স্বাস্থ্য ভালো রাখতে লেটুস পাতার গুনাগুন

স্বাস্থ্য ভালো রাখতে লেটুস পাতার গুনাগুন। আজকের এই পোস্টে আমরা লেটুস পাতার উপকারিতা সম্পর্কে কিছু তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছি। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে লেটুস পাতার গুনাগুন অনেক। লেটুস পাতার মাধ্যমে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়ে থাকে। তাই স্বাস্থ্য ভালো রাখতে লেটুস পাতা গুনাগুণ গুলো সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে।

স্বাস্থ্য ভালো রাখতে লেটুস পাতার গুনাগুন

আজকের আর্টিকেলে আমরা স্বাস্থ্য ভালো রাখতে লেটুস পাতার গুনাগুন সম্পর্কে আলোচনা করব। তাহলে চলুন যারা লেটুস পাতা খেতে পছন্দ করেন তার আগে স্বাস্থ্য ভালো রাখতে লেটুস পাতার গুণাগুণ সম্পর্কে জেনে নিন।

সূচিপত্রঃ স্বাস্থ্য ভালো রাখতে লেটুস পাতার গুনাগুন

লেটুস পাতার উপকারিতা 

লেটুস একটি পাতা জাতীয় সবজি। এর বৈজ্ঞানিক নাম লাভটুসা  স্যাটিজ এল। লেটুস পাতার অনেক উপকারিতা রয়েছে। আজকের আর্টিকেল আমরা স্বাস্থ্য ভালো রাখতে লেটুস পাতার গুনাগুন ও উপকারিতা সম্পর্কে জানব।

আরো পড়ুনঃ তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

লেটুস পাতার উপকারিতা

১। লেটুস পাতায় ভিটামিন সি ও বিটা ক্যারোটিন বিদ্যামান। এ দুটি উপাদান আপনার কোলেস্টেরলের ক্ষতিকারক উপাদান কে বাধা দিয়ে থাকে। এবং বাড়তি কোলেস্টেরলকে দূর করে। ফলে রক্তের খারাপ কলেস্ট্রল কে নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং হৎ পিণ্ড ভালো থাকে।

২। হৎ পিন্ডের শিরায়-উপ শিরায় চর্বি জমতে বাধা দেয় এই লেটুস পাতা।

৩। লেটুস পাতায় রয়েছে সোডিয়াম ভিটামিন বি১, বি ২, বি ৩ শরীরের যে কোন অঙ্গে পানি জমতে বাধা প্রদান করে।

৪। এ পাতা খেলে বার্ধক্য আসে দেরিতে।লেটুস পাতা আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে। কারণ লেটুস পাতায় ক্যালারি কম থাকে। যা ডায়বেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এবং  রক্তে সুগারের মাত্রাও কম করতে লেটুস পাতার বিশেষ কার্যকারিতা রয়েছে। লেটুস পাতা আপনার আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে থাকে ।

৫। এছাড়াও আপনার ত্বকের যে কোন ক্ষতস্থানে লেটুস পাতা বেটে লাগাবেন দেখবেন ক্ষতস্থানটির ব্যথা সেরে গেছে। আমাদের ঠান্ডা জনিত বিভিন্ন সমস্যা যেমন সর্দি, কাশি ইত্যাদি জন্য নিয়মিত খেতে পারেন লেটুস পাতার সালাত। ইনফেকশন দূর করতে ও লেটুস পাতা বিশেষ কার্যকারিতা রয়েছে। 

৬। লেটুস পাতা শরীরের হাড় ক্ষয় রোধ করে থাকে। এছাড়াও ত্বকের বালি রেখা ধরে রাখতে অনেক উপকারি । গর্ভবতী নারী ও মা ও শিশু লেটুস পাতা খেলে তাদের রক্তের পরিমাণ বেড়ে যাবে। মূত্রথলী ইনফেকশন ও কিডনি ব্যথা অনেক উপকারী। 

৭। এছাড়াও চোখে ইনফেকশনে লুটুস পাতা বিশেষ ভূমিকা রাখে। রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়াতে খান লেটুসপাতা।

লেটুস পাতার গুনাগুন

লেটুস পাতা দেখতে সাধারণ হলেও এর রয়েছে বহু গুণাগুণ। আপনারা যারা বিভিন্ন ভাবে লেটুসপাতা খেয়ে থাকেন, কিন্তু এর উপকারিতা ও গুণাগুণ সম্পর্কে জানেন না ।তাদের জন্য আজকের আমাদের এই পোস্টটি। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে লেডিস পাতার গুনাগুন গুলো জেনে নিন।

পুষ্টিগুণঃ

১। লেটুস পাতায় রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরপুর। যেমন ফাইবার, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম,ফসফরাস, আয়রন ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ওয়ান ,বি থ্রি ,বি টু ,ভিটামিন কে

২। পটাশিয়াম সোডিয়াম, জিংক, ফলেট ভিটামিন বি ৬

৩। ভিটামিন ই ,ভিটামিন সি মতো নানা উপাদান। যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন পুষ্টি গুণ চাহিদা পূরণ করে থাকে।

গুনাগুনঃ

লেটুস পাতা আঁশযুক্ত হওয়ায় কনস্টিপেসন কমায়। তাই যাদের প্রতিদিন সকালটা  কনস্টিপেসন সমস্যায় থাকে তারা লুটুস পাতা হতে পারে দারুন এক সমাধান। লেটুস পাতা হজম সমস্যায় বিশেষ কার্যকারিতা রাখে। ভিটামিন সি তে ভরা লেটুস পাতা আমাদের খাবারের রুচি বাড়াতে সাহায্য করে।

দাঁতের মাড়ির এবং দাঁতের ক্যাভিটিস থেকে রক্ষা করতে লেটুস পাতা বিশেষ উপকারী। লেটুস পাতায় রয়েছে ৯৫.৫ গ্রাম পানি। এই পানি যা আপনার রক্তের লৌহিত কণিকা, শ্বেত কণিকা,অনুচক্রিকা ও রক্তের অন্যান্য উপাদানকে সুস্থ রাখে। লেটুস পাতা আমাদের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে ও ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ রোগ প্রতিরোধ করে থাকে।লটুস পাতার বিভিন্ন গুণাবলী রয়েছে যা আমাদের ত্বক নাক মুখ বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কার্যকারী ভূমিকা পালন করে থাকে।

লেটুস শাকের উপকারিতা

আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের লেটুস শাক খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে কিছু তথ্য জানাবো। আমার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় মাছ মাংসের পাশাপাশি শাকসবজিও খেয়ে থাকি। যারা শাক পছন্দ করেন না তাদের শরীরের অনেক ধরনের পুষ্টি ঘাটতি দেয়। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে লেটুস পাতার গুণাগুণ অনেক। যার কারণে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই কমে যায়। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা লিটু শাক খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানব।

আরো পড়ুনঃ ডাব খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে লেটুস পাতায় থাকা উপাদানগুলো আমাদের দেহের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। তাহলে নিশ্চয়ই স্বাস্থ্য ভালো রাখতে লেটুস পাতার গুনাগুন সম্পর্কে আমাদের জানা উচিত।

শরীরের প্রদাহে

অনেক কারণে আমাদের দেহের শরীরে প্রদাহের মাত্রা বেড়ে যেয়ে আমাদের শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে বিভিন্ন ও  কোষের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সে সঙ্গে দেখা হতে পারে আমাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের অক্ষমতা। তাই চিকিৎসকদের মতে রোজকার খাবারের সাথে রাখতে পারেন।

ক্যান্সার প্রতিরোধে

অনেক গবেষণায় দেখা গেছে লেটুস পাতা রস নিয়মিত খেলে ক্যান্সারের মাত্রা অনেকটাই কমে যায়। লেটুস পাতা খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টর মাত্রা বেড়ে যায়। যার কারণে ক্যান্সারের আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়। লেটুস পাতায় থাকা উপাদানগুলো শরীরে থাকা দূষিত টনিক্স গুলো খুঁজে খুঁজে বের করে। এছাড়াও লেটুস শাক খেলে আপনার বেস্ট ক্যান্সারের মত কঠিন রোগ গুলো নিরাময় হবে।

অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ঘাটতি মিটায়

শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অ্যান্টিঅক্সিডান্টের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই আমাদের শরীরে সুস্থ রাখতে অ্যান্টি অক্সিডান্টের প্রয়োজন রয়েছে। তাই নিয়ম করে প্রতিদিন খাদ্যের তালিকায় রাখুন লেটুস পাতা।

অনিদ্রা দূর করতে

আমরা অনেক সময় অনিদ্রায় ভোগে থাকি। যারা অনিদ্রায় সমস্যায় ভোগেন তারা আজ থেকে লেটুস পাতার শাক খাওয়া শুরু করুন।লেটুস পাতায় রয়েছে এমন উপাদান  যা মেলাটোনিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। এ হরমোনটির রক্ষণ যত বাড়বে আপনার তত ভালো ঘুম হবে।

ব্রেন সেলের বৃদ্ধি

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিউরনদের ক্ষমতার বৃদ্ধি করতে লেটুস পাতার শাকের কোন বিকল্প নেই।নিউরনদের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেলে স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটে।অ্যালজাইমার্স মত ব্রেন ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে। তাই যারা এইসব রোগে আক্রান্ত তারা প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় লেটুস শাক অন্তর্ভুক্ত করুন।

লেটুস পাতার চাষ পদ্ধতি

প্রিয় বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলে আমরা স্বাস্থ্য ভালো রাখতে লেটুস পাতার গুনাগুন সম্পর্কে ইতিমধ্যে জানতে পেরেছি। বিভিন্ন রোগ বালাই প্রতিরোধে লেটুস পাতার অনেক উপকারিতা রয়েছে। লেটুস পাতা অত্যন্ত কার্যকরী একটি ঔষধি গাছ। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে লেটুস পাতার গুনাগুন অনেক। লেটুস পাতা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ওষুধের বিকল্প হিসেবে কাজ করে থাকে। তাই এই লেটুস পাতার চাষ পদ্ধতি জানা আমাদের অত্যন্ত জরুরী। লেটুস পাতার চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানব।

লেটুস চাষ পদ্ধতি

লেটুস এর চাষ জমিতে ও টবে খুব সহজেই করা সম্ভব। সাধারণত লেটুসের চাষ করতে খুব বেশি জায়গায় প্রয়োজন হয় না। আপনি যদি টবে চাষ করতে চান তাহলে একটি মাঝারি সাইজের টব নিবেন।

এছাড়া রোপনের সময় আপনাকে উর্বর দোআঁশ মাটি নির্বাচন করতে হবে। মাটি যদি এঁটেল হয় তাতে জৈব সারের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। মাটি যেন ঝুরঝুরে ও হালকা রস থাকে সেদিকে খেয়াল করতে হবে। সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বীজ তৈরি করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ ডালিম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

বিকালে চারা লাগানোর উত্তম সময়। চারা লাগানোর সময় মাটি গুলো চারি সাইডে চেপে দিবেন ।এবং শিকড় যেন না ছুয়ে যায় সেদিকে খেয়াল করবেন। তবে যারা লাগানোর পর দুই থেকে চার দিন ঢাকনি দিয়ে ঢেকে রাখবেন। যেন রোদ ও বৃষ্টি থেকে রক্ষা পায়। এবং সকাল ও বিকাল নিয়ম করে পানি দিবেন।

আমাদের শেষ কথাঃ স্বাস্থ্য ভালো রাখতে লেটুস পাতার গুনাগুন

প্রিয় বন্ধুরা আপনারা অনেকেই লেটুস পাতা খেতে পছন্দ করেন নিশ্চয়ই? তাহলে স্বাস্থ্য ভালো রাখতে লেটুস পাতার গুনাগুন সম্পর্কে নিশ্চয়ই এতক্ষণ পোস্টটি সম্পন্ন পড়েছেন। লেটুস পাতার অনেক উপকারিতা রয়েছে যা আমাদের দেহের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। তাই স্বাস্থ্য ভালো রাখতে লেটুস পাতার গুনাগুন ও উপকারিতা গুলো আমাদের মেনে চলতে হবে। তাই আসুন স্বাস্থ্য ভালো রাখতে লেটুস পাতার গুনাগুন সম্পর্কে জানি। এবং বেশি বেশি লেটুস পাতার রেসিপি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Skbd IT এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url