল্লাহ তা'আলা আমাদের মঙ্গল কামনা করে থাকেন। সূরা আর রহমান ১১ বার পড়ার ফজিলত সম্পর্কে অনেকেই জানেন না এবং যারা জানেন তারা সূরা আর রহমান ১১ বার পাঠ করে থাকেন।
আরো পড়ুনঃ জুমার দিন মহিলাদের নামাজ
কুরআনে সবচাইতে মর্যাদা সম্পন্ন ও শ্রেষ্ঠ সুরের ভিতর সূরা আর রহমান। এই সূরাটিতে আল্লাহ তাআলার অনেক নিয়ামত ও কুদরতের কথা বলা হয়েছে। আল্লাহতালা আমাদের জগত সৃষ্টি করেছেন। এবং সাথে সাথে সৃষ্টি করেছেন নানা ধরনের জীবজন্তু পশু পাখি নদী-নালা সবকিছু। আল্লাহর সৃষ্টির কোন তুলনা হয় না।
সূরা আর রহমান এ আল্লাহ তায়ালার কুদরতের কথা বিভিন্নভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। এবং তুলে ধরা হয়েছে। আপনি যদি আপনার মঙ্গল চান এবং আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে আপনারা উপর বর্ষণ করতে চান। তাহলে আপনি সূরা আর রহমান পাঠ ১১ বার করতে পারেন।
সূরা আর রহমান এর ফজিলত
সূরা আর রহমান ফজিলতপূর্ণ এবং এটি কুরআনের সৌন্দর্য। ফজিলতের দিক দিয়ে সূরা আর রহমান হল কুরআনের সমতুল্য। যে সূরা আর রহমান ১১ বার পড়ার ফজিলত অনেক রয়েছে।সূরা আর রহমান এর আল্লাহ তায়ালার ইহকাল পরকাল ও অবদান সম্পর্কে নানা ধরনের বর্ণনা দেওয়া আছে। তাই এই সূরাতে আল্লাহ তায়ালার সতর্ক ও কৃতজ্ঞতা শিকারের জন্য এই বাক্যটি বারবার বলা হয়েছে। (ফাবি আইয়ি আলা ইরাব্বিকা তুকায্যিবান)।
সূরা আর রহমান এর ফজিলত-
সূরা আর রহমান এর ফজিলত সম্পর্কে নবী করীম সাঃ এরশাদ করেছেন। যারা শুধু আল্লাহ তালাকে খুশি করার জন্য এই সূরাটি প্রত্যেক আসরের নামাজের পর পাঠ করবেন তাদের চেহারা নূরানী হবে। স্ত্রী পুত্র তার তাবেদার হবে। তার রিজিকের বৃদ্ধি পাবে এবং সে বেহেস্তের হকদার হবে।
ইসলামের তৃতীয় খলিফা হযরত ওসমান গনি জুন্নরাইন রাঃ এই সূরাটি পাঠ করে সারা বেহেস্তবাসীকে মহিমাহিত করবেন।
সূরা আর রহমান শিক্ষা
প্রিয় পাঠক এই পোস্টে আমরা সূরা আর রহমান ১১ বার পড়ার ফজিলত সম্পর্কে আলোচনা করছি। কুরআনের একটি বিশেষ সূরা হল সূরা আর রহমান এটির ফজিলত অনেক। সূরা আর রহমান কুরআনের সৌন্দর্য বলা হয়। কারণ আল্লাহ তাআলার ইহকাল ও পরকালের সৃষ্টির সম্পর্কে ও অবদান সম্পর্কে বিভিন্ন বর্ণনা দিয়েছেন। এটি কুরআন মাজিদের ৫৫ তম সূরা এবং এর আয়াত সংখ্যা ৭৮। সূরা আর রহমান মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ ইসলামে নারীর পোশাক - মেয়েদের পোশাক পরার বিধান
আর রহমান অর্থ পরম করুণাময়। আপনারা অনেকেই আছেন যারা সূরা আর রহমান পাঠ করেন না বা মুখস্ত নেই। উপরে আপনারা ইতিমধ্যে কুরআন সূরা আর রহমান এগারো বার পাঠ করার ফজিলত সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। সমগ্র সূরার মধ্যে এই সূরাটি অদ্বিতীয়। পুরা সূরায় (ফাবি আইয়ি আলা ইরাব্বিকা তুকায্যিবান)। বাক্যটি ৩১ বার পাঠ করা হয়েছে। আমাদের প্রত্যেকের উচিত এই সূরা মুখস্ত করে নেওয়া এবং নিয়মিত পাঠ করা।
একবার হযরত মুহাম্মদ সাঃ এই সূরা কয়েকজন লোকের সামনে পাঠ করেছিলেন তারা শুনে নিশ্চুপ হয়ে থাকলে বলেন আমি লাইলাতুল জ্বীনে জ্বিনদের সামনে সূরা আর রহমান পাঠ করেছিলাম তারা ছিল মান মর্যাদায় তোমাদের চেয়ে উত্তম। যখনই আমি এই আয়াতটি তেলাওয়াত করে উঠতাম (ফাবি আইয়ি আলা ইরাব্বিকা তুকায্যিবান) তখনই তারা সমস্বরে বলে উঠতঃ
ربّنَا لا نكْذِبُ بِشى من نعمَتك فَلك الحمد,
অর্থঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আমরা আপনার কোনো অবদানই অস্বীকার করবনা। আপনার জন্যই সমস্ত প্রশাংসা
সূরা আর রহমান বাংলা উচ্চারণ-
১) আররাহমা-নু।
২) আল্লামাল কুরআ-ন।
৩) খালাকাল ইনছা-ন।
৪) আল্লামাহুল বায়া-ন।
৫) আশশামছুওয়ালকামারু বিহুছবা-ন।
৬) ওয়ান্নাজমুওয়াশশাজারু ইয়াছজূদা-ন।
৭) ওয়াছ ছামাআ রাফা‘আহা-ওয়া ওয়াদা‘আল মীঝা-ন।
৮) আল্লা-তাতাগাও ফিল মীঝা-ন।
৯) ওয়া আকীমুল ওয়াঝনা বিলকিছতিওয়ালা-তুখছিরুল মীঝা-ন।
১০) ওয়াল আরদা ওয়া দা‘আহা-লিলআনা-ম।
১১) ফীহা-ফা-কিহাতুওঁ ওয়ান্নাখলুযা-তুল আকমা-ম।
১২) ওয়াল হাব্বুযুল‘আসফি ওয়াররাইহা-ন।
১৩) ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা-তুকাযযিবা-ন।
১৪) খালাকাল ইনছা-না মিন সালসা-লিন কাল ফাখখা-র।
১৫) ওয়া খালাকাল জান্না মিম্মা-রিজিমমিন্না-র।
১৬) ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন।
১৭) রাব্বুল মাশরিকাইনি ওয়া রাব্বুল মাগরিবাইন।
১৮) ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন।
১৯) মারাজাল বাহরাইনি ইয়ালতাকিয়া-ন।
২০) বাইনাহুমা-বারঝাখুল লা-ইয়াবগিয়া-ন।
২১) ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন।
২২) ইয়াখরুজূমিনহুমাল লু’লূউ ওয়াল মার জা-ন।
২৩) ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন।
২৪) ওয়ালাহুল জাওয়া-রিল মুনশাআ-তুফিল বাহরি কালআ‘লা-ম।
২৫) ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন।
২৬) কুল্লুমান ‘আলাইহা-ফা-নিওঁ।
২৭) ওয়া ইয়াবকা-ওয়াজহু রাব্বিকা যুল জালা-লি ওয়াল ইকরা-ম।
২৮) ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন।
২৯) ইয়াছআলুহূমান ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি কুল্লা ইয়াওমিন হুওয়া ফী শা’ন।
৩০) ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন।
৩১) ছানাফরুগু লাকুম আইয়ুহাছছাকালা-ন।
৩২) ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন।ইয়াছআলুহূমান ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি কুল্লা ইয়াওমিন হুওয়া ফী শা’ন।
৩০) ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন।
৩১) ছানাফরুগু লাকুম আইয়ুহাছছাকালা-ন।
৩২) ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন।
৩৩) ইয়া-মা‘শারাল জিন্নি ওয়াল ইনছি ইনিছতাতা‘তুম আন তানফুযূমিন আকতা-রিছ ছামাওয়া-তি ওয়াল আরদিফানফুযূ লা-তানফুযূনা ইল্লা-বিছুলতা-ন।
৩৪) ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন।
৩৫) ইউরছালু‘আলাইকুমা-শুওয়া-জু ম মিন্না-রিওঁ ওয়া নুহা-ছুন ফালা-তানতাসিরা-ন।
৩৬) ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা - তুকাযযিবা-ন।
আরো পড়ুনঃ মহিলাদের কাজা রোজা করার নিয়ম - মহিলাদের কাজা রোজা আদায় করার নিয়ম
৩৭) ফাইযান শাককাতিছ ছামাউ ফাকা-নাত ওয়ারদাতান কাদ্দিহা-ন।
৩৮) ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন।
৩৯) ফাইয়াওমা ইযিল্লা-ইউছআলু‘আন যামবিহী ইনছুওঁ ওয়ালা-জান।
৪০) ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন।
৪১) ইউ‘রাফুল মুজরিমূনা বিছীমা-হুম ফাইউ’খাযুবিন্নাওয়া-ছী ওয়াল আকদা-ম।
৪২) ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন।
৪৩) হা-যিহী জাহান্নামুল্লাতী ইউকাযযি বুবিহাল মুজরিমূন।
৪৪) ইয়াতূ ফূনা বাইনাহা-ওয়া বাইনা হামীমিন আ-লাই।
৪৫) ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন।
৪৬) ওয়া লিমান খা-ফা মাকা-মা রাব্বিহী জান্নাতা-ন।
৪৭) ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন।
৪৮) যাওয়া-তা আফনা-ন।
৪৯) ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন।
৫০) ফীহিমা-‘আইনা-নি তাজরিয়া-ন।
৫১) ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন।
৫২) ফীহিমা-মিন কুল্লি ফা-কিহাতিন ঝাওজা-ন।
৫৩) ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন।
৫৪) মুত্তাকিঈনা ‘আলা-ফুরুশিম বাতাইনুহা-মিন ইছতাবরাকিও ওয়া জানাল জান্নাতাইনি দা-ন।
৫৫) ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন।
৫৬) ফীহিন্না কা-সিরা-তুত্তারফি লাম ইয়াতমিছহুন্না ইনছুন কাবলাহুম ওয়ালা-জান।
৫৭) ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন।
৫৮) কাআন্নাহুন্নাল ইয়া‘কূতুওয়াল মারজান-ন।
৫৯) ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন।
৬০) হাল জাঝাউল ইহছা-নি ইল্লাল ইহছা-ন।
৬১) ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন।
৬২) ওয়া মিন দূনিহিমা-জান্নাতা-ন।
৬৩) ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন।
৬৪) মুদ হূমমাতা-ন।
৬৫) ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন।
৬৬) ফীহিমা-‘আইনা-নি নাদ্দাখাতা-ন।
৬৭) ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন।
৬৮) ফীহিমা-ফা-কিহাতুওঁ ওয়া নাখলুওঁ ওয়ারুম্মা-ন।
৬৯) ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন।
৭০) ফীহিন্না খাইরা-তুন হিছা-ন।
৭১) ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন।
৭২) হূরুমমাকসূরা-তুন ফিল খিয়া-ম।
৭৩) ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন।
৭৪) লাম ইয়াতমিছহুন্না ইনছুন কাবলাহুম ওয়ালা-জান।
৭৫) ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন।
৭৬) মুত্তাকিঈনা ‘আলা-রাফরাফিন খুদরিওঁ ওয়া ‘আবকারিইয়িন হিছা-ন।
৭৭) ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন।
৭৮) তাবা-রাকাছমুরাব্বিকা যিল জালা-লি ওয়াল ইকরা-ম।
শেষ কথাঃ সূরা আর রহমান ১১ বার পড়ার ফজিলত
প্রিয় পাঠক আপনারা যারা এতক্ষণ আমাদের সাথে ছিলেন এবং আমাদের পোস্টটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন। তারা নিশ্চয়ই সূরা আর রহমান ১১ বার পড়ার ফজিলত সম্পর্কে এবং সূরা আর রহমান ফজিলত সম্পর্কে ও সূরা আর রহমান শিক্ষা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। সূরা আর রহমান হল কুরআনের একটি বিশেষ সূরা।
এটি কোরআনের সৌন্দর্য। এই সূরাটিতে আল্লাহতালার ইহকাল ও পরকাল এবং আল্লাহ তাআলার বিভিন্ন নিয়ামত অবদান সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। সূরা আর রহমান ১১ বার পড়ার ফজিলত অনেক। আপনারা যারা সূরা আর রহমান মুখস্থ করেননি তারা এই সূরাটি অতি দ্রুত মুখস্ত করে নেবেন। এবং এটি আমল করার চেষ্টা করবেন।
0 Comments
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন