ক্রেডিট কার্ড করার নিয়ম ও ব্যবহার করার নিয়ম

বহুকাল আগে মানুষ দিনে চাহিদা পূরণ করতে নিজের আয়ের উপর ভিত্তি করে। নিজের সাধ্যের মধ্যে মানুষ নিজের ইচ্ছাগুলো পূরণ করতেন কখনো কোনো স্বপ্ন হয়তো থাকতো সাধ্যের মধ্যে কিংবা কখনো কোন স্বপ্ন থাকতো  সাধ্যের বাইরে।ব্যাংকিং ব্যবস্থা অন্যতম সেবার নাম হল ক্রেডিট কার্ড তাই ক্রেডিট কার্ড কিভাবে বানাবো ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা অসুবিধা ক্রেডিট কার্ড করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানবো আজকের আর্টিকেলে।

সূচিপত্র: ক্রেডিট কার্ড করার নিয়ম

স্বপ্ন তো স্বপ্নই মানুষের ইচ্ছা, মানুষের আকাঙ্ক্ষা, মানুষের চাহিদার, পালে হাওয়া লাগিয়েছে ব্যাংকিং ব্যবস্থা সমূহ। মানুষের স্বপ্ন পূরণের এক আস্তার প্রতীক হিসেবে কাজ করছে ব্যাংকিং ব্যবস্থা। ব্যাংক সমূহ তাদের গ্রাহকদের কথা চিন্তা করে প্রতিবারই নতুন নতুন সুবিধা নিয়ে হাজির হয়ে থাকে আমাদের সামনে।নিত্য নতুন সুযোগ সুবিধা প্রদান করে ব্যাংকিং ব্যবস্থাসমূহ গৌরবে এগিয়ে চলেছে বজরের পর বছর।

বহুকাল পূর্বে মানুষের নিজের ভবিষ্যতের জন্য নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য নিজের শখ পূরণ করার জন্য টাকা জমা করতেন কিন্তু নিজের কাছে কি টাকা জমা রাখা হয়? প্রতিদিন কোন না কোন প্রয়োজনে সেই টাকাটা খরচ হয়েই যেত।তাই আর টাকা সঞ্চয় করাটা সম্ভব হয়ে উঠতো না মানুষের জীবনে।কিন্তু সময়ের সাথে সাথে মানুষের পছন্দ পাল্টায় মানুষের চাহিদা পাল্টায় মানুষ এখন তাই সঞ্চয়ের জন্য বেছে নিয়েছে ব্যাংক। খাওয়া লাগিয়েছে প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থা সমূহ। ব্যাংকিং ব্যবস্থা গ্রাহকদের কল্যাণে নিত্য নতুন সুযোগ সুবিধা নিয়ে আবির্ভূত হয়েছে ক্রেডিট কার্ড। তাই ক্রেডিট কার্ড কিভাবে বানাবো ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।

ক্রেডিট কার্ড কি?

ক্রেডিট কার্ড মূলত এক ধরনের কার্ড।ব্যাংক সমূহের তাদের গ্রাহকদের নির্দিষ্ট একাউন্টের বিনিময়ে যে কাজ সুবিধা প্রদান করে তাকে বলা হয় ক্রেডিট কার্ড। এটি একটি বহুল প্রচলিত এবং জনপ্রিয় একটি কার্ড প্রায় সকল ধরনের ব্যাংক তাদের গ্রাহকদের জন্য এই ক্রেডিট কার্ড সুবিধা প্রদান করে থাকে। তাই ক্রেডিট কার্ড কিভাবে বানাবো ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের নিয়ম জেনে নিন আজকের আলোচনায়।

মূলত আপনার যে ব্যাংক একাউন্ট রয়েছে সে ব্যাক এমন একটি কার্ড সুবিধা প্রদান করবেন যা থেকে আপনি আপনার নিত্য দিনের বিভিন্ন ধরনের কাজের ক্ষেত্রে অর্থ খরচ করার মাধ্যমে হিসেবে কাজ করে থাকে এই ক্রেডিট কার্ড। আপনি নির্দিষ্ট লিমিট পর্যন্ত অর্থ খরচ করতে পারবেন ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড থেকে। ক্রেডিট কার্ড এমন একটি কার্ড যে কার্ডের মাধ্যমে খুব দ্রুত লেনদেন করতে পারবেন। যেকোন স্থানে অবস্থান করে আপনি আপনার পছন্দের কেনাকাটা করতে ব্যবহার করতে পারেন এই কার্ডের দ্বারা। আপনি ক্রেডিট কার্ড দিয়ে যত বিশেষজ্ঞ পেমেন্ট করবেন আপনার পেমেন্টের উপর আপনি বেশি রিওয়ার্ড পাবেন। 

রিওয়ার্ড মূলত একটি সুবিধা যা আপনার লেনদেনের উপর নির্ভর করে থাকে। আপনার উপর ভিত্তি করে আপনি নানা বিভিন্ন ধরনের ডিসকাউন্ট ডিসকাউন্ট পয়েন্ট এবং এক্সট্রা ফ্রী পেমেন্ট পেতে পারেন। ধরুন আপনি কোন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করছেন কিন্তু সেই ক্রেডিট কার্ডের থেকে যদি আপনাকে অন্য ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা বেশি মনে হয় আপনি চাইলে নিজের ব্যবহৃত ক্রেডিট কার্ডটি পরিবর্তন করে নিতে পারেন এতে আপনি আপনার সুবিধা অনুযায়ী কার্ড পছন্দ করে নিতে পারবেন। আপনার ব্যবহৃত কার্ডটি যদি চুরি হয় কিংবা হারিয়ে যায় সেই তথ্য যদি আপনি আপনার নিকটবর্তী ব্যাংকে জানাতে পারেন তাহলে আপনি খুব দ্রুত আপনার অর্থ ফেরত সহ নতুন করে কার্ড পেতে পারেন। আপনি ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে খুব দ্রুত আপনার পছন্দমত কেনাকাটা করতে পারবেন কোনরকম ঝামেলা ছাড়াই এত সকল সুযোগ সুবিধা থাকার কারণে আজকাল সকলের যায় ক্রেডিট কার্ড সুবিধা গ্রহণ করতে ক্রেডিট কার্ড কিভাবে বানাবো জানতে হলে সাথে থাকুন।

ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা

ক্রেডিট কার্ড সুবিধা পেতে হলে আপনার মাঝে অবশ্যই কিছু যোগ্যতা থাকতেই হবে যেসব পেশাজীবীর ব্যক্তির আর্থিক সচ্ছলতা ভালো তারাই যোগ্যতা রাখে ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার কিন্তু আপনার আর্থিক সচলতা ভালো এবং ক্রেডিট কার্ড পাওয়া একজন যোগ্য দাবিদার বললে কেউ বিশ্বাস করবেন না। বরং আপনাকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই কিছু কাগজ দেখাতে হবে প্রমাণস্বর। ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার জন্য কি ধরনের যোগ্যতা প্রয়োজন তার নিচে তুলে ধরা হলো।

ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে দুই কপি ছবি আপনার ব্যাংক একাউন্ট ট্রান্স জ্যাকসনের মেয়াদ এক বছর দেখতে হবে বছরে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা লেনদেন দেখতে হবে জাতীয় পরিচয় পত্র লাগবে ট্রেড লাইসেন্স লাগবে রেফারেন্স লাগবে চাকরিজীবীর ক্ষেত্রে দুই কপি ছবি ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখতে হবে সেলারি পরিমাণ মাসিক ত্রিশ হাজার টাকার বেশি হতে হবে। ছয় মাসের অধিক থাকতে হবে টিন সার্টিফিকেট লাগবে ন্যাশনাল আইডি কার্ড লাগবে কোন আত্মীয়র রেফারেন্স লাগবে । কোন সম্মানিত পেশার নিযুক্ত থাকলে সেই পেশা নিযুক্ত কোন কপি দেখলে হবে দুই কপি ছবি এনআইডি কার্ড বিদ্যুৎ কিংবা গ্যাস বিল এর কপি রেফারেন্স।

ক্রেডিট কার্ড কিভাবে বানাবো

ক্রেডিট কার্ড এমন একটি কার যেখানে আপনার নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ডিপোজিট থাকে সেই অর্থ আপনি আপনার নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে নির্দিষ্ট পরিমাণ খরচ করতে পারবেন পরবর্তীতে সেই টাকা আপনার ব্যাংক একাউন্টের জমা করতে হবে ক্রেডিট কার্ডের অধ্যাধিক সুযোগ-সুবিধার কারণে মানুষ আজকাল সকলেই ক্রেডিট কার্ড সুবিধা গ্রহণ করতে চায়। মূলত আপনার ব্যাংক একাউন্টের অর্থের উপর আপনাকে ক্রেডিট কার্ড প্রদান করা হয় সেই ক্রেডিট কার্ডে আপনার একাউন্টে নির্দিষ্ট লিমিটের উপর আপনাকে খরচ করতে হবে। কিন্তু নির্দিষ্ট লিমিটের উপর অতিরিক্ত টাকা খরচ করলে আপনাকে নানা ধরনের বিরম্বনায় পড়তে হবে। কিন্তু অসুবিধা থাকবে ক্রেডিট কার্ড কিভাবে করবেন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেই।

ক্রেডিট কার্ড এর অত্যাধিক সুবিধার জন্য সকলের গ্রহণ করতে চায় ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা চলুন তাহলে জেনে আসি কিভাবে বানাবো ক্রেডিট কার্ড ক্রেডিট কার্ড বানাতে হলে আপনাকে সবার আগে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে একটি ব্যাংক একাউন্ট করতে আপনাকে যে যে জিনিস সাথে রাখতে হবে তা হল ন্যাশনাল আইডি কার্ড

  1. ড্রাইভিং লাইসেন্স দুই কপি
  2. দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  3. নমিনের ছবি
  4.  নমিনীর স্বাক্ষর

কোন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে আপনার ব্যাংক একাউন্ট খোলার পর আপনাকে সেই একাউন্টে অর্থ জমা রাখতে হবে নির্দিষ্ট পরিমাণ। আপনার ব্যাংক একাউন্টে পরিমিত পরিমান অর্থ জমা হয়ে গেলে আপনি যদি কিভাবে ক্রেডিট কার্ড করতে হয় জানতে হলে যেতে হবে আপনার যে ব্যাংক একাউন্ট রয়েছে সে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের নিকট। আপনার আয়ের উৎসব ব্যাংক একাউন্টের হিসাব মিলিয়ে আপনি ভিসা কার্ড পাওয়ার যোগ্য কিনা তা যাচাই করতে হবে। যদি আপনি ভিসা কার্ড পাওয়ার যোগ্য হয়ে থাকেন তাহলে আপনি ভিসা কার্ড সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। বর্তমানে মানুষের জীবনযাত্রা হয়ে গেছে ইন্টারনেট কেন্দ্রিক এখন সকল কাজ কমিশন অনলাইনের মাধ্যমে মুহূর্তে।

ক্রেডিট কার্ড কিভাবে বন্ধ করব 

ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীদের দৈনন্দিন খরচ মেটানোর জন্য একটি প্রধান আর্থিক যন্ত্র হিসেবে কাজ করে। তবে এমন উদাহরণ রয়েছে যখন ব্যবহারকারীদের কে অতিরিক্ত ব্যয় লাগাম টানতে হয় এবং একাধিক কার্ড রাখার হিসেবে ঝামেলা এড়াতে কোন কার্ড বন্ধ করে দেওয়ার কথা ভাবতে হয় সেরকম কোনো পরিকল্পনা থাকলে চারটি বিষয়ে অবশ্যই মাথায় রাখা উচিত।

যা পাওনা আছে তা পরিশোধ করে দিন

ইন্ডিয়ারলেন্ডস এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সি ই ও গৌরব চোপড়ার মতে ক্রেডিট কার্ড বন্ধ করার আগে যে সমস্ত প্রক্রিয়া পাওনা ছিল তা মিটিয়ে দেওয়া দরকার নইলে সুদের এবং জরিমানার দায় চেপে যাবে তিনি বলেন এটা ব্যবহারকারী এবং তার ক্রেডিট কার্ড কোম্পানির মধ্যে পরিষ্কারভাবে সম্পর্ক ছিন্ন হচ্ছে। তাছাড়া এই পথে ক্রেডিট কার্ড স্কোরকেও রক্ষা হবে। যদি ব্যবহারকারীর নগদের সমস্যার কারণে পাওনা পরিশোধ করতে অক্ষম হয় তবে তিনি ব্যাংকের সাহায্যে এটি ট্রান্সফার করার প্রক্রিয়া শুরু করে একটি নতুন ক্রেডিট কার্ডের ক্রেডিট ব্যালেন্স স্থানান্তর করতে পারেন।

নিশ্চিত করুন যে কার্ডে কোন স্থায়ী নির্দেশ রাখা নেই

এমন কিছু উদাহরণ রয়েছে যখন ব্যবহারকারীদের নেটফ্লিক্স সাবসক্রিবশন থাকতে পারে অথবা তারা কার্ড থেকে ইএমআই এবং ইউটিলিটি বিল পরিশোধ করে থাকেন। সে ক্ষেত্রে কাঠ বন্ধ করার আগে এইসব পেমেন্টগুলো বন্ধ করে দেওয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। চোপড়া উল্লেখ করেছেন মনে রাখবেন ব্যবহারকারীরা কার্ড বন্ধ করা প্রক্রিয়ায় শুরু করলে এই পেমেন্টগুলো সক্রিয় ভাবে বন্ধ হয় না তাই যতক্ষণ না ব্যবহারকারীর নো ডিউস সার্টিফিকেট বা লিখিত ভাবে কিছু না পায় ততক্ষণ তারা নিশ্চিত হতে পারেনা যে কার্ডটি সঠিকভাবে বন্ধ হয়েছে কিনা। তখন বিলটি অব্যাহত থাকবে এবং ব্যবহারকারীরা যদি অজানা কারণে পেমেন্ট মিস করে তাহলে ক্রেডিট স্কোর নামতে নামতে ডুবে যেতে পারে এবং নির্ধারিত তারিখের মধ্যে অর্থ পরিষদ না করা হলে ব্যবহারকারীদের জরিমানা করা হবে।

ক্রেডিট কার্ড কতটা পুরনো সেটা গুরুত্বপূর্ন 

চোপরা, ক্রেডিট কার্ড বন্ধ করার সময় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কার্ডটা কতটা পুরনো সেটা বিবেচনায় রাখতে বলেছেন কারণ ক্রেডিট একাউন্টের বয়স ক্রেডিট স্কোরের গণনার উপর বড় প্রভাব ফেলে। চোপড়া আরো বলেন ক্রেডিট কার্ড যত পুরনো ক্রেডিট স্কোরের ক্ষেত্রে তার অবদান তত বেশি। একটি পুরনো ক্রেডিট লাইন থাকা ইঙ্গিত করে যে ব্যবহার করে একটি দায়িত্বশীল ঋনগ্রহীতা ছিলেন এবং তাই ক্রেডিট যোগ্য তথা এভাবে সেরা ঋণ ও ক্রেডিট কার্ড অফারের জন্য যোগ্য।

কোনো বড় ঋণ নিয়ে আর পরিকল্পনা যেন না থাকে

কার্ড এর ব্যবহার সূচিত করে যে ব্যবহারকারীরা সেই সময় কাল জুড়ে দায়িত্বশীল ঋনগ্রহীতা হিসেবে ছিলেন আর এইভাবে ক্রেডিট স্কোরে অবদান রেখেছেন ক্রেডিট কার্ড বন্ধ করলে ক্রেডিট স্কোর কমে যায় চোপড়া ব্যাখ্যা করেন কার্ড যত পুরনো হয় স্কোরের অবদান তত বেশি আর কার্ড বন্ধ করলে ক্রেডিট স্কোর কমে কম স্কোর মানে ঋণের উপর উচ্চ সুদের হার। অতএব ব্যবহারকারীদের যদি অবিলম্বে শিক্ষারীন অথবা গৃহঋণ নিতে হয় তা তখন খুব ব্যয়বহুল হতে পারে। এজন্য ব্যবহারকারী শীঘ্রই ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলে কার্ড বন্ধ করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেয়া হয়।

ক্রেডিট কার্ড এর সুবিধা অসুবিধা

আর্থিক লেনদেন ক্রেডিট কার্ড এর ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। বড় ধরনের কেনাকাটার সঙ্গে থাকা ক্রেডিট কার্ড বেশ কাজে আসে। তবে অনেকের মধ্যে ক্রেডিট কার্ড নিয়ে এক ধরনের ভীতি কাজ করে।তারা ভাবে এটা শেষে ব্যয়ের ফাঁদই হয়ে দাঁড়ায় কিনা!!ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে এখানে সংক্ষেপে কিছু আলোচনা করা হলো।

দ্রুত লেনদেন

ধরুন বেশ দামি কোন জিনিস কিনতে চাইছেন। একসঙ্গে এত টাকা জোগাড় করতে পারছেন না। কারো কাছে ধারও করতে পারছেন না।এসব ক্ষেত্রে সবচেয়ে কাজে দেয় ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার।এর মাধ্যমে পণ্যটির চট করে কিনে নিয়ে কয়েক মাস ধরে মূল্য পরিশোধ করা যায়। এতে ঋণের বোঝা খুব বেশি মনে হয় না। এক্ষেত্রে নিজের বিচার বুদ্ধি কে কাজে লাগাতে হবে,সময়সীমা অনুযায়ী মূল্য পরিশোধ করতে হবে।তা না হলে হয়তো জরিমানা গুনতে হতে পারে।

সুরক্ষা

কিছু ক্রেডিট কার্ড বিশেষ করে বিদেশ ০ শতাংশ সুদের ঋণ দেয়। এসব ক্ষেত্রে মাসে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ মূল্য পরিশোধ করতে হয় যা বেশ সুবিধা জনক। আবার কোন কোন  ক্ষেত্রে কার্ডের ঋণের সুদের হার অনেক থাকে। এক্ষেত্রেও একটা সুবিধা আছে। বুঝায় এরাতে ঋণ দ্রুত পরিশোধ করা হয়। নিজস্ব ঋণ আর থাকে না।

ব্যয়ের সঙ্গে আয় 

ক্রেডিট কার্ডে বিভিন্ন অফার দেয়া হয় হয়। যেমন ক্যাশব্যাক অফার,স্পেশাল ডিসকাউন্ট,দেশের বাইরে বেড়াতে গেলে হোটেলে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহারে অনেক সময় মূল্য ছাড় দেয়া হয়,প্লেনের টিকিট কাটতেও অনেক সময় পাওয়া যায় বিশেষ মূল্য ছাড়।

পরিবর্তনযোগ্য

ধরুন,আপনি একটি অফারের ক্রেডিট কার্ড নিয়েছেন কার্ডটি ব্যবহারের ঋণের বুঝা বেশি মনে হলে এটি পরিবর্তন করে অন্য অফারের কার্ড নেওয়া যায়।এক্ষেত্রে হয়তো সামান্য অর্থ বেশি লাগতে পারে তবে তা লাভজনকই হয়।

ঋণের ফাঁদ

ক্রেডিট কার্ড এর ব্যবহার সবসময়ই একটি ঋণ নেওয়ার মাধ্যম। আপনি এখন কিনছেন পরে অর্থ পরিশোধ করতেই হবে ,একটা ঝুঁকি থেকে যায়।আপনি সময়মতো ঋণ পরিশোধ না করলে ঋণ বাড়তেই থাকবে।

সঠিক কার্ডটি চেনা

সঠিক কার্ড বেছে নেয়া জরুরি আপনার জন্য যা সুবিধা জনক একটি ভুল কার্ড দিনের পর দিন ব্যবহার করলে ঋণের বোঝা বাড়তেই থাকবে। তবে এটা বুঝতে পুরো শর্তাবলী মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে কোনটা নিজের আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ তা বেছে নিতে হবে।

আজকের মতো এতোটুকুই আশা করছি আপনারা সবাই ভালোই জানতে পেরেছেন এই ক্রেডিট কার্ড কিভাবে বানাবো ক্রেডিট কার্ড কিভাবে করবেন তা সম্পর্কে। ভালো থাকবেন আবার নতুন কিছু নিয়ে আসবো ততদিন পর্যন্ত সুস্থ থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Skbd IT এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url