কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক আজকের এই পোষ্টে আমরা আমাদের পছন্দের একটি খাবার কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করতে চলেছি। আপনারা কমবেশি সকলেই কিসমিস পছন্দ করে থাকেন। তাই কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম গুলো জানা আমাদের অত্যন্ত জরুরী।

কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম

তাই আর কিছু না ভেবেই আজকের এই পোস্টে আপনাদের জন্য কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব। তাহলে চলুন আমাদের সকলের পছন্দ কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম গুলো জেনে নিন।

সূচিপত্রঃ কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম

কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

কিসমিস একটি স্বাস্থ্যসম্মত খাবার। স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে এবং বিভিন্ন শারীরিক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে কিসমিসের গুরুত্ব ও অপরিসীম। তাই আজকের এই পোস্টে আমরা কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের সামনে কিছু তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছি। তাহলে চলুন এখন কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা গুলো কি তা জেনে নিন।

আরো পড়ুনঃ ডালিম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

ওজন বাড়াতে কিসমিস

যারা ওজন কমাতে চান না এবং স্বাস্থ্যকর উপায়ে মোটা হতে আগ্রহী তারা প্রতিদিন কিসমিস খেতে পারেন। আপনি যদি আপনার ওজন বাড়তে চান তাহলে কিসমিস হবে আপনার প্রকৃত বন্ধু। কিসমিস ফুকটোজ ও গ্লুকোজ সমৃদ্ধ। যা আপনার শরীরে প্রচুর শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়ক। এ উপাদানগুলো আপনার শরীরের খারাপ কোলেস্ট্রল গুলো না বাড়িয়ে স্বাস্থ্যকর ভাবে শরীরের ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে।

ক্যান্সার প্রতিরোধে

কিসমিস বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের পাশাপাশি ক্যান্সারের মতো প্রাণঘাতী রোগের প্রতিরোধ করে থাকে। কিসমিসের কেটেচিনের উপস্থিতি থাকার কারণে এন্টিকার্সিনো জেনিক সুবিধা দিয়ে থাকে। কেটেচিন গুলোতে পলিফেনল যোগ রয়েছে । যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যোগ ধারণ করে ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে

রক্তচাপ মোটেই ভালো লক্ষণ নয়। অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও খাদ্য অভ্যাসে আমাদের রক্তর চাপ উঠানামা করতে পারে। কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। পটাশিয়াম হল প্রাকৃতিক ভাসোডিলোটর যা আমাদের রক্তনালী গুলোকে শিথিল করে। নিয়মিত কিসমিস খাওয়ার জন্য রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। এবং রক্তচাপ থেকে মুক্তি দিয়ে থাকে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

আমাদের সুস্থ থাকার জন্য প্রত্যেকেরই শরীরের রোগ প্রতিরোধ  ক্ষমতা থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টির পাশাপাশি রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট পলিফেনলর মতো অন্যান্য যৌগ। এই সমস্ত উপাদান গুলো আমাদের শরীরের বিভিন্নভাবে লড়াই করে থাকে।

তাদের স্থিতিশীল করতে ও আমাদের ইমিউন সিস্টেমের মেরুদন্ড গঠনকারী শ্বেত রক্তকণিকা ও বিভিন্ন কোষের অক্সিডেটিভ ক্ষতি হতে রক্ষা করে। এর ফলে আমাদের শরীর বিভিন্ন সংক্রমনের হাত থেকে রক্ষা পায়।

ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে কিসমিস

একাধিক শান্তিপূর্ণ ঘুমের অভাবে আপনার মানসিক ও শারীরিক সুস্থতাকে নষ্ট করে দিতে পারে। কিসমিসে রয়েছে লোহার মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর উপাদান। বিভিন্ন গবেষণায় কিসমিস অনিদ্রার সমস্যা সমাধানে একটি উপকারী ঔষধ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে

কিসমিস একটি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। এটি শরীরের পরিপ্রাক ক্রিয়া দ্রুত করে। ফলে খাবার দ্রুত হজম হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য  কোন ঔষধ না খেয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কিসমিস খাওয়ার অভ্যাস করুন।

কিসমিস খাওয়ার নিয়ম

আজকের এই পোস্টে আমরা কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের সামনে বিশেষ কিছু তথ্য নিয়ে এসেছি ।আপনারা যারা কিসমিস খেতে পছন্দ করেন, নিশ্চয়ই কিসমিস খাওয়ার  উপকারিতা ও নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাইবেন। তাহলে চলুন কিসমিস খাওয়ার নিয়ম গুলো কি তা জেনে নেই।

১. শুকনো কিসমিসের চাইতে ভেজানো কিসমিস আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান। তাই বলে যে আপনি শুকনো কিসমিস খেতে পারবেন না তা কিন্তু নয়, আপনি চাইলে শুকনো কিসমিস ও খেতে পারেন কিন্তু তা নয় ,কিসমিস খাওয়ার আগে অবশ্যই কিসমিস ভালো করে ধুয়ে নিবেন। আপনি যখন বাজার থেকে কিসমিস সংগ্রহ করবেন তখন বাসায় এনে ৫/৬টি কিসমিস খাওয়ার আগে ভালোভাবে ধুয়ে নিশ্চিন্তেই খেতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ ডাব খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

২. বিশেষজ্ঞদের মতে কিসমিসের সঠিক পুষ্টিগুণ পেতে হলে সারারাত ভিজিয়ে রেখে খাওয়া উচিত। এক কাপ পানিতে ৮ থেকে ১০ টি কিসমিস ভালোভাবে ধুয়ে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। কিসমিস অনেকক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে পানিটি অনেক গারো রং দেখাবে। কিসমিসের পানি যত গাড়ো রং ধারণ করবে তত বেশি পুষ্টিগুণ পাওয়া যাবে। তাই কিসমিসের ষোল আনা পুষ্টিগুণ পেতে হলে সকালে ভেজানো কিসমিস খাবেন।

৩. কিসমিস সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখার ফলে পানির রংগুলো গাঢ় হয়ে যায়। অনেকে মনে করেন কিসমিসের পানি মনে হয় কোন কাজের না। এবং অনেকেই ফেলে দিয়ে থাকেন ।ভুলেও এ কাজ করবেন না কারণ কিসমিসের কিছু গুনাগুন পানিতে ও মিশে থাকে। তাই কিসমিসের পানি গুলো হালকা আঁচে গরম করে নিয়ে খাবার আধাঘন্টা আগে খাবেন।

৪. পোলাও, কোরমা, ফিরনি ,জর্দ, সেমাই ,পায়েস ইত্যাদি খাবার মুখরোচক করে তুলতে এবং খাবারের স্বাদ বাড়াতে কিসমিসের জুড়ি নেই। বিভিন্ন খাবারের পরিবেশনেও কিসমিস অতুলনীয়। তাই বিভিন্নভাবে কিসমিস খেতে চাইলে আপনি বিভিন্ন রান্নার সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে করে রান্নার স্বাদ বাড়বে এবং পুষ্টিগুনো পাবেন।

বাচ্চাদের কিসমিস খাওয়ার নিয়ম

আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাদের পছন্দের খাবার কিসমিস নিয়ে আলোচনা করছি। আপনারা ইতিমধ্যে কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। কিন্তু বড়দের পাশাপাশি ছোটরা কিসমিস অনেক পছন্দ করে থাকে। তাই আমাদের বাচ্চাদের কিসমিস খাওয়ার নিয়ম গুলো জেনে নিতে হবে। চলুন দেখে নিই বাচ্চাদের কিসমিস খাওয়ার নিয়ম গুলো কি।

আপনার বাচ্চা যদি আয়রন  ও ক্যালসিয়াম সমস্যায় ভুগে থাকে তাহলে আপনার বাচ্চার যখন ছয় মাস বয়স তখন থেকেই তার মুখে প্রতিদিন 1/2 টি করে কিসমি দিবেন। এবং খাদ্য তালিকায় দুই একটি করে কিসমিস যোগ করবেন। কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। এছাড়াও বাচ্চার ব্রেন ডেভেলপমেন্টও কিসমিসের গুরুত্ব অপরিসীম।

তাই খাদ্য তালিকা সাথে কিসমিস দু-তিনটা ব্ল্যান করে আপনার বাচ্চাকে খাওয়াবেন। আপনার বাচ্চা সঠিক বৃদ্ধির জন্য আপনার বাচ্চা যখন হাঁটতে শিখবে এবং যখন বাচ্চার নতুন দাঁত বের হয় তখন আপনার বাচ্চার হাতে দুই তিনটি কিসমিস দিতে পারেন। নতুন দাঁতে বেরোনোর সময় বাচ্চা কিসমিস গুলো চাবিয়ে চাবিয়ে খাওয়া শিখতে পারে।

আপনি সারাদিনের খাদ্য তালিকায় কিসমিস সময় করে নিয়ম মত খাওয়াতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনি সকাল নয়টা থেকে দশটায় সময়ে আপনার বাচ্চার হাতে ৮ থেকে ১০ টি কিসমিস দিতে পারেন। কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে নিউট্রিশন ও মাল্টি মিনারেশন সমৃদ্ধ  উপাদান। আয়রনের , ফলেট, ভিটামিন বি ১২ রয়েছে।

কিসমিস বাচ্চার ব্রেন ডেভেলপমেন্টও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ আয়রনের ঘাটতি দেখা দিলেই আমাদের বাচ্চার ব্রেনের বিভিন্ন ইফেক্ট দেখা দেয়। এবং কিডনিরও সমস্যা হয়ে থাকে। অন্য ফলের অল্টারনেটিভ হিসেবে কিসমিস দিতে পারেন। রাত্রের ৫ /৬ কিসমিস ভেজানো পানি হালকা গরম করে আপনার শিশুকে সকালে খাওয়াতে পারেন।

এতে করে আপনার শিশুর শরীরের রক্ত পরিষ্কার করতেও কিসমিসের পানি অপরিহার্য।তাই ছোট থেকে আপনার বাচ্চার কিসমিস খাওয়ার অভ্যাস করুন এবং আপনার বাচ্চাকে সুস্থ রাখুন।

কালো কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টে আমরা কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম সম্পর্কে ইতিমধ্যে অনেক কিছু জানতে পেরেছি । কিসমিসে বিভিন্ন রকমের পুষ্টিগুণ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু কালো কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা কি জানেন? নিশ্চয়ই জানেন না। তাই আজকের এই পোস্টটিতে কালো কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে ও কিছু তথ্য থাকছে। তাহলে চলুন কালো কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা কি তা জেনে নিই।

১। কিসমিসে থাকা ভিটামিন সি আপনার চুলের প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ চাহিদা পূরণ করে থাকে। তাই চুল ভালো রাখতেও স্বাস্থ্য উজ্জ্বল রাখতে নিয়মিত কালো কিসমিস খেতে পারেন।

২। কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।

৩। আয়রন যুক্ত কালো কিসমিস রক্তশূন্যতা দূর করতে এবং রক্ত পরিষ্কার রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

৪। দাঁতের ক্ষয় রোধে ও মাড়ি বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে কালো কিসমিস অতুলনীয়। এছাড়াও মুখের বিভিন্ন জীবাণু দূর করতে কালো কিসমিস অনেক উপকারী।

৫। কালো কিসমিসে থাকা মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ করতে সহায়ক।

৬। কালো কিসমিসে থাকা উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম শরীরের সোডিয়ামের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। কালো কিসমিস ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম সমৃদ্ধ যা হারের ক্ষয় রোধ করতে প্রতিরোধ করে। তাহার কি মজবুত ওয়েস্ট রং রাখতে ক্যালসিয়াম যুক্ত কিসমিস খাবেন।

৭। কালো কিসমিস শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল গুলো দূর করে। এবং এর প্রভাব থেকে রক্ষা করে।

কিসমিস খাওয়ার অপকারিতা

কিসমিস একটি ভিটামিন যুক্ত খাবার যা আমরা সকলেই খেয়ে থাকি। বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের পাশাপাশি কিসমিসের কিছু পার্শ্বপ্রতিকরাও রয়েছে। কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম গুলো তাই আমাদের জানা দরকার। যারা স্বাস্থ্য সচেতন তাদের জন্য এবং যারা কিসমিস খেতে পছন্দ করেন। তারা কিসমিস খাওয়ার অপকারিতা গুলো কি তা জেনে নিন।

১। কিসমিস ওজন বাড়াতে সাহায্য করে ঠিকই কিন্তু অতিরিক্ত কিসমিস খাওয়ার ফলে আপনার শারীরিক ওজন অতিরিক্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই নিয়ম করে কিসমিস খান এবং আপনার ওজন স্বাভাবিক রাখুন।

আরো পড়ুনঃ তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

২। বিশেষ করে যারা ডায়াবেটিকস রোগী আছেন তারা কিসমিস খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। অতিরিক্ত কিসমিস খাওয়ার ফলে আপনার ডায়াবেটিস এর মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।

৩। অনেকেরই আবার এলার্জি সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাই যাদের এলার্জি জনিত সমস্যা আছে তারা কিসমিস খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। আপনি যদি নিয়মিত কিসমিস খান তাহলে আপনার এলার্জিজনিত বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৪। অতিরিক্ত কিসমিস খাওয়ার ফলে আপনার হজমের বিভিন্ন ঘটতে পারে। তাই অতিরিক্ত কিসমিস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

আমাদের শেষ কথাঃ কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম

প্রিয় পাঠক আপনারা যারা এতক্ষণ আমাদের সাথেই ছিলেন তারা নিশ্চয়ই কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। কিসমিস একটি পুষ্টিকর খাবার। যা আমাদের বিভিন্ন সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে থাকে। যারা কিসমিস খেতে পছন্দ করেন এবং কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তারা নিশ্চয়ই নিয়ম করে কিসমিস খাবেন। এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবেন। আশা করি আমাদের এই পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Skbd IT এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url