খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক আপনারা কি খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্যই। আমরা শরীরের পুষ্টি জোগাতে বিভিন্ন রকমের ফল-ফলাদি খেয়ে থাকি। খেজুর একটি উপকারী ও পুষ্টিকর ফল । যা আমরা অনেকে জানিনা। তাই তো খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান।
সূচিপত্রঃ খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
খেজুর অনেক গুণসম্মত একটি ফল। যা আমরা সকলেই পছন্দ করে থাকি। এটিতে রয়েছে বিভিন্ন রকম পুষ্টিকর উপাদান। এবং বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে খেজুরের উপকারিতা অনেক। তাহলে চলুন আমরা এই পোস্টটিতে খেজুর খাওয়ার ৫ টি উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন।
আরো পড়ুনঃ কোন ফল খেলে রক্ত বাড়ে - শরীরে রক্ত বাড়ানোর ফল
১.শরীরে শক্তি জগতে-
খেজুরে রয়েছে ক্যালসিয়াম ফসফরাস লোহা পটাশিয়াম পদার্থ শর্করা ফাইবার প্রোটিন অনেক রকম পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। যা আমাদের শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন নিয়মিত চার থেকে পাঁচটি খেজুর আপনি খাবেন। প্রতিদিনের কর্ম ব্যস্ততায় আমাদের এনার্জি ও শরীরের শক্তি অনেকটাই কমে গিয়ে থাকে। তাই নিয়মিত খেজুর খাওয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করতে পারবেন।
২.দৃষ্টিশক্তি
৩.রোগ প্রতিরোধ দূর করে
৪.ক্যান্সারের প্রতিরোধ করে
এখন অনেকেরই প্রধান রোগের ক্ষেত্রে ক্যান্সার প্রথমে রয়েছে। তাই আপনার ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে আপনার খাবারের সাথে নিয়মিত খেজুর খেতে পারেন। কারণ খেজুর বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ছাড়াও ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সক্ষম। খেজুর খাওয়ার উপকারিতা কেমন আরো অনেকেই বুঝতে পেরেছেন।
৫.কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
আপনারা অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যতে ভুগছেন? তাহলে কোন কিছু না ভেবেই আপনি প্রতিদিন নিয়ম মেনে সকালে চার-পাঁচটি খেজুর খেতে পারেন। কিংবা রাত্রে চার-পাঁচটি খেজুর ভিজিয়ে রেখে ওই পানি সহ খেজুরগুলো খেলে আপনি কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।খেজুর খাওয়ার উপকারিতা অনেক রয়েছে। নিয়মিত খেজুর খেলে আপনি এই রোগগুলো থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
খেজুর খাওয়ার অপকারিতা
খেজুর খাওয়ার অপকারিতা -
খেজুরের অপকারিতা চাইতে উপকারিতায় অনেক। আপনাদের যাদের বিশেষ করে ডায়াবেটিস রয়েছে। তারা খেজুর খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। খেজুর প্রচুর পরিমাণে মিষ্টি একটি ফল। যা আপনার ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।
এবং যাদের শরীরে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে তারা খেজুর খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। কারণ খেজুরে থাকা পটাশিয়াম আপনার শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে পারেন। আপনাদের কারো হজমের সমস্যা ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হলে খেজুরটি এড়িয়ে চলুন।
খেজুর খাওয়ার নিয়ম
খেজুর একটি সুন্নতি ফল। যা আমাদের দেশে সবাই খেয়ে থাকেন। এবং পছন্দ করে থাকেন। এটি এ দেশে উৎপাদন না হয়েও এদেশে চাহিদা অনেক বেশি। উপরের প্রস্তুতিতে আমরা খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও খেজুর খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছি এখন আমরা খেজুর খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিব।
খেজুর খাওয়ার উত্তম সময় হলো সকাল বেলা। কারণ সকালে খালি পেটে আপনি খেজুর খেলে অনেক উপকার পাবেন। খেজুরে রয়েছে আন্টি অক্সিডেন্ট ফাইবার প্রোটিন ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম আয়রন যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন শক্তি জোগাতে সাহায্য করে ।এবং ত্বক ও চুলের যত্নেও খেজুর বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
খেজুরে কোন ভিটামিন রয়েছে
খেজুর একটি পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে পরিচিত। যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ নিরাময় করে থাকে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আপনি ৪-৫টি করে রাখতে পারেন। আমাদের দেশে অনেক ধরনের ফল উৎপাদন হয়। বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান বিদ্যামান। কিন্তু খেজুর একটি উপকারী ফল। যা আমাদের দেশে উৎপাদন না হয়েও এটি এদেশের মানুষ অনেক চাহিদা করে থাকে। আজকের এই পোস্টটিতে আমরা খেজুরে কি কি পুষ্টিগুণ রয়েছে তা জেনে নেব।
১। আয়রন
২। ফাইবার
৪। ম্যাগনেসিয়াম
৬। আন্টি-অক্সিডেন্ট
আরো পড়ুনঃ আমড়া খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
৮। স্নেহ পদার্থ
১০। সালফার
১২। ক্যালারি
১৩। ভিটামিন বি
0 Comments
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন