ছেলেদের আকিকা দেওয়ার সঠিক নিয়ম - ছেলেদের আকিদা দেওয়ার নিয়ম

প্রিয় পাঠক আপনারা যারা এই পোস্টটি পড়ছেন তারা নিইশ্চয় ছেলেদের আকিকা দেওয়ার সঠিক নিয়ম, ছেলেদের আকিদা দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান গুগলে সার্চ করে আমাদের পোস্টটি ওপেন করেছেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন আজকে আমরা এই পোস্টটিতে ছেলেদের আকিকা দেওয়ার সঠিক নিয়ম, ছেলেদের আকিদা দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব।

ছেলেদের আকিকা দেওয়ার সঠিক নিয়ম

তাহলে আসুন আর দেরি না করে ছেলেদের আকিকা দেওয়ার সঠিক নিয়ম, ছেলেদের আকিদা দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে নিই।

পেজ সূচিপত্রঃ ছেলেদের আকিকা দেওয়ার সঠিক নিয়ম - ছেলেদের আকিদা দেওয়ার নিয়ম

আকিকা কাকে বলে 

ইসলামী প্রাক্তন যুগ থেকেই আকিকা অব্যাহত আছে। আকিকা কাকে বলে: আকিকার অর্থ হলো কাটা পশু জবাই করা। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরেই যে প্রাণীকে জবাই করা হয় তাকে আকিকা বলে। ছেলে কিংবা মেয়ে হোক উভয়ের জন্য আমরা আকিকা দিয়ে থাকি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন আকিকা সুন্নাতে মুকাদ্দ। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার ৭ দিন পর  মাথামুণ্ডন করে ইসলামী শরিয়া অনুযায়ী সুন্দর নাম রাখা কুরবানীর মত একটি হালাল পশু জবাই করাকে আকিকা বলে।

আরো পড়ুনঃ খালি পেটে আনারস খেলে কি হয়

আমাদের নবী মোহাম্মদ সাঃ যখন জন্মগ্রহণ করেন তখন তার চাচা মোতালেব তার নাম রাখেন মুহাম্মদ তখন তাকে বলা হয় তার বাপ দাদার সাথে নাম মিলিয়ে না রেখে কেন তার নাম মুহাম্মদ রেখেছেন। তখন তিনি বললেন আমি চেয়েছি যাতে তার প্রশংসা আল্লাহ করেন আসমানে এবং মানুষ করে জমিনে। {শাহরহুয যারকানী আলা মুয়াত্তা মালেক, পৃ. ৫৫৮; ইবন আব্দিল বার, আল-ইস্তিয়াব।}

আকিকা কেন দেওয়া হয়

আমাদের সমাজে এমন কিছু মানুষ আছে যারা আকিকা কেন দেওয়া হয় এ সম্পর্কে জানেনা। আকিকা আল্লাহতালার খুশির জন্য করা হয়। এটি একটি ইসলামিক বিধান। আমাদের এই পোস্টের মূল আলোচ্য বিষয় হল ছেলেদের আকিকা দেওয়ার সঠিক নিয়ম, ছেলেদের আকিদা দেওয়ার নিয়ম। তাহলে চলুন এখন আমরা আকিকা কেন দেওয়া হয় এ সম্পর্কে জেনে আসি।

আকিকা দেওয়ার প্রধান উদ্দেশ্য হল আল্লাহ সন্তুষ্টি জন্য এবং সন্তানের মঙ্গল কামনা করে আমরা আকিকা দিয়ে থাকি। আকিকা কোন কাজ ফরজ নয় এটাই সুন্নাত। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার সপ্তম দিন পর আকিকা করা সর্বোত্তম। তবে কেউ ১৪তম দিনে ২১তম দিনে দিতে পারবে। এই দিনগুলো তো দিলেও তার সুন্নত আদায় হয়ে যাবে। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার সপ্তম দিন আগে আকিকা দেওয়া ঠিক নয়।

আরো পড়ুনঃ আকিকা দেওয়ার নিয়ম

যে কেউ এই নির্ধারিত দিনগুলোতে আকিকা দিতে না পারে তাহলে সে যুবক হওয়ার আগ পর্যন্ত যেকোনো সময় হালাল পশু জবাহের মাধ্যমে আকিকা দিতে পারবে তাতে তার আকিকার হক আদায় হয়ে যাবে। আমাদের রাসূলের সাঃ অনুসরণ বংশ পরিচয় এর জন্য উত্তম কাজ হল সন্তানের আকিকা দেওয়া। আগেকার মাধ্যমে মনের সব কৃপণতা দূর হয় এবং দানের মানসিকতা সৃষ্টি হয়।

হাদিস শরীফে বর্ণিত রয়েছে, সন্তান তার মা-বাবার জন্য সুপারিশ করবে, কিন্তু মা-বাবা যদি সামর্থ্যানুযায়ী সন্তানের আকিকা না করেন এবং বাল্যকালেই শিশুর মৃত্যু হয়, তাহলে সে মা-বাবার জন্য সুপারিশ করবে না।

ছেলেদের আকিকা দেওয়ার নিয়ম

আকিকা দেওয়া একটি সুন্নত কাজ। যা আমাদের রাসূল সাঃ অনুসরণ। সন্তান জন্ম হওয়ার পর একটি প্রাণী কুরবানী করা ইসলামী প্রথা যা প্রাক ইসলামী যুগ থেকে চলে আসছে। শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার সপ্তম দিনে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে সন্তানের মঙ্গল কামনার্থে প্রাণী কোরবানি করে থাকে। তাহলে চলুন আমরা ছেলেদের আকিকা দেওয়ার সঠিক নিয়ম জেনে নেই।

ছেলেদের আকিকার ক্ষেত্রে সামর্থ্য অনুযায়ী দুইটি সমবয়সী ছাগল কুরবানী দিতে বলা হয়েছে। তবে সামর্থ্য না থাকলে একটি ছাগল কুরবানী  কবুল হয়ে যাবে। আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লা (স) বলেছেন, "তোমরা ছেলের সন্তানের আকিকা ২ টি সমবয়সী ছাগল দিয়ে দিবে"।

ছেলেদের আকিকার জন্য কয়টি পশু লাগে

আকিকা কোন ফরজ কাজ নয় এটি সুন্নতে মুকাদ্দা যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী আকিকা দিতে পারে। শিশু জন্মের ৭ দিনে মাথা মুন্ডন করে এটি সুন্দর নাম রেখে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভে সন্তানের মঙ্গল কামনার্থে একটি প্রাণীকুবানী করে আকিকা দিয়া হয়।

আরো পড়ুনঃ ক্যান্সারের লক্ষণ ও প্রতিকার

ছেলেদের জন্য ২টি সমবয়সী ছাগল এবং মেয়েদের জন্য একটি ছাগল কুরবানী করা হয় তবে সামর্থ অনুযায়ী কোরবানি দিতে না পারলে কোন পাপ নেই। ছেলেদের ক্ষেত্রে দুইটি না পারলে একটি খাসি দিয়েও কুরবানী হয়ে যাবে।

শেষ কথাঃ ছেলেদের আকিকা দেওয়ার সঠিক নিয়ম - ছেলেদের আকিদা দেওয়ার নিয়ম

প্রিয় পাঠক এ পোস্টটিতে আপনারা নিশ্চয়ই ছেলেদের ছেলেদের আকিকা দেওয়ার সঠিক নিয়ম - ছেলেদের আকিদা দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আকিকা হলো আল্লাহ সন্তুষ্টি লাভের আশায় মা বাবা সন্তানের মঙ্গল কামনার্থে প্রাণী কোরবানি দিয়ে থাকে। এটি ইসলামী প্রাক্তন যুগ থেকেই চালু আছে। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরেই ৭ দিনে মাথা মুন্ডন করে একটি সুন্দর নাম রেখে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য আমরা কুরবানী দিয়ে থাকি।

ছেলে সন্তান হলে দুটি মেয়ে সন্তান হলে একটি ছাগল কুরবানী দিতে বলা হয়েছে। এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম পোস্ট আরও পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Skbd IT এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url