এলার্জি ভালো করার উপায়

প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টে আমরা এলার্জি ভালো করার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করতে চলেছি। আমরা অনেক সময় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকি। তার মধ্যে হলো এলার্জি। এলার্জি একটি চর্ম জাতীয় রোগ। তাহলে চলুন আজকের এই পোস্টে আমরা এলার্জি ভালো করার উপায় সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে নিন। আপনারা যারা এলার্জি ভালো করার উপায় সম্পর্কে জানতে চান। তারা আমাদের এই পোস্টটি পড়তে থাকুন।

এলার্জি ভালো করার উপায়

তাহলে চলুন যারা এলার্জি ভালো করার উপায় সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

সূচিপত্রঃ এলার্জি ভালো করার উপায় 

ভূমিকাঃ এলার্জি ভালো করার উপায়

প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টে আপনাদের জন্য এলার্জি ভালো করার উপায় সম্পর্কে কিছু তথ্য নিয়ে আমরা হাজির হয়েছি। আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকি। তেমনি একটি রোগ হলে এলার্জি। এটি একটি চর্ম জাতীয় রোগ। তাই এলার্জি ভালো করার উপায় সম্পর্কে আমাদের সকলেরই জানা উচিত।

আরো পড়ুনঃ গাজর খাওয়ার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

এবং এলার্জি ভালো করার উপায় সম্পর্কে আমাদের সকলেরই সচেতন থাকা উচিত। আজকের এই পোস্টে আমরা এনার্জি ভালো করার উপায় সম্পর্কে আপনাদের সামনে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করতে চলেছি।

কিভাবে এলার্জি হয়

আজকের এই পোস্টে আপনাদের জন্য এলার্জি ভালো করার উপায় সম্পর্কে জানাতে এসেছি। তার আগে আমাদের জানতে হবে কিভাবে এলার্জি হয়। তাহলে চলুন আজকের এই পোস্টে আমরা কিভাবে এলার্জি হয় তা জেনে নিই।

আমাদের শরীরে এলার্জি তখন দেখা যায় যখন আমাদের ইমিউন সিস্টেম এবং অ্যালার্জেনের সাথে অতিরিক্ত প্রক্রিয়া করে এবং এটিকে আক্রমণকারী হিসেবে বিবেচনা করে এবং এটি বন্ধ করার চেষ্টা করে। এটি এমন উপসর্গ সৃষ্টি করে। যার বিরক্তি কর থেকে শুরু করে গুরুতর এমনকি প্রাণঘাতী পর্যন্ত হতে পারে।

শরীরকে রক্ষা করার প্রচেষ্টায়, ইমিউন সিস্টেম ইমিউনোগ্লোবুলিন ই (IgE) নামক অ্যান্টিবডি তৈরি করে। এই অ্যান্টিবডি গুলো তখন কিছু কোষকে আলার্জেন আক্রমণকারী থেকে রক্ষা করার জন্য রক্তের প্রবাহ রাসায়নিক পদার্থ ছেড়ে দেয়।এটি এই রাসায়নিকগুলির মুক্তি যা অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। প্রতিক্রিয়া চোখ, নাক, গলা, ফুসফুস, ত্বক এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্টকে প্রভাবিত করতে পারে। সেই একই অ্যালার্জেনের ভবিষ্যতে এক্সপোজার এই অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া আবার ট্রিগার করবে।

কিছু এলার্জি মৌসুমী এবং শুধুমাত্র বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় হয়ে থাকে। কেউ অ্যালার্জেনের সংস্পর্শে এলে যেকোনো সময় ঘটতে পারে। সুতরাং যখন কোন ব্যক্তি অ্যালার্জি যুক্ত খাবারটি খায় বা ধুলোবালিতে এলার্জির কেউ সংস্পর্শে আসে তখন তার এলার্জির প্রতিক্রিয়া হবে।

এলার্জি হলে কি কি খাওয়া নিষেধ

এমন অনেক খাবারই আছে যে খাবারগুলোতে এলার্জির হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে সেটি যে সবার ক্ষেত্রেই ঘটবে এমনটা নয়। আজকের এই পোস্টে আমরা এনার্জি ভালো করার উপায় সম্পর্কে আপনাদের সামনে কিছু তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছি। আপনাদের যাদের সমস্যা আছে অ্যালার্জি হলে কি কি খাওয়া নিষেধ সে সম্পর্কে জানার অত্যন্ত জরুরী। তাহলে চলুন এলার্জি হলে কি কি খাওয়া নিষেধ সে সম্পর্কে জেনে নিন।

দুধ

প্রতিদিনের পুষ্টি চাহিদার জন্য আমাদের অনেক সময় দুধের উপর নির্ভরশীল হতে হয়। কিন্তু এ দুধ খেলে আবার কারো করো এলার্জি জনিত সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। এবং সেটি গরুর দুধে বেশি দেখা দেয়।

তিন বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে আড়াই শতাংশ গরু দুধে এলার্জি রয়েছে। দুধে অ্যালার্জি থাকা আর ল্যাক্টোজ ইনটলারেন্স কখনোই এক নয়। তবে তিন বছরের উপরে এ এলার্জি কমতে থাকে। এবং প্রাপ্তবয়স্কদের মাঝে খুব কম দেখা যায়।

ডিম

দুধের মতো ডিমে ও রয়েছে প্রতিদিন এর পুষ্টি চাহিদা মেটানোর একটি প্রয়োজনীয় উপাদান। ডিম খেলে এলার্জি দেখা দিতে পারে। বিভিন্ন বয়সের মানুষের মধ্যে অধিকাংশ শিশু দুধের মত ডিমও এলার্জি সমস্যায় ভুগে থাকে। বেশিরভাগ ডিমের সাদা অংশে প্রোটিন থেকে এলার্জি জনিত সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে।

মাছ

কারো কারো ক্ষেত্রে কোন এক বিশেষ কারণও মাছে এলার্জি থাকে। আবার অনেকের স্যালমন, টুন, ম্যারকরলে জাতীয় সামুদ্রিক মাছ খেলে এলার্জি হয়।

আরো পড়ুনঃ কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম

গরুর মাংস

গরুর মাংসে প্রচুর পরিমাণে এলার্জি রয়েছে। অনেকের দেখা যায় গরুর মাংস খেলে এলার্জি জনিত বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। এলার্জি জনিত সমস্যা আছে তাদের গরুর মাংস এড়িয়ে চলা উচিত।

সেল ফিস

আসলে সেলফিস নামে কোন মাছ নেই। সেলফিশ বলতে চিংড়ি, কাকড়া, ওয়েস্টার, শামুক জাতীয় খাবার। এজাতীয় উদ্ভিদের শক্ত খোল রয়েছে। তার থেকে এলার্জি হয়  বিশ্বের প্রায় ৬০% মানুষের

এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায়

এলার্জি একটি স্বাভাবিক সমস্যা হল পক্ষান্তরে এর চিকিৎসা না নিলে এটি গুরুতর এবং মারাত্মক ক্ষতি সম্মুখীন হতে পারে আপনার জীবন। আগে থেকে এলার্জি ভালো করার উপায় সম্পর্কে আপনাকে সচেতন হওয়া অত্যন্ত জরুরী। আজকের এই পোস্টে আমরা এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায় গুলো কি তা জেনে নিন। এলার্জি বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকতে পারে চোখ, মুখ এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের।

চোখ

যখন চোখের এলার্জির ভাব দেখা যায় তখন চোখ লাল হয়ে যায়। চোখে পানি ঝরা এবং অনবরত চোখ চুলকানো চোখে এলার্জির লক্ষণ। অনেক সময় মনে হয় চোখে অনেক ময়লা জমে আছে। তার কারণ বারবার চুলকানির মত সমস্যা দেখা দিচ্ছে। যার কারনে আপনার চোখ অনেক ফোলা এবং লাল ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।এ থেকে রেহাই পেতে গোলাপজল ব্যবহার করুন।

গোলাপ জল: শুনলে অবাক হবেন গোলাপ জল দিয়ে চোখের এলার্জিজনিত সমস্যা দূর করা সম্ভব। এক্ষেত্রে গোলাপের ভেজানো জল পানি চোখের ভেতর দুই থেকে তিন ফোঁটা প্রবেশ করাবেন। গোলাপ জল চোখে দেওয়ার পর কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে রাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে আমি পুরো যেন বের হয়ে না যায়। গোলাপ জল চোখের ভেতর ইনফেকশন গুলো প্রতিরোধ করবে। বেশ কয়েকবার এমন করলে চোখের ফোলা ভাব লাল এবং চোখের চুলকানি অনেকটাই কমে আসবে।

লবণ পানি: এক গ্লাস পানিতে দুই থেকে তিন চামচ লবণ ভালোভাবে মিশিয়ে পানিটি অনেকক্ষণ ফুটাবেন। এবং পানিটি ঠান্ডা করে একটি পরিষ্কার তুলার সাহায্যে ভিজিয়ে চোখের কোণাগুলো আস্তে আস্তে পরিষ্কার করবেন। যাতে করে চোখের ভেতরে থাকা ময়লা আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসতে পারে। কিছুক্ষণ এটি করলে আস্তে আস্তে আপনার চোখের ফোলা ভাব চুলকানি এবং লাল হওয়া আস্তে আস্তে কমে যাবে এবং জীবাণু ধ্বংস।

মুখ

বিশেষ করে শীত এলে আমাদের মুখে নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে। যার মধ্যে একটি হলো এলার্জি। ইতিমধ্যেই আমরা উপরে চোখের এরা যে দূর করার উপায় দেখিয়েছি আপনি চাইলেই সেগুলো মুখে ব্যবহার করতে পারবেন না এবং করলেও কার্যকরী উপায় পাবেন না তাহলে চলুন মুখে  এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায় গুলো কি তা জেনে নি।

নারিকেল তেল: এটা খুব কার্যকরী ভাবে কাজ করে। আপনার শিশুর যদি মুখে এলার্জির সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে, তাহলে আপনি ঘরোয়া উপায় হিসেবে নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। আক্রান্ত স্থানে নারকেল তেল ৩০ মিনিট মতো লাগিয়ে রাখবেন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে সেই স্থানটি ধুয়ে ফেলবেন। এটি একবার করলে ফল পাবে না। অন্তত চার থেকে পাঁচ বার করলে আস্তে আস্তে আপনি কার্যকরী ফল পেতে থাকবেন এবং চুলকানি সমস্যা দূর হবে।

তুলসী পাতা: তুলসী পাতায় রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি যা আপনার ত্বকের ব্যাকটেরিয়া দূর করতে বিশেষভাবে কার্যকরী। এক মুঠো তুলসী পাতা ভালোভাবে ধুয়ে নিন, এবং ভালোভাবে পেস্ট করে নিন। আক্রান্ত স্থানে তুলসী পাতা পেস্ট গুলো ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এ থেকে কিছুটা স্বস্তি পাবেন এবং দিনে কয়েকবার এটি করবেন।

এলার্জি দূর করার ওষুধ

এলার্জি একটি সেনসিটিভ একটি বিষয়। তাই এই বিষয়ে অনলাইন থেকে কখনোই সাজেশন নেওয়া ঠিক নয়। এমন কিছু ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে যেগুলোর কারণে এলার্জির মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই এলার্জি ভালো করার উপায় গুলো সম্পর্কে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। আজকের এই পোস্টে আমরা এলার্জি ভালো করার উপায় গুলো সম্পর্কে জানার পাশাপাশি এলার্জি দূর করার ওষুধ সম্পর্কে জানব।

মূলত এলার্জি সমস্যা দূর করার জন্য এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এরকম ওষুধগুলো বিভিন্ন মাধ্যমে পাওয়া যেতে পারে। যেমন: ট্যাবলেট, সিরাপ , ড্রপ অনেক সময় নাক বন্ধ হওয়ার কারণে ড্রপ দেওয়া হয়। সেগুলো ৭ দিনের বেশি ব্যবহার করা যায় না।

যদি কোন সময় এর পরিবর্তে এটি ব্যবহার করা হয় তাহলে অ্যালার্জির মাত্রা এবং লক্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে বেশ কিছু ওষুধ রয়েছে যেগুলো ব্যবহার ফলে চোখের এলার্জির ভাব অনেকটাই কমে যায়। চুলকানির সমস্যায় ক্যামাইন লোশন ও১%মেন্থল ক্রিম খুব ভালো কাজ করে। বর্তমানে ব্যবহৃত ও জনপ্রিয় এলার্জিতে ব্যবহৃত কয়েকটি ওষুধের নাম দেখে নিন।

Cetizin

Loratin

Alatrol

Desloratadine

Fexofenadine

এলার্জি দূর করার হোমিও ঔষধ

এলার্জির রোগের সাথে নানা রোগ থাকতে পারে। যেমন শরীরের মধ্যে কোন রোগ থাকলে এলার্জি পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই এলার্জি দেখামাত্রই আপনাকে ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আজকের এই পোস্টে আমরা এলার্জি ভালো করার উপায় এবং এলার্জি দূর করার হোমিও ঔষধ সম্পর্কে জানব।

ক্যালেণ্ডুলা এই ওষুধটি ভ্যাকসিন এর সাথে মলম আকারে ব্যবহার করতে পারেন। এটি ব্যবহার করার অত্যন্ত সহজ এবং যেকোনো মলম এবং ক্রিম ও ভ্যাকসনের সাথে এটি ব্যবহার করা অত্যন্ত সহজ। চর্মরোগ এবং চুলকানির আগে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে আসলে আপনার এই রোগটির জন্য অন্য কোন রোগ দেয় কিনা।

সালফার: সালফার চুলকানির একটি মহা ঔষধ। সালফারের প্রধান প্রধান লক্ষণ গুলো হল যেমন সকাল 11 টা দিকে ভীষণ খিদে পাওয়া, শরীরে গরম লাগা এবং রাতে চুলকানির বৃদ্ধি পাওয়া, মাথা গরম কিন্তু পা ঠান্ডা, মাথার তালু পায়ের তালু ইত্যাদি শরীর জ্বালাপোড়া করা পাওয়া গেলে অবশ্যই সে রোগীকে সালফার প্রয়োগ করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ রাতে রুটি খেলে কি হয় - রুটি খাওয়ার উপকারিতা

লেপিস আলবা: লেপিস স্ত্রী যৌনাঙ্গে চুলকানির একটি মহা ঔষধ। এর প্রধান প্রধান রক্ষনগুলো হল জ্বালাপোড়া সুই ফুটানো ফুল ফুটানো ব্যথা, রাক্ষসী খিদা মিষ্টি খাবারের উপর লোভ ইত্যাদি।

আমাদের শরীরে কোন রোগ পুষে রাখা মানে রোগের চাষ করা। আরেকটি রোগ হতেই অন্য রোগের সৃষ্টি হতে পারে তাই আপনার সঠিক সময় থাকতেই ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এবং সুস্থ থাকুন।

শেষ কথাঃ এলার্জি ভালো করার উপায়

প্রিয় পাঠক আজকের এই পোষ্টটি যারা পড়েছেন তারা নিশ্চয়ই অ্যালার্জি ভালো করার উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনারা বিভিন্ন সময় এলার্জি জনিত ভুগে থাকেন। তাই আজকের এই পোস্টটা আপনাদের জন্য এলার্জি ভালো করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে কিছু তথ্য নিয়ে এসেছি। আশা করি আপনারা যারা এলার্জি ভালো করার উপায় সম্পর্কে পড়েছেন এবং এলার্জি ভালো করার উপায় সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পেরে অনেক উপকৃত হয়েছেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Skbd IT এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url